20/03/2023
*সিয়াম ও রমযান : গুরুত্ব ও ফযীলত :*
----------------- *[পার্ট :২৭]*------------------
*রমযানের সম্মান রক্ষা করি :*
নিজে রোযা রাখতে না পারা এক ধরনের অপরাধ। কিন্তু রমযানের পবিত্রতা নষ্ট করা, রোযা ও রোযাদারের প্রতি সম্মান না দেখানো অনেক বড় ধৃষ্টতা। রাস্তায় প্রকাশ্যে রোযার বেহুরমতি করা, হোটেলগুলোতে পর্দা ঝুলিয়ে দিব্বি নাফরমানিতে লিপ্ত হওয়া, মিডিয়া ও চ্যানেলগুলোতে অশ্লীল প্রোগ্রাম চালু রাখা, সিনেমা হলগুলো যথানিয়মে সচল থাকা ইত্যাদি বিষয়গুলো জাতীয় ও সামাজিক নাফরমানীর অন্তর্ভুক্ত। এরকম জামাতবদ্ধ নাফরমানি আল্লাহ্র ক্রোধ বাড়িয়ে দেয় এবং অনেক বড় দুর্গতি ডেকে আনে। আল্লাহর ওয়াস্তে রমযানের সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার সার্থে এসব গর্হিত আচরণ থেকে নিবৃত্ত হই। ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে এবং পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করি। আল্লাহ্ তা'আলা সকলকে তাওফীক দান করুন।আমীন..!
*ঈদ শপিং :*
ঈদকে সামনে রেখে যে শপিং-সংস্কৃতি সমাজে চালু হয়েছে এবং তাতে ব্যাপকহারে নারীদের অংশগ্রহণ এবং যে পর্দাহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা খুবই উদ্বেগের বিষয়। দেখা যায়, রমযানের শেষ দিকে এর চাপ আরো প্রবল হয়। আফসোসের কথা হল, যেখানে শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করতে বলা হয়েছে এবং নবীজী *(ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছাল্লাম)* যখন কোমর বেঁধে ইবাদতে মশগুল হতেন, পরিবারের লোকদের সজাগ করতেন তখন আমি কেনাকাটায় ব্যস্ত! তাই ঈদের কেনাকাটা আগে থেকেই সেরে নিই, নারীদের যেন মার্কেটে যেতে না হয় এজন্য পুরুষরা সহায়তা করি এবং শেষ দশকে আমলে মশগুল হই, শবে কদর তালাশে উন্মুখ হই।
আমাদের ঈদ তো অন্যদের উৎসবের মতো নয়। ঈদ হল আল্লাহর নিকট সমর্পিত হওয়ার আনন্দ। আল্লাহ্র মাগফেরাত লাভের আনন্দ। এই ঈদ উদ্যাপন করা যেমন আল্লাহ্র হুকুম, তেমনি এর উদ্যাপনও হতে হবে আল্লাহর হুকুম মোতাবেক।
ঈদের দিন নতুন পোশাকই পরতে হবে এমন ধারণা সঙ্গত নয়। বরং ঈদের দিনের একটি মুস্তাহাব আমল হল, নিজের কাছে থাকা উত্তম পোশাকটি পরিধান করা। আর আল্লাহ ক্ষমা করুন, বিজাতীয় বসন-ভ‚ষণ ধারণ করা তো ঈদের রূহই নষ্ট করে দেয়। মুসলিম এমনটি করতে পারে না।
তাই ঈদশপিংয়ে সময় বরবাদ না করে নিজের দ্বীন-ঈমানের প্রতি মনোযোগী হওয়াই সচেতন মুমিনের পরিচয়।
*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*