প্রবাসী অহনা

প্রবাসী অহনা Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from প্রবাসী অহনা, Digital creator, Sylhet.

16/08/2025

» বিয়ের প্রথম দিকে স্বামী ও স্ত্রীর চ্যাটিং..

💁‍♂️স্বামীঃ ওহ শেষ পর্যন্ত আমার সপ্নটা পূরণ হলো..

💁‍♀️স্ত্রীঃ আমি যদি তোমাকে ছেড়ে চলে যাই?😒🙄

💁‍♂️স্বামীঃ না! এই কথাটা আর কখনোই মুখে আনবা না🤫

💁‍♀️স্ত্রীঃ তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?☺️☺️

💁‍♂️স্বামীঃ অবশ্যই! কোনো সন্দেহ নাই😍😌

💁‍♀️স্ত্রীঃ কখনো আমাকে ছেড়ে যাবা কি..🙄🙄

💁‍♂️স্বামীঃ কখনোই না 🙃🙂

💁‍♀️স্ত্রীঃ আমি কি তোমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারি😒😒🤞🤞

💁‍♂️স্বামীঃ হুমম☺️☺️🙂🙂

💁‍♀️স্ত্রীঃ ও সুইট হার্ট 😍🥰♥️♥️

★দুই বছর পর স্বামী ও স্ত্রীর চ্যাটিং★
এবার উল্টোদিকে পড়ুন অর্থাৎ নিচ থেকে উপরে দিকে😅🤣😂😲😳

রকি আর আবিরের মাথা এখনো চড়কগাছের মত ঘুরছে! যেন ওরা বিশ্বাসই করতে পারছে না। এতদিন তাহলে কোন গোলকধাঁধায় আটকে ছিল? শেষে ওর...
16/08/2025

রকি আর আবিরের মাথা এখনো চড়কগাছের মত ঘুরছে! যেন ওরা বিশ্বাসই করতে পারছে না। এতদিন তাহলে কোন গোলকধাঁধায় আটকে ছিল? শেষে ওরা একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে, দুজনেই সমুচ্চ স্বরে বলেঃ
--- ব্যারিস্টার মিলি!?

খবরের শিরোনাম--
" ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে ৪ আসামীর ফাঁসি কার্যকর"

পত্র পত্রিকা থেকে শুরু করে সকল মিডিয়াতে (রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইন সাইট ও অন্যান্য) ঘুরেফিরে একই খবর! কাল্পনিক ও অবাস্তব কেইসকে, বস্তবে সফলতার দুয়ারে এনে দিলেন উদীয়মানা ব্যারিস্টার মিলি। এটাই প্রথম কেইস, কিন্তু অবিশ্বাস্য সফলতা! অনেক নামীদামী, জ্ঞানী উকিল-ব্যরিস্টারদের আইডিয়াল! আরও কত শত নানান উপমা-বিশেষণ দিয়ে ভরপুর খবরগুলো!

সুপ্রিমকোর্ট থেকে মাত্র তিনদিনে, রকি, রাফসান, আবিদ ও জনির ফাঁসির আদেশ কার্যকর করিয়েই ছাড়লেন ব্যারিস্টার মিলি! সকল সাক্ষ্য প্রমাণ এমনভাবে উপস্থাপন করেন যে, অন্ধও বলে দিতে পারতো এরা ৪ জনই তুলিকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে!

#ফ্ল্যাশ__ব্যাকঃ
মিলি, লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারই পাশ করে বাংলাদেশ এয়ার পোর্টে ল্যান্ড করলে, মিলি যেন তুলি হয়ে যায়! ওর ভিতরে অন্য ওকজন বাস করতেছে এমন অনুভূত হয়! কি একটা প্রতিশোধের নেশা যেন চোখেমুখে আভাস পাচ্ছে।

মিলি, বাবা-মায়ের সাথে সাক্ষাৎ না করেই তুলির কেইস হাতে নেয়। যদিও আগেই প্রমিজ করেছিলো, তুলির কেইস সমাধান না করে অন্য কোন কেইস হাতে নিবে না। কিন্তু সেটা এভাবে এত দ্রুত ব্রেণের ভিতর চলে যাবে কল্পনা করেনি। এমনকি মা বাবার সাথে সাক্ষাতের চেয়েও মাত্রা অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে!

মিলি নিজেই নিজের সাথে কথা বলতে লাগলো, একটা মেয়ে এভাবে হারিয়ে যেতে পারে না! এভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে না। এর কোনো না কোনো উত্তর অবশ্যই আছে।
এ যেন তুলির রক্ত, আত্মা সব মিলির শিরা উপশিরাতে মিশে গেছে। অবশ্য আইনি পড়া অবস্থায়, তুলির কেইসটা অনেকবার স্টাডি করেছে। তখনই কিছু প্ল্যানিং করে রেখেছিল, "কি ভাবে, কি করবে?"

তুলির কলেজ লাইফ, ভার্সিটি লাইফ, লাভ লাইফ, এমনকি কোচিং করানোর (তুলি একটা কোচিং পরিচালনা করতো) সময়কার সকল বিষয়ে রিসার্চ করে উপলব্ধ হয় যে, "সামথিং মিসিং"

আর মিসিংটা হলো রকি, কারণ তুলির ডায়েরি থেকে রকির নাম শুধু একবার পাওয়া গেছে, তাই কেউ কখনো সন্দেহ করেনি! আর এটাও দুই বছর পূর্বে যখন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করে, "তুলি মিসিং কেইস" টা, সেই সময়কার কথা!
তবে মিলি শূন্য থেকে শুরু করতে চাচ্ছে! একটা বড় ধামাকা দিতে যাচ্ছে জাতিকে। একটা নতুন লেসন।

রকিকে খুঁজে বের করতে বেশিদিন লাগেনি মিলির! শহরের বিভিন্ন বার ও ডান্স ক্লাবে খোঁজ নিয়েই পেয়ে যায়। দু'দিন অবজারভেশন করে, রকির Daily routine জেনে নেয় মিলি।
রকি কোথায় যায়, কি করে, ওর ক্লোজ ফ্রেন্ড কে কে? রকি‌ সারাদিন যায়ই করুক না কেন, দিনশেষে চার বন্ধু "ফোনে নয়তো মদের বারে" মিলিত হবেই। বাকিরাও সেইম, বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল।

তুলির সথে মিলির চেহারা ৯৯% মিল থাকাতে খুব সহজেই জালে আটকা পড়ে রকি। ওদের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র রকিই মাথা মোটা ও কথায় কথায় রেগে যায় আর রাগীরা বরাবরই একটু বোকাসোকা টাইপের হয়! তাই ওকেই টার্গেট করে মিলি, নয়তো ওদের বন্ধুদের মধ্যে অন্য কেউ হতো টার্গেট!

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে, দূর থেকে রকির নজরে আসার চেষ্টা করছে মিলি, কিন্তু হাবলুটা ঠিক বুঝতে/ধরতে পারছে না। সেদিন বাস স্টান্ডে ঠিক ধরা দেয় চান্দু আর মিলিকেই তুলি ভেবে গলদঘর্ম হয়ে জনি ও অন্যান্য বন্ধুদের ফোন করে।

ওদের চার বন্ধুর ফোনই আগে থেকে ট্র্যাকিং করে রেখেছিলো মিলি। তাই ওদের সমস্ত কথাবার্তা রেকর্ড হয়ে যায়। সব শুনার পর, মিলির শরীরে যেন তুলির অশরীরী আত্মা ভর করে। আর সেই সময়ে রকি, রাফসান ও আবিদ সেইফ প্লেসে থাকাতে, টার্গেট হয় জনি!

জনির এক্সিডেন্ট ঘটানোর পরে শিকার হয় আবিদ ও রাফসান। মিলিকে এ সমস্ত কাজে ১ জন ড্রাইভার ও টেকনিশিয়ান যথেষ্ট হেল্প করছে, যদিও টাকার বিনিময়ে। লালচোখ ওয়ালা ড্রাইভার আর ফর্সাটা টেকনিশিয়ান।
ওদের শাস্তি ও তুলি সম্পর্কে সমস্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করার পরে, কেইস কোর্টে তোলা হয়। তারপরই ফাঁসি কর্যকর!
#ফ্ল্যাশব্যাক__এন্ডিং

জজের কাছে মিলির শেষ বক্তব্য টা এমন ছিল--
মী লর্ড, কোন ক্রাইম ই পার্ফেক্ট না। কোন ক্রিমিনালও পার্ফেক্ট না। আমরা (আইনের লোক) যদি কোন রকম সুতা ধরে টান দিতে পারি, পুরা লাটাই চলে আসবে। শুধু দরকার সদিচ্ছা। যদি বসে থাকলেও সরকার টাকা(বেতন) দেয়, তবে কি দরকার পরিশ্রমের! বরং বসে বসে facebook, messenger, whatsapp, viber, imo, tiktok সহ সকল Social media তে মাস্তি করি।। মাস শেষে বেতনতো পাবই ই....
আমাদের সিস্টেম টাকে চেঞ্জ করতে হবে মী লর্ড। যোখানে সিনিয়র অফিসার ঘুষ খাবে, সেখানে জুনিয়রা তো লুট করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা ছোটরা বড়দের দেখে শিখি।
সেজন্য প্রত্যেক সিনিয়রের নৈতিক দায়িত্ব হবে, নিজে ভুল কিছু করব না এবং আমার অধীনস্থদেরও clean & holy রাখবো।
পেশাকে টাকা তে নয় বরং জীবনের অংশ হিসাবে ভালোবসতে হবে! তবেই জয়, সফলতা, সম্মান, গৌরব ও অন্যান্য!

এখন শুধু একটাই প্রশ্ন সবার মুখে মুখে--
"কে এই উদীয়মান সফল ব্যারিস্টার মিলি? কে সে?"

চলবে.......

গল্পঃ "অশরীরীর মায়া"
পর্বঃ ০৭

✅ ফলো করে পাশে থাকুন পরবর্তী পর্বগুলো পাবার জন্য।

রকি ভাবছে, কখন- কিভাবে- কি দিয়ে শুরু করবে? তবে হুট করেই রকির চিন্তাতে ভাটা পড়লো--"একটা অট্রহাসির শব্দে"!রকি হতচকিত ও আত...
16/08/2025

রকি ভাবছে, কখন- কিভাবে- কি দিয়ে শুরু করবে? তবে হুট করেই রকির চিন্তাতে ভাটা পড়লো--
"একটা অট্রহাসির শব্দে"!
রকি হতচকিত ও আতঙ্কিত হয়ে মেয়েটির দিকে তাকালো আর অবিশ্বাস্য চোখে...!

মেয়েটির দিকে তাকাতেই ভূত দেখার মত চমকে উঠলো রকি! চোখ দুটো বিস্ফোরিত হওয়ার উপক্রম! এ কাকে দেখছে সে? কিছু সময়ের জন্যে ব্রেণ হ্যাঙ হয়ে যায়, কখন যে গাড়ির ব্রেক প্যাডালে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে টেরই পেলো না! গলার স্বর যেন ফাটা বাঁশের মতো হয়ে গেলো! খক খক করে বললঃ
--- তু-ত-তুলি..!?!

মেয়েটি গাড়িতে উঠেই রকির মনের কথা পড়তে পারে, তাই সময় নষ্ট না করে অনতিবিলম্বে নিজের বোরকার নেকাব খোলে দেয়।
শেষে রকির অ্যাটেনশন নেওয়ার জন্য, এমন অট্টহাসি দিয়েছিলো! যাঁর কারণে রকির নগ্ন ধ্যান ভঙ্গ হয় আর মেয়েটির দিকে তাকাতেই রকির এ হাল!

তবে রকির মুখে তুলি নামটি নেয়ার সাথে সাথে পাশে বসা মেয়েটি যেন সাপের মত শীতল ও হিসহিসিয়ে বললঃ
-- চুপ, একদম চুপ!

নিমিষেই যেন মেয়েটির চোখ দিয়ে আগুন বের হতে লাগলো! এমন একটা ভয়ংকর রুপ, যেন সাধারণ চোখে দেখার মত নয়! সবকিছু পোড়ে ভস্ম করে দিবে!
এর মাঝেই বিদ্যুৎ গতিতে মেয়েটি, তার হাতের রুমাল রকির নাকেমুখে চেপে ধরে। এমনিতেই বেচারার আধা-মরা অবস্থা হয়েছিল, তার ওপর ক্লোরোফিলের অ্যাকশনে যেন মরেই গেল মানে অজ্ঞান হলো!

যখন রকি চোখ খোললো, প্রথমে কিছুই দেখতে পেলোনা! ভয়ে আৎকে উঠে ভাবলো, মরে পরলোকে চলে এসেছে! কিন্তু না, কিছুক্ষণের মধ্যেই সব ঝাপসা ঝাপসা ক্লিয়ার হয়ে গেলো আর নিজেকে আবিষ্কার করল, একটা আধো আলো অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে গুহার ভিতরে!
যেখানে সে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে, হাতেপায়ে লোহার শিকল বাঁধা! টান দিয়ে খোলার চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না, কারণ প্রচন্ড শক্ত করে বাঁধা!

রকি যেন দুঃস্বপ্ন দেখছে! সবকিছুই কেমন ঘোলাটে ঘোলাটে লাগছে। ও এখানে কেন, কিভাবে আসলো, কে নিয়ে আসলো আর ঐ মেয়েটি(তুলি) কোথায়?

তুলির কথা মনে হতেই রকির ব্রেণ যেন ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরতে লাগলো! কখনো সেই ২ বছর আগের ঘটনাতে চলে যাচ্ছে, কিভাবে তুলিকে কিডন্যাপ ও রেপ করার পরে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছিলো!
আবার কখনো জনি, রাফসান ও আবিদের দুর্ঘটনার কথা মনে পড়ছে! আবার ও নিজেই কিভাবে কিডন্যাপ হয়ে গেলো?!

তবে কি, তুলিই এসব করেছে? কিন্তু ওতো মরে গেছে, আচ্ছা মরা মানুষ কখনো কি জিন্দা হয়? নাকি ওর প্রেতাত্মা? এসবতো হরর মুভিতে দেখেছি, বাস্তবেও কি সম্ভব? তবে কি______?!?!

এসব নানান উদ্ভট চিন্তাভাবনা করতেই, যেন আচমকা ওর কাছে সব পরিস্কার হয়ে যায়! এক ঝটকায় শুয়া থেকে বসে যায় এবং চারদিকে ভালো করে লক্ষ্য করতে থাকে!
তবে এবার আরো বিস্ময়ে হতবিহ্বল হয়ে যায়, কারণ ওর পাশেই, একটু দূরে "ওর মতোই করে বন্দী অবস্থায় শুয়ে আছে আবিদ"!

ভূত দেখলেও হয়তো এতটা ভয় পেতো না রকি, যতটা ভয় পেয়েছে আবিদকে এভাবে দেখে! এটা কি করে সম্ভব? আবিদতো মরে গেছে! তবে কি ওইও মরে গেছি?
এখানে কি মৃতব্যক্তিদের রাখা হয় কিন্তু ওর হাতে পায়ে শিকল কেন? এটা কি জাহান্নাম? না--না, রকি আর ভাবতে পারছে না! মাথা কেমন যেন ঝিমঝিম করছে! পুনরায় অজ্ঞান হলো বোধহয়!

চলবে.......

গল্পঃ "অশরীরীর মায়া"
পর্বঃ ০৫

✅ ফলো করে পাশে থাকুন পরবর্তী পর্বগুলো পাবার জন্য।

আবিদ, রাফসানের কথাতে হতভম্ব হয়ে বললঃ-- তুই এসব কি পাগলের প্রলাপ বকতেছিস...রাফসান প্রত্যুত্তরে গলার স্বর আরো কম্পিত ও ভয়...
16/08/2025

আবিদ, রাফসানের কথাতে হতভম্ব হয়ে বললঃ
-- তুই এসব কি পাগলের প্রলাপ বকতেছিস...
রাফসান প্রত্যুত্তরে গলার স্বর আরো কম্পিত ও ভয়াল করে বললঃ
---- বন্ধু, গাড়ি ব্রেক ফেইল করছে!

ওদিকে রকির অফিসে অ্যাকাউন্টিং-এ, নতুন একটা মেয়ে জয়েন করছে! সবার মুখে একই বাক্য, "যেই চেহেরা, সেই স্মার্ট"!
নতুন মেয়েটিকে নিয়ে, অফিসের বস সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যে হলরুমে ডাকলেন! সবাই হাই- হ্যালো করলো, শুধু রকি হাঁ করে তাকিয়ে থাকলো!

রকি আজ থেকে দু'বছর আগে হারিয়ে গেলো! সেই চোখ, সেই নাক, সেই মুখ, শুধু চেহারার আদলটা একটু পরিবর্তন। মনে হচ্ছে তুলির মাস্টার কপি! এসি রুমে বসা থেকেও, রকির শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে। তাই ওয়াশরুমের নাম করে হলরুম ত্যাগ করলো!

অতঃপর রকি কোনওরকমে পকেট থেকে ফোনটা বের করেই, জনিকে জানানোর জন্য কল দিতে গিয়েও থমকে গেলো কারণ "জনিতো কোমায়, মৃত প্রায়! তবে আবিদ ও রাফসান? কিন্তু........

হ্যাঁ, কিন্তু গাড়ি এক্সিডেন্ট করার পর আবিদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি! আটশো ফুট উচু ঢাল থেকে গাড়ি নীচে পড়ে যায়, এবং গাড়ি শর্টসার্কিট হয়ে আগুনে ঝলসে যায়। সবার ধারণা, হয়তো আবিদ গাড়ির সাথেই আগুনে পোড়ে গেছে! নয়তো জঙ্গলের কোথাও ছিটকে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়েছিল, পরে শিয়াল বা বন্যপ্রাণী খেয়ে নিছে!

অবশ্য রাফসান সাহস ও বুদ্ধির জোরে বেঁচে যায় কারণ গাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে নীচে যাবার আগেই লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়! যদিও বেঁচে গেছে কিন্তু শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিড়ে, ফেটে, কেটে, হাড় ভেঙে এবং মাথা জখম হয়ে হসপিটালে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে আছে!

রকি মনের দুঃখে হাঁসফাঁস করতে লাগলো কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারলো না। অবশেষে ব্রেন টাকে রিলাক্স ও নিজেকে আরো স্ট্রং করার জন্য, বিশেষ করে তুলির ব্যাপারটাকে ক্লিয়ার করতে একান্ত কিছু সময়ের প্রয়োজনীয়তা বোধ করলো।

অতঃপর অফিস ছুটি নিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করে সোজা চলে যায় সেই জঙ্গলে, যেখানে তুলিকে ধর্ষণ করে মাটিচাপা দেয়া হয়েছিলো। অনেক খুঁজাখুঁজি করেও কোন আলামত পেলো না, যা থেকে মনে হয় তুলি বেঁচে আছে বা তুলি সিওর মরেই গেছে!

হতাশাগ্রস্ত হয়ে, গাড়ি নিয়ে ব্যাক করতে যাচ্ছে এমন সময় দেখতে পেলো বোরকা পরা একটি মেয়ে দৌড়ে গাড়ির দিকে ছুটে আসতেছে। এ গহীন জঙ্গলের ভিতরে মেয়েটার উপস্থিতিতে, রকি যেমন চমকে গেলো তেমনি শিহরিত হলো! ঘটনা কি?

মেয়েটা দৌড়ে এসে গাড়ির সামনে দাঁড়ালো, রকি ড্রাইভিং সিটে বসেই গ্লাস ডাউন করে বলল,
-- Any problem??
মেয়েটা কোন উত্তর দিতে পারছে না, শুধু হাঁপাচ্ছে! বড় বড় শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ এত দূর থেকেও রকি স্পষ্ট শুনতে পেলো! আর সেই সাথে বিশেষ কিছু অঙ্গের ঘনঘন উঠানামা! যা দেখে রকির ভেতরের সেই জানোয়ার টা জেগে উঠলো।
ওর চেতনাদন্ড বারবার জানান দিচ্ছিল, রকি এমন সুবর্ণ সুযোগ ও সময় পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আর আসবেনা! রকিকে আর ভাবতে না দিয়ে, মেয়েটা আরেকটু দৌড়ে গাড়ির জানালার কাছে এসে বললঃ
-- please, আমাকে বাঁচান। please, please....

---- কিন্তু কি হয়েছে আপনার, এমন করে জঙ্গলের ভিতর দৌড়াচ্ছেন কেন? আর এখানে আসলেন ইবা কি.....

রকির কথা শেষ করার আগেই, মেয়েটা বললঃ
-- আমাকে কয়েকজন ছেলে জোর করে এখানে তোলে এনেছে, আমি ওদের নিকট থেকে পালিয় এসেছি!‌ ওরা আমার পিছু পিছু আসতে পারে, তাই please আমাকে হেল্প করেন।

---- আচ্ছা কোন বেপার না, আসুন আসুন গাড়ির ভিতরে এসে বসুন। আমি আছি, আপনার কোন ভয় নেই। এ কথা বলেই অপর পাশের দরজা দেখালো রকি।
[এদিকে রকির মনে লাড্ডু ধরে গেছে, এখন শুধু ফুটার অপেক্ষায়! সেই লাড্ডু লাফাচ্ছে আর ভাবছে, ওহ্ অনেক দিন পর একটা মুরগী পেয়েছি, যে কিনা নিজেই শিয়ালের কাছে এসে নিজের জান বাঁচাতে বলছে, হু হু হু.. হা হা হা...
রকির রক্ত ধীরে ধীরে গরম হতে লাগলো আর মনের ময়ুর পাখনা মেলে নাচতে শুরু করলো]

মেয়েটি গাড়িতে উঠে বসার পর, রকি হালকা স্পিডে ড্রাইভ করছে আর planing করছে... কি দিয়ে, কিভাবে, কি শুরু করা যায়? তবে হুট করেই রকির চিন্তাতে ভাটা পড়লো--
"একটা অট্রহাসির শব্দে"!
রকি হতচকিত ও আতঙ্কিত হয়ে মেয়েটির দিকে তাকালো আর অবিশ্বাস্য চোখে...!

চলবে.......

গল্পঃ "অশরীরীর মায়া"
পর্বঃ ০৪

✅ ফলো করে পাশে থাকুন পরবর্তী পর্বগুলো পাবার জন্য।

হোটেলে লিফটের অপেক্ষায় আছি।🤔
27/07/2025

হোটেলে লিফটের অপেক্ষায় আছি।🤔

Address

Sylhet

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রবাসী অহনা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share