Zuleka Juli

Zuleka Juli Visual storyteller. � Content with soul, crafted for the scroll

04/08/2025
👉শিশুর আচরণ ঃ        শিশুদের আচরণ বলতে বোঝানো হয় শিশুদের ব্যবহার, তাদের কাজকর্ম, অনুভূতির প্রকাশ এবং পরিবেশের প্রতি তাদ...
04/08/2025

👉শিশুর আচরণ ঃ
শিশুদের আচরণ বলতে বোঝানো হয় শিশুদের ব্যবহার, তাদের কাজকর্ম, অনুভূতির প্রকাশ এবং পরিবেশের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া। শিশুদের আচরণ বয়স, পারিবারিক পরিবেশ, সামাজিক যোগাযোগ, ও শেখার প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে।

🧠 শিশুদের আচরণের প্রধান বৈশিষ্ট্য:

1. অনুকরণমূলক (Imitative):
শিশুরা বড়দের (বিশেষ করে বাবা-মা, শিক্ষক) আচরণ অনুকরণ করে।

উদাহরণ: বাবা-মা যদি ধৈর্য ধরেন, শিশুও শেখে ধৈর্য ধরতে।

2. উৎসুক ও অনুসন্ধানী (Curious & Exploratory):
শিশুরা নতুন কিছু জানার জন্য সবসময় উৎসাহী থাকে।

উদাহরণ: তারা জিনিস ছুঁয়ে দেখে, প্রশ্ন করে — "এটা কী?", "ওটা কেন হয়?"

3. আবেগপ্রবণ (Emotional):
তারা সহজেই হাসে, কাঁদে, রেগে যায় বা আনন্দিত হয়।

উদাহরণ: খেলনা না পেলে কেঁদে ফেলা, পছন্দের খাবার পেলে আনন্দে লাফানো।

4. আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক গঠনকারী (Social development):
বড় হওয়ার সাথে সাথে তারা বন্ধুত্ব করতে শেখে, সহযোগিতা শেখে।

উদাহরণ: খেলায় ভাগাভাগি করা, বন্ধুদের সঙ্গে খেলায় মজা পাওয়া।

5. নিয়ম শেখার প্রক্রিয়ায় (Learning discipline):
শুরুতে শিশুরা নিয়ম মানতে চায় না, কিন্তু ধীরে ধীরে শেখে।

উদাহরণ: নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা, সময়মতো খাওয়া।

🔄 আচরণ পরিবর্তনের কারণসমূহ:

পরিবারে টানাপোড়েন

অতিরিক্ত শাসন বা অতিরিক্ত প্রশ্রয়

বিদ্যালয়ে সমস্যা

ঘুম, পুষ্টি বা মনোযোগের অভাব

🛠 শিশুর ভালো আচরণ গঠনের কৌশল:

ভালো ব্যবহার করলে প্রশংসা করুন

নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করে তা নিয়মিত অনুসরণ করান

শিশুর অনুভূতি বুঝে কথা বলুন

ভালো উদাহরণ দিন

#শিশুকে #সহানুভূতি #আদর #ভালোবাসা #যোগ্য #নেতৃত্ব

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ এর প্রশ্ন কাঠামো,,
04/08/2025

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ এর প্রশ্ন কাঠামো,,

04/08/2025
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:> "তোমরা দুনিয়াতে এমনভাবে জীবন যাপন করো, যেন তুমি একজন পরদেশি বা ...
03/08/2025

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

> "তোমরা দুনিয়াতে এমনভাবে জীবন যাপন করো, যেন তুমি একজন পরদেশি বা পথচারী।"
(সহীহ বুখারী, হাদীস: ৬৪১৬)

তুমি আমার শেষ বিকেল 🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻তুমি আমার শেষ বিকেল,রোদ ঝিম ধরা একটা উদাস মেঘ—যেখানে আলো ফুরিয়ে এলেমন চায় শুধু পাশে বসে থ...
27/07/2025

তুমি আমার শেষ বিকেল
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻

তুমি আমার শেষ বিকেল,
রোদ ঝিম ধরা একটা উদাস মেঘ—
যেখানে আলো ফুরিয়ে এলে
মন চায় শুধু পাশে বসে থাকতে।

তুমি সেই ক্লান্তি মাখা নরম হাওয়া,
যে হাওয়ায় পুরোনো কথারা ঘুরে বেড়ায়,
মনে পড়ে—তোমার চুপ করে তাকানো
আর আমার না বলা হাজারটা কথা।

তুমি আমার হারিয়ে যাওয়া পথ,
যার প্রতিটি মোড়ে আমি এখনো খুঁজি
একটু স্পর্শ, একটু হাসি,
একটু "থেকে যাও"—যা আর বলা হয়নি।

তুমি সেই কবিতা
যার শেষ চরণ এখনো লেখা হয়নি,
তুমি সেই চিঠি
যা বারবার পড়েও পাঠানো হয়নি।

তুমি আমার সন্ধ্যার শেষ আলো,
যেটা অস্ত যায়
তবু অন্ধকার নামে না পুরোপুরি—
তোমার স্মৃতি যে এখনো জ্বলে...

✍️✍️

মোছাঃ জুলেখা আক্তার (সহঃশিঃ) ঘোষগাঁও স প্রা বি,
তাং২৭/০৭/২০২৫খ্রিঃ

র*ক্তে*র সম্পর্ক কবে কাগজে হেরে যায়, জানেন?সেদিনই, যেদিন র*ক্তে*র উষ্ণতার চেয়েএকটি কাগজের শীতলতার স্পর্শ বেশি বিশ্বাসযোগ...
24/07/2025

র*ক্তে*র সম্পর্ক কবে কাগজে হেরে যায়, জানেন?

সেদিনই, যেদিন র*ক্তে*র উষ্ণতার চেয়ে
একটি কাগজের শীতলতার স্পর্শ বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।

যেদিন এক ভাই, ভাইয়ের চোখে নয়,
তাকায় দলিলের নির্জীব অক্ষরের দিকে।

মুখের কথার দাম কমে যায়,
স্ট্যাম্প পেপারের দাম বাড়ে।

সেদিনই,
সম্পর্কের পবিত্র দেয়ালে প্রথম চিড় ধরে।

একসময় যে বাড়িতে হাসির আওয়াজে মুখর ছিল উঠোন,
সেখানে এখন শুধু হিসেব চলে।
কে কত টাকা দিল, কে কতটা জমি পাবে,
কার বিয়েতে কে কী উপহার দিয়েছিল!
এসব নিয়েই আলোচনা, এসব নিয়েই মনোমালিন্য।

একটানা এই হিসেব-নিকেশের ভিড়ে সম্পর্কগুলো শুকিয়ে যেতে থাকে, ভেঙে যেতে থাকে ভিতরের সেই অদৃশ্য বাঁধন।

সবচেয়ে কষ্ট হয় তখন, যখন দেখতে হয়,
একসাথে বড় হওয়া ভাইবোন আজ কথা বলে না।
একই উঠোনে খেলা, একসাথে পড়া, একসাথে বড় হওয়া
সবকিছু মুছে যায় কাগজের দাগে।

যে দাদা যিনি একসময় বোনের জন্য ছায়া ছিলেন,
আজ তাকান না পর্যন্ত বোনের ঘরের দিকে।

যে বোন যিনি একসময় দাদাকে নিয়ে গর্ব করতেন,
আজ তাঁকে দেখলেই মুখ ফিরিয়ে নেন ঘৃণাতে।

এই দূরত্বের শুরুটা বোঝা যায় না,
কিন্তু ফাঁকটা ধীরে ধীরে এতটাই বড় হয়ে যায়,
যেখানে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।
ভালোবাসা, স্নেহ, বিশ্বাস
সবকিছু বদলে যায় সন্দেহ, অভিযোগ আর নির্লিপ্ততায়।

আর এই ভাঙন চূড়ান্ত রূপ পায় তখন,
যখন মা-বাবা আর থাকেন না।
তাঁরাই ছিলেন সেই অদৃশ্য বন্ধন,
যার জন্য সবাই একটু হলেও একসাথে থাকত।

তাঁরা চলে গেলে কেউ কাউকে আর ধরে রাখার চেষ্টা করে না।
তখন সম্পর্কের জায়গায় জায়গা নেয় স্বার্থ, মিথ্যে অর্থ!
নিজেরটা বুঝে নেওয়ার তাড়নায় হারিয়ে যায় সমস্ত মায়া।

সবচেয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন সেই মা, যিনি একসময় বলতেন,
“যার কষ্ট বেশি, আমি তার কাছে আগে ছুটে যাই।”
আজ তিনি চুপ করে একটা ঘরের কোণায় বসে থাকেন।
কারণ তার ভাগে ঘর পড়েনি, তার তিল তিল করে গোছানো সংসারে যেন পড়ে গিয়েছে এক অদৃশ্য সরলরেখা।

এই ভাগাভাগির খেলায় কেউ পায় ঘর, কেউ জমি।
আর কেউ পায় ‘ত্যাজ্য’ এই শব্দটা।
হয়তো সে এক দাদা, হয়তো সে এক বোন, যে কোনো ভুল করেনি,

তবুও সবার অলক্ষে কেউ বলে বসে,
“সম্পত্তিতে ওর আবার কী দরকার?”
এই কথাটা যেন তার অধিকারের দাবিটাকেই মুছে দেয়,
একটাও শব্দ না বলে, নিঃশব্দে।

সবকিছু পাওয়ার পরেও, জীবনের একটা সময় এসে প্রশ্নটা ঘুরে ফিরে আসে,
“তারা কি সত্যিই সব পেলো?”
নাকি সবকিছু পেয়েও একেবারে খালি হয়ে গেলো?

জমি বাড়লেই বাড়ি হয় ঠিকই,
কিন্তু পরিবার না থাকলে সেটাকে ”ঘর” বলা যায় না।
সম্পত্তি হয়তো মানুষকে বাইরে থেকে ধনী করে তোলে,
কিন্তু ভিতরে জমে থাকা কষ্টটা কেউই দেখতে পায় না,
যা কোনো দলিলে লেখা থাকে না, জমে থাকে হৃদয়ের গভীরে!

আর সেই নিঃশব্দ যন্ত্রণার কপাট,
পৃথিবীর কোনো চাবিই আর খুলতে পারে না।

তারা সবাই কিছু না কিছু পেয়েছে।
জমি, ঘর, টাকা, দলিল! সবই ভাগ হয়ে গেছে এক এক করে।
শুধু ভাগ হয়নি সেই পুরোনো জানালাটা,
যেটা দিয়ে ঝগড়ার মাঝেও দুই ভাই একসাথে আকাশ দেখত।

ভাগ হয়নি সেই পুরোনো কম্বলের গন্ধ,
যেটার তলায় গুটিশুটি মেরে শুয়ে থাকত সবাই, শীতের রাতে।
ভাগ হয়নি সেই বিকেলের রোদ, যে রোদে ভাইবোনেরা পাটপাট করে পিঠ দিত উঠোনে শুয়ে।
ভাগ হয়নি সেই সন্ধের আলো,
যেখানে মা বলতেন, “এই সবাই পড়তে বোস এখনই।”

আজ তারা পারছে একে অপরকে দলিলের কলমে নিজেদের ছোট করতে,
পারছে কোর্ট-কাচারিতে নিজেদের অধিকারের লড়াই লড়তে,
কিন্তু পারেনি ছোট করতে সেই ছোটবেলার ভালোবাসাকে।
যেটা আজ আর নেই, চুপিচুপি হারিয়ে গেছে পুরোনো কাগজের ভাঁজে ভাঁজে।

তবু ভাবতে হয়,
এই জয় কি সত্যিই কোনো জয়?

জেতার পরেও যদি চোখে জল আসে,
তাহলে তো মন অনেক আগেই হেরে বসে আছে।

এত কিছু পেয়েও শেষে থেকে যায় শুধু একটা ফাঁকা বুক।
মানুষটাই যদি পাশে না থাকে,
তবে কিসের জমি? কিসের দলিল?
যার জন্য রেখে যাচ্ছে
সে-ই বা কি নিশ্চিতভাবে সেই মূল্য দেবে?

আর যদি দেয়ও,
কে বলতে পারে,
সে-ই হয়তো তাদের মতোই কোনোদিন সম্পর্কগুলো আবার টুকরো করে ফেলবে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির মত?

জীবন তো আজ আছে, কাল নেই।
এক্স-রে রিপোর্টের একটামাত্র দাগেই পাল্টে যায় গোটা পৃথিবী।

কিন্তু সম্পর্ক?
সেগুলোই তো একমাত্র সম্পদ,
যা কোটি টাকার জমি দিয়েও কেনা যায় না।

সবাই কিছু না কিছু পেয়েই যায়।

কারও দখলে আসে বড় ঘর,
কারও নামে জমি রেজিস্ট্রি হয়,
কারও ভাঁজে ভাঁজে থাকে কাগজের গন্ধ মাখা কিছু দলিল।

আর কেউ কেউ থেকে যায় শুধু,
একটা পুরোনো ছবির কোণায়,
একটা মায়ের নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাসে,
একটা বিকেলবেলার গল্পে, যেটা আর কেউ মনে রাখে না।

তাদের নামে কিছু লেখা থাকে না,
তাদের ভাগে কোনো ঘর পড়ে না,
শুধু থেকে যায় নিঃশব্দে উচ্চারিত এক শব্দ, ‘অপ্রয়োজনীয়’।

কিন্তু আসল ক্ষতিটা হয় কোথায়?
না, জমি বা টাকায় নয়।
আসল ক্ষতি হয় সেইখানে,
যেখানে একসময় একসাথে খেলা, হাসি আর কাঁদা ভাগাভাগি করা মানুষগুলো, আজ চোখে চোখ রাখতে ভয় পায়।

যে উঠোনটা একসময় ছিল শৈশবের মঞ্চ,
সেই উঠোনই আজ ভাগ হয়ে গেছে কাগজে-কলমে।
কিন্তু সেই উঠোনের সোনাঝরা বিকেলগুলো,
তা তো আর কেউ ফেরত দিতে পারবে না।

সব কিছু পেয়েও শেষের দিকে গিয়ে অনেকেই নিঃশব্দে ভাবে,
“যাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলাম, তারা তো পাশে নেই।”

অর্থের লোভ, সম্পত্তির লোভ, বড়ই ভয়ংকর।
সে শুধু সম্পর্ক নয়, ভেঙে দেয় শিকড়টাকেও… যেখান থেকে সবার সেই প্রথম তাদের ‘ঘর’ শব্দটা জন্মেছি!
সংগৃহীত...
বাস্তবতার কাছে সত‍্যি আমরা বড্ড অসহায় ।

যতবার লেখাটা পড়েছি মুগ্ধ হয়েছি, বন্ধুত্ব তো এমনি হয়! মাইলস্টোনে দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া একজন ছাত্র তার আহত বন্ধুকে ক্লা...
22/07/2025

যতবার লেখাটা পড়েছি মুগ্ধ হয়েছি, বন্ধুত্ব তো এমনি হয়! মাইলস্টোনে দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া একজন ছাত্র তার আহত বন্ধুকে ক্লাসরুম থেকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিল। ফায়ার ব্রিগেডের অফিসার বাধা দিয়ে বললেন, ‘‘এর কোনো লাভ নেই! তোমার বন্ধু অবশ্যই মারা যাবে’’।

কিন্তু ছাত্রটি তখনও গিয়ে তার বন্ধুকে একা একা ফিরিয়ে আনল। মৃতদেহ দেখে ফায়ার ব্রিগেডের অফিসার বলে, "আমি তোমাকে বলেছিলাম এর কোন মূল্য নেই। সে মারা গেছে"। ছাত্রটি উত্তর দেয়: ‘‘না স্যার, এটা সত্যিই মূল্যবান ছিল।’’

যখন আমি তার কাছে গেলাম, সে তখনও জীবিত ছিলো, আমার বন্ধু আমাকে দেখে, হাসলো এবং তার শেষ কথাটা বলল: ‘‘আমি জানতাম তুমি আসবে”।


সংগৃহীত।

ভয়াবহ একুশে জুলাই ২০২৫সময়--১:১২ মিনিটআমার ছেলে মাসনুন রহমান সিনানউত্তরা মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি শাখার চতুর্থ শ্রেণী...
22/07/2025

ভয়াবহ একুশে জুলাই ২০২৫
সময়--১:১২ মিনিট

আমার ছেলে মাসনুন রহমান সিনান
উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি শাখার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।
প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী ছুটি হয় দুপুর ১ টায়।।
আজকে আমার পরীক্ষার ডিউটি ছিল চার নং ভবনের 804 নম্বর রুমে। বেলা একটায় পরীক্ষা ডিউটি শেষ করে ছেলের ভবনের সামনে যাব হঠাৎ মনে হল রেস্ট নেই ও নিজেই চলে আসবে আমার টিচার্স রুমেপ্রতিদিনের মতো।
আমি টিচার্স রুমে রেস্ট নিচ্ছি তখন দুপুর ১ টা ১১ মিনিটে আমার ছেলের ফর্ম মাস্টার বাবুল স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বললেন -ম্যাডাম আজকের সিনানের ছুটি হবে ১ টা 40 মিনিটে ।আমি বললাম ক্লাস শেষ হলে৭ নং ভবনের দোতালায় পাঠিয়ে দিবেন টিচার্স রুমে। আমি ওকে স্যার বলেই ফোনটা কেটে দিলাম। সাথে সাথে বোম ব্রাস্ট হওয়ার মত একটা সাউন্ড হইল --আমি মাঠের পাশে টিচার্স রুম থেকে দেখতে পেলাম আমার ছেলের ভবনের সামনে আগুন।
আমার টিচার্স রুমে আমার সামনে আমার একজন সিনিয়র সহকর্মী জনাব এজাজ মাসুদ স্যার বসা ছিলেন। আমি এক চিৎকারে বললাম স্যার আমার ছেলের ভবনে তো আগুন লাগছে।
উনার ছেলে ওই ভবনেই পড়ে কোন কারণে সে আজকে আসে নাই।
আমি চিৎকার করে দৌড়াচ্ছি স্যার আমাকে বলছেন দোয়া করেন আল্লাহকে ডাকেন। ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই।
দৌড়াতে দৌড়াতে আমার হাজব্যান্ড কে ফোন দিয়ে বলেছি আমার ছেলের ভবনে আগুন লাগছে।
যেখানে আগুন লাগছে সেখানে গিয়ে দেখি তিনটা গলিত লাশ। শুধু আইডি কার্ড টা পড়ে আছে।
একটা বাচ্চার গায়ে কাপড় নাই পুরো শরীর ঝলসে গেছে।
সামনে গিয়ে দেখি যে ভবনে আমার ছেলে ক্লাস করে যেই রুমে আমার ছেলে ক্লাস করে সেই রুমের চারদিকে ধোঁয়া।
ছেলের ক্লাসরুমে আগুন আমি বাইরে থেকে কি বুঝবো তাই ক্লাসে ঢুকতে চাইলাম। সেনাবাহিনীর দুইজন আর আমার কলেজের বিএনসিসি ছাত্ররা আমাকে ঢুকতে দিলো না ---
আমি বারবার ঢুকতে চাইলাম জোর করে ঢুকতে চাইলাম আমাকে বাধা দিল দুজন আমাকে জোর করে এক পাশে নিয়ে গেল। আমি ডানপাশে ঘুরেই দেখি আমার ছেলের ফোন মাস্টার বাবুল স্যার।
জিজ্ঞেস করলাম স্যার আপনি এখানে আমার ছেলে কই???
শুধু হাতটা ধরে বলল ওরা উপরে দুই তালায়।
বিশ্বাস করলাম না তারপর আমার একজন ছাত্র এসে বলল ম্যাডাম কিছু হয় নাই এই পাশে আসেন। ক্যান্টিনের পাশে উপরে ৭ থেকে আটজন মেয়ে বাচ্চাকে দেখা যাচ্ছিল। আমি আল্লাহর কাছে কি দোয়া পড়ছিলাম আমার কিছুই মনে নাই।
আমার বিভাগের আমার একজন সহকর্মী মুকুল স্যার এর ভাগ্নিও ঐ ভবনে আটকা পড়ছেন। সে পাশ থেকে ওপার দৌড়াচ্ছেন আর চিৎকার করতেছেন।
আমাকে দুইজন সেনাবাহিনী বসায় দিয়ে ধরে রাখলেন একপাশ থেকে। যেন আমি সামনে না যাই।
তারপর দোতলার সামনে গাছ ছিল আম গাছ কেটে ফেলা হলো।
গ্রিলের তালা ভাঙ্গা হলো একপাশ ভেঙে ফেলা হলো।
আমি শুধু দেখতে পাচ্ছি কিছু ছাত্রী গ্রিলের নিচ দিয়ে দিয়ে বের হয়ে আসছে।
৮ থেকে ১০ জন ছাত্রী এবং একজন ম্যাডাম বের হওয়ার পর হঠাৎ আমার ছেলের চেহারা ভেসে উঠলো।
ওই মুহূর্তটা একজন মায়ের জন্য কি মুহূর্ত সেটা বলে বোঝানো যাবে না লিখেও শেষ করা যাবে না।
মুকুল স্যার যদি পারতো তাকে দোতলা থেকেই টেনে বের করত।আমার ছেলেকে দেখার সাথে সাথে সে দৌড়ে গিয়ে জড়ায় ধরছে বাবা রে তুই তাড়াতাড়ি আয়।
আমার মানিককে আমার সন্তানকে আমি জড়াইয়া ধরলাম।

যারা আমার ছেলের ক্লাসে আটকে ছিল তারা কেউ বেঁচে ফিরে নাই। সবাই পুরে কয়লা হয়ে গেছে।

একজন মা বলতেছিল বাবারে তুই আজকে আমার হাতের শেষ খাওয়াটা খাইয়া গেলি বাবা --আমি তো তোরে শেষ দেখা দেখতে পারলাম না।

মূলত বিমান ক্রাশ হয়ে ক্লাসরুমের ভিতরে ঢুকে গেছে।
বিমান ক্রাশ হওয়ার সাথে সাথেই ১৫ মিনিটের মধ্যেই যা ধ্বংস হওয়ার যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
যাতে শরীর পুড়ে গেছে তাদেরকে বাঁচানো খুবই অসম্ভব খুব খারাপভাবে শরীর পুড়ে গেছে।
এত কাছ থেকে কখনো দেখিনি। এত ভয়ঙ্কর!!

আমি রাত আটটা দশ মিনিটে সেই দুর্ঘটনাস্থলে আবার যাই।আমার ফরমের দুইটা মেয়ে অসুস্থ তাদেরকে দেখার জন্য।
সেই ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম।
রাত ৮ টা ১৫ মিনিটের সময় বিজিবির একজন সদস্য নাম মাসুদ , তিনি ফোনে কাউকে বলছিলেন আরও একটি লাশ পাওয়া গেছে কিন্তু কয়েকটি পুড়ে যাওয়া খন্ড বিখন্ড অংশ।
হে রাব্বুল আলামিন, রাহমানুর রাহিম তুমি উত্তম পরিকল্পনাকারী --শিশুদের এমন মৃত্যু তুমি দিয়েছো বাবা মা তাদের গলে যাওয়া লাশের শেষ চিহ্নটুকু দেখতে পাবেনা।

তাসলিমা আকতার
প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
মাইলস্টোন কলেজ
২১/০৭/২০২৫, সোমবার

মৃত্যুর মিছিল    *******************রক্তে রাঙা রাস্তাগুলো, নীরব আজকের শহর,কান্না চাপা প্রতিটি কোণে, শোকের ছায়া ভর।ধোঁয়...
22/07/2025

মৃত্যুর মিছিল
*******************

রক্তে রাঙা রাস্তাগুলো, নীরব আজকের শহর,
কান্না চাপা প্রতিটি কোণে, শোকের ছায়া ভর।
ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে আকাশ, মাটিও ভারী আজ,
নীরবতাই চিৎকার করে — "আর কত লাশ?"

বুকের মাঝে আগুন জ্বলে, চোখে জলের ধারা,
কেড়ে নেওয়া স্বপ্নগুলোর নেই কি আর উপায় ধারা?
শিশুর হাতে খেলনা নেই, আছে শূন্য দৃষ্টি,
মায়ের কোল খালি হলো — নিভে গেল যে চিত্তি।

পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকে অগণিত মুখ,
জানে না তারা — কখন আসবে শেষ নিঃশ্বাসের সুখ।
নাম নেই, পরিচয় নেই, তবু সবাই ভাই,
মৃত্যুর এই মিছিলে আজ, সবাই একটাই ছায়া ভাই।

কে বলে জীবন চলছেই তো? থেমে গেছে অনেক কিছু,
সময় বোঝে না হাহাকার, বোঝে না বিষণ্ন রুচি।
তবু লিখতে হয় কবিতা, জ্বলে উঠুক সত্যর আলো,
মৃত্যুর মিছিল ভেঙে গড়ি — এক নতুন ভোরের ভালো।

✍️ কলমেঃ মোছাঃ জুলেখা আক্তার
২২/০৭/২০২৫ খ্রিঃ

Address

Sylhet

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Zuleka Juli posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share