
30/06/2025
বাংলাদেশের সিলেট সীমান্তে ঘন এক জঙ্গল—লোকেরা একে বলে গুনিন বনের ধামা। সবার ধারণা, ওখানে রাতে গেলে নাকি আর ফেরা হয় না। কিন্তু রুনা এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না। সে শহরের মেয়ে, ট্রেকিং করতে ভালোবাসে। তার সাথে ছিল নাদিম—একজন ফটোগ্রাফার, যার চোখে যেমন নেশা, তেমনি ছিল তীব্র আকর্ষণ।
দুজন মিলে গহীন জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিল দুপুরের পরেই। প্রথমে আলো ছিল, কিন্তু ঘন জঙ্গলের ছায়ায় সূর্য যেন লুকিয়ে যায়। হালকা বৃষ্টি পড়ছিল, গাছের পাতায় টুপটাপ শব্দ। চারপাশে সবুজ, কাঁটাঝোপ আর মাঝে মাঝে পাখির ডাক।
হঠাৎ বৃষ্টি বেড়ে গেল, দুজন একটা বড় গাছের নিচে দাঁড়াল। নাদিম বলল, “এভাবে ভিজলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বি।” রুনা ভিজে সালোয়ার-কামিজে কাঁপছিল, কাপড় তার গায়ে একদম লেগে গেছে। বৃষ্টির ফোঁটায় তার চুল ভিজে চোখের সামনে ঝুলে পড়েছে।
নাদিম হঠাৎ তার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল। রুনার চোখে চোখ পড়তেই সে বলল, “তুই জানিস না, এই ভেজা শরীরে তুই কতোটা ভয়ংকর সুন্দর লাগছিস।”
রুনা একটু হেসে বলল, “বনে ভয় নেই, আর আমার শরীরে আছে?”
নাদিম আর সহ্য করতে পারল না। সে এগিয়ে এল, রুনার গাল ছুঁয়ে বলল, “ভয় নয়, এটা পাগলামি। তুই যেন আমাকে পাগল করে দিচ্ছিস।”
তারা ধীরে ধীরে একে অপরের আরও কাছাকাছি এল। বৃষ্টির মধ্যে ঠোঁট ছুঁয়ে গেল ঠোঁটে, ধরা ছোঁয়ার সীমা ভেঙে গেল। রুনার শরীরের কাঁপুনি তখন আর ঠাণ্ডায় নয়, ছিল উত্তেজনায়।
নাদিম তার ভেজা ওড়নাটা সরিয়ে দিল। রুনা কিছু বলল না, চোখ বন্ধ করল শুধু। জঙ্গলের মধ্যেই একটা বড় গাছের গুঁড়ির পাশে তারা বসে পড়ল। পাতার উপর তাদের হাত চলছিল ধীরে, ঠোঁট ছুঁয়ে যাচ্ছিল গলা, বুক, পেট…।
চারপাশে কোনো শব্দ নেই, শুধু পাতার ভেজা ঘ্রাণ আর শরীরের ঘর্ষণের শব্দ। নাদিম আস্তে করে রুনার জামার বোতাম খুলতে শুরু করল, রুনা তখন তার বুকের ওপর হাত রেখে বলল, “তুই জানিস তো, এটা আমাদের শেষ হয়ে যেতে পারে।”
“হ্যাঁ,” নাদিম বলল, “কিন্তু এই মুহূর্তটা যদি না হয়, তাহলে বেঁচে থাকাটাই বৃথা।”
তারপর দুজনে একে অপরের মধ্যে হারিয়ে গেল। শরীর ও মন তখন এক হয়ে মিশে যায় বৃষ্টিতে, গাছের ছায়ায়। নাদিম ধীরে ধীরে রুনার শরীর আবিষ্কার করছিল, যেন প্রতিটা অংশ তার জন্য ছিল সৃষ্ট।
রুনা চোখ বন্ধ করে দেহ ছেড়ে দিয়েছিল নাদিমের হাতে। নাদিম কখনও তার বুক ছুঁয়ে, কখনও তার উরু ঘেঁষে, আবার কখনও তার গলা চুমু খেয়ে এক অনন্য তৃপ্তির জগতে নিয়ে যাচ্ছিল।
একসময় তারা মাটিতে পাতা বিছিয়ে, গাছের গোড়ায় একে অপরের মধ্যে তীব্রভাবে একত্রিত হল। জঙ্গলের পাতা যেন থেমে গেল, পাখিরা চুপচাপ বসে রইল, বাতাস হালকা থমকে গেল।
তাদের নিঃশ্বাস, চাপা শব্দ আর ভালোবাসার স্পন্দনে পুরো বনজুড়ে এক অদ্ভুত ঘোর ছড়িয়ে গেল।
অনেকক্ষণ পর, যখন বৃষ্টি কমল, তারা দুজন আলতো করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বসে রইল। রুনার মাথা নাদিমের কাঁধে, নাদিমের হাত তার চুলে।
রুনা বলল, “এই জঙ্গলটা আজ আমাদের হয়ে থাকল, জানিস?”
নাদিম হেসে বলল, “হ্যাঁ, এই বনের গহীনে আমাদের গোপন রাতের গন্ধ থেকে যাবে।”