SK blog

SK blog সত্য ও সুন্দর পথ চলাই আমাদের লক্ষ্য,
page code: @[783840741630469:]

21/04/2025

হাওরে ধান কাটায় ধুম, বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা

21/04/2025

তরুণ ৩০ হাজার যো দ্ধা নিয়োগ ফি লি স্তি নি গোষ্ঠীর

27/08/2024

জামায়াতের টাকার রহস্য!
সবচেয়ে অবাক হলাম এই পোস্ট শেয়ার করেছে ঢাবি শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য । অনেক অজানা জানা হলো
#জামায়াতের_টাকার_উৎস
ছাত্রজনতার আন্দোলনে শহীদ, আহতদের পাশে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সাথে বন্যাদূর্গতদের মাঝে প্রথমদিন থেকেই সহযোগিতা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। শুধু এবারই নয়, দেশের যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগেও তারা মানুষের পাশে পৌঁছে যায় সবার আগে।
এটা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, জামায়াতের এত বিপুল অর্থের উৎস কী? এই প্রশ্নটি আমিও করেছিলাম, এক উপজেলা আমীরের কাছে। সভাপতিকে এরা ইসলামী পরিভাষায় আমির বলে।
সেই উপজেলা আমির আমাকে একটি প্রোগ্রামে ডেকেছিলেন। সম্ভবতঃ সেটি মাসের ৫/৭ তারিখ ছিলো। অনেক বছর আগের কথা। আমি ব্যাপক কৌতুহল নিয়ে সেই প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। আমাকে সামনের দিকে একটি কোণায় বসতে দেওয়া হলো। উনাদের প্রোগ্রাম শুরু হলো। তারা মাসে কে কতদিন কোরআন পড়েছেন, কোন কোন সূরার তাফসীর পড়েছেন, নোট করেছেন সেগুলো জানালেন। হাদীস, সাহিত্য, পত্রিকা বিষয়েও একইভাবে বললেন। তাদের একটি রিপোর্ট বই দেখলাম। ডায়েরীর মতো। প্রতিদিনের হিসাব লেখা। ৩০ দিনের হিসাব যোগ করে বলছেন দেখলাম। কত ওয়াক্ত জামায়াতে নামাজ পড়েছেন, কয় ঘন্টা সাংগঠনিক কাজ করেছেন, কতজনকে নামাজ এবং ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন, কতটি জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন এসব একে একে সব পড়ে শোনালেন। একজনের রিপোর্ট পড়া শেষ হলে, অন্যরা মৃদু রিমান্ডে নিলেন তাকে। কেউ জিজ্ঞেস করলো, জামায়াতে নামাজ ছুটে গেছে ৫ ওয়াক্ত! কেন ছুটলো? কেউ বললো, মাত্র ৩০০ পৃষ্ঠা বই পড়েছেন এক মাসে! কেন?
এই প্রশ্নগুলো যাকে করা হলো, তিনি কাঁচুমাচু হয়ে জবাব দিচ্ছিলেন। অবশেষে তাকে সবাই মিলে পরামর্শ দিলেন, আপনাকে অমুক অমুক দিকে উন্নতি করতে হবে। এভাবে উপস্থিত প্রত্যেকে তাদের ব্যক্তিগত রিপোর্ট পেশ করলো এবং সবাইকেই জবাবদিহিতার মধ্যে পড়তে হলো। কেউ মন খারাপ করলো না। বরং তাকে সমালোচনা করার জন্য সবাইকে তিনি কৃতজ্ঞতা জানালেন। আমি অভিভূত হচ্ছিলাম সেটা দেখে।
এবার ঘটলো মজার ঘটনা। একজন মুরুব্বি ২৩০ টাকা বের করে আমিরের পাশের লোকটিকে দিলেন। তিনি খাতায় লিখে নিচ্ছিলেন। আরেকজন দিলেন ৫০০/- কেউ দিলেন ৫০০০/-। সবার থেকে ওখানে ২০-২৫ টাকা কালেকশান হতে দেখলাম। আমি চুপচাপ দেখছিলাম।
আমির সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম, এরা কেন টাকা দিচ্ছে।
তিনি বললেন, "দল চালানোর জন্য। আপনারা যেটাকে চাঁদা বলেন, এটা অনেকটা সেরকম।"
আমি জিজ্ঞেস করলাম, "কোন প্রোগ্রাম আছে?"
তিনি বললেন, "প্রতিটা দিনই তো আমাদের প্রোগ্রাম। কোন বিশেষ জনসভা নয়। এটা আমাদের প্রতিদিনের কাজ।"
- তাহলে একেকজন একেক পরিমাণ টাকা দিলেন কেন?
- সবাই সমান টাকা দিয়েছেন।
আমি একটু অবাক হলাম। বললাম, "তা কেন হবে! আমি তো দেখলাম একজন ২৩০ টাকা দিলেন আবার একজন ৫০০০ টাকা দিলেন। "
আমির সাহেব বললেন, " সবাই তার আয়ের সমান দিয়েছেন। যিনি ২৩০ টাকা দিলেন উনি রিক্সা চালান। উনার এই মাসে যা আয় হয়েছে তার ৫% সংগঠনের ফান্ডে দিলেন। যিনি ৫০০০ টাকা দিলেন, উনি ব্যবসায়ী। উনার আয়ের ৫% উনি দিয়েছেন। আমাদের কাছে ঐ ২৩০ টাকা আর ৫০০০ টাকা দুটোই সমান।"
আমি জিজ্ঞেস করলাম, "যিনি ২৩০ টাকা দিলেন উনি তো খুব বয়স্ক মানুষ। এতো কম আয়। উনি তো রিক্সাও চালাতে পারেন বলে মনে হলো না। তাছাড়া এতো কম আয়ে উনার নিজেরই চলতে পারার কথা নয়!"
আমির সাহেবের চোখ ছলছল করে উঠলো। বললেন, "ঐ চাচা কোন মাসে টাকা বাকি রাখেন না। কোনদিন তার অভাবের কথা বলেননা। প্রত্যেক প্রোগ্রামে সবার আগে টাকা জমা দেন।"
আমি আমার উত্তর পেয়ে গেলাম। তারপরও বললাম, "তাহলে আপনাদের উপজেলায় প্রতিমাসে এই ২৫-৩০ হাজার টাকা আয়?"
আমির সাহেব এবার হাসলেন। বললেন, "এটা শুধু সদস্যদের আয় দেখলেন৷ এরকম আমাদের সংগঠনের চারটি স্তর আছে। প্রথমে সমর্থক, এরপর কর্মী, তারপর অগ্রসর কর্মী। সবশেষে সদস্য। সমর্থক আর কর্মীরা ইচ্ছা মতো টাকা দেয়। অগ্রসর কর্মী আর সদস্যরা ৫% দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেগুলো আমাদের বিভিন্ন ইউনিট কালেকশান করে আরেকটি প্রোগ্রামে পৌঁছে দিবে।"
আমি এবার জিজ্ঞেস করলাম, "এতো আয় হয়। হিসেবে ভুলভ্রান্তি হয় না?"
তিনি বললেন, "আমাদের আয় এবং ব্যয় হয় রিসিট ভাউচারের মাধ্যমে। বছরের বেশ কয়েকবার প্রতিটি ইউনিট, উপজেলা, জেলা, কেন্দ্র অডিট হয়। ভুল হওয়ার কোন সুযোগ নেই।"
শেষ প্রশ্ন করলাম, "এই টাকাগুলো আপনারা নিজেরা খরচ করেন?"
তিনি বললেন, "না। আমাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেন্দ্রে পাঠাতে হয়। আমাদের ইউনিট যেমন আমাদের কাছে দেয়, তেমনিভাবে আমরা জেলাকে পৌঁছে দিই। জেলা আবার একইভাবে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়। এগুলোই কেন্দ্রের আয়।"
আমি মনে মনে হিসাব করার চেষ্টা করলাম। একটি উপজেলায় যদি এরকম আয় হয় তাহলে পুরো দেশে উনাদের লক্ষ লক্ষ সদস্যদের থেকে কত আয় হয়!
অন্য দলের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কেন্দ্র নীচের ইউনিটগুলোতে টাকা পাঠায় আর এরা উল্টো। নীচ থেকে এরা কেন্দ্রকে টাকা পাঠায়। কী অদ্ভূত ব্যাপার!
আমি রাজনৈতিক বই পড়তে পছন্দ করি জেনে, একজন আমাকে অধ্যাপক গোলাম আযমের লেখা "জীবনে যা দেখলাম" নামে একটি বই উপহার দিয়েছিলেন। সেখানের একটি অংশ আমার এখন মনে পড়ছে। তিনি লিখেছেন-
"বাংলাদেশের অন্য দলগুলো হলো ধনীলোকের গরীব পার্টি আর জামায়াতে ইসলামী হলো গরীব লোকের ধনী পার্টি।"
©

24/08/2024

আমরা দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে স্বৈরশাসন সরকারকে গদি থেকে নামানো যায়।

আমরা দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে বন্যার্তদের পাশে থাকা যায়।

আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, কিভাবে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমার এই সোনার বাংলা একসাথে কাজ করা যায়।

আমরা দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে বাচ্চা, যুবক, বৃদ্ধ তরুনরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলি কাজ করতে হয়।

ইনশাআল্লাহ আমরাই পারবো আমার এই সোনার বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে। ❤❤️

13/08/2024

#এলার্মিং
১৫ ই আগস্ট প্রতিবিপ্লবের ডেডলাইন এত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ল কীভাবে? সবাই এই তারিখটির ব্যাপারে এত সুনিশ্চিত কেন? এই তারিখটিকে হাইলাইট করার পেছনে শত্রুর হাত নেই তো?
ধরা যাক, ১৫ ই আগস্টের খবর ছড়িয়ে ১৪ই আগস্ট অকস্মাৎ কিছু ঘটে গেল, কারণ ১৫ ই আগস্টের ব্যাপারে সুনিশ্চিতভাবে অপেক্ষারত জনতা ১৪ ই আগস্টে শেষ বারের মত ঘুমিয়ে নিচ্ছে।
অথবা ১৫ ই আগস্ট কিছুই হলো না, তারপরের দিনও হলো না, ফলে জনতা কিছু হবে না ভেবে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকল এবং তখনই ঘটনা ঘটে গেল।
আপনার আক্রমণের দিন তারিখ শত্রু শিবিরে এত ব্যাপকভাবে ফাঁস হয়ে গেলে আপনি কি করতেন? এই দিনে আক্রমণ করতেন?
আসলে স্বৈরাচারের শেষ চিহ্নটুকু অবশিষ্ট থাকার আগ পর্যন্ত আমাদের ঘুমানোর সুযোগ নেই। ঘুমালেও পালা করে ঘুমাতে হবে।
সবাই সবাইকে জানিয়ে দিন।

08/08/2024

আমার সোনার বাংলার পুলিশকে নিয়ে আমার মনের চাওয়া হলো।❤️❤️

👉👉আপনারা কে কি ভাবতেন কমেন্টে বলতে পারেন।👇👇

১. শুধু পোশাক পরিবর্তন করলে হবেই না তাদের মানসিক চিন্তাভাবনা পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

২. সরকারের দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে।

৩. কোটা সিস্টেমে নিয়োগ প্রাপ্ত কিনা চেক করতে হবে।

৪. ছাত্রলীগ কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদেরকে বহিষ্কার করে, দেশপ্রেম কোটায় নতুন অফিসার নিয়োগ দিতে হবে।

৫. তাদের কার্যক্রমকে স্বাধীন রাখতে হবে। যাতে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে।

৬. তাদের বেতন বাধা বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে তাদের ঘুষের প্রয়োজন না পরে।

আমার মনে হয় তাহলেই পুলিশের প্রতি মানুষের সম্মান এবং শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে।

08/07/2024

আজ! সে দ্বীন কোথায় গেল???

"এই যুবক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।"
দোষী যুবককে টেনে-হিঁচড়ে খলীফার দরবারে নিয়ে এসেছেন দুই ব্যক্তি। তারা তাদের পিতার হত্যার বিচার চান।

খলীফা হযরত উমর (রা) সেই যুবককে জিজ্ঞেস করলেন যে তার বিপক্ষে করা অভিযোগ সত্য কিনা। অভিযোগ স্বীকার করল যুবক। দোষী যুবক সেই ঘটনার বর্ণনা দিলঃ

"অনেক পরিশ্রমের কাজ করে আমি বিশ্রামের জন্য একটি খেজুর গাছের ছায়ায় বসলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্প সময়েই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র বাহন উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গিয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। অভিযোগকারী এই দুই ব্যক্তির বাবাকে আমার মৃত উটের পাশে পেলাম। সে আমার উটকে তার বাগানে প্রবেশের অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। এই কারণে আমি হঠাৎ করে রাগান্বিত হয়ে পড়ি এবং তার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে এক পর্যায়ে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি। ফলে সে সেইখানেই মারা যায়। যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

বাদী’রা জানালেন- "আমরা এর মৃত্যুদণ্ড চাই।" সব শুনে হযরত উমর (রা) অপরাধী যুবককে বললেন, "উট হত্যার বদলে তুমি একটা উট দাবি করতে পারতে, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছ। হত্যার বদলে হত্যা। এখন তোমাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। তোমার কোন শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো।" নওজোয়ান বললো, "আমার কাছে কিছু ঋণ ও অন্যের রাখা কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছু দিন সময় দিতেন, আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋণগুলি পরিশোধ করে আসতাম।"

খলিফা হযরত উমর (রা) বললেন, "তোমাকে এভাবে একা ছেড়ে দিতে পারি না। যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক সময়ের জন্য যেতে দিতে পারি।“ নওজোয়ান বললো, "এখানে আমার কেউ নেই যে আমার জিম্মাদার হবে।" যুবকটি তখন নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।

এই সময় হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত একজন সাহাবী হযরত আবু যর গিফারী (রা) দাঁড়িয়ে বললেন, "আমি হবো ঐ ব্যক্তির জামিনদার। তাকে যেতে দিন।" আবু যর গিফারীর (রা) এই উত্তরে সভায় উপস্থিত সবাই হতবাক। একে তো অপরিচিত ব্যক্তি, তার উপর হত্যার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী! তার জামিনদার কেন হচ্ছেন আবু জর!
খলিফা বললেন, "আগামি শুক্রবার জুম্মা পর্যন্ত নওজোয়ানকে মুক্তি দেয়া হলো। জুম্মার আগে নওজোয়ান মদীনায় ফেরত না আসলে নওজোয়ানের বদলে আবু যরকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে।" মুক্তি পেয়ে নওজোয়ান ছুটলো মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবু যর গিফারী (রা) চলে গেলেন নিজ বাড়িতে।

দেখতে দেখতে জুম্মাবার এসে গেল। নওজোয়ানের আসার কোনো খবর নেই। হযরত উমর (রা) রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবু যর গিফারির (রা) কাছে। পত্রে লিখা, আজ শুক্রবার বাদ জুমা সেই যুবক যদি না আসে, আইন মোতাবেক আবু যর গিফারির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। আবু যর যেন সময় মত জুম্মার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হন। খবর শুনে সারা মদীনায় থমথমে অবস্থা। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবু যর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন।
জুমার পর মদীনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। কারণ দন্ডপ্রাপ্ত যুবক এখনো ফিরে আসেনি। জল্লাদ প্রস্তুত।

জীবনে কত জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে তার হিসেব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি আটকাতে পারছে না জল্লাদ। আবু যরের মত একজন সাহাবী সম্পূর্ণ বিনা দোষে আজ মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন, এটা মদীনার কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এমনকি মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদানকারী খলিফা উমর (রা) নিজেও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। হৃদয় তাঁর ভারাক্রান্ত। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু যর (রা) তখনও নিশ্চিন্ত মনে হাঁসি মুখে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু যর (রা) এর দিকে এগুচ্ছেন আর কাঁদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।

এমন সময় এক সাহাবী উচ্চ স্বরে জল্লাদকে বলে উঠলেন, "হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ঐ দেখ কে যেন আসছে। হতে পারে ঐটা নওজোয়ানের ঘোড়ার পদধুলি। একটু দেখে নাও।" ঘোড়াটি কাছে আসলে দেখা যায় সত্যিই এ সেই নওজোয়ান।

নওজোয়ান দ্রুত খলিফার সামনে এসে বললো, "আমীরুল মুমিনীন, মাফ করবেন। রাস্তায় যদি আমার ঘোড়া পায়ে ব্যথা না পেত, তবে যথা সময়েই আসতে পারতাম। বাড়িতে গিয়ে আমি একটুও দেরি করিনি। বাড়ি পৌঁছে গচ্ছিত আমানত ও ঋণ পরিশোধ করি। তারপর বাবা, মা এবং নববধুর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আমার জামিনদার ভাইকে ছেড়ে দিন আর আমাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেননা কেয়ামতের দিন আমি খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।"

আশেপাশের সবাই একেবারেই নীরব। চারিদিকে একদম থমথমে অবস্থা। সবাই হতবাক, কী হতে চলেছে! যুবকের পুনরায় ফিরে আসাটা অবাক করে দিলো সবাইকে।

খলিফা হযরত উমর (রা) যুবককে বললেন, "তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে, তারপরেও কেন ফিরে এলে?" উত্তরে সেই যুবক বলল- "আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গেছিলো।"

এবার হযরত উমর (রা) হযরত আবু যর গিফারী (রা) কে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কেন না চেনা সত্যেও এর জামিনদার হলেন?" উত্তরে হযরত আবু যর গিফারী (রা) বললেন, "পরবর্তিতে কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিলো, অথচ কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।"

এমন কথা শুনে, হঠাৎ বৃদ্ধের দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠল, "হে খলীফা, আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা অভিযোগ তুলে নিলাম।"

হযরত উমর (রা) বললেন, “কেন তাকে ক্ষমা করে দিচ্ছ?” তাদের এক ভাই বলে উঠলো, "কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে নিজেই স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি।"
[হায়াতুস সাহাবা-৮৪৪]

Address

Sylhet
Sylhet

Telephone

+8801854601995

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SK blog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to SK blog:

Share