06/08/2025
১.জ্বর প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যেই যদি বেশ বেড়ে যায় অর্থাৎ শুরুই হয় যদি বেশি টেম্পারেচার নিয়ে, ১০২/১০৩/১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট--সাধারণত এটি ভাইরাল ফিভার।
কিন্তু ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশান দিয়ে যদি জ্বর হয়, তাহলে সেটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। প্রথম দিন বেশি জ্বর না হয়ে, দ্বিতীয় দিন তৃতীয় দিন থেকে বাড়তে থাকবে।
টাইফয়েড ফিভারে স্টেপ-ল্যাডার প্যাটার্ন থাকে সাধারণত। সেক্ষেত্রে আরও বেশি সময় পরেও, চতুর্থ বা পঞ্চম দিন থেকেও অনেক জ্বর আসতে পারে,,।
২. তাই ফিভারের ডিউরেশান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রথম দিন জ্বর কেমন ছিল এটিও বেশ তাৎপর্য বহন করে।
বেশিরভাগ ভাইরাল ফিভার ৭ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তা সে ওষুধ খাক বা না খাক। তবে জ্বর যদি ৭ দিনের বেশি থাকে তাহলে সেটি ভাইরাল ফিভার হবার সম্ভাবনা কম।
৩. জ্বরে প্রথম ৫ দিন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে বারণ করা হয়। জ্বর মানেই অ্যান্টিবায়োটিক ডেফিশিয়েন্সি না! যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। কারণ বেশিরভাগ জ্বরই ভাইরাল ফিভার। ওষুধ খেলে ৭ দিন আর না খেলে ১ সপ্তাহ এটাই চিরন্তন সত্য কথা। তবে জ্বর ৭ দিন পেরিয়ে গেলে কপালে কিছুটা চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কেন এতো দিন?
৪. ম্যালেরিয়াতে সাধারনত ইন্টারমিটেন্ট ফিভার হয়। অর্থাৎ জ্বরের ওষুধ ছাড়াই দুটো স্পাইকের মধ্যবর্তী সময়ে টেম্পারেচার বেইজলাইনে চলে আসে। প্যারাসিটামল দিয়ে জ্বর বেইজলাইনে নিয়ে এলে সেটি কিন্তু ইন্টারমিটেন্ট ফিভার নয়। এখন যেহেতু রোগীরা সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলে, তাই বেশিরভাগ জ্বরকে ইন্টারমিটেন্ট ফিভার বলে মনে হতে পারে।
শরীরে কোথাও ফোঁড়া হলে কিংবা কালাজ্বরেও ইন্টারমিটেন্ট ফিভার হয়। অর্থাৎ জ্বর আসে, চলে যায় আবার জ্বর হয়।
৫. অধিকাংশ ভাইরাল ফিভার কন্টিনিউয়াস কিংবা রেমিটেন্ট টাইপ। যেমন : ডেঙ্গি অলমোস্ট কন্টিনিউয়াস। এটিতে প্যারাসিটামল দিয়েও অনেকক্ষেত্রে টেম্পারেচার বেইজলাইনে আনা যায় না। দিনে ৪/৫/৬ বার প্যারাসিটামল দিয়ে বেইজলাইনে আনতে হয়, তবুও দেখা যায় ১০০/১০১ ডিগ্রির নিচে নামতে চায় না।
ডা. মারুফ রায়হান খান।
৩৯ তম বিসিএস
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।