20/08/2024
বাংলাদেশ 2.0 তে টেক-এডুকেশন সেক্টরে যেই কাজগুলো করা জরুরীঃ
- ICT শিক্ষার নামে স্কুল কলেজগুলোতে যেই তামাশার সিলেবাস আর পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে, এগুলো অতিসত্বর দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে আপডেট করা উচিত। নতুন পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে ব্যসিক কম্পিউটার এবং টেকনোলজি স্কিল শেখানোতে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। টেকনোলজি এখন আর ঐচ্ছিক বিষয় না। যেই কোনো সেক্টরে কাজ করার জন্যই এখন ব্যাসিক কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা এবং টেকনোলজি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা লাগে।
- মাদ্রাসাগুলোতেও ICT শেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত (উপরোক্ত একই কারণে)।
- বয়স্কদের জন্যও টেকনোলজি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জনের জন্য ক্যাম্পেইন বা প্রোগ্রাম করা দরকার। ব্যাংকের কার্ড বা বিকাশ নাম্বারের পাসওয়ার্ড কিভাবে নিরাপদ রাখতে হয়, ইমেইল/ফেসবুকসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিজেদের একাউন্ট কিভাবে সিকিউর রাখতে হয় - ইত্যাদি ব্যাপারগুলো বয়স্কদেরও জানা খুবই জরুরী।
- এডুটেক প্ল্যাটফর্মগুলোর উচিত হাইপড টপিকে কোর্স লঞ্চ করে হাজার হাজার স্টুডেন্ট ভর্তি করার দিকে ফোকাস না করে প্রকৃত অর্থেই টেক সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য কাজ করা। টেকনোলজি সেক্টরে Laravel, MERN ডেভেলপার ছাড়াও আরও অনেক রকম কাজের জন্য দক্ষ জনশক্তি দরকার। শুধু যেই কোর্সের চাহিদা আছে সেটার মার্কেটিং না করে, এই যে আরও বিভিন্ন রকম কাজের ক্ষেত্র আছে, সেখানে লোক দরকার - এটার মার্কেটিংও করা দরকার। টেকনোলজি শেখার জন্য কেবল নামকাওয়াস্তে 'AI' ব্যবহারের কথা না বলে বাস্তবিক, ইফেক্টিভ এবং ইনোভেটিভ চিন্তা করা উচিত। তা না হলে 'এডুটেক' নামের সার্থকতা থাকে না!
- আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অসম্ভব রকমের ট্যালেন্টেড! এরা খুব সামান্য সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে। যারা ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়র, এক্সপেরিয়েন্সড আছেন তাদের উচিত মেন্টরিং/ টিচিং এ এবং এডুকেশনাল কন্টেন্ট মেকিং এ আরও বেশী সময় দেয়া। ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরা তাদের এক্সপেরিয়েন্স থেকে এমন অনেক কিছু শেয়ার করতে পারবেন যেটার মূল্য টাকায় পরিশোধ করা সম্ভব না।
- আমাদের দেশে টেক ইভেন্ট করতে হলেই সবাই ৫০০-১০০০ মানুষের বিরাট আয়োজন নিয়ে চিন্তা করে। এসব সেশনে নেটওয়ার্কিং, প্রোমোশন যতটা হয়, নলেজ শেয়ারিং ততটা হয় না। আমাদের উচিত ছোট ছোট রেগুলার গেট টুগেদার, টেক ইভেন্ট করা যেখানে মুল ফোকাস থাকবে নলেজ শেয়ারিং। এগুলো অনলাইন, অফলাইন দুইভাবেই হতে পারে।
এই প্রস্তাবনাগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। সবাই এটার সাথে এগ্রি নাও করতে পারেন। ভিন্ন প্রস্তাবনা থাকলে সেটা নিয়েও আমি আলোচনা করতে আগ্রহী। তবে মূল কথা হচ্ছে, পরিবর্তনের জন্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমাদেরকে কাজ শুরু করতে হবে। শুধু পরিবর্তন দরকার, এই চিন্তা করে বসে থাকলে কিছুই পরিবর্তন হবে না!