24/09/2023
আমি মানুষ টা কেমন আমি জানি না 🥲।আমার থেকে আমার আশেপাশের মানুষ গুলো ভালো জানে আমি কেমন।হোক সে আমার পরিবারের কেউ, হোক সে আমার বন্ধুবান্ধব।,হোক সে আমার কলিগ অফিসের বস,আমার থেকে এরাই বলতে পারবে আমি মানুষটা কেমন। সবার কাছে তো আর মানুষ সমান হয় না। কারো কাছে ভালো কারো কাছে খারাপ। আবার কারো কাছে একদম শত্রু।। সবাই আমাকে ভালো চোখে দেখবে এমনটাও না। আমি যখন কোন ভুল করি সে ভুলটা আসলে নিজের ধরা কখনো সম্ভব না।ভুলটা সংশোধন করে দেবে আমার পরিবারের মানুষ, আমার বন্ধু,আত্মীয়-স্বজন, আমার কলিক, বাহ আমার অফিসের বস। আমি একটা মানুষ, আমার ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক, হয়তো আমি আমার আত্মীয়-স্বজন, আমার পরিবার, আমার বন্ধু, আমার অফিস কলিক, আমার অফিসের বস,সবার কাছে প্রিয় নাও হতে পারি,আমি যখন আমার পরিবারের কাছে থাকবে, তখন আমি যদি কোন ভুল করি তাহলে সেই ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার পরিবারের, যদি আমার পরিবার ভুলটা ধরিয়ে না দিয়ে তা নিয়ে সমালোচনা করে অবশ্য সেটা আমার জন্য মঙ্গলকর হয় না। আবার যখন আমি আমার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে থাকি, তখন যদি আমি কোন ভুল করি তাহলে সেটা ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার বন্ধু-বান্ধবের, তোরা যদি আমার ভুলটা ধরিয়ে না দিস তাহলে সেটা প্রকৃত বন্ধুর মধ্যে, সম্পর্ক হয় না,। আবার যদি আমি কোন আত্মীয় স্বজনের কাছে ভুল করি তাহলে সেই ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার আত্মীয়-স্বজনের। তা নিয়ে যদি সেটা নিয়ে সমালোচনা করে তাহলে অবশ্য সেটা আমার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। আবার যখন আমি আমার কর্মজীবনে অফিসে কাজ করবো আমার অফিস কলিক দের সাথে , আমার অফিসের বসের সাথে, তখন আমার অফিসে যদি কোন ভুল হয় তাহলে অবশ্যই ধরিয়ে, দেওয়ার দায়িত্ব আমার কলিকের, আমার অফিসের বসের,। আর আমার ভুলগুলো যদি ধরে না দিয়ে সমালোচনা করা হয়, তাহলে আমার কর্মজীবনের টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে যাবে। আমি কেমন আমি জানিনা, কেউ আমাকে বিশ্বাস করবে না সেটাও আমি জানি না, আমার পরিবার, আমার আত্মীয়-স্বজন, আমার বন্ধু-বান্ধব, আমার অফিসের কলিগ অফিসের বস, তারা কতটুকু আমাকে বিশ্বাস করে আমি জানিনা। তবে আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করি সবাইকে সুখে রাখার। সবার মনের মত হয়ে চলার। আমি একটা মানুষ এটাই স্বাভাবিক, হয়তো আমি আমার সবার মন রক্ষা করে চলতে পারিনা, কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে সবসময় সঠিক থাকার চেষ্টা করি, সেটা হোক আমার পরিবারের ক্ষেত্রে, সেটা হোক আমার বন্ধু-বান্ধবের ক্ষেত্রে, সেটা হোক আমার আত্মীয় স্বজনের ক্ষেত্রে, আবার সেটা হোক আমার অফিস কলিক বা অফিস বসের সাথে। আমি সব সময় চেষ্টা করি নিজের সবটুকু দিয়ে সবকিছু করার। আমার পরিবার আত্মীয়-স্বজন আমার বন্ধু-বান্ধব আমার অফিসের বস অফিসের কলিগ। সবাই তো আর একটা মানুষ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানে না। প্রতিটা মানুষের একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে, প্রতিটা মানুষের কিছু স্বপ্ন থাকে, আবার কিছু আশা থাকে, আবার কিছু ভিন্ন ধরনের চিন্তা ধারা থাকে, সবার চিন্তা ধারা তো আর এক নয়, আমরা একটা সবাই একটা কমন ভুল করে থাকি, সেটা হল আমরা কারো সম্পর্কে কোন কিছু না জেনেই তা কিন্তু সমালোচনা, করি। তাকে নিয়ে খারাপ চিন্তা মনের মধ্যে পোষণ করি, তাকে নিয়ে আমরা অনেক খারাপ ধারণা ও করে থাকি, তাকে আমরা হাসি-তামাশার একটা পাত্র বানিয়ে ফেলি,, কিন্তু আমার পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব অফিসের বস অফিসের কলিগ, তারা আসলে কখনো চিন্তা করো না যে মানুষটা কি আজও আমরা যা ভাবছি, সেটা কি সম্ভব, সে কি আসলেই এমন লোক, সে কি আসলেও এই কাজটি করতে পারবে, একটা মানুষ সম্পর্কে পুরোটা না জেনেই আমরা কত ধারণা করে থাকি। এরকম ভুল ধারণা গুলো প্রাপ্ত মানুষটার উপর অনেক প্রভাব পড়ে, যখন পরিবারে থাকে তখন সে পরিবারের, জন্য এত কিছু করে, সে মানুষটা যখন পরিবারের কাছে মূল্যহীন, তখন পৃথিবীতে, সব থেকে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। তখন মনে হয় আমি পরিবারের একজন যোগ্য মানুষ না।যখন বন্ধুবান্ধবের সাথে এমনটা ঘটে তখন মনে হয় আমি বন্ধু-বান্ধবের তাদের যোগ্য না। আবার যখন আমার আত্মীয়-স্বজন আমাকে এরকমভাবে, তখন মনে হয় আসলে আমি আত্মীয়-স্বজনের যোগ্য না। যখন অফিসের কলিগ অফিসের বস, তারা যখন আমাকে এরকমভাবে তখন মনে হয়, আসলে আমি কর্মজীবনের একজন যোগ্য কর্মী না।।এ পৃথিবীতে আপনি যে মানুষগুলোর জন্য যাই কিছু করেন না কেন সেই মানুষগুলি আপনার দিকে একদিন আঙুল তুলবে।। আপনি তাদের জন্য প্রতিদিন ভালো কিছু করবেন, তার মূল্য আপনাকে দেবে না। আপনি তাদের জন্য একদিন ভালো কিছু করতে পারবেন না, সেই দিনই খারাপের প্রতিদান দিতে হবে। আমরা আমাদের চিন্তা ধারাকে, পরিবর্তন করি, আমরা কাউকে নিয়ে কোনো সমালোচনা না করি,, আমরা কারো সম্পর্কে সম্পূর্ণটা না জেনে, তার প্রতি কোনো মন্তব্য করা, তার প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা, এই সবকিছু থেকে বিরত থাকি,আমাদের পরিবার, আমাদের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, অফিসের কলেজ অফিসের বস,সবাই যদি এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকি, তাহলে একটা সুন্দর পরিবার, একটা সুন্দর আত্মীয়তার বন্ধন, একটা সুন্দর বন্ধুত্ব, একটা সুন্দর কর্মক্ষেত্র, গড়ে ওঠা সম্ভব। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করি সবাইকে সবটুকু দেওয়ার জন্য, আমরা আমাদের চিন্তাধারা কি পরিবর্তন করি, কোন বিষয় নেগেটিভ না ভেবে পজিটিভলি ভাবার চেষ্টা করি, কারো সম্পর্কে কোন কিছু না জেনে সমালোচনা থেকে বিরত থাকি,, একটা সমাজকে কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিজেদের জায়গা থেকে নিজেদের পরিবর্তন না করব, আমরা নিজের জায়গা থেকে নিজেকে পরিবর্তন করি, তাহলে বদলে যাবে সমাজ, বদলে যাবে দেশ, বদলে যাবে পৃথিবী।, তবেই আমাদের একটা সুন্দর পরিবার, একটা সুন্দর আত্মীয়তার বন্ধন, একটা সুন্দর বন্ধুত্ব একটা সুন্দর কর্মক্ষেত্র, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উপহার দেওয়া সম্ভব,। মনে রাখবেন ব্যবহারে বংশের পরিচয়,। প্রতিটা জায়গায় মানুষ ক্ষণস্থায়ী, কখনো মানুষ চিরস্থায়ী না।মানুষ কখনো মানুষকে মনে রাখে না, মনে রাখে তার ব্যবহার, মনে রাখা তার কর্ম। তাই নিজের কর্মকে ভালো করেন, জন পরবর্তী মানুষের জীবনে ভালোবাসার, হয়ে থাকতে পারেন।
লেখকঃ জাহিদ হাসান।
পুরোটা নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।
#বাস্তবতা