Samiul Siyam

Samiul Siyam ইসলামকে জানুন ও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মানুন।

23/08/2025

কুরআনের ৪ টি মোটিভেশনাল শব্দ খুবই উপকারী ছোট্ট হলেও ব্যাপক অর্থবোধক!!! ♥
"লা তাহযান"
অর্থঃ অতীত নিয়ে কখনো হতাশ হবেন না।
"লা তাখাফ"
অর্থঃ ভবিষ্যত নিয়ে কখনো দুশ্চিন্তা করবেন না। তা ন্যাস্ত করে দিতে হবে আল্লাহর কাছে।
" লা তাগদাব"
অর্থঃ জীবনে চলার পথে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের সম্মুখীন হতে হবে। রাগ করবেন না।
" লা তাসখাত"
অর্থঃ আল্লাহর কোন ফয়সালার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন না।

সুরা আদ-দোহাকে আপনি কীভাবে পড়েন?কুরআনের এই বিশেষ সুরাটিকে নানানভাবে বুঝবার সুযোগ রয়েছে। তাফসির বিশারদগণ নানান বৈচিত্রময় ...
22/08/2025

সুরা আদ-দোহাকে আপনি কীভাবে পড়েন?

কুরআনের এই বিশেষ সুরাটিকে নানানভাবে বুঝবার সুযোগ রয়েছে। তাফসির বিশারদগণ নানান বৈচিত্রময় দিক থেকে সুরাটিকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন। অন্ধকার চিরস্থায়ী নয়, আলোকোজ্জ্বল ভোর নিকটবর্তী। দুঃখ চিরস্থায়ী নয়, সুখ অত্যাসন্ন। কষ্টের পরেই আসে সুখ। দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, আখিরাতের জীবনের আনন্দই সত্যিকারের সফলতা—এমনসব সুখকর, অনুপ্রেরণাদায়ী কথামালায় সাজানো সেইসব ব্যাখ্যা।

হতাশায় নিমজ্জিত অন্তরকে জাগিয়ে তুলতে এই সুরা যেন এক মহৌষধের মতো কাজ করে আমাদের জীবনে। সমস্ত আশা হারিয়ে ফেলে যে হৃদয় হাঁবুডুবু খাচ্ছে অন্ধকারের অতল গহ্বরে, সেই হৃদয়কে আনন্দের মোহনায় টেনে আনতে সুরা আদ-দোহা যেন বিকল্পহীন।

আরেকটা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকেও সুরা আদ-দোহাকে বোঝার সুযোগ রয়েছে বলে আমার ধারণা। আমার এই ধারণা পূর্বের ব্যাখ্যাগুলোর সাথে কোনোভাবে সাংঘর্ষিক নয়, বরং সেগুলোর পরিপূরক। সুরা আদ-দোহা থেকে আমরা অনুপ্রেরণাটুকু কেবল নিয়ে থাকি, কিন্তু কোনো কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করি না। আমার ধারণা—এই সুরার মধ্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের জন্য খুব সুন্দর একটা কর্মপরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

সুরা আদ-দোহার শুরুতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা দুটো শপথ করেছেন।

‘শপথ পূর্বাহ্নের’
‘(এবং শপথ) রাতের যখন তা নিঝুম হয়।’

এই শপথ দুটোর পর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কতিপয় আশার বাণী শুনিয়েছেন যা উক্ত সময়ে নবিজির জন্য প্রবলভাবে দরকারি ছিল।

সুরাটির শানে নুযুল তথা অবতীর্ণের কারণ থেকে আমরা জানতে পারি যে, একবার কিছুটা লম্বা সময়ের জন্য নবিজি সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহী আসা বন্ধ থাকে। নবিজির কাছে জিবরিল আলাইহিস সালামের আগমন সাময়িক বন্ধ হয়ে পড়ায় মক্কার মুশরিকেরা নানান কটু কথা বলতে শুরু করে। তারা উপহাস আর তাচ্ছিল্যের স্বরে বলতে থাকে—‘মুহাম্মাদকে তার আল্লাহ পরিত্যাগ করেছে।’

একদিকে জিবরিল আলাইহিস সালামের ওহী নিয়ে আগমন বন্ধ থাকা, অন্যদিকে মুশরিকদের এহেন তিরস্কার নবিজিকে খুবই মর্মাহত করে তুলে। তিনি ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েন। এই দুঃখ আর দুর্দশা থেকে নবিজিকে টেনে তুলতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সুরা আদ-দোহা নাযিল করেন যা প্রশান্তি এনে দেয় নবিজি সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্তরে। মুশরিকদের অপবাদের বিপরীতে চপেটাঘাত এবং নবিজির হৃদয় থেকে হতাশার মেঘ দূরীভূত করার যাবতীয় রশদ নিয়েই যেন নাযিল হয় এই ছোট্ট সুরাটি। সুরাটির শুরুর কয়েকটা আয়াতের দিকে নজর দিলেই ব্যাপারটা আমরা সহজে উপলব্ধি করতে পারব।

‘শপথ পূর্বাহ্নের।
(এবং শপথ) রাতের যখন তা নিঝুম হয়।
আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তিনি আপনার প্রতি অসন্তুষ্টও নন।
আর অবশ্যই পরবর্তী সময় আপনার জন্য পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা উত্তম।
শীঘ্রই আপনার রব আপনাকে (এত নিয়ামত) দিবেন যে আপনি খুশি হয়ে যাবেন। (সুরা আদ-দোহা ১-৫)

অবিশ্বাস্য রকমের আশাব্যঞ্জক এবং উদ্দীপনামূলক এই আয়াতগুলো শুধু নবিজি সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্তরেই প্রশান্তি এনে দিয়েছিল তা নয়, এই আয়াতগুলো যুগ যুগ ধরে আশা যুগিয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি বিশ্বাসী মানুষের অন্তরেও যারা নিজেদের যাবতীয় হতাশা আর ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ার দিনগুলোতে কুরআনের শরপণাপন্ন হয়। বিশ্বাসী অন্তরের ক্ষতস্থানে এই আয়াতগুলো লেপে দেয় এমন এক প্রেরণার প্রলেপ যা সঞ্জীবনী শক্তির মতো জাগিয়ে তুলে তার হৃদয়কে। অন্ধকারের আস্তরণ সরিয়ে সে খুঁজে পায় পথের দিশা।

আপনি হয়ত ভাবছেন, এই সুরাটির মাঝে আমাদের জন্য কর্মপরিকল্পনাটা কোথায়, তাই তো?

সুরাটি থেকে আমরা যদি কেবল অনুপ্রেরণার বাণীটুকু শুনেই ইতস্ফা দিই, তাহলে সুরাটির ব্যবহারিক দিকটা আমরা কখনোই আবিষ্কার করতে পারব না।

‘আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তিনি আপনার প্রতি অসন্তুষ্টও নন’—এই আয়াত শুনেই যদি আমরা পুনরায় আমাদের গতানুগতিক জীবনে ফেরত যাই,

‘আর অবশ্যই পরবর্তী সময় আপনার জন্য পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা উত্তম’—এই অংশটুকু আওড়িয়েই যদি আমরা ঝুঁকে পড়ি পূর্বেকার উদাসীন জীবনে,

‘শীঘ্রই আপনার রব আপনাকে (এত নিয়ামত) দিবেন যে আপনি খুশি হয়ে যাবেন’—প্রাপ্তির এহেন সংবাদ লাভ করেই যদি আমরা অলস আর অকর্মণ্য জীবনের স্রোতে গা ভাসাই, তাহলে সন্দেহাতীতভাবে বলা যায় যে—সুরা আদ-দোহা সত্যিকারভাবে আমাদের অন্তরে আলোড়ন তুলতে পারবে না।

আমরা হয়ত সাময়িক তৃপ্তি লাভ করব, হতে পারে সুরাটা আমাদেরকে ক্ষণিক সময়ের জন্য স্বস্তি এনে দিবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদের যে তৃপ্তি, প্রাপ্তি এবং আনন্দ—তা থেকে আমরা নিদারুনভাবে বঞ্চিত হব।

দীর্ঘমেয়াদে এই সুরা থেকে যদি আমরা সুফল লাভ করতে চাই, আমাদেরকে এই সুরা থেকে কর্মপরিকল্পনাটাও খুঁজে বের করতে হবে। সেই কর্মপরিকল্পনার খোঁজেই আমার আজকের এই লেখার অবতারনা।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যখন কোনো বিষয় নিয়ে শপথ করেন, আমাদেরকে সুনিশ্চিতভাবে ধরে নিতে হবে যে তার মধ্যে কোনো কার্যকারণ, কোনো রহস্য অথবা নির্দেশনা রয়েছে। সুরা আদ-দোহায় খেয়াল করুন, আল্লাহ তাআলা সময়ের দুটো অবস্থা নিয়ে শপথ করেছেন। একটি হলো পূর্বাহ্ন তথা সূর্যোদয়ের পরের সময় এবং অন্যটি হলো রাতের সেই অংশ যখন তা পরিপূর্ণরূপে নিঝুম হয়ে উঠে।

তাফসির আহসানুল বায়ানে বলা হয়েছে—‘মানুষ এবং জীবজন্তুরা রাতের যে অংশে সম্পূর্ণরূপে শান্ত ও স্থির হয়ে পড়ে, এখানে রাতের সেই অংশকেই বোঝানো হয়েছে।’

আরও স্পষ্ট করে বলা যায়—রাতের যে অংশে মানুষ ও জীবজন্তুরা গভীর তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, যখন চারদিকে বিরাজ করে সুনশান ও নিরুপদ্রব নীরবতা, রাতের সেই বিশেষ অংশটার কথাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এখানে উল্লেখ করেছেন।

সুরাটি রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উদ্দেশ্যে নাযিল হয়েছিল, এবং এই সুরার সমস্ত ওয়াদা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা পূরণ করেছিলেন। তিনি নবিজিকে পরিত্যাগ করেননি এবং তাঁর প্রতি অসন্তুষ্টও হোননি। নিশ্চয় নবিজির জন্য পরবর্তী সময় তথা আখিরাতের জীবনকে বানিয়েছেন পূর্ববর্তী সময় তথা দুনিয়ার জীবনের চেয়ে তুলনাহীনভাবে উত্তম। আর, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নবিজিকে এতো অফুরন্ত নিয়ামত দান করেছিলেন যে—নবিজি ছিলেন রবের সবচেয়ে উত্তম কৃতজ্ঞ বান্দা।

সুরা আদ-দোহার ওয়াদাগুলো নবিজির জীবনে বাস্তবায়িত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সুরাটিকে যদি আমাদের জীবনের সাথে মিলিয়ে পড়তে হয়, তখন আমরা কীভাবে পড়ব? আমরা হয়ত এভাবে পড়তে পারি—

‘তিনি আমাদের পরিত্যাগ করবেন না এবং আমাদের প্রতি তিনি অসন্তুষ্টও হবেন না। আমাদের জন্য পরবর্তী সময়কে তিনি পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা অধিকতর কল্যাণকর বানিয়ে দেবেন। তিনি আমাদের এত অঢেল পরিমাণে নিয়ামত দান করবেন যে, সেসব লাভ করে আমরা খুশি হয়ে যাব।’

ওয়াদাগুলো নবিজি সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে বাস্তবায়িত হয়েছে, কিন্তু আমাদের জীবনে তো বাস্তবায়িত হয়নি। সেগুলোকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়িত করতে হলে আমাদের কী করতে হবে? ঠিক এই উত্তরটাই লুকিয়ে আছে সুরাটির শুরুর দুটো শপথের মধ্যে।

‘শপথ পূর্বাহ্নের।
(এবং শপথ) রাতের যখন তা নিঝুম হয়।’

‘শপথ পূর্বাহ্নের’ বলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সূর্যোদয়ের পরের অবস্থা তথা দিনের সময়টুকুকে বুঝিয়েছেন। আর, ‘শপথ রাতের যখন তা নিঝুম হয়’ বলে বুঝিয়েছেন রাতের গভীর অংশটাকে।

‘শপথ পূর্বাহ্নের’ বলে আল্লাহ হয়ত জানাচ্ছেন—‘তোমরা যদি চাও আমি তোমাদের পরিত্যাগ না করি আর তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্টও না হই, যদি চাও যে তোমাদের জন্য পরবর্তী সময়কে পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা উত্তম বানিয়ে রাখি, যদি ইচ্ছা করো যে তোমাদেরকে এত নিয়ামতে দান করি যা তোমাদের অন্তরকে অনাবিল আনন্দে ভরে তুলবে, তাহলে তোমাদের দিনের অংশটুকুকে সেভাবে যাপন করো যেভাবে যাপন করে গেছেন নবি মুহাম্মাদুর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর সঙ্গী-সাথীগণ, সালেহীন বান্দাগণ।

তারা যাবতীয় অশ্লীলতা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলতেন, তারা কারও নিন্দা করতেন না, কারও সম্পদ জবরদখল করতেন না, কারও গীবত করতেন না। তাদের অন্তরমনে সর্বদা বইত তাকওয়ার ফল্গুধারা। ঈমানের প্রশ্নে তারা ছিলেন আপষহীন, দ্বীনের প্রশ্নে তারা ছিলেন অনড় অবিচল। হালাল উপার্জন ব্যতীত তারা আহার করতেন না, হারামের সংস্পর্শ আছে এমন সবকিছু থেকে তারা সেভাবে নিজেদের আড়াল করতেন যেভাবে পাহাড় আড়াল করে রাখে প্রান্তরের ভূমিকে।

তারা ছিলেন সত্যবাদী, ইনসাফের প্রশ্নে দ্বিধাহীন। যদি তোমরা আমার ওয়াদাগুলোকে তোমাদের জীবনেও বাস্তবায়িত দেখতে চাও, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করো—ঠিক কীভাবে কাটছে তোমাদের জীবন। ঈমান আর তাকওয়ার প্রশ্নে, ইনসাফ আর ইহসানের প্রশ্নে তোমরা কতোটা সচেতন?

আর, ‘শপথ রাতের যখন তা নিঝুম হয়’ বলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা হয়ত বলছেন—

‘যদি আমার সন্তুষ্টি কামনা করো আর ইচ্ছা করো যে আমি তোমাদের পরিত্যাগ না করি, যদি চাও রাশি রাশি নিয়ামতে ভরে রাখি তোমাদের জীবন, তাহলে কিন্তু রাতের প্রহরগুলোকে কোনোভাবেই হেলায় কাটানো যাবে না।

যখন রাত্র গভীর হয়, যখন নিশ্চুপ নীরবতায় ছেঁয়ে যায় পৃথিবী, যখন চারপাশের সকলে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে গভীর তন্দ্রায়, তখন তোমরা বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ো। জাগ্রত করো তোমাদের রাতগুলোকে। জায়নামায বিছিয়ে দাঁড়াও আমার সামনে। তোমাদের কমতির কথা, অক্ষমতার কথা, অসমর্থের কথা আমার কাছে খুলে বলো। প্রাণ খুলে বলো তোমাদের ইচ্ছা আর আবদার, শখ আর স্বপ্নের কথা। দিলখুলে আমার পবিত্রতার প্রশংসা করো।’

দিন আর রাতের দুটো অবস্থার শপথ করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের জানাচ্ছেন যে, নবিজিকে যে নিয়ামত তিনি দান করেছেন, যে অভয়বাক্য, স্বস্তি এবং সৌভাগ্যের সংবাদ তিনি নবিজিকে শুনিয়েছেন, সেসব যদি আমরাও লাভ করতে চাই, এই দুই শপথের মাঝেই সেই রহস্য উদঘাটনের চাবি লুকায়িত আছে। সেই চাবিটা হলো—দিনের অংশটুকুতে ঠিক সেভাবে জীবনযাপন করা যেভাবে জীবনযাপন করলে মহান রব সন্তুষ্ট হবেন। এবং রাতের অংশের পুরোটা না ঘুমিয়ে, গভীর অংশটায় জাগ্রত হয়ে পূর্ণ মনোযোগের সাথে রবের নিবিষ্ট ইবাদাতে নিজেকে মগ্ন করে রাখা।

সুরা আদ-দোহা এক সত্যিকারের মহৌষধ, ভগ্ন হৃদয়কে জোড়া লাগাবার এক আশ্চর্য কৌশল, হতাশা-মগ্ন জীবনে সজীবতার আবহ ফিরিয়ে আনবার এক অনন্য উপকরণ। তবে তা কেবল তখনই কার্যকরি হবে যখন আমরা শপথবাক্যে থাকা সময় দুটোর দিকে গভীর দৃষ্টি দেবো।

যদি পূর্বাহ্ন থেকে রাত্রের সময় পর্যন্ত আমরা সেভাবে জীবনযাপন করতে পারি যেভাবে জীবনযাপন করলে তা আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণ হবে, যদি গভীর রাতের সময়টুকু আমরা নিয়মিত কাটাতে পারি জায়নামাযে—কিয়ামে, সিজদায়, রুকুতে, যিকির, তিলাওয়াত আর মুনাজাতে, তাহলে আশা করা যায়, সুরা আদ-দোহার সেই সমূহ সুসংবাদ আমাদের জীবনেও বাস্তব হয়ে ধরা দেবে, ইন শা আল্লাহ।

কী এক মহা সৌভাগ্যের ব্যাপার হবে যখন সুরা আদ-দোহায় বলা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার এই কথাগুলো আমার জীবনেও বাস্তব হয়ে উঠবে—

‘আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তিনি আপনার প্রতি অসন্তুষ্টও নন।
আর অবশ্যই পরবর্তী সময় আপনার জন্য পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা উত্তম।
শীঘ্রই আপনার রব আপনাকে (এত নিয়ামত) দিবেন যে আপনি খুশি হয়ে যাবেন।’

#কুরআনের_অলিতেগলিতে০২

19/08/2025

যে আপনার ইবাদতে ব্যাঘাত ঘটায় সে আপনার বন্ধু নয়, সে আপনার প্রকৃত শত্রু। যে আপনার সফলতা কে সহ্য করতে পারেনা সে আপনার আপনজন নয়, সে আপনার ঘুর দুশমন‌।
জীবন চলার পথে হাজার মানুষের সাথে আমাদেরকে ওঠা বসা করতে হয়। তন্মধ্যে কিছু বন্ধু আমাদের জুটে যায়।কিন্তু প্রকৃত বন্ধু নির্বাচনে আমরা অনেকেই ভুল করে থাকি।
কিছু বন্ধু আছে এরকম নিজেতো সৎকাজ করবেই না, এমনকি আপনাকেও করতে দিবে না।নিজেতো হরহামেশা গুনাহএর কাজে লিপ্ত থাকেই । এমনকি আপনাকেও গুনাহএর কাজে লিপ্ত করতে চায়। সে সবসময় চায় ,তার মত করে আপনি চলাফেরা করুন। লোকে আপনার প্রশংসা করবে, আর তার নিন্দা করবে এটা সে কখনোই চায় না।
এমন কিছু বন্ধু আছে যারা আপনাকে সর্বদা গান-বাজনার প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে, সর্বদা নাটক-সিনেমা সাজেস্ট করবে। আপনাকে হারাম সম্পর্কে জড়াতে উদ্বুদ্ধ করবে।এমনকি প্রত্যেক যুবক যুবতীর সর্বপ্রথম পর্নোগ্রাফির সাথে পরিচিত বন্ধুদের সহযোগিতায় হয়। এমনকি জীবনের প্রথমবার হস্তমৈথুন ও বন্ধুদের প্ররোচনায় হয়ে থাকে।
অনেকে আছে ভালো কাজ থেকে আপনাকে বিরত রাখার চেষ্টা করে।যেমন ধরেন আপনারা তিন বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছেন।এমন সময় আযানের ধ্বনি আপনার কানে এসে লাগলো।
আপনি তখন বললেন চল নামাজটা পড়ে আসি, তখন একজন বলে উঠলো আরে নামাজ পড়ে কি হবে চল একটু ঘুরে আসি। অথবা বলবে ফজরের নামাজ পড়িস নাই জোহরের নামাজ পরে কি করবি? এরকম নানান উপায়ে আপনাকে বাধা দিতে থাকবে। মনে রাখবেন সে কখনো আপনার বন্ধু নয়, সে আপনার প্রকৃত শত্রু।
জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
কোরআনের এই আয়াত দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, আজকের খারাপ বন্ধু গ্রহণ করা সেদিনের জন্য আফসোসের কারণ হবে। তাই বন্ধু নির্বাচনে একটু সচেতন হোন। এমন বন্ধু কখনো নির্বাচন করবেন না যে আপনাকে জাহান্নামের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এমন বন্ধু নির্বাচন করুন যে আপনাকে জান্নাতের পথ দেখায়।
সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’ ইরানের বিখ্যাত মনীষী শেখ সাদী (রহঃ) এর এ প্রবাদ বাক্যটির মূল বক্তব্য হচ্ছে, একজন উত্তম বন্ধু যেমন জীবনের গতি পাল্টে দিতে পারে, তেমনি একজন অসৎ বন্ধু জীবনকে ধ্বংসের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে দিতে পারে । ইরানী অপর এক কবি বলেছেন, অসৎ বন্ধু থেকে দূরে থাকো, কেননা সে বিষাক্ত সাপ থেকেও ভয়ংকর। বিষাক্ত সাপ কেবল তোমার জীবনের ক্ষতি করবে কিন্তু অসৎ বন্ধু তোমার জীবনের সাথে সাথে তোমার ঈমানও শেষ করে দিবে। তাই ইসলাম ধর্মে অসৎ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য ব্যাপক তাগিদ দেয়া হয়েছে।
আমিরুল মোমেনীন ইমাম আলী (রা:) বলেছেন, যদি ভাল লোক খারাপ লোকের সাথে উঠাবসা করে তাহলে তার মাথায়ও খারাপ চিন্তা চলে আসে। ইমাম জাওয়াদ এ সম্পর্কে বলেছেন, খারাপ বন্ধুর সাথে চলাফেরা করো না। কারণ সে খোলা তলোয়ারের মত, যার বাইরের চেহারা সূন্দর কিন্তু ফলাফল খুবই বিপদজনক। নবী বংশের মহান ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আঃ) বলেছেন, একজন মুসলমানের জন্য এটা কখনই ঠিক নয় যে, সে একজন গুনাহগারের সাথে বন্ধুত্ব করবে।
কারো মধ্যে ভালো গুণ দেখে বন্ধুত্ব করার পরও যদি তার মধ্যে খারাপ গুণ দেখা যায় তাহলে কি করতে হবে ? এক্ষেত্রে প্রথমে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু সে যদি নিজেকে সংশোধন করতে রাজি না হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন লোকের সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত ? আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হচ্ছে-
এমন ব্যক্তিকে বন্ধু বানাবেন না যে আপনাকে মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত করায়।এমন ব্যক্তিকে বন্ধু বানাও যে আপনাকে সত্য বলতে উদ্বুদ্ধ করবে।
এমন ব্যক্তিকে বন্ধু বানিও না যে আপনাকে নাটক-সিনেমা সাজেস্ট করবে।এমন দিকটিকে বন্ধু বানাও যে আপনাকে কোরআন তেলাওয়াত করতে সাজেস্ট করবে। এমন ব্যক্তিকে বন্ধু বানিও না যে আপনাকে বেগানা নারীর সাথে সম্পর্কে জড়াতে উদ্বুদ্ধ করবে। এমন ব্যক্তিকে বন্ধু বানাও যে আপনাকে আল্লাহর সাথে প্রেম করতে শেখাবে।
এমন ব্যক্তিকে বন্ধু বানিও না যে আপনাকে পর্ণ গ্রাফির প্রতি আসক্তি করে তুলবে।এমন ব্যক্তিকে বন্ধু বানাও যে আপনাকে এই অন্ধকার জগত থেকে আলোর দিকে আহ্বান করবে।
ইমাম গাযযালী (রহঃ) এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘সবাইকে বন্ধু নির্বাচন করা যাবে না, বরং ৩টি গুণ দেখে বন্ধু নির্বাচন করা উচিত। গুণ তিনটি হল-
১. বন্ধুকে হতে হবে জ্ঞানী ও বিচক্ষণ
২.বন্ধুর চরিত্র হতে হবে সুন্দর ও মাধুর্যময় এবং
৩. বন্ধুকে হতে হবে নেককার ও পুণ্যবান
ফরাসী এক প্রবাদে বলা হয়েছে, ‘বন্ধুত্ব হলো তরমুজের মতো। ভালো একশটিকে পেতে হলে এক কোটি আগে পরীক্ষা করে দেখতে হয়। ‘রাসূল (সাঃ) বলেছেন, শেষ বিচারের দিন সকল বন্ধুই শত্রুতে পরিণত হবে তবে একমাত্র সৎ বন্ধুই সেদিন প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেবে। তাই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সততা, আমানতদারি, সত্যবাদিতা, বিশ্বস্থতা প্রভৃতি গুণের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই বন্ধুত্ব যদি করতে হয় তাহলে ইসলামের নির্দেশনা অনুসারে বন্ধু নির্বাচন করা উচিত।

সূরা আরাফ শুরু করলাম।আরাফে একটা ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট পেলাম। ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি যে ,আখিরাতের পরিণাম হলো বাইনারি। হয়...
19/08/2025

সূরা আরাফ শুরু করলাম।

আরাফে একটা ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট পেলাম। ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি যে ,আখিরাতের পরিণাম হলো বাইনারি। হয় জান্নাত নয় জাহান্নাম। অথচ এই সুরার মাধ্যমে আমাদের জানানো হলো যে," না! জান্নাত আর জাহান্নামের মাঝামাঝিও আরেকটা লোকেশন আছে লোকেশনটার নাম আরাফ! এই জায়গার নাম অনুসারেই এই সূরার নামকরন। "আরাফ" হবে তাদের জন্য যারা এতটাও ভালো কাজ করেনি যে জান্নাতের টিকেট পেয়ে যাবে আবার এতটাও খারাপ কাজ করেনি যেঁ জাহান্নামে যেতে হবে।এ যেন মিডেল ক্লাসদের চরণ ভূমি! এই আরাফবাসী সবসময়ই আশায় থাকবে যে তাদেরকে যেন কোন না কোন সময় জান্নাতে আপগ্রেড করা হয়. [১]

এই আরাফ ছাড়াও হাশর আরেকটা ইম্পর্টেন্ট ফ্যাক্ট আমাদের অনেকেরই অজানা। আর সেটা হলো কান্তারা। আমরা মনে করি "কোনো রকমে পুলসিরাত পার হইতে পারলেই বাঁচি!" ভুল! পুলসিরাত পার হতে পারলেই জান্নাত নয়। পার হতে পারলে অপেক্ষা করবে মুমিনদের জন্য ফাইনাল পরীক্ষা। হাশরের দিনে বিশ্বাসীদের বিচার হবে দু বার :এক বার হবে সিরাত পার হওয়ার পূর্বে,আরেক বার হবে সিরাত পার হওয়ার পরে। জি ঠিকই শুনেছেন। পূর্বের বিচার হবে "স্রষ্টার হক নষ্ট করার বিচার", আর পরের বিচার হবে "বান্দার হক নষ্ট করার বিচার"।
আর যে জায়গাটায় বিচারটি হবে সেই জায়গাটির নামই হলো "কান্তারা"। আল-কান্তারাহ হলো সিরাতের পর আরেকটি ছোট সিরাত। বিশ্বাসীগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তারা এই কান্তারার উপর দিয়েই প্রবেশ করবে এবং স্রষ্টা এই কান্তারার উপরেই মুমিনদের মধ্যকার আন সেটেলড ইস্যুস গুলো রিসোলভ করবেন [২]
কল্পনা করুন,একজন ব্যক্তি আল-কান্তারাহ-তে জান্নাতের দরজার অলমোস্ট দ্বারপ্রান্তে,অথচ সে সেথায় ঢুকতে পারছে না। কারণ তার সব সৎকর্মগুলো যা নিয়ে নিয়ে সে বড়াই করতো সব শেষ,উলটো তাকে জাহান্নামে টেনে নিয়ে হচ্ছে।সেই হতোভাগাকে আপনি তখন কী বলবেন? আমার রাসুল অবশ্য সেই হতভাগা কে ডিফাইন করেছেন "মুফলিস" হিসেবে। "মুফলিস" অর্থ হলো দেউলিয়া বা ব্যাংকরপ্টড।রাসূল বলেছেন, “তোমরা কি জানো , কে আসল দেউলিয়া?”। সাহাবারা উত্তর দেন,“যার কাছে অর্থ বা সম্পদ কিছুই নেই সে ইয়া রাসূলুল্লাহ?” রাসূল বললেন, না! আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত দেউলিয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তি যেই ব্যক্তি কিয়ামতের দিনে অনেক নামাজ, অনেক রোজা ও অনেক সদকা নিয়ে উপস্থিত হবে অথচ সে দেখতে পাবে যে সে ঐ দিনে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে কারণ জীবদ্দশায় সে অন্যদের গালি দিয়ে বেড়াতো,অন্যদের অপবাদ দিয়ে বেড়াতো,অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে বেড়াতো,অন্যের রক্তপাত ঘটিয়ে বেড়াতো এবং অন্যকে প্রহার করে বেড়াতো। আজ তার সব সৎকর্মগুলো ভুক্তভোগীদেরকে ট্র্যান্সফার করে দিতে হচ্ছে। শুধু তাই না!! যদি তার ভালো কাজগুলো ক্ষতিপূরণগুলোকে কভার করতে না পারে, তাহলে তাদের পাপ গুলোও তাঁর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” [৩]

তাই বলছি,
আপনার যারা নামাজ রোজা সাদাকার পাশাপাশি আপনার মুখের স্পিচ দিয়ে অন্যদের কষ্ট দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিংবা আমল দিয়ে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে বেড়াচ্ছেন। তাদের জন্য একটাই কথা,
দেখা হবে বন্ধু
দেখা হবে কান্তারায়!

রেফারেন্স:
[১] [কুরআন ৭:৪৬]
[২] [Sahih al-Bukhari 2440]
[৩] [Sahih Muslim 2581]

-Samiul haq

পরকালের যত চিন্তা

13/08/2025

নবীর হাদিসটি পড়ুন ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো লাগবে😊

একবার রাসূল ﷺ কে খুবই প্রফুল্ল দেখে আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনি তো খুবই খোশ মেজাজে আছেন, আমার জন্য এখন একটু দুআ করুন না.!

আয়িশা (রাঃ) এমন আবদারে মুচকি হেসে রাসূল ﷺ আল্লাহকে বলতে লাগলেন -"'ইয়া আল্লাহ্, আয়িশা পূর্বে করেছে এমন সকল গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা পরে করবে এমন সকল গুনাহও আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা প্রকাশ্যে করেছে এমন গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা গোপনে করেছে এমন গুনাহও আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা বুঝে করেছে এমন গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন, না-বুঝে করেছে এমন গুনাহও আপনি ক্ষমা করে দিন।""

রাসূল ﷺ এর মুখে নিজের জন্য এত সুন্দর দু'আ শুনে খুশিতে আয়িশা (রাঃ) আ'ত্মহারা। আম্মাজান আয়িশা (রাঃ) কে খুশি হতে দেখে প্রীত হলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, 'আয়িশা, আমার দু'আয় তুমি খুশি হয়েছো.?

আয়িশা (রাঃ) বললেন, "'আমি খুবই খুশি হয়েছি ইয়া রাসুলাল্লাহ।'
তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, জানো আয়িশা! তোমার জন্য যে দু'আ করলাম, ঠিক একই দুআ প্রতি সালাতের পর আমি আমার প্রতিটা উম্মতের জন্যই করি।'"

কি এক নবী পেয়েছি আমরা 😊🤲

আলহামদুলিল্লাহ 🤲😊

(সহিহু ইবনি হিব্বান ৭১১১; মুসনাদুল বাযযার ২৬৫৮)

27/07/2025
22/07/2025

যতবার পড়েছি মুগ্ধ হয়েছি, বন্ধুত্বতো এমনি হয়!

মাইলস্টোনে দূর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া একজন ছাত্র তার আ*হত বন্ধুকে ক্লাসরুম থেকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিল।

ফায়ার ব্রিগেডের অফিসার বাধা দিয়ে বললেন, এর কোনো লাভ নেই! তোমার বন্ধু অবশ্যই মা*রা যাবে।

কিন্তু ছাত্র'টি তখনও গিয়ে তার বন্ধুকে একা একা ফিরিয়ে আনল।

মৃ*তদে*হ দেখে ফায়ার ব্রিগেডের অফিসার বলে, আমি তোমাকে বলেছিলাম এর কোন মূল্য নেই। সে মা*রা গেছে।

ছাত্র'টি উত্তর দেয় না স্যার, এটা সত্যিই মূল্যবান ছিল। যখন আমি তার কাছে গেলাম, সে তখনও জীবিত ছিলো - আমার বন্ধু আমাকে দেখে, হাসল এবং তার শেষ কথাটা বলল:

"আমি জানতাম তুমি আসবে"!😭💔

আগামিকাল ১০ ই মুহররম। পবিত্র আশুরার দিন। কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যে চারটা মাসকে সম্মানিত মাস ( আরবাআতুন হুরুম)...
05/07/2025

আগামিকাল ১০ ই মুহররম। পবিত্র আশুরার দিন। কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যে চারটা মাসকে সম্মানিত মাস ( আরবাআতুন হুরুম) হিশেবে আখ্যায়িত করেছেন, মুহররম তার মধ্যে একটা।

মুহররম মাসের সবচেয়ে পবিত্র দিনটা হলো এই মাসের দশম তারিখ তথা আশুরার দিন। সহিহ বুখারির হাদিস থেকে জানা যায়—মুহররম মাসের এই দিনটাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নবি মুসা আলাইহিস সালাম এবং তাঁর উম্মতকে ফিরআউন বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করেছিলেন সমুদ্রে তাদের জন্য পথ তৈরি করার মাধ্যমে। একইভাবে তিনি সেদিন যালিম ফিরআউনকেও ডুবিয়ে মেরেছিলেন সমুদ্রের পানিতে।

মুহররম মাস যেহেতু অত্যন্ত পবিত্র একটা মাস, ফলে এই মাসজুড়ে ব্যাপক আমল ইবাদাত করার আলাদা মর্যাদা রয়েছে।

তবে, এই আশুরার দিন ইসলামের ইতিহাসে ঘটেছে হৃদয়বিদারক কারবালার ঘটনাও। এই দিন যালিমেরা শহিদ করেছিল নবিজির প্রাণাধিক প্রিয় দৌহিত্র হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু ও তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যকে।

আশুরা দুটো কারণে আমাদের ইতিহাসে স্মরণীয়:

১. মুসা আলাইহিস সালাম এবং তাঁর উম্মতের যালিমের হাত হতে মুক্তি এবং ফিরআউনের পতন।

২. হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর শহিদ হওয়ার ঘটনা।

১০ ই মুহররম আল্লাহর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম রেখেছেন। কারণ, মদিনায় এসে তিনি দেখেন যে, এই দিনটায় মদিনার ইহুদিরা সিয়াম রাখত৷ তিনি জিগ্যেস করলেন, ‘তোমরা এই দিন সিয়াম রাখো কেন?’

তারা বলেছিল, ‘এই দিন আমরা সিয়াম রাখি, কারণ এই দিনেই আল্লাহ তাআলা নবি মুসা এবং তাঁর কওমকে উদ্ধার করেছিলেন’।

আল্লাহর রাসুল বললেন, ‘এই দিনে আমরাও সিয়াম রাখব। কারণ নবি মুসা তোমাদের চাইতে আমাদের বেশি আপন’।

তিনি সাহাবিদের আদেশ দিলেন মুহররমের দশ তারিখ সিয়াম রাখতে। তবে, ইহুদিদের সাথে যেন সাদৃশ্য হয়ে না যায়, তাই তিনি দশ তারিখের আগের দিন বা পরেরদিন, একদিন মিলিয়ে বাড়তি আরও একটা সিয়াম রাখার নির্দেশ দেন।

আগামিকাল যেহেতু আশুরার দিন, এই দিন আমাদের সকলের উচিত সিয়াম রাখা। এটা আল্লাহর রাসুলের পালনীয় এবং নির্দেশিত সুন্নাহ।

আমাদের উচিত এই মাসে অধিকবেশি আল্লাহর যিকির, আযকার, দুয়া, দরুদ, তিলাওয়াতে সময় কাটানো৷ নবি মুসা আলাইহিস সালামের জীবনকে কুরআন থেকে জানা এবং বোঝা।

কারবালার ঘটনাও আমাদের উচিত স্ট্যাডি করা। অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এবং সকরুণ এই ঘটনাকে না জানলে, আমরা ইতিহাসের বড় একটা অংশ থেকেই দূরে থেকে যাব।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে মুহররম মাসের মর্যাদাকে বোঝার, আমল করার তাউফিক দিন।

02/07/2025

বিখ্যাত তাবেয়ী সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব এর স্ত্রী বলতেন,
'সালাফদের স্ত্রীগণ তাদের স্বামীদের
এমনভাবে সম্মান করতেন
যেমনিভাবে আমরা রাজা-বাদশাদের সম্মান করি'।
স্বীয় পরিবারকে প্রশান্তিময় করতে
স্বামী স্ত্রী পরস্পরের সাথে সম্মানের সম্পর্ক
গড়ে তুলুন।

27/06/2025

ছয়টি গুনাহ থেকে বাঁচলে জাহান্নাম থেকে প্রায় বাঁচা হয়ে যায়!

অন্তরের তিনটি গুনাহ (গোপন গুনাহ)
১. হাসাদ (হিংসা)
কুরআন:
"তারা যদি তোমার ক্ষতিসাধনে আগ্রহী হয়, তবে আল্লাহই তোমার জন্য যথেষ্ট।"(সূরা আল-ফালাক, ১১৩:৫)
“আমি আশ্রয় নিচ্ছি হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।”

হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,"হিংসা (হাসাদ) নেক আমলকে আগুন যেমন কাঠকে ধ্বংস করে তেমনি ধ্বংস করে দেয়।"(আবু দাউদ: ৪৯০৩)

২. রিয়া (লোক দেখানো আমল)
কুরআন:
“ওইসব লোকদের দুর্ভোগ যারা নামায পড়ে কিন্তু লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে।”(সূরা আল-মাউন, ১০৭:৪-৬)
হাদীস:
নবী (সা.) বলেন, "সবচেয়ে ভয়ানক ছোট শিরক হলো রিয়া।"(মুসনাদ আহমাদ: ২৩৬৩০)

৩. কিবর (অহংকার/গর্ব)
কুরআন:
"আল্লাহ অহংকারকারীদের ভালোবাসেন না।"(সূরা নাহল, ১৬:২৩)
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "যার অন্তরে সরিষা দানার সমান অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।"(সহীহ মুসলিম: ৯১)

মুখের তিনটি গুনাহ (প্রকাশ্য গুনাহ)
১. গীবত (পরনিন্দা)
কুরআন:
“তোমরা একে অন্যের গীবত করো না। কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে?” (সূরা হুজুরাত, ৪৯:১২)
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "গীবত হলো—তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কিছু বলা যা সে অপছন্দ করে।" (সহীহ মুসলিম: ২৫৮৯)

২. মিথ্যা বলা
কুরআন:
"আল্লাহ মিথ্যাবাদী ও গোনাহগারকে পথ দেখান না।"(সূরা আল-মুমিন, ৪০:২৮)
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "মুমিন মিথ্যাবাদী হতে পারে না।"
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক: ১৫৬১)

৩. লানত বা গালমন্দ করা
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "একজন মুমিন গালাগালকারী, লানতকারী, অশ্লীলভাষী বা কুরুচিপূর্ণ কথা বলা ব্যক্তি হতে পারে না।"(তিরমিযী: ১৯৭৭)

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই ৬ টি গুনাহমুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন।

Address

Mirzapur Pourosova, MIRZAPUR
Tangail

Telephone

+8801753155485

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Samiul Siyam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Samiul Siyam:

Share