16/09/2024                                                                            
                                    
                                                                            
                                             #বুরো বাংলাদেশ বা অন্যান্য মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন নাকি করবেন না? #
 দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজ গুলির একটি হলো টাকা দিয়ে টাকা ফেরত আনা আর সেই কাজটাই করে বাংলাদেশের মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান গুলি..তাই এই কাজে প্রতি পদে পদে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে। বুরো বাংলাদেশ এ কর্মসূচী সংগঠক পদে পরীক্ষা দিয়ে যারা নির্বাচিত হবেন তাদের জন্য এই পোস্ট টি।
যারা পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের মধ্যে যারা নির্বাচিত হবেন তাদের ১ মাস বা তার আগে পরে জানাবে,তারপর ট্রেইনিং,১৫ দিন ট্রেইনিং শেষে ১৫০০০ টাকা জামানত নিয়ে এসে HR অফিসে যোগদান এবং সেদিনই কোন শাখায় কত তারিখে আপনার যোগদান করতে হবে সেটা জানিয়ে দিবে।তারপর নির্ধারিত তারিখে এসে যোগদান করবেন, শিক্ষানবিশ কালীন আপনার দায়িত্ব থাকবে শাখার অন্যকর্মীদের সাথে যাওয়া কাজ দেখা কাজ শেখা তবে শাখার কর্মী সংকট থাকলে দ্রুত কাজের দায়িত্ব এসে যাবে।আর বুরো বাংলাদেশে অবিবাহিত হলে বাধ্যতামূলক(ফ্রি)আবাসিকে থাকতে হবে,খাবার খরচ আপনার নিজের আর বুরো বাংলাদেশে কর্মসূচি সংগঠক পদের জন্য কোন মোটরসাইকেল প্রদান করে না  আপনি মোটরসাইকেল নিজে কিনে ব্যবহার করতে পারবেন তবে কোন জ্বালানি খরচ পাবেন না,নিজেকে  তা বহন করতে হবে এবং নিরাপত্তা জনিত কারনে সেই মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটিতে বাড়িতে যাতায়াত করতে পারবেন না, শিক্ষানবিশ বেতন ৩৩৫০০+ আর স্থায়ী করনের পর ৩৮০০০+ পাবেন।
বেতন মাসের ২৮ তারিখে আপনার এ্যাকাউন্টে ডুকে যাবে। 
আর ছুটি.. এক সপ্তাহে শুক্র-শনি খোলা থাকলে পরের সপ্তাহ বন্ধ থাকে তারপরের সপ্তাহে খোলা।যে শুক্র-শনি খোলা থাকে সে দুদিন বিশেষ কর্মসূচি করতে হয়।এছাড়া অন্যান্য ছুটি সরকারি বিধিমতো। 
এবার আসুন কাজে-সকাল ৮ টায় অফিসে উপস্থিত হতে হবে,অফিসের কাজ শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে ১০ টা বা কখনো কখনো ১১ টাও বাজে।তারপর ঘুম আবার সকাল থেকে রিপিট...তাই যারা আসতে চাচ্ছেন বা আসবেন তারা নিজেকে সেইভাবে প্রস্তুত করে নিয়ে আসুন।যদিও আমি একদম নতুন তবে ১০/১২ দিন কাজ করে যা বুঝলাম তাতে মনে হচ্ছে চাকরিটা অবশ্যই করতে পারবো, কারন হাজার হাজার মানুষ করছে,তারা যদি পারে আমি কেন পারবো না।
সর্বোপরি সবার কাছে দোআ চাইছি আমার জন্য আর সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।মনে সাহস রাখুন ধৈর্য তৈরি করুন।অগাধ ধৈর্য না থাকলে কেই এনজিওর চাকরি করতে পারবে না।ধন্যবাদ সবাইকে।
মো:কামরুল হাসান সিফাত
PO,BURO Bangladesh.