
28/04/2025
#সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন
একজন ভারত বিরোধী দেশ প্রেমিক কোন সন্দেহ নেই। জামায়াতে ইসলামী ফেরেস্তা না যে তাদের নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। সমালোচনা থেকেই জামায়াতে ইসলামী শিক্ষা নেয়।
#কয়েকমাস আগে ইলিয়াস হোসাইন ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের কে নিয়েও কথা বলছিলো। আব্দুল্লাহ তাহের তার বক্তব্যের পালটা জবাব দিয়ে ছিলেন, কই ইলিয়াস হোসাইন’তো সেটার সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি। অতএব যেমনি চলতেছে চলতে দিন, জামায়াতে ইসলামী সব সময় সমালোচনার শীর্ষে থাকে। কেও বিপক্ষে কথা বললে খারাপ হয়ে যাবে- বিষয় টা এমন না। সমালোচনা চলবে এটাই জামায়াতের পছন্দ।
#৭১ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী বেশি আলোচিত সমালোচিত।একাত্তরের আগেও জামায়াত ইসলামীকে শারিরিক মানসিক আদর্শিকভাবে আঘাত করা হয়েছে।
#দ্বন্দটা মোটেই ৭১ নিয়ে নয়। যেমন-১৯৬৯ সালে ঢাকার পল্টন ময়দানে মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদূদীর জনসভায় বো*মা মে*রে বেশ কয়েকজনকে হতাহত করেছিল তৎকালীন আওয়ামিলীগ।
#ডাকসুর সাবেক জি এস অধ্যাপক গোলাম আযমকে, জামায়াতে ইসলামী তে যোগ দেওয়ায় ১৯৬৯ ঢাবিতে ঢুকতে দেয় নাই। ঐ সময় তো একাত্তরের চেতনা ছিল না।
#শহীদ আবদুল মালেককে ৭১ এর আগেই খু*ন করা হয়েছিল, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলার কারনে।
#কই তখন তো একাত্তর ছিল না আবার রাজাকারও ছিল না। তাহলে জামায়াতের নেতাকর্মীদের হত্যা করলো কেন? আজকে যারা চেতনার ব্যবসা করেন তারা কি এর উত্তর দিতে পারবেন? পারবেননা- কারন মুল দ্বন্দ্ব ৭১ নয়, দ্বন্দ্ব টা হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম না থাকলে বড় বড় বোতল খাওয়া যায়, টেন্ডারবাজি করা যায়, মা*গী*বাজি করা যায়, দেশের টাকা পাচার করা যায়।
#আবার ইসলামে রাজনীতি নাই, যারা বলেছিল এখন তারা ইসলামের রাজনীতি নিয়ে কাজ করে। তারা তওবা করে প্রথম জামায়াতে ইসলামীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল, কারণ তাদের ফতোয়ার কারণে জামায়াত শিবির আহত হয়েছে, নি*হ*ত হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। আর বেশি কিছু বললাম না।
#জামায়াতে ইসলামী মানুষের সংগঠন ভুল ত্রুটি হতেই পারে। জামায়াতে ইসলামী একমাত্র দল যারা ভুল এবং সমালোচনা থেকে শিক্ষা নেয়। নেতা কর্মীরা ভুল করলে সংশোধনের ব্যবস্থা আছে অথবা সংগঠন থেকে বিদায় নিতে হয়।
#মাওলানা আব্দুর রহিমের সাথে কোন না কোন বিষয়ে জামায়াতের মতপার্থক্য হয়েছিল। তাই তিনি সংগঠন থেকে বিদায় নেন। কিন্তু মাওলানা আব্দুর রহিমের লিখিত ইসলামী সাহিত্য জামায়াতে ইসলামীর সিলেবাসভুক্ত, জামায়াত সেটাকে বাদ দেয় নাই।
বাংলাদেশে মাইনোরিটি নির্যাতনে মুসলমান তথা ইসলামপন্থীরা দায়ী নয়, জামায়াত সন্তোষ শর্মার জবান থেকে বলাতে পেরেছে। যেটা গত ৫৪ বছরে কেউ পারেনি।
আমি নিশ্চিত সন্তোষ শর্মা " র" এজেন্ট। ভারত তাদের এজেন্টের তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। শর্মার বক্তব্যটা রেকর্ড হয়ে থাকবে আমৃত্যু। গত ৫৪ বছর ভারত গেইম খেলেছে যে বাংলাদেশে সংখ্যা লঘুরা নির্যাতিত।
আর ভারতের মিথ্যাচারের সাথে তাল মিলিয়ে বিএনপি আওয়ামিলীগরা ইসলামপন্থীদের কোণঠাসা করে জাতিকে শোষণ করেছে।
ইউটিউবার/সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের জ্ঞানের পরিধি এতটা নয় যে জামায়াতের রাজনীতি বুঝবে।
জামায়াত নয়, জামায়াতের ফাঁদেই শর্মারা আটকে গেছে। শর্মারা আর কখনো উঁচু গলায় বলতে পারবেনা বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের দ্বারা মাইনোরিটি সম্প্রদায় নির্যাতিত ।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কার্ডটি ভারত খেলে তা হচ্ছে তথাকথিত সংখ্যালঘু কার্ড, আর এই খেলা খতম করে দিয়েছেন ভারতেরই একনিষ্ঠ এজেন্ট সন্তোষ শর্মা। সুতরাং, এটা বলাই যায় যে, এটা জামায়াতের একটা স্মার্ট মুভমেন্ট ছিল।
সংগৃহীত পোষ্ট.....