20/04/2024
রাত ১টা বেজে আর আমি এখন লিখতে বসলাম,
গতকাল একটা লিখা আমার চোখের সামনে আসে,
লিখাঃ "যদি আত্মহত্যা বিধাতা বৈধ করতো, বেঁচে যেতো হাজার প্রাণ।"
ছোট্ট একটা লাইক, আসুন এই লাইনের প্রতি একটু দৃষ্টি দেই।
যদি আত্মহত্যা বিধাতা বৈধ করতো, বেঁচে যেতো হাজার প্রাণ। আসলে এখানে বেচে যাওয়া বলতে মৃত্যুকে বুঝিয়েছে। আসলে একটা মানুষ কি ইচ্ছে করে মারা যেতে চায়, বা এগুলা নিয়ে ভাবতে চায়?
চায় না!
এখানে তার পরিবেশ, তার ব্যর্থতা, হতাশা, ক্লান্তি , অর্থনৈতিক অবস্থান নানান কিছু নিয়ে একটা মানুষ যখন পেরে উঠে না তখন সে এমন ভাবনাটা মাথায় চলে আসে।
মানুষ আজ বড় অসহায়।
আচ্ছা এই যান্ত্রিকতার শহরে আপনি কখন যে রিক্সায় উঠে প্রায় অফিসে যান, তার খোজ নিয়েছেন, আপনি কখন তার সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করিয়েন, আপনি কেমন আছেন। আপনি দেখবেন তারা এতটা আন্তরিক যা আপনার কল্পনার বাহিরে।
যারা আমার সাথে রিক্সায় উঠেছেন তারা কিছুটা জানেন।
প্রতিবেশির কথা বা আপনার ঘরের ছেলেটার সাথ কখনো কথা বলেছেন, যে সে চাকুরি না পেয়ে কি ভাবছে, তার কাছে শুনেছেন তিনি কোন কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি ছেলে চায় তার পরিবারের হাল ধরতে কিন্তু সে একটা চাকুরি ম্যানেজ করতে পারতেছে না। বা আপনার ঘরের মেয়েটা যে কিনা ভয় পাচ্ছে ঘরের বাহিরে যেতে, কে কি কমেন্ট করে বসে। তাকে একান্ত সময় দেয়া হয়েছে এই পরিবেশ নিয়ে, তাহলে জানবে কিভাবে।
আমরা আসলে নিজেরা এতো ব্যক্তিকন্দ্রিক হয়ে গেছি আশেপাশের যে আরো মানুষ আছে সেটা আমরা ভুলে গেছি।
মানুষ যখন তার পাশের মানুষের মূল্যায়ন করতে ভুলে গিয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যায়, মানুষ তখন হিংস্র হতে থাকে।
কিছু মানুষ আছে যারা নিজের তথা ফ্যামিলির জন্য, অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে গিয়ে বার বার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে যাচ্ছে। মুখ ফুটে নিজের ব্যার্থতার কথা কাউকে বলতে পারছে না।মানুষের থেকে ঠকে ঠকে এমন পর্যায়ে চলে এসেছে, তারা উপর আল্লাহর কাছে মৃত্যু ভিক্ষা চেয়ে বসেন।
আমি সময় পেলে আমি মুরুব্বিয়ানদের সাথে গিয়ে বসতাম, আমি ছোট বেলাতে দাদা-দাদি নানা-নানি হারিয়েছি। তাদের আদর পাইনি। সেজন্য আমি এই দাদি নানি বয়সের মানুষের সাথে সময় পেলে গল্প করতাম। আসলে তারাও আমাকে যথেষ্ট পছন্দ করতো।
আসলে তারা আমাকে যতটা পছন্দ করেছে এর থেকে বেশি যে ব্যাপারটি কাজ করেছে সেটা হচ্ছে তাদের কেউ একজন সময় দিয়েছে সেটা।
আমি মুরুব্বিয়ান যত জনের সাথে কথা বলেছি তাদের সবার শেষ কথ ছিল।
অপেক্ষায় আছি আল্লাহ মা'বুদ কবে মরন দেয়।
আসলে তারা জীবিত থাকা অবস্থায় মৃত!
এমন অনেক কথা উঠে আসবে!
অভাবসৃষ্ট হতাশা, ব্যর্থতা ও গ্লানির ভার বইতে না পেরে একটা সময় মানুষ আত্মহত্যা করত।
এখন শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে আত্মহননের প্রবণতা বাড়ছে।
আমাদের সবার উচিৎ পাশের মানুষটির সাথে একটু ভাল ব্যবহার করা, যথাসাধ্য সাহায্য করা।
না হলে দেখবো মানুষ মৃত্যুকেই বেঁচে যাওয়া হিসেবে নিচ্ছেন।