07/06/2022
রিযিক একটা প্রশস্থ ও গভির বিষয়।
▪রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।
▪রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।
▪রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান।
▪রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
একজন মানুষ তার সম্পূর্ণ জীবনে কতটা সম্পদ রোজগার করবে সেটা পূর্ব নির্ধারিত, নির্দিষ্ট রয়েছে ঐ ব্যক্তি কতটুকু খাবার বা পানি গ্রহণ করবে। ঠিক তেমনি আমার-আপনার ক্ষেত্রেও। আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটাও লিখিত। এখানে একটি দানাও কম বা বেশি হবার সুযোগ নেই।
তবে এই রিযিক আপনি হালাল উপায়ে আয় করবেন নাকি হারাম উপায়ে সেই সিদ্ধান্ত আপনার। পদ্ধতি যেটাই হোক পরিমাণ একই থাকবে।
- আমি আবার বলছি। আপনার সমগ্র জীবনে রিযিক বাবদ যদি যদি ৫ কোটি টাকা বরাদ্ধ থেকে থাকে তাহলে সেটা আসবেই। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি সেটা হালাল পথে রোজগার করতে চান, নাকি হারাম পথে। আল্লাহু আকবার।
- যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই ৫ কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই ৫ কোটিই... এক ফোটা বেশিও না, কমও না।
- আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে তখনই নির্ধারিত হয়েছে যে, সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি বা কিনেনি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিযিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না! রিযিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।
- রিযিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!
- কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিযিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা'ইলা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!
- কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিযিকের ভাগই খাচ্ছেন।
- আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি, সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্ তা'আলার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি।
■ আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
"দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।"
- (সুরা হুদ : আয়াত ৬)
■ আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ
"যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিযিক দেবেন, যা সে ধারণাও করতে পারবে না।"
- (সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)
তাই, কোনোভাবেই আমরা রিযিকের জন্য হারাম পদ্ধতি বা পথ বেছে নিবো না, ইনশাআল্লাহ।