31/05/2025
ফেসবুকে ঢুকতেই একটা মন খারাপের নিউজ সামনে আসলো। গোপালগঞ্জের মেয়ে দোলনা আক্তার দোলা। রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে এলএলএম অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি মিরপুর-১১ নম্বরে একটি ভবনের পাঁচতলায় সাবলেট থাকতেন। ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে তিনি বরগুনার ওষুধ কোম্পানির কর্মী পাপ্পুকে বিয়ে করেন। পাপ্পু নিয়মিত ঢাকায় এসে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতেন এবং বিশ্বাস করতেন, তারা একটি সুখী দম্পতি।
তবে দোলা ফেসবুকের মাধ্যমে সৌদি প্রবাসী গাউস মিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন, বিয়ের তথ্য গোপন রেখে। গাউস দেশে ফিরে দোলার সঙ্গে কয়েকবার দেখা করেন। কিন্তু ওইদিন স্বামীর উপস্থিতিতে দোলা গাউসের ফোন ধরেন নি। গাউস পূর্বে পাওয়া ঠিকানা অনুযায়ী দোলার বাসায় যান।
তখন দোলা ও পাপ্পু সকালে নাশতা করতে বাহিরে গেলে গাউস তাদেরকে একসাথে দেখতে পান। এরপর অনুসরণ করেন এবং বাসায় ফিরতে দেখেন। তখন তার মনে সন্দেহ হয়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, দোলা আগে থেকেই বিবাহিতা। ক্ষি"প্ত হয়ে গাউস দুটি ছু"রি নিয়ে দোলার বাসায় প্রবেশ করেন এবং দোলা ও পাপ্পুকে কু"পিয়ে হ"ত্যা করেন।
একদিনেই ঝ'রে গেল তিনটি প্রাণ, তার সঙ্গে শেষ হয়ে গেল তিনটি পরিবারের স্বপ্ন। দোলার ছলনা, গাউসের অন্ধ আবেগ, আর এই দুইয়ের মাঝে নিরপরাধ পাপ্পুর শুধু ‘উপস্থিত’ থাকার দায়েই জীবন দিতে হলো। কী নির্মম, কী বেদনাদায়ক!
পাপ্পু নিশ্চয়ই কত স্বপ্ন বুনেছিলেন ভবিষ্যতের জন্য! কত-ই না ভরসা ছিল প্রিয় স্ত্রীর উপর! হয়তো মৃ"ত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে তিনি সব সত্য জেনে গিয়েছিলেন! কে জানে, তখন তার মনে কী ঝড় বয়ে গেছে?
একজন মানুষ যখন কাউকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে, আর সেই বিশ্বাস ভেঙ্গে চুরমার হয়, তখন তার পুরো পৃথিবীটাই অন্ধকার হয়ে যায়। সে আর বাঁচতে চায় না, জীবন তার কাছে অর্থহীন হয়ে পড়ে।
সম্পর্কের মূল হওয়া উচিত সততা আর বিশ্বাসে গাঁথা। পরকী"য়ার মতো অনৈতিক সম্পর্ক শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা পরিবার ও সমাজকে ধ্বং"স করে দেয়। এটি এখন আর শুধু নীতিকথার বিষয় নয়, চাই কঠোর, কার্যকর ও দৃষ্টান্তমূলক আইন।
এই ব্যাধি যদি এখনই রোধ না করা যায়, তাহলে তা একদিন পুরো জাতিকে নৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিবে। পরকী"য়ার বিরুদ্ধে হোক কঠিন আইন, হোক সচেতনতা, যাতে আর কোনো সম্পর্ক ঠ'কে না যায়, প্রা'ণ হারা'তে না হয়।