Md. Shihab Uddin

Md. Shihab Uddin সবুজের পেছনের বিজ্ঞান, উদ্ভিদের জীবন রহস্য , গাছের অজানা কথা আর কৃষির সহজ উপায় – জানুন আমার সাথে! 🌾🌿

আপনার এলাকায় এই ফলটি কি নামে পরিচিত??ফলটির নাম রাউভোলফিয়া টেট্রাফাইলা (Rauvolfia tetraphylla)। এটি সর্পগন্ধা বা ডেভিল-পে...
10/08/2025

আপনার এলাকায় এই ফলটি কি নামে পরিচিত??

ফলটির নাম রাউভোলফিয়া টেট্রাফাইলা (Rauvolfia tetraphylla)। এটি সর্পগন্ধা বা ডেভিল-পেপার নামেও পরিচিত।

বৈশিষ্ট্য:
এটি অ্যাপোসিনেসি (Apocynaceae) পরিবারের একটি উদ্ভিদ।
এটি ঝোপ বা ছোট গাছ হিসেবে জন্মায়।
এই উদ্ভিদটি মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাঞ্চলে স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায়।

09/08/2025

"উদ্ভিদ পরিচিতি" এই প্রতিযোগিতায় আপনিও অংশগ্রহণ করে পুরস্কার জিতে নিতে পারেন এবং আগামী পর্বে আপনিও হতে পারেন উদ্ভিদ পরিচিতি এই মজার গেমের অংশ🌿

09/08/2025

প্রজাপতি এবং ফুলের সম্পর্ক বহু বছরের যা কোন বাধাই আটকাতে পারে না🌸🌸

বাস্তুতন্ত্রে ফুল এবং প্রজাপতি একে অপরের পরিপূরক🌸

ইটের ঘা এ জন্মানো বলেন তো উদ্ভিদটির নাম কি?
08/08/2025

ইটের ঘা এ জন্মানো বলেন তো উদ্ভিদটির নাম কি?

07/08/2025

নব জাগরণ ২.০ 🌸

শহীদ মিনার,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

07/08/2025

শিক্ষা,গবেষণা এবং সংষ্কৃতিতে সমৃদ্ধ

গাজিপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়🌸

গাজিপুর, ঢাকা

জিরো পয়েন্ট গেইটচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়🌸
06/08/2025

জিরো পয়েন্ট গেইট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়🌸

🌿 জৈব কীটনাশক তৈরি করুন ঘরে বসেই!রাসায়নিক কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে ঘরে তৈরি জৈব কীটনাশক ব্যবহার করুন। এগুলো পরিব...
06/08/2025

🌿 জৈব কীটনাশক তৈরি করুন ঘরে বসেই!

রাসায়নিক কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে ঘরে তৈরি জৈব কীটনাশক ব্যবহার করুন। এগুলো পরিবেশবান্ধব, সস্তা এবং ফসলের জন্য নিরাপদ। নিচে ৫টি কার্যকর জৈব কীটনাশকের রেসিপি দেওয়া হলো:

🧄 ১. রসুন-মরিচের স্প্রে
উপকারিতা: পোকামাকড় (থ্রিপস, অ্যাফিড, মাছি) দমন করে।
উপাদান:

রসুনের কোয়া ১০-১২টি
কাঁচা মরিচ ৫-৬টি
পানি ১ লিটার
সাবান কুচি (১ চা চামচ)
প্রস্তুত প্রণালী:
১. রসুন ও মরিচ বেটে পেস্ট তৈরি করুন।
২. পানিতে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিন।
৩. ছেঁকে নিয়ে সাবান কুচি মিশিয়ে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।
৪. স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন।

ব্যবহারবিধি:

আক্রান্ত গাছের পাতার উপরিভাগে সকালে বা সন্ধ্যায় স্প্রে করুন।
৭ দিন পর পর ব্যবহার করুন।
🌿 ২. নিম নির্যাস স্প্রে
উপকারিতা: ফলছিদ্রকারী পোকা, মাকড়সা মাইট, লার্ভা দমন করে।
উপাদান:

তাজা নিম পাতা ৫০০ গ্রাম (বা নিম তেল ২ চা চামচ)
পানি ২ লিটার
প্রস্তুত প্রণালী:
১. নিম পাতা ধুয়ে কুচি করে কেটে নিন।
২. পানিতে সিদ্ধ করে ঘন হওয়া পর্যন্ত ফুটান (২০ মিনিট)।
৩. ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন।
(বিকল্প: নিম তেল পানিতে মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন)

ব্যবহারবিধি:

গাছের সম্পূর্ণ অংশে স্প্রে করুন।
১০ দিন অন্তর ব্যবহার করুন।
🍋 ৩. লেবু-সাবানের স্প্রে
উপকারিতা: অ্যাফিড, সাদা মাছি, ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে।
উপাদান:

লেবুর রস ৪ টেবিল চামচ
তরল সাবান ১ টেবিল চামচ
পানি ১ লিটার
প্রস্তুত প্রণালী:
১. সব উপাদান পানিতে মিশিয়ে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।

ব্যবহারবিধি:

পোকা আক্রান্ত স্থানে সরাসরি স্প্রে করুন।
সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।
🌶️ ৪. মরিচ গুঁড়া স্প্রে
উপকারিতা: তীব্র গন্ধে পোকামাকড় (গুবরে পোকা, পিঁপড়ে) তাড়ায়।
উপাদান:

কাঁচা মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ
রসুন গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
পানি ১ লিটার
প্রস্তুত প্রণালী:
১. সব উপাদান পানিতে মিশিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
২. ছেঁকে নিয়ে স্প্রে বোতলে ভরুন।

ব্যবহারবিধি:

গাছের গোড়া ও পাতায় স্প্রে করুন।
বৃষ্টির পর অবশ্যই ব্যবহার করুন।
🍃 ৫. তুলসী পাতার স্প্রে
উপকারিতা: ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া রোগ প্রতিরোধ করে।
উপাদান:

তাজা তুলসী পাতা ১ মুঠো
পানি ১ লিটার
প্রস্তুত প্রণালী:
১. তুলসী পাতা ধুয়ে পানিতে সিদ্ধ করুন (১০ মিনিট)।
২. ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন।

ব্যবহারবিধি:

রোগাক্রান্ত পাতায় স্প্রে করুন।
৫ দিন পর পর ব্যবহার করুন।

⚠️ সতর্কতা
পরীক্ষামূলক ব্যবহার: প্রথমে ১-২টি গাছে প্রয়োগ করে দেখুন।
সময়: সকাল ৯টার আগে বা সন্ধ্যায় স্প্রে করুন।
সংরক্ষণ: ফ্রিজে রাখলে ৭ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
নিরাপত্তা: চোখে লাগলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাচ্চা ও পোষা প্রাণী থেকে দূরে রাখুন।

💡 উদ্ভাবনী টিপস
আঠা ফাঁদ: হলুদ রঙের কাগজে মধু বা তেল মেখে গাছের পাশে ঝুলিয়ে রাখুন। উড়ন্ত পোকা আটকা পড়বে।
পিঁপড়ে তাড়াতে: গাছের গোড়ায় হলুদ গুঁড়া ও চুন ছিটিয়ে দিন।
মাকড়সা জাল পরিষ্কার: পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে জাল সরিয়ে ফেলুন।

🌾 কৃষক ভাইদের জন্য উৎসাহ
"জৈব কীটনাশক = স্বাস্থ্যকর ফসল + সুরক্ষিত পরিবেশ!
রাসায়নিক ছাড়ুন, ঘরে তৈরি কীটনাশকে ফসল রক্ষা করুন। আপনার উদ্ভাবন আমাদের জানান—কমেন্টে শেয়ার করুন আপনার অভিজ্ঞতা!"

📌 হ্যাশট্যাগ
#জৈব_কীটনাশক #ঘরে_তৈরি_কীটনাশক #কৃষি #বাংলাদেশ #জৈব_কৃষি #কৃষক #পরিবেশ_বান্ধব #সবজি_চা

Adiantum philippense (বাংলা নাম: হাতলপাকড়, বিলাইরহাঁট, বা চুলফেরা – স্থানভেদে বিভিন্ন নাম রয়েছে) একটি আকর্ষণীয় ফার্নজাত...
05/08/2025

Adiantum philippense (বাংলা নাম: হাতলপাকড়, বিলাইরহাঁট, বা চুলফেরা – স্থানভেদে বিভিন্ন নাম রয়েছে) একটি আকর্ষণীয় ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ, যেটি আর্দ্র, ছায়াযুক্ত পরিবেশে জন্মে। নিচে এর পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো:

🌿 পরিচিতি পর্ব:
বৈজ্ঞানিক নাম: Adiantum philippense
পরিবার: Pteridaceae
স্থানীয় নাম: চুলফেরা, হাতলপাকড় (বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন নাম)

বহিঃরূপ (Habit): এটি একটি ছোট আকারের বেলে ফার্ন, যা সাধারণত ছায়াযুক্ত ও আর্দ্র পরিবেশে জন্মে।
বিস্তৃতি: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং অন্যান্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশে পাওয়া যায়।

🌱 বৈশিষ্ট্য ধাপে ধাপে:

১. দেহ গঠন (Morphology):
রাইজোম (Rhizome): সরু ও রঙে গাঢ়, মাটির নিচে প্রসারিত।

পত্র (Fronds): চিরুনি বা হাতের তালুর মতো আকৃতি, চ্যাপ্টা এবং চকচকে।

পিনায় (Pinnae): পাতাগুলো অনেকগুলো খণ্ডে বিভক্ত, যা দেখতে অনেকটা পাখার পালকের মতো।
কাণ্ড (Stipe): কালো রঙের, চকচকে এবং নমনীয়।

২. পত্রবিন্যাস:
পাতা গুলো দুই পাশে সাজানো থাকে এবং মাঝের শিরা থেকে প্রায় সম দূরত্বে বিভক্ত হয়।
পাতাগুলো দেখতে কাচের মতো স্বচ্ছ ও নরম, হাত দিলেই নড়েচড়ে ওঠে।

৩. বংশবৃদ্ধি (Reproduction):
বীজ হয় না, বরং স্পোর (spores)-এর মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে।
পাতার নিচের দিকে sori নামে ক্ষুদ্র গুচ্ছ থাকে, যেখানে স্পোর তৈরি হয়।

৪. বাসস্থান:
ছায়াযুক্ত, আর্দ্র, বনাঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা, জলাশয়ের কিনার বা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় জন্মে।

🌿 উপকারিতা:
ঔষধি গুণ:
প্রাচীন আয়ুর্বেদে এটি কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদির উপশমে ব্যবহৃত হতো।
চুলপড়া রোধে ও মাথার ত্বকে ঠান্ডা ভাব দিতে ব্যবহৃত হয়।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে: শোভাবর্ধক উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে লাগানো হয়।
মাটির ক্ষয়রোধে: এটি ভূমিক্ষয় রোধে সহায়ক হতে পারে যেহেতু এটি জমি আঁকড়ে ধরে রাখতে পারে।

🔍 বিশেষ তথ্য:
"Adiantum" শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ "adiantos" থেকে, যার অর্থ "ভিজে না এমন" – কারণ এই উদ্ভিদের পাতায় পানি পড়লে তা পিছলে যায়, ভিজে না।
এটি পরিবেশবান্ধব ও বায়ু বিশুদ্ধকারী উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত।

04/08/2025

বিলাতি ধনে পাতা, যা বন ধনে বা চাটনী পাতা নামেও পরিচিত, একটি উপকারী ভেষজ উদ্ভিদ। এর পাতা ও কচি ডাঁটা সবজি, সালাদ এবং মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি হজমশক্তি বাড়াতে, পেটের সমস্যা দূর করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বক এবং শরীরের জন্য উপকারী। বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা:

হজমশক্তি বাড়ায়:

বিলাতি ধনে পাতা হজম সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন - পেটে ব্যথা, গ্যাস, এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়ক। এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

বিলাতি ধনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

ত্বকের স্বাস্থ্য:

বিলাতি ধনে পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বককে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখতে এবং ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি:

বিলাতি ধনে পাতায় উপস্থিত লিনালুল নামক একটি উপাদান স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

অন্যান্য উপকারিতা:

বিলাতি ধনে পাতা লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতেও সহায়ক।

ব্যবহারের নিয়ম:

বিলাতি ধনে পাতা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যায়।এটি সবজি, সালাদ, এবং চাটনীতে ব্যবহার করা যায়।এর রস বের করে ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে।গরম জলে ফুটিয়ে পান করা যেতে পারে।

তাসমানিয়ার এক নির্জন বন, রাতের আকাশে তারা ঝলমল করছে, আর চারদিকে কেবল ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর হালকা ঠান্ডা বাতাস। ফটোগ্রাফার...
04/08/2025

তাসমানিয়ার এক নির্জন বন, রাতের আকাশে তারা ঝলমল করছে, আর চারদিকে কেবল ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর হালকা ঠান্ডা বাতাস। ফটোগ্রাফার বেন অলড্রিজ হাতে তার ক্যামেরা আর বিশেষ UV লাইট নিয়ে হাঁটছিলেন, মনে মনে ভাবছিলেন—আজ দিনটা তেমন ভালো গেলো না, বেশি একটা ছবি তোলা হয়নি। আজ যেন দ্রুতই অন্ধকার নেমে এসেছিল। এসব ভাবতে ভাবতে হতাশ হয়ে বনের অন্য অংশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সেসময়ই হঠাৎ তার চোখে পড়ল এক অদ্ভুত দৃশ্য। ঝোপের ভেতরে যেন হালকা সবুজাভ আলো ঝলমল করছে। প্রথমে তিনি ভাবলেন হয়তো কোনো জোনাকি পোকা, কিন্তু আলোটা অনেক বড় আর স্থির। ধীরে ধীরে ক্যামেরা ফোকাস করতেই দেখা গেল—একটি পূর্বাঞ্চলীয় কোয়াল, তাসমানিয়ার ছোট্ট মাংসাশী প্রাণী, তার পুরো শরীর যেন অদ্ভুত এক নরম জ্যোতিতে ভেসে উঠেছে! যেখানে তার লোম সাধারণত বাদামি বা কালো রঙের হয়, সেখানে এখন মনে হচ্ছিল যেন কোনো স্বর্গীয় আলো ছড়াচ্ছে প্রাণীটি। বেন নিঃশব্দে শ্বাস আটকে ক্যামেরার শাটার চাপলেন। সেই সাথে বন্য পরিবেশে প্রথম ‘অন্ধকারে জ্বলতে থাকা’ মার্সুপিয়ালের ছবি ধারণ করে ফেললেন ক্যামেরায়। নতুন এক ইতিহাস গড়লেন।ছোট্ট এই ঘটনাটি শুধু সুন্দরই নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। কোয়ালের এই জ্বলজ্বলে লোমকে বলে বায়োফ্লুরোসেন্স।

বায়োফ্লুরোসেন্স একটি বিস্ময়কর প্রাকৃতিক ঘটনা, যেখানে কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদের শরীর নির্দিষ্ট আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে এবং তা অন্য রঙে প্রতিফলিত করে। সহজভাবে বললে, কিছু প্রাণীর শরীরে বিশেষ ধরনের প্রোটিন বা রাসায়নিক অণু থাকে, যেগুলো অতিবেগুনি (UV) বা নীল আলো শোষণ করে এবং পরে সেই আলোকে সবুজ, নীল, কমলা বা গোলাপি রঙে প্রকাশ করে। এই ঘটনাকে সাধারণত চোখে দেখা যায় না, বরং বিশেষ আলোয় বা ক্যামেরার সাহায্যে ধরা যায়।

কিন্তু বায়োফ্লুরোসেন্স কেন তৈরি হয়, সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব হলো এটি প্রাণীদের যোগাযোগের একটি পদ্ধতি। অন্ধকারে নিশাচর প্রাণীরা সাধারণত চোখে না পড়ে চলাফেরা করে, কিন্তু UV আলোয় তাদের শরীরের জ্যোতি হয়তো একে অপরকে চিনতে সাহায্য করে। এই আলো সঙ্গী আকর্ষণ বা প্রজনন সংকেতের কাজও করতে পারে। যেমন, কিছু মাছ এবং প্রবাল রাতের বেলায় বায়োফ্লুরোসেন্ট হয়ে নিজেদের উপস্থিতি প্রকাশ করে। অন্যদিকে, কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে এই জ্যোতি আত্মরক্ষার কৌশল হতে পারে। অদ্ভুত আলোর প্রভাবে শিকারি প্রাণী বিভ্রান্ত হতে পারে অথবা তারা পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।

এছাড়াও, বিজ্ঞানীরা মনে করেন বায়োফ্লুরোসেন্স পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি অভিযোজনও হতে পারে। রাতের অন্ধকারে বা গভীর সমুদ্রের মতো পরিবেশে আলোর অভাব থাকে। সেখানে এমন আলো শোষণ ও প্রতিফলনের মাধ্যমে প্রাণীরা নিজেদের চারপাশ বুঝতে পারে বা সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে এটি শরীরের প্রাকৃতিক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলাফল মাত্র। যেমন, প্রবাল বা কিছু জেলিফিশের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে Green Fluorescent Protein (GFP) থাকে, যা সূর্যালোক বা UV আলো শোষণ করে সবুজ আলো ছড়ায়।
এখন পর্যন্ত যেসব প্রাণীর মধ্যে বায়োফ্লুরোসেন্স দেখা গেছে তার মধ্যে রয়েছে মেরুভালুক, মোল, জেব্রা, ওম্ব্যাট, আর্মাডিলো, উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি এবং তাসমানিয়ার কোয়াল। শুধু স্তন্যপায়ী নয়, প্রবাল, কিছু প্রজাতির মাছ, কচ্ছপ, ব্যাঙ, পোকা, মাকড়সা, এমনকি কিছু পাখিও বায়োফ্লুরোসেন্ট। প্রতিটি প্রাণী আলাদা রঙে ঝলমল করে ওঠে। যেমন, সাগরের গভীরে পাওয়া কিছু হাঙর সবুজাভ আলো ছড়ায়, আবার প্যারাকিট নামের একধরনের পাখি UV আলোয় ডানায় উজ্জ্বল নকশা প্রকাশ করে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, বায়োফ্লুরোসেন্সের সঠিক উদ্দেশ্য হয়তো একাধিক। এটা একদিকে প্রজনন, যোগাযোগ ও আত্মরক্ষার কাজে লাগে, আবার অন্যদিকে হয়তো কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়াই শুধু শরীরের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ঘটে। এই রহস্য উন্মোচনের জন্য গবেষকরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। হয়তো আগামী কয়েক বছরে আমরা জানব, এই প্রাকৃতিক জ্যোতি আসলে প্রাণীজগতে কী গভীর বার্তা বহন করে।

তাসমানিয়া কোয়ালের এই ছবি তোলার পর বেন অলড্রিজ মজার ছলে বলেছেন, “হয়তো ওরা নিজেদের শরীরে আলো উৎপন্ন করে পার্টি করে!” বেন অলড্রিজের তোলা এই অসাধারণ ছবিটি ২০২৫ সালের Beaker Street Science Photography Prize-এর জন্য জমা দেওয়া হয়েছে এবং আগস্ট ৬ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত তাসমানিয়ান মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে। সেখানে দর্শকরা নিজের পছন্দের ছবির জন্য ভোট দিতে পারবেন।

মূল লেখা: রাজেশ মজুমদার, বিসিবি।

"গুটি কলম পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি"গুটি কলম পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি (Air Layering or Marcotting) হলো একটি অলৌকিক ...
03/08/2025

"গুটি কলম পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি"

গুটি কলম পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি (Air Layering or Marcotting) হলো একটি অলৌকিক (asexual) প্রজনন পদ্ধতি, যেখানে মূল উদ্ভিদের একটি ডালকে মাটিতে না পুঁতেই নতুন গাছ তৈরি করা হয়। এটি মূলত কলমের একটি ধরণ, যা ফলজ গাছ ও কিছু শৌখিন গাছের বংশবৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়।
নিচে ধাপে ধাপে গুটি কলম পদ্ধতি আলোচনা করা হলো—

✅ ধাপ ১: উপযুক্ত গাছ ও ডাল নির্বাচন

স্বাস্থ্যবান, রোগমুক্ত ও পুষ্ট গাছ বেছে নিতে হবে।
এক থেকে দেড় বছর বয়সী, সবল, সরু ও সোজা ডাল নির্বাচন করতে হবে।
ডালটি মাটি থেকে ১-২ ফুট উচ্চতায় থাকা ভালো।

✅ ধাপ ২: বাকল ছড়ানো (Girdling)

নির্বাচিত ডালের চারদিকে ১.৫–২ ইঞ্চি জায়গা পরিষ্কার করে বাকল তুলে ফেলতে হবে।
নিচে ও উপরে কাটার মাধ্যমে একটি রিং তৈরি করে মাঝখানের ছাল তুলে ফেলা হয়।
ভেতরের কাঠি যেন অক্ষত থাকে, কিন্তু ছাল যেন ভালোভাবে উঠে যায়।

✅ ধাপ ৩: গুটির জন্য মিডিয়া বা মিশ্রণ তৈরি

সাধারণত ভিজা কচি নারিকেলের ছোবড়া, কঁচি মাটি, ভিজা কোয়ারা মাটি বা কম্পোস্ট ব্যবহার করা হয়।
এটি আর্দ্র ও হালকা হতে হবে, যাতে শিকড় সহজে গজায়।

✅ ধাপ ৪: গুটির তৈরি ও মোড়ানো

ছাল তোলা অংশের উপর চারদিকে প্রস্তুত মাটি বা মিডিয়া জড়িয়ে দিতে হবে।
এরপর এটি একটি পলিথিন বা কলা পাতায় মুড়ে দিতে হবে।
পলিথিনের দুই পাশে সুতা বা রবার ব্যান্ড দিয়ে ভালোভাবে বেঁধে দিতে হবে যেন পানি বের না হয়।

✅ ধাপ ৫: শিকড় গজানো পর্যন্ত অপেক্ষা

গুটি মোড়ানোর ৩০–৬০ দিনের মধ্যে (প্রজাতিভেদে সময় ভিন্ন) শিকড় গজাতে শুরু করে।
নিয়মিত পানি দিয়ে আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
স্বচ্ছ পলিথিন ব্যবহার করলে শিকড় দেখা সহজ হয়।

✅ ধাপ ৬: ডাল কাটা ও রোপণ

শিকড় গজানোর পর ডালটি গাছ থেকে সাবধানে কেটে আলাদা করতে হবে।
কাটার নিচে কিছু সেঁধানো মাটি রাখতে হবে যাতে শিকড় না ভেঙে যায়।
এরপর গাছটি পলিব্যাগ বা মাটির টবে রোপণ করতে হবে এবং ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে।

✅ ধাপ ৭: পরিচর্যা

পর্যাপ্ত পানি, আলো এবং সার দিয়ে নতুন গাছটিকে সুস্থভাবে বড় করতে হবে।
শুরুতে المب direkte সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে হয়।

🌿 উপকারিতা

গুটি কলমে গাছটি মা গাছের অনুরূপ হয় (True to Type)।
ফল ধরতে সময় কম লাগে।
টিস্যু কালচারের তুলনায় খরচ কম।
কোনো বিশেষ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই।

🌱 যেসব গাছে বেশি ব্যবহার হয়:

আম, লিচু, জামরুল, পেয়ারা, কদবেল, গোলাপ, বাগানবিলাস, গন্ধরাজ ইত্যাদি।

Address

University Of Chittagong
Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Md. Shihab Uddin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share