26/07/2022
গল্প: অভিশপ্ত বাসর রাত!
লেখা:শেখ মোঃ আতিক হাসান
পর্ব-২য়
সাবিহা একসময় হাত দিয়ে দেখল ওর চোখের পানিতে সোফার
কুশন ভিজে গেছে, ওপাশ ভয়ে ভয়ে ফিরে দেখল আরিয়ান
খাটে উলটো হয়ে ঘুমিয়ে আছে পুরো বিছানা জুড়ে।
লোকটার উপর ওর রাগ ক্রমশ বাড়ছে তারথেকে রাগ হচ্ছে ওর
স্যারের উপর। সে জেনেশুনে কিভাবে ওকে ওর হাতে
তুলে দিল। এখন ওর কি হবে, মা বাবাকে কি বলবে? তাদের কত
স্বপ্ন ওকে নিয়ে, ওর নিজের কত স্বপ্ন ওর ছোট একটা সংসার
হবে, বাচ্চাকাচ্চা হবে, সারাদিন কাজ সেরে রাতে স্বামীর বুকে
মাথা এলিয়ে ঘুমাবে, হসপিটালের গল্প বলবে, কোন রূগী কি
বলছে তা বলবে, তার উপর ডাক্তারি করবে আরও কত কি,ওর সব
ভালবাসা, ওর দেহ মন সব রেখে ছিল ওর স্বামীর জন্য কিন্তু
আজ একটা রাতের মধ্যে কি থেকে কি হল!!!!
এসব ভাবতে
ভাবতে ও কখন ঘুমিয়ে পরছিল নিজেই জানে না। . সকালে ঘুম
ভাঙল একটা গম্ভীর আওয়াজে, চোখ খুলে দেখল আরিয়ান
তাকিয়ে আছে আর ওকে ডাকছে। ও ধরফর করে উঠে
বসতেই আহ্ করে উঠল, সোফায় ঘুমানোর জন্য পুরো
শরীর ব্যাথা হয়ে আছে। আরিয়ান দেখেও না দেখার ভান
করে আরেকদিকে ফিরে বলল -নাস্তার টেবিলে যাও, সবাই
অপেক্ষা করছে। এই হুকুম শুনে রাগে ওর পুরো শরীরে
আগুন লেগে গেল কিছু বলতে যাবে তখনি ওর জাল এল। . -সাবিহা
এখনও উঠো নি?? একি তুমি সোফায়? তখন ভাবি আর কিছু বলল না
মনে হয় কিছু একটা আঁচ করেছে, বলল -ফ্রেশ হয়ে খেতে
আস, তারপর তোমার হাতে আজ রান্না করাব দেখব আমার
ডা.দেবরানী কি কি রান্না করে খাওয়ায়। . ওদিকে আরিয়ান এরই মন
খুবই খারাপ। কি হতে কি হচ্ছে আসলে ও তো এমনটা চায় নি।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতেছিল। চাচার আবদারেই এই মেয়েটাকে
বিয়ে করেছে নইলে ও কখনই চায় নি মিম এর পর ওর লাইফে
কেউ আসুক, ও ওর ভালবাসা নিয়েই একা একা থাকতে চেয়েছিল
থাকনা মিম আজ অন্য জায়গায় সুখি, একটা অভিমান নিয়েই ও বাচঁতে
চাইছিল। দীর্ঘ ৪/৫টা বছর ও এমন ভাবে আছে। ও তো লাইফটা
কবেই শেষ করত যদি না ওর মা বাবা বেঁচে না থাকত। দিনের পর
দিন ও ভিতরে আর বাহিরে কঠিন থেকে কঠিন হইছে এখন আর
কোন মেয়ে জাতিয় অনূভুতি ওকে স্পর্শ করে না হয়ত এটা
সহজে পারছে ওর প্রফেশন এর জন্যই, যেখানে সব কিছু
সিরিয়াস। আর ও চাইতই মিমকে ভুলতে দিন রাত ব্যস্ত থাকতে আর
যে জবে আছে এতে চাইলেই যে কেউ দিন রাত কাজের
মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে পারে তো তেমন কষ্ট হত না কিন্তু রাতটা
ছিল অসহ্য ওর জন্য। অনেক বিয়েই ও ইচ্ছে করে ভাঙছে
ক