01/11/2025
ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ আওয়ামীলীগের আমলের এক “লাকি প্লেয়ার” ছিলেন। মুখে আগুন, পেছনে শেখ পরিবারের আশীর্বাদ তাই যতই আওয়ামী লীগের সমালোচনা করতেন, বাস্তবে তেমন কিছুই হতো না। মানুষ রসিকতা করে বলতো, “শ্বশুরবাড়ির সিল মেরে দেওয়া, পার্থ সাহেবের হুংকারের লাইসেন্স আছে!”
আওয়ামী লীগের সুসময়ে এমন অনেকেই আত্মীয় কোটার রাজনীতি করেছেন। কেউ কেউ এমন গলা ছেড়ে চিৎকার দিতেন, মনে হতো মাইক ভেঙে যাবে। কিন্তু ভয় ছিল না, শ্বশুরবাড়ির ছায়া তখন নিরাপত্তার চাদর হয়ে মাথার ওপর। শেখ হেলালের জামাই কোটায় তখন রাজনৈতিক “ইমিউনিটি” মিলতো বিনা মূল্যে।
কিন্তু সময় বড়ই নিষ্ঠুর। এখন সেই “পাওয়ার পাসপোর্ট” মেয়াদোত্তীর্ণ। হুংকারে এখন কেউ ভয় পায় না, বরং উল্টো প্রতিক্রিয়া আসে দ্রুত। ভোলার সাম্প্রতিক ঘটনাই তা প্রমাণ করেছে। যে মাঠে আগে মাইকে চলতো কাজ, এখন সেখানে আওয়াজের বিপরীতে চলে মাইরের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়ার ঝড়।
ভোলার মানুষও এখন অনেক সচেতন। কে কখন সুবিধাভোগী, কে আবার সময় বুঝে হুংকার ছাড়ে, আত্মীয় কোটার সুবিধাভোগী কারা সব তারা চোখে দেখে, মনে রাখে। রাজনীতিতে মুখের জোর এখন কম দামী; জনগণের আস্থা আর দায়িত্ববোধই প্রকৃত শক্তি। পার্থ সাহেবদের হুংকারের যুগ তাই আপাতত ইতিহাস।
✍️ সাদির হোসেন রাহিম
সাবেক সাধারণ সম্পাদক,
তজুমদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটি
#ভোলা #পার্থ