
21/05/2025
জুলাই আন্দোলনে যে ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে রামপুরা,যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুরে ছাত্রদের উপর ১২৪০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। তারা কে কোথায় আছেন? খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ৭.৬২ ক্যালিবার চায়নার তৈরী প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে গুলির নির্দেশদাতা সবাই ৫ আগস্টের পরে ভালো পোষ্টিং পেয়েছেন।
১. অমিত কুমার সাহা। তার নির্দেশে রামপুরা টিভি ভবন এলালকায় ছাত্রদের ১৫৩ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী তাকে বরিশাল বিভাগে বদলী করা হয়। কিন্তু ২ মাসের মধ্যে সেখান থেকে তিনি খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হোন।
২. সোনিয়া হোসেন জিসান। তার নির্দেশে রামপুরায় ছাত্রদের উপর ২৭৪ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী তাকে বরিশালে বদলি করা হয়। কিন্তু ১ মাসের মাথায় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেপুটি কালেক্টর রেভিনিউ পদে বসেন।
৩. মো.মেহেদী হাসান। তার নির্দেশে মোহাম্মদপুরে ছাত্রদের উপর অন্তত ৮০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। গত ২৮ অক্টোবর তাকে রাজশাহী বদলি করা হয়। সেখান থেকে ২০ মার্চ তাকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়। তবে ১৩ মার্চ তাকে পায়না সমুদ্র বন্দরের এস্টেট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
৪. শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তার নির্দেশে রামপুরায় ছাত্রদের উপর ১০৪ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের রিট শাখায় কর্মরত আছেন।
৫. সায়েম ইমরান। তার নির্দেশে রামপুরায় ছাত্রদের উপর ২৭৯ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভূমি হিসেবে কর্মরত আছেন।
৬. মো. জাকির হোসেন। তার নির্দেশে রামপুরায় ছাত্রদের উপর ৩১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। ধানমন্ডি সার্কেল থেকে সহকারি কমিশনার ভূমি ডেমরা রাজস্ব সার্কেলে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই কর্মরত আছেন।
৭. উজ্জল কুমার হালদার। তার নির্দেশে ছাত্রদের উপর ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। গত ২৫ নভেম্বর তাকে রংপুরে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
বি:দ্র: চায়না রাইফেল ৭.৬২ ক্যালিবার অস্ত্র। যা শতভাগ প্রাণঘাতী। তাদের নির্দেশে বিজিবির সদস্যরা রামপুরা, যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুর এলাকায় এই গুলি ছোড়েন। চায়না রাইফেলের গুলিতে কি হতে পারে।