
04/06/2025
🤑 ২০ টাকার নোটে মন্দিরের ছবি: ইমানের এ.সি. সেন্সর চালু হয়েছে!
দেশে এক নতুন ফিতনা দেখা দিয়েছে—
না না, ঘুষ-দুর্নীতি না...
২০ টাকার নোটে মন্দিরের ছবি!!
ইমান কাঁপছে, বুক ধুকপুক করছে, কেউ কেউ তো নোট দেখেই অজু ভেঙে ফেলছে! 🙈
🔍 ভাবলাম, কুরআন-হাদিস খুলে দেখি –
"নোটে মন্দির থাকলে নামাজ ভঙ্গ হয় কিনা?"
কি আশ্চর্য! কোথাও তো পেলাম না!
হাদিসে আছে প্রাণীর ছবি সম্পর্কে সতর্কতা,
কিন্তু নোটে স্থাপত্য? – সাইলেন্ট মুডে! 😶
তবুও আমাদের কিছু ভাইয়ের ইমান এতো সেন্সিটিভ –
পকেটে নোট রাখলে অজু তো দূরের কথা, মনে হয় রুকু-সিজদাও ইনভ্যালিড হয়ে যায়!
ভাইয়েরা রীতিমতো ফতোয়া দিয়েই বসে গেলেন:
➡️ “এই নোট পকেটে থাকলে নামাজ হারাম!!” 😤
হায়! যদি ইমান এমন ছবিভিত্তিক হতো, তাহলে তো ঈমানদারির শর্ত হতো—“সেলফি মুক্ত জীবন”! 📸
🤣 অথচ এতদিন ধরে আমরা
→ মুজিবের ছবিওয়ালা টাকা নিয়ে ওয়াশরুমে গেছি,
→ ঐ টাকাতেই সিগারেট কিনেছি,
→ এক টাকা ব্যাঙ খাই, পাঁচ টাকায় ঘুষ দিই—
তখন কারো ইমান গড়াগড়ি খায়নি!
কারণ? তখন তো প্রশ্ন করলে ধারা ৫৭-এর মামলায় ঠাঁই হতো!
“চুপ! রাষ্ট্রপিতা!”—এই আওয়াজেই তখন ইমান চুপসে যেত। 🙃
কিন্তু এখন?
২০ টাকার মন্দির দেখে, হঠাৎই অনেকে “মুফতি অফ ফেসবুক” হয়ে গেছেন!
এখন নতুন ট্রেন্ড হতে পারে:
ভাই, নামাজ তো পড়তাম, কিন্তু আজকাল পকেটে বিশ টাকার নোট... তাতে মন্দিরের ছবি। এখন কইয়া বলেন, কিভাবে নামাজ পড়ি?” 😩
কেউ কেউ তো নোট রাখার আগে তার উপরে চাপ দিয়ে বলছে:
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"—এইবার ঠিক আছে!" 😑
� বাস্তবতা:
ইমান যদি এত ঠুনকো হয়, যে একটা ছবিই তাকে নাড়া দেয়—
তাহলে সেই ইমান আসলে কিসের?
নোটের ডিজাইন না বদলালে কি ইবাদত হয় না?
আসুন ভাই ও বোনেরা,
ইমানকে বানাই জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে,
টাকায় থাকা ছবির উপর না!
ইসলাম ফটোসেন্সিটিভ ধর্ম নয় – এটা যুক্তি, দলিল ও হিকমাতের ধর্ম।
আর ব্যালেন্সে থাকুন, ব্যালান্স নষ্ট করলেই রোজার মতো সওয়াবও চলে যেতে পারে… 😉