19/04/2025
খালিদ নামের এক মুসলিম একনিষ্ঠ ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর জীবন ছিল বিশ্বাস আর সততার প্রতিচ্ছবি। তিনি শুধু পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজই আদায় করতেন না, বরং গভীর রাতে জেগে তাহাজ্জুদের নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। নির্জনে, নীরব পরিবেশে তিনি মহান আল্লাহর কাছে নিজের মনের কথা বলতেন, কান্নাকাটি করতেন। তাঁর দু’চোখের অশ্রুতে রাতের নীরবতাও যেন ভেঙে যেত।
খালিদ ছিলেন একজন সৎ ও দয়ালু মানুষ। কারও দুঃখে তিনি যেমন ব্যথিত হতেন, তেমনই সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। প্রতিবেশীর বিপদে তিনি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি এগিয়ে আসতেন। ছোট-বড় সকলের প্রতি তাঁর ছিল অগাধ ভালোবাসা ও সম্মান।
একবার, তাদের গ্রামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিল। বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেল। সেই কঠিন সময়ে খালিদ নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়েও বন্যার্তদের সাহায্য করতে লাগলেন। তিনি নিজের খাবার ও কাপড় তাদের মাঝে বিলিয়ে দিলেন, আশ্রয়হীনদের জন্য নিজের বাড়ির দরজা খুলে দিলেন। দিনের পর দিন তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের পাশে ছিলেন।
অনেকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করত, এত কষ্ট তিনি কিভাবে সহ্য করছেন। উত্তরে খালিদ বলতেন, "আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এইটুকু কষ্ট কিছুই না। আমার রব তো আমাকে আরও বেশি ভালোবাসেন।"
খালিদের এই নিঃস্বার্থ সেবা আর গভীর বিশ্বাস দেখে গ্রামের অনেকেই অনুপ্রাণিত হলো। তাদের মনেও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও মানুষের প্রতি সহানুভূতির বীজ অঙ্কুরিত হলো। ধীরে ধীরে পুরো গ্রাম একটি ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হলো, যেখানে সকলে একে অপরের সুখে-দুঃখে পাশে থাকত।
খালিদ তার দীর্ঘ জীবনে কখনও আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর প্রতিটি কাজ ছিল ইবাদতের শামিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের সেবা করাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।
একদিন, বার্ধক্যজনিত কারণে খালিদ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। গ্রামের সকলে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালো। তারা তাদের প্রিয় মানুষটির সেবা করতে লাগল। যখন তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় এলো, তখন তাঁর মুখে ছিল এক প্রশান্তির হাসি। মনে হচ্ছিল, বহু রাতের মোনাজাত আর মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান তিনি যেন পেয়েছেন।
খালিদের জীবন একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন, কিভাবে একজন মানুষ গভীর বিশ্বাস, সততা, দয়া ও পরোপকারের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে এবং একইসাথে সমাজের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তাঁর গল্প আজও মানুষের হৃদয়ে গাঁথা আছে, যা তাদের সৎ পথে চলতে ও অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে উৎসাহিত করে।
All Credit goes to AI