23/11/2025
যারাই ভূমিকম্পের আশংকায় ভয় পাচ্ছেন আসেন কিছু আমল করি নিরাপদ থাকবেন ইনশাআল্লাহ ।
প্রথমেই সমস্ত গুনাহের জন্য খাস করে
আল্লাহর কাছে মাফ চাইবেন।
গুনাহ হতে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে খুব।
আল্লাহ যেন মাফ করে দেন এবং
নিজেকে ও আপনজনদের হেদায়াত দেন এজন্য দুয়া করবেন প্রতিদিন ই।
মৃত্যু যখনি হবে ঈমানের সাথে ইজ্জতের সাথে যেন উত্তম মৃত্যু নসীব হয় সেই দুয়াও নিয়মিত করবেন।
আপনি যত গুনাহগার ই হন না কেন
হেদায়াত চেয়ে অন্তত দুয়া তো করতে
পারেন। প্রতিনিয়ত এতশত ভুলত্রুটি গুনাহের
জন্য অনুতপ্ত হন প্লিজ
এবং আল্লাহর কাছে মাফ চান যত পারেন।
💥 আপনি নিজে যত গুনাহ ই করেন না কেন গানবাদ্য মিউজিক করা বা শুনা বা গায়ক-গায়িকা, নর্তকী হওয়া ইত্যাদি যে হারাম সেটা ভুলে যাবেন না বা অস্বীকার করবেন না।
সমকামিতার মত জঘন্যতম গুনাহের
সাপোর্টার হবেন না।
এটা প্লিজ মনে রাখুন যে, গুনাহকে গুনাহ হিসেবে না ভাবা বা উলটা এসবের সাফাই গাওয়া অনেক মারাত্মক ব্যাপার যার কোন কোনটা ঈমান হারানোর কারণ বনে যায়। ঈমানহারা হয়ে মৃত্যুকে এবং গুনাহে রত হয়ে মৃত্যুকে সবচেয়ে ভয় পাওয়া উচিত। অবস্থা যাই হোক আর যত গুনাহগার ই হন না কেন প্লিজ অন্তত 'ঈমান আকিদা' ঠিক রাখার চেষ্টা করুন আজীবন।
▪️দ্বিতীয়ত - দান সদকা করবেন যত পারেন এখন যে যার সাধ্যমত। কস্টে দারিদ্রে থাকা মানুষদের যেভাবে পারেন উপকার করুন।
আমরা তো সম্পদ নিয়ে কবরে যাবোনা কিন্তু সম্পদ কবরে আখেরাতে অনেক উপকারে আসতে পারে যদি সেটা আমরা দান সদকা করে পরকালের একাউন্টে জমা করতে পারি।
দানের ফায়দা সাওয়াব অনেক অনেক তাছাড়া হাদীস হতে জানা যায়, গোপনে দান আল্লাহর ক্রোধ নির্বাপিত করে।
দান সদকা করে এর উসিলা দিয়েও নিজেদের নিরাপত্তা ও বিপদ আপদ থেকে হেফাজতের দুয়া করতে পারেন এবং নিজেদের হেদায়াত এর জন্যেও দুয়া করবেন প্লিজ।
ঈমানের পর হেদায়াত পাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। দুনিয়া তো তেমন কিছুইনা এখানে মৃত্যু আসবেই! কল্পনাতীত কঠিন ও দীর্ঘস্থায়ী জীবনের শুরু তো মৃত্যু থেকেই হবে। 💔
তাই মৃত্যুর আগেই নিজের ঈমান আমল ঠিক করা সবচেয়ে দরকারী।
▪️তৃতীয়ত - সকাল সন্ধ্যায় তিন কুল
অর্থাৎ সূরা ইখলাস, ফালাক্ক, নাস
পড়বেন তিনবার করে।
রাতে ঘুমের আগেও তিনবার পড়ে হাতের তালুতে ফু দিয়ে হাত যথাসাধ্য শরীরে বুলাবেন এবং এভাবে তিনবার পড়বেন।
রাতে পারলে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বেন অবশ্য ই।
বাচ্চাদেরকে পড়ে ফু দিতে পারেন।
'হিসনুল মুসলিম' বা 'মুসলিম বাংলা' এপ্সেই এসব আছে।
বিশেষ করে এই দুয়া সবাই মুখস্থ করে
সকাল সন্ধ্যা ৩ বার পড়বেন অবশ্য ই।
بِسْمِ اللّٰهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْاَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاۤءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
(অর্থ -আল্লাহ্র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী)
হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি সকালে তিনবার এবং বিকালে তিনবার এটি বলবে, কোনো কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। [আবূ দাউদ, ৪/৩২৩, নং ৫০৮৮; তিরমিযী, ৫/৪৬৫, নং ৩৩৮৮]
© ( হিসনুল মুসলিম )
[সূরা দুয়া জিকিরের উচ্চারণ সহিহভাবে
শিখবেন অবশ্য ই। বাংলা উচ্চারণ দেখে পড়লে উচ্চারণ ঠিক হবেনা কখনো।
প্রয়োজনে এপ্স হতেই উচ্চারণ শুনে নিবেন।]
আমি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সহজ ও মোটামুটি সবাই করতে পারবেন বা শিখতে পারবেন এমন আমল দুয়াই লিখেছি শুধু এবং সকাল সন্ধ্যায় রাতে এই হেফাজতের আমল গুলা ঠিকমত করতে পারলেও আল্লাহ অবশ্য ই হেফাজত করবেন এই প্রবল বিশ্বাস ভরসা রাখবেন। 🍀
আরেকটা আমল বলি কুরআন পড়া
শুদ্ধ হলে পরপর তিনদিন ঘরে পুরো সূরা
বাকারা পড়ুন। সময় লাগলেও বিপদ আপদ মুসীবত ও জ্বীন শয়ত্বান দূর হতে অনেক ফায়দাজনক আমল।
▪️চতুর্থত - কাজের মাঝেই বা অবসরেও যত পারা যায় ইস্তেগফার (অর্থাৎ আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া) করুন। 'আস্তাগফিরুল্ল-হ'
বা 'আল্ল-হুম্মাগ ফিরলি' ই পড়ুন।
ইস্তেগফারকারীকে আল্লাহ আযাব দিবেন না এমনটা কুরআন হতে জানা যায় তাই
আশা করাই যায় মনে অনুতপ্ততা রেখে ইস্তেগফারে রত থাকা অবস্থায় ইনশাআল্লাহ ভূমিকম্প বা অন্য কোন আযাবে পতিত হতে হবেনা।
বিপদ এসেই গেলে দুয়া ইউনুস
পড়ে পড়ে দুয়া করবেন।
সব গুনাহ হতে মাফ চাইবেন।
দরুদ পড়বেন আল্লাহ রহমত
নাজিল করবেন এই আশায়।
মৃত্যু আসছে মনে হলে কালিমা পড়বেন এটাই শেষ কথা হলে আল্লাহ মাফ করে জান্নাত দিয়ে দিবেন এই আশায়।
আল্লাহ ছাড়া আমাদের কোন সাহায্যকারী নাই।
আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক।
আল্লাহর মত কোন অভিভাবক নাই।
আল্লাহ যদি হেফাজত করেন তাইলে ক্ষতি করার ক্ষমতাও কারো নাই।
-Jumana
©একজন মুসলিম নারী
▪️উপকারী মনে হলে অনুরোধ থাকবে কপি করে পোস্ট দিন বা মেনশন দিয়ে বা মেসেজ করে অন্যদের পড়তে দিন।