28/06/2025
#ইসলামী #রাষ্ট্রব্যবস্থা: #একটি #ফরজ #বাস্তবতা – #উম্মাহ #জেগে #ওঠো
হে মুসলমান, এখন আর চুপ থাকার সময় নয়। নীরবতা এখন পাপ। চেতনার পরিবর্তে ঘুমিয়ে থাকা এখন আত্মঘাতী। কুফরি ব্যবস্থার তলায় পড়ে থাকাই যদি তোমার শান্তি মনে হয়, তবে জেনে রাখো, তুমি ঈমানের স্বাদ থেকে বঞ্চিত।
ইসলাম কেবল ব্যক্তিগত ইবাদতের নাম নয়। ইসলাম কেবল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজা, হজ ও যাকাতের সীমাবদ্ধতা নয়।
ইসলাম এক পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা। ইসলাম একটি বিচারব্যবস্থা। ইসলাম একটি সামরিক নীতিমালা। ইসলাম একটি শাসনব্যবস্থা, যা কুরআন-সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত।
যে রাষ্ট্রে আল্লাহর বিধান নেই, সেখানে মুসলিমের কোনো নিরাপত্তা নেই, কোনো সম্মান নেই, কোনো পরিচয়ও নেই।
আল্লাহ বলেন—
“যাদের আমি জমিনে ক্ষমতা দিলে, তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, সৎকাজের আদেশ করে এবং অসৎকাজে নিষেধ করে। আর সবকিছুর পরিণাম আল্লাহর হাতে।”
(সূরা হজ, আয়াত ৪১)
আজ আমরা কি এই দায়িত্ব পালন করছি?
না, বরং আমরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি। আমরা কুরআনের আইন ফেলে দিয়েছি। আমরা রসুলের তরীকা ত্যাগ করে জাহিলিয়াতের রাস্তায় হাঁটছি। অথচ আল্লাহ কটাক্ষ করে বলেন—
“তারা কি জাহিলিয়াতের বিধান চায়? ঈমানদারদের জন্য আল্লাহর বিধানই কি সর্বোত্তম নয়?”
(সূরা মায়িদা, আয়াত ৫০)
আর যদি কেউ বলে—"শাসন তো মানুষের ব্যাপার", তবে স্মরণ করিয়ে দেই, আল্লাহ বলেন—
“হুকুম একমাত্র আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কেবল তাঁরই ইবাদত করো।”
(সূরা ইউসুফ, আয়াত ৪০)
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা হলো সেই কাঠামো, যেখানে কুরআনের হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে শরিয়াহ আইন বাস্তবায়ন হয়, যেখানে খলিফা বা আমীর জনগণের উপর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন আল্লাহর পক্ষ থেকে। দাউদ (আ.) কে আল্লাহ বলেছিলেন—
“হে দাউদ, আমি তোমাকে জমিনে প্রতিনিধি করেছি। কাজেই তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়ের সাথে বিচার করো এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, তা আল্লাহর পথ থেকে তোমাকে বিচ্যুত করবে।”
(সূরা সোয়াদ, আয়াত ২৬)
তবে আজ আমরা কাদের অনুসরণ করছি?
আমরা অনুসরণ করছি পশ্চিমা কাফিরদের গণতন্ত্র, পুঁজিবাদ, জাতীয়তাবাদ ও মানবরচিত আইনব্যবস্থা।
যে ব্যবস্থার ভিত্তি কুফর, জুলুম, লালসা, ক্ষমতালিপ্সা ও আল্লাহর অবাধ্যতা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
“যে ব্যক্তি শাসকের আনুগত্য থেকে সামান্য দূরে গেল, সে জাহিলিয়াতের মৃত্যু মরলো।”
(সহীহ বুখারি, হাদীস ৭০৫৩)
তিনি আরও বলেন—
“ন্যায়পরায়ণ শাসককে সম্মান করা, বৃদ্ধ মুসলিমকে সম্মান করা এবং কুরআনের বাহককে সম্মান করা, আল্লাহকে সম্মান করার অন্তর্ভুক্ত।”
(আবু দাউদ, হাদীস ৪৮৪৩)
তবে আমাদের সমাজে কাকে সম্মান দেয়া হয়? যারা কুরআন ও সুন্নাহ ত্যাগ করে, ইসলাম বিদ্বেষী কাফিরদের নীতি অনুসরণ করে, সেই তথাকথিত নেতাদের!
হে মুসলমান ভাই, আর কতকাল চুপ করে থাকবি?
তুমি কি ভয় পেয়েছ?
তুমি কি পেট, পদবি আর নিরাপদ জীবনকে ঈমানের চেয়ে বড় করে তুলেছ?
যদি তাই করে থাকো, তবে জেনে রাখো—
আমরা এই অবস্থা থেকে উত্তরণ পাবো না, যতদিন পর্যন্ত না আমরা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের সঁপে না দিই।
এখন সময় জাগার। এখন সময় ইসলামী খেলাফতের দিকে ফিরে যাওয়ার। এখন সময় আল্লাহর হুকুমকে সর্বোচ্চ আসনে বসানোর।
জেগে ওঠো মুসলিম, হয়ে ওঠো আল্লাহর সৈনিক।
প্রস্তুত হও শরীয়াহভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য।
আল্লাহ সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—
“আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তিনি তাদেরকে জমিনে খিলাফত দিবেন, যেমন দিয়েছিলেন পূর্ববর্তীদের। তাদের দ্বীনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন... তারা আমারই ইবাদত করবে, কাউকে আমার শরিক করবে না।”
(সূরা আন-নূর, আয়াত ৫৫)
যে জাতি দ্বীনের পূর্ণতা চায় না, খেলাফত চায় না, আল্লাহর বিধানে চলতে চায় না—তাদের শেষ পরিণাম ধ্বংস।
আর যারা জেগে উঠে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হয়, তারা-ই হবে আগামী দিনের বিজয়ী মুজাহিদ।
আসো মুসলিম ভাই,
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার আহ্বানে সাড়া দাও,
জিহাদের মানসিকতায় নিজেকে প্রস্তুত করো,
কুফরি শাসনের বেড়াজাল ছিন্ন করো,
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করো।