তাওহীদ ও জিহাদী সৈনিক

তাওহীদ ও জিহাদী সৈনিক Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from তাওহীদ ও জিহাদী সৈনিক, Dhaka.

মু’সলিম হয়েও শ@রি’য়াহ না চা’ইলে = কু’ফরে আ’কⱯর!
মা’থায় কা’ফন বেঁ’ধে জি’হা|দের দা’ম|ম| বাজা@ও,
শ’হি®দে কা’ফে’লায় শা’মি@ল হ’ও।
উ’ঠুক তা’জা র’ক্তে মু’ল ঢে’উ —
কা’রণ নেই আ’র ক’নো উ’সা’মা, ক’নো উ’মর —
উ’ম্মাহ’র হা’ল ধ’রার কে’উ নেই!

দেখো উ'ম্মা'হ তারা সত্য প্রকাশ করতে শুরু করেছে ❗ জ'ঙ্গি নাম দিয়ে যাদেরকে হ'ত্যা করছে আসলে তারাই তোমাদের ভাই ছিল তারাই উ...
01/07/2025

দেখো উ'ম্মা'হ তারা সত্য প্রকাশ করতে শুরু করেছে ❗ জ'ঙ্গি নাম দিয়ে যাদেরকে হ'ত্যা করছে আসলে তারাই তোমাদের ভাই ছিল তারাই উ'ম্মাহ প্রকৃত সম্পদ ছিল তারাই উ'ম্মা'হর প্রকৃত সম্পদ

28/06/2025

#ইসলামী #রাষ্ট্রব্যবস্থা: #একটি #ফরজ #বাস্তবতা – #উম্মাহ #জেগে #ওঠো

হে মুসলমান, এখন আর চুপ থাকার সময় নয়। নীরবতা এখন পাপ। চেতনার পরিবর্তে ঘুমিয়ে থাকা এখন আত্মঘাতী। কুফরি ব্যবস্থার তলায় পড়ে থাকাই যদি তোমার শান্তি মনে হয়, তবে জেনে রাখো, তুমি ঈমানের স্বাদ থেকে বঞ্চিত।

ইসলাম কেবল ব্যক্তিগত ইবাদতের নাম নয়। ইসলাম কেবল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজা, হজ ও যাকাতের সীমাবদ্ধতা নয়।
ইসলাম এক পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা। ইসলাম একটি বিচারব্যবস্থা। ইসলাম একটি সামরিক নীতিমালা। ইসলাম একটি শাসনব্যবস্থা, যা কুরআন-সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত।

যে রাষ্ট্রে আল্লাহর বিধান নেই, সেখানে মুসলিমের কোনো নিরাপত্তা নেই, কোনো সম্মান নেই, কোনো পরিচয়ও নেই।
আল্লাহ বলেন—

“যাদের আমি জমিনে ক্ষমতা দিলে, তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, সৎকাজের আদেশ করে এবং অসৎকাজে নিষেধ করে। আর সবকিছুর পরিণাম আল্লাহর হাতে।”
(সূরা হজ, আয়াত ৪১)

আজ আমরা কি এই দায়িত্ব পালন করছি?
না, বরং আমরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি। আমরা কুরআনের আইন ফেলে দিয়েছি। আমরা রসুলের তরীকা ত্যাগ করে জাহিলিয়াতের রাস্তায় হাঁটছি। অথচ আল্লাহ কটাক্ষ করে বলেন—

“তারা কি জাহিলিয়াতের বিধান চায়? ঈমানদারদের জন্য আল্লাহর বিধানই কি সর্বোত্তম নয়?”
(সূরা মায়িদা, আয়াত ৫০)

আর যদি কেউ বলে—"শাসন তো মানুষের ব্যাপার", তবে স্মরণ করিয়ে দেই, আল্লাহ বলেন—

“হুকুম একমাত্র আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কেবল তাঁরই ইবাদত করো।”
(সূরা ইউসুফ, আয়াত ৪০)

ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা হলো সেই কাঠামো, যেখানে কুরআনের হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে শরিয়াহ আইন বাস্তবায়ন হয়, যেখানে খলিফা বা আমীর জনগণের উপর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন আল্লাহর পক্ষ থেকে। দাউদ (আ.) কে আল্লাহ বলেছিলেন—

“হে দাউদ, আমি তোমাকে জমিনে প্রতিনিধি করেছি। কাজেই তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়ের সাথে বিচার করো এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, তা আল্লাহর পথ থেকে তোমাকে বিচ্যুত করবে।”
(সূরা সোয়াদ, আয়াত ২৬)

তবে আজ আমরা কাদের অনুসরণ করছি?
আমরা অনুসরণ করছি পশ্চিমা কাফিরদের গণতন্ত্র, পুঁজিবাদ, জাতীয়তাবাদ ও মানবরচিত আইনব্যবস্থা।
যে ব্যবস্থার ভিত্তি কুফর, জুলুম, লালসা, ক্ষমতালিপ্সা ও আল্লাহর অবাধ্যতা।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—

“যে ব্যক্তি শাসকের আনুগত্য থেকে সামান্য দূরে গেল, সে জাহিলিয়াতের মৃত্যু মরলো।”
(সহীহ বুখারি, হাদীস ৭০৫৩)

তিনি আরও বলেন—

“ন্যায়পরায়ণ শাসককে সম্মান করা, বৃদ্ধ মুসলিমকে সম্মান করা এবং কুরআনের বাহককে সম্মান করা, আল্লাহকে সম্মান করার অন্তর্ভুক্ত।”
(আবু দাউদ, হাদীস ৪৮৪৩)

তবে আমাদের সমাজে কাকে সম্মান দেয়া হয়? যারা কুরআন ও সুন্নাহ ত্যাগ করে, ইসলাম বিদ্বেষী কাফিরদের নীতি অনুসরণ করে, সেই তথাকথিত নেতাদের!

হে মুসলমান ভাই, আর কতকাল চুপ করে থাকবি?
তুমি কি ভয় পেয়েছ?
তুমি কি পেট, পদবি আর নিরাপদ জীবনকে ঈমানের চেয়ে বড় করে তুলেছ?

যদি তাই করে থাকো, তবে জেনে রাখো—
আমরা এই অবস্থা থেকে উত্তরণ পাবো না, যতদিন পর্যন্ত না আমরা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের সঁপে না দিই।

এখন সময় জাগার। এখন সময় ইসলামী খেলাফতের দিকে ফিরে যাওয়ার। এখন সময় আল্লাহর হুকুমকে সর্বোচ্চ আসনে বসানোর।
জেগে ওঠো মুসলিম, হয়ে ওঠো আল্লাহর সৈনিক।
প্রস্তুত হও শরীয়াহভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য।

আল্লাহ সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—

“আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তিনি তাদেরকে জমিনে খিলাফত দিবেন, যেমন দিয়েছিলেন পূর্ববর্তীদের। তাদের দ্বীনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন... তারা আমারই ইবাদত করবে, কাউকে আমার শরিক করবে না।”
(সূরা আন-নূর, আয়াত ৫৫)

যে জাতি দ্বীনের পূর্ণতা চায় না, খেলাফত চায় না, আল্লাহর বিধানে চলতে চায় না—তাদের শেষ পরিণাম ধ্বংস।
আর যারা জেগে উঠে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হয়, তারা-ই হবে আগামী দিনের বিজয়ী মুজাহিদ।

আসো মুসলিম ভাই,
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার আহ্বানে সাড়া দাও,
জিহাদের মানসিকতায় নিজেকে প্রস্তুত করো,
কুফরি শাসনের বেড়াজাল ছিন্ন করো,
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করো।

🕌 ইসলামী নববর্ষ ১৪৪৭ হিজরি — নতুন সূর্যোদয়ের প্রতিশ্রুতি 🌅🌙📖 “নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট মাসের সংখ্যা বারোটি; আল্লাহর কিতাবে,...
27/06/2025

🕌 ইসলামী নববর্ষ ১৪৪৭ হিজরি — নতুন সূর্যোদয়ের প্রতিশ্রুতি 🌅🌙

📖 “নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট মাসের সংখ্যা বারোটি; আল্লাহর কিতাবে, আসমান-জমিন সৃষ্টি দিবস থেকেই। এর মধ্যে চারটি সম্মানিত মাস।”
— [সূরা তাওবা: ৩৬]

🕋 আজ থেকে শুরু পবিত্র মুহাররম মাস — ইসলামী নতুন বছরের সূচনা। ১৪৪৭ হিজরি আমাদের দ্বারে কড়া নাড়ছে।
আর আজকের দিনটি পড়েছে মহিমান্বিত জুমা বার, যা দ্বিগুণ বরকত, দোয়া কবুলের সময় ও আত্মশুদ্ধির এক অপূর্ব সুযোগ।

---

🌙 এই নতুন বছর হোক হেদায়েত, তাওবা ও তাকওয়ার নতুন যাত্রা

🔗 নতুন বছরে আমাদের করণীয় কী?

✅ তাওবা করি, ফিরে আসি আমাদের গাফেল দিনের ভুল থেকে।
✅ নতুন সংকল্প নিই, যেন আমরা বেশি বেশি ইবাদত করি, বেশি বেশি কুরআন পড়ি, রাতের অন্ধকারে কান্নায় ভিজাই সেজদার মাটি।
✅ সময়ের মূল্য দিই, কারণ সময়ই একমাত্র পুঁজি, যা শেষ হয়ে গেলে ফেরত আসবে না।
✅ উম্মাহর দুঃখে কাঁদি, বিশেষ করে প্যালেস্টাইনের নিপীড়িত ভাই-বোনদের জন্য দোয়া করি, সাহায্যের পথ খুঁজি।

---

🎉 প্রত্যাশা ও প্রেরণা

🌟 হোক এই বছর আত্মগঠনের বছর
🌟 হোক এই মুহাররম সত্য ও ইনসাফের পথে দৃঢ় থাকার প্রতিজ্ঞা
🌟 হোক এই বছর দুনিয়াবি দৌড়ঝাঁপ থেকে কিছুটা ফিরে আসার, আখিরাতের প্রস্তুতির

---

🎇 ১৪৪৭ হিজরি সনের শুভকামনা রইল!
আল্লাহ আমাদের এই নতুন বছরে তাওফিক দিন—ইমান, আমল ও তাকওয়ায় ভরে উঠুক প্রতিটি দিন।

🤲 “হে আল্লাহ! এই নতুন বছরকে আমাদের জন্য রহমত, বরকত ও হেদায়াতের বছর বানিয়ে দাও।”

-- #ইসলামী_নববর্ষ #হিজরি_১৪৪৭ #মুহাররম #আশুরা #তাওবা #ইবাদত #প্যালেস্টাইন_এর_পক্ষে 🇵🇸🇧🇩🕋🌙🌅🎇

26/06/2025

গুনাহ থেকে নিজেকে হেফাজত করাই সবচেয়ে বড় জিহাদ

যে গুনাহ তুমি করো গোপনে, সেটাও আল্লাহর কাছে প্রকাশ্য।
মানুষ না দেখলেও, আল্লাহ দেখছেন।
এই বিশ্বাসই একজন মুমিনকে গুনাহ থেকে দূরে রাখে।
এই ভয়ই তাকে রক্ষা করে।

📌 একা ঘরে বসে হারাম কাজ না করা,
📌 হারাম কথায় উত্তর না দেয়া,
📌 মোবাইলে হারাম দেখা থেকে নিজেকে ফেরানো –
এসবের প্রতিটিই একটি জিহাদ।

এটা তরবারির যুদ্ধ নয়,
👉 এটা নিজের নফসের বিরুদ্ধে লড়াই।
👉 এটা শয়তানের ফাঁদ ভেঙে আল্লাহর পথে থাকার সংগ্রাম।

আল্লাহ বলেন:
“যে তার রবের সামনে দাঁড়ানোর ভয় করে এবং নিজের নফসকে কুপ্রবৃত্তি থেকে রক্ষা করে, তার আশ্রয় হবে জান্নাত।”
📖 [সূরা আন-নাজিআত ৭৯:৪০-৪১]

তাই ভাই ও বোনেরা,
যে নিজেকে গোপনে গুনাহ থেকে বাঁচাতে পারে, সে-ই আসল বিজয়ী।
আল্লাহ আমাদের সেই বিজয়ীদের কাতারে শামিল করুন। 🤲

#তাকওয়া
#গুনাহ_থেকে_বাঁচাই_জিহাদ
#আল্লাহর_ভয়
#নফসের_বিপক্ষে_জিহাদ
#ইসলামিক_রিমাইন্ডার

24/06/2025

“স্ত্রীর ভয়ে সুন্নত ত্যাগ? এটা ঈমানদারের কাজ নয়!”

الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، وعلى آله وأصحابه أجمعين، أما بعد:

সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা!

আজকের এই মজলিসে আমি এমন এক বিষয় নিয়ে কথা বলবো, যা অনেকের হৃদয়ে গিয়ে বিঁধবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু সেটা সত্য—আর সত্য তিতা হলেও বলতে হয়।

প্রশ্ন করছি, আপনি কি নবীজি ﷺ-কে ভালোবাসেন?
হ্যাঁ? তাহলে আপনার চেহারায় নবীর সুন্নতের চিহ্ন দাঁড়ি কোথায়?

---

❗ অজুহাত শুনলে লজ্জা লাগে!

অনেকে বলে—
“হুজুর, আমি তো রাখতে চাই, কিন্তু আমার স্ত্রী রাখতে দেয় না।”

লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!

⚠️ আপনার স্ত্রী যদি দাঁড়ি রাখতে না চায়,
তাহলে তার কথাই কি আপনার কাছে কুরআন-হাদীসের চেয়ে বড়?

📌 নবী ﷺ বলেছেনঃ

> "من أحب سنتي فقد أحبني، ومن أحبني كان معي في الجنة"
“যে আমার সুন্নতকে ভালোবাসলো, সে আমাকেই ভালোবাসলো; আর যে আমাকে ভালোবাসে, সে আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে।”
— (তিরমিজি)

🚫 তাহলে আপনার স্ত্রী যদি সেই সুন্নত পছন্দ না করে—
সে কিভাবে নবীর আশেক দাবি করে?

আপনি যদি স্ত্রীর কথায় দাঁড়ি না রাখেন, তাহলে স্পষ্ট করে বলুন—
স্ত্রী আপনার কাছে নবীজির চেয়েও প্রিয়।
কেননা কুরআন বলছে:

> قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي
“বলুন, যদি আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো।”
— (সূরা আলে ইমরান: ৩১)

আর নবীজি বলেছেন:

> "لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من والده وولده والناس أجمعين"
“তোমাদের কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার বাবা, সন্তান এবং সকল মানুষের চেয়ে প্রিয় হয়ে উঠি।”
— (বুখারী)

---

⚔️ দ্বীনকে স্ত্রীর নিচে নামিয়ে দিয়েছেন?

আপনার স্ত্রী যদি বলে— “দাঁড়ি রাখলে আমি তোমাকে দেখতে পারবো না”
তাহলে আপনি বলুন—
“তুমি যদি নবীজির সুন্নতের বিরোধিতা করো, তাহলে জান্নাতে তোমার সাথে দেখা হবেনা।”

আর যদি এতই স্ত্রীর ভয় হয়, তাহলে বলুন—

“তুমি ইনকাম করো, আমি পর্দা পরে ঘরে বসে থাকি!”

😠 একজন পুরুষ হয়ে স্ত্রীর কথায় দ্বীন বিক্রি করছেন?
স্ত্রী খুশি আর নবীজি অসন্তুষ্ট—এই লেনদেন করে লাভ কী?

---

🕋 আল্লাহর প্রেম, না স্ত্রীর প্রেম?

আজ মানুষ বলে—
“হুজুর, সংসার তো সামলাতে হয়!”
তবে শুনো—দুনিয়ার এই সংসার একদিন শেষ হবে, কিন্তু জান্নাত-জাহান্নামের সিদ্ধান্ত চিরস্থায়ী হবে!

আপনি যদি নবীজির সুন্নতের জন্য দাঁড়ি রাখতে ভয় পান,
তাহলে কাল কবরের ঘুটঘুটে অন্ধকারে কে আপনাকে রক্ষা করবে?

---

🔥 আজ দাঁড়ি রাখতে লজ্জা, কাল নবীজির সামনে লজ্জা কেমন হবে?

আজ আপনি নবীজির সুন্নত লুকিয়ে রাখছেন,
কাল কিয়ামতে যখন নবীজি তাঁর উম্মত চিনবেন চেহারার আলোকিত সুন্নতের মাধ্যমে,
আপনার চেহারায় যদি সেই চিহ্ন না থাকে—
তাহলে আপনি কাদের দলে হবেন?

---

🛡️ আজ সিদ্ধান্ত নিন:

🛑 অজুহাত বাদ দিন
🛑 স্ত্রীর ভয়ে দ্বীন ত্যাগ বন্ধ করুন
🛑 নিজের মর্যাদা বুঝুন—আপনি একজন মুসলিম, একজন পুরুষ, নবীজির উম্মত!

✅ দাঁড়ি রাখুন
✅ সুন্নত ভালোবাসুন
✅ নবীজিকে আপনার জীবনের আদর্শ বানান

🕊️ আল্লাহর কাছে দোয়া করুন—
اللهم حبب إلينا سنة نبيك، وارزقنا شفاعته، وأدخلنا الجنة معه، آمين!

---

📢 শেষ কথা:

স্ত্রীর ভয়ে সুন্নত ছেড়ে দিলে সেটা প্রেম নয়, সেটা কাপুরুষতা।
আর সুন্নতের জন্য পরিবার, সমাজ ও দুনিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলে—
সেটাই সাচ্চা আশেক, সাচ্চা মুমিন।

🚨 এখনো সময় আছে—
তাওবা করুন, দাঁড়ি রাখুন, নবীজির পথে ফিরে আসুন।
না হলে এই দুনিয়া ও আখেরাতে লজ্জা ও বঞ্চনাই হবে আপনার কপালে।

والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته

24/06/2025

চোখের হেফাজত — আজকের যুগের সবচেয়ে বড় জিহাদ

---

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

হে ভাই ও বোনেরা,
আমরা এমন এক যুগে বসবাস করছি,
যেখানে অশ্লীলতা আর ফিতনা হাওয়ার মতো ছড়িয়ে আছে।
তুমি চাইলেও সেটা চোখে এসে পড়ে—
ফোন খুললেই, রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই, এমনকি বিজ্ঞাপন দেখলেও।

এ যুগে নিজেকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে চলা সহজ নয়।
তাই বলি —
📢 চোখের হেফাজতই আজকের যুগের সবচেয়ে বড় জিহাদ!

---

🌪️ ফিতনার যুগে চোখই প্রথম শিকার।

রাসূল (ﷺ) বলেছেন:

> "চোখের যিনা হলো দৃষ্টিপাত..."
📖 (সহীহ মুসলিম)

তুমি যদি তাকাও —
তোমার মন দুর্বল হয়ে পড়ে।
তুমি যদি তাকাও —
তোমার ইমান একেক করে ভেঙে পড়ে।

---

💥 কেন এটা ‘জিহাদ’?

জিহাদ মানে কি?
নফসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম।

আজ যে ছেলে বা মেয়ে চোখ হেফাজত করে,
সে কেবল তাকওয়াবান নয়—
সে এক মুজাহিদ!

যখন চারদিকে সবকিছু তোমাকে টানে

যখন শরীর বলে, "আরো দেখো"

আর তুমি চোখ নামিয়ে ফেলো,
তখন তুমি শুধু চোখ নামাও না…
তুমি শয়তানের গালে চপেটাঘাত করো।

---

📖 আল্লাহ কী বলেন?

> "বলুন, মুমিনদের বলো যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে..."
📖 (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩০)

এ আয়াত কোনো প্রস্তাব না,
এটা হুকুম!
কারণ আল্লাহ জানেন—
চোখই সেই দরজা যেখান দিয়ে গুনাহ ঢুকে পড়ে।

---

🧠 বাস্তবতা জানো?

আজকে বহু তরুণ-তরুণী মানসিক রোগে ভুগছে—

অশান্তি

লজ্জাহীনতা

আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি
এর পেছনে একটি কারণ:
📱 অশ্লীলতা ও চোখের গুনাহ।

---

🛡️ করো না আত্মাকে ধ্বংস।
হায়া হলো ইমানের অঙ্গ।
আর চোখ হলো হায়ার প্রথম পরীক্ষার ময়দান।

আজ যারা চোখ বাঁচিয়ে রাখে,
আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের চোখকে নূরে পূর্ণ করবেন।
আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে ভালোবাসেন,
যে একা থাকলেও তাঁকে ভয় করে চোখ নামিয়ে নেয়।

---

📌 আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করো:

আমি ফিতনার দিকে তাকাব না

আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় হায়ার রক্ষা করবো

আমি চোখ নামিয়ে, অন্তর উঠাবো আল্লাহর দিকে

---

শেষ কথা:

> চোখের হেফাজত কেবল পর্দা নয়, এটা এক নিঃশব্দ জিহাদ!
যেখানে কেউ বাহবা দেয় না,
কিন্তু আসমানের ফেরেশতা তোমার নাম লিখে রাখে—
"এ ব্যক্তি ফেতনার যুগেও নিজেকে সংযত করেছে।"

---

اللهم اجعلنا من الذين يغضون أبصارهم خشيةً لك
(হে আল্লাহ! আমাদের তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন, যারা আপনাকে ভয় করে তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে।)

আমীন।

24/06/2025

* #কেয়ামতের #দিন, #অধিকাংশ #মানুষ #আফসোস #করবে।*
আল্লাহ কুরআনে বলেন (সূরা ফুরকান, আয়াত 27-29):

*"সেদিন যালেম (অপরাধী) ব্যক্তি নিজের হাত কামড়াতে কামড়াতে বলবে—হায়! আমি যদি রাসূলের সঙ্গে একটি পথ অবলম্বন করতাম! হায় আফসোস! আমি অমুককে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করলেই ভালো করতাম। সে তো আমার কাছে উপদেশ আসার পর আমাকে তা থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। শয়তান মানুষকে ধোঁকা দিতেই থেকেছে!"*

এই আয়াতে পরিষ্কার দেখা যায়, মানুষ কেয়ামতের দিন তিনটি বড় আফসোস করবে:

1. *রাসূল (সা.)-এর পথ না অনুসরণ করার আফসোস।*
তারা বলবে—হায়! যদি আমরা তাঁর পথেই চলতাম, আজ এই দিন দেখতে হতো না।

2. *ভুল বন্ধু নির্বাচনের আফসোস।*
তারা বুঝবে—এই দুনিয়ার মিথ্যা বন্ধুত্ব, গুনাহের সঙ্গ, হাসি-মজার আড়ালে তারা তাদের আখিরাত হারিয়ে ফেলেছে।

3. *শয়তানের অনুসরণ করার আফসোস।*
তারা জানবে—শয়তান কেবল ওয়াদা করেছিল, আসলে কিছুই দিতে পারেনি। সে নিজেই তো বলবে:
*“আমি শুধু ডেকেছিলাম, তোমরা সাড়া দিয়েছো। আজ আমি তোমার সাহায্যে কিছুই করতে পারবো না।”* (সূরা ইবরাহিম: 22)

---

*বাস্তবতা:*
আজ আমরা সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যস্ত জীবন, টাকা, ফেম আর শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গুনাহে মত্ত। নামাজ, কোরআন, দোয়া—সবকিছু দূরে ঠেলে দিয়েছি। কিন্তু সেই দিন কেউ পাশে থাকবে না। যাদের পেছনে আজ আমরা ছুটছি, তারাই কাল আমাদের দূরে সরিয়ে দেবে।

18/06/2025

🔥 ই*রা*ন যু*দ্ধ নয়, শিক্ষা দেয়। যারা আ*গু*ন নিয়ে খেলতে আসে, তারা ছা*ই হয়ে ফিরে যায়।

ই*রা*ক না, আ"ফ"গা"নি"স্তা"ন না—এটা ই*রা*ন। যারা গায়েবী ড্রোন আর কাগুজে প্রোপাগান্ডা নিয়ে যু"দ্ধ শুরু করতে চায়, তারা বুঝে না কী ভয়ঙ্কর শ*ত্রু*র মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এটা আরবের সমতল মরুভূমি না—এটা পা*রস্যে*র দুর্গ, পর্বত, গোপন বাঙ্কার, শাসিত জনতার আস্থা আর হাজার বছরের ইতিহাসে গড়া এক অদম্য জাতির প্রতিরক্ষা ব্যুহ।

ই*রা*ন ই*রা*কের চেয়ে দ্বিগুণ, আর মনোবলে তার চেয়েও শতগুণ বেশি। যুক্তরাষ্ট্র আর ই*স*রা*ই*ল একসাথে চড়াও হলেও, তারা যু*দ্ধ শুরু করতে পারবে—কিন্তু শেষ করতে পারবে না। যে আগুন তারা জ্বালাবে, সেই আগুনে একসময় নিজেরাই পুড়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

---

⚔️ এফ-৩৫ পাঠিয়েছিল ধ্বংস করতে, ই*রা*ন সেটা ভেঙে টুকরো করে তার মেধাবীদের হাতে তুলে দিয়েছে।

আজ ই*রা*ন সেই প্রযুক্তি দিয়ে রক্ষা গড়ছে—নিজের জন্য, রা*শি*য়ার জন্য, চীনের জন্য—আর আগামীকাল সেই প্রযুক্তিই প*শ্চি*মা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঢাল হয়ে রক্ষা করবে। ইতিহাস সাক্ষী, যে অ*স্ত্র শত্রু পাঠায় ধ্বংস করতে, ই*রা*ন সেটাকে বানিয়ে ফেলে প্রতিরক্ষার ঢাল, ইনশাআল্লাহ।

---

🕊️ প্যালেস্টাইনও জিতছে, কেবল অস্ত্র দিয়ে না—আদর্শ দিয়ে।

যেখানে আ*মেরি*কা ৭৫ বছরেও এক টুকরো ফি*লি*স্তি*নের মাটি পুরোপুরি দখল করতে পারেনি, সেখানে ইরানের মতো এক পরমাণু সক্ষম, শত সহস্র ক্ষেপণাস্ত্র-সজ্জিত দেশকে কাবু করার স্বপ্নটা দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে। যু*দ্ধে*র গল্প শেষ নয়, কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা একটাই—ই*রা*ন কাউকে মাথা নত করে না, ইনশাআল্লাহ।

---

🛡️ ই*রা*ন যুদ্ধ চায় না, কিন্তু কেউ যদি তার সীমা অতিক্রম করে—তাহলে সে ইতিহাসে শোকগাথা হয়ে থাকবে।

ই*রা*ন জানে কীভাবে অপেক্ষা করতে হয়। কীভাবে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা ধরতে হয়। আ"মেরি"কার মতো শক্তি আফ*গানি*স্তানে পড়ে গিয়েছিল—অর্ধেক দুনিয়া খরচ করেও ফিরে এসেছিল পরাজয়ের কাহিনি নিয়ে।

এইবার যদি কেউ ই*রা*নের দিকে তাকায় আগ্রাসনের চোখে, তাহলে মনে রাখুক:

> "ই*রান কেবল প্রতিশোধ নেয় না—সে ইতিহাস লেখে, ইনশাআল্লাহ।"

17/06/2025

⚠️ তাগুতের গোলামগণ, সাবধান হও! ⚠️

🛑 "তোমরা কোন দিকের মানুষ—আল্লাহর, না তাগুতের?" 🛑

> "যে তাগুতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহতে ঈমান আনে, সেতো মজবুত হ্যান্ডেলে ধরে নিয়েছে, যা ভেঙে যাওয়ার নয়।"
— (সূরা আল-বাকারা ২:২৫৬)

হে আল্লাহর বিধান অস্বীকারকারীরা!
তোমরা কি ভাবো, এই কুফরি শাসনব্যবস্থার ছায়ায় থেকে, তাগুদের তৈরি আইন মেনে, নিজেদের মুনাফিকি ঢেকে রেখে — আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারবে?

না! কখনো না!
তোমরা তো আল্লাহর শত্রুদের খুশি করো, তাদের তৈরি সংবিধান মেনে চলো, তাদের আদালতে বিচার চাও — অথচ মুখে বলো “আমরা মুসলমান”! এটা কি ঈমান?

> "তুমি কি দেখনি তাদের, যারা বলে ‘আমরা ঈমান এনেছি’, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচার চায়?"
— (সূরা আন-নিসা ৪:৬০)

🚫 হ্যাঁ, তুমি যদি তাগুদের আইন মানো —

👉 তাহলে তুমি আল্লাহর শত্রু!
👉 তুমি মুসলমান নামে পরিচিত হলেও, আসলে তুমি এক ফাসিক, এক মুনাফিক, এক দোযখী।

তুমি যদি বলো —

“দেশের আইন মানছি শুধু নাগরিক হিসেবে।”
তবে শুনে রাখো:

> "যে আল্লাহর অবতীর্ণ বিধান অনুযায়ী বিচার করে না, তারাই তো কাফির।"
— (সূরা আল-মায়েদা ৫:৪৪)

তুমি যদি বলো —
“এটা তো সময়ের প্রয়োজন, কৌশল।”
তাহলে জেনে রাখো, আল্লাহর দ্বীনের সাথে কৌশল নয়, লঙ্ঘন চলবে না।
তুমি যদি আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে অন্য কারো আইন মানো, তবে তুমি সেই তাগুদের অনুসারী — যার স্থান হবে জাহান্নামে, আগুনের মাঝে।

---

🔥 তাগুত মানে কী?

সেই শাসক বা ব্যবস্থা, যে আল্লাহর বিধান ছেড়ে নিজের আইন চাপায়।

যে আদালতে কুরআনের বদলে মানব রচিত সংবিধান চলে।

যে রাষ্ট্রে ইসলাম শুধু ‘ধর্ম’ হিসেবে সীমাবদ্ধ, ‘শাসনব্যবস্থা’ নয়।

➤ যে তাগুতকে মানে — সে আল্লাহকে অমান্য করে।

➤ যে তাগুতের শাসনে সন্তুষ্ট — সে ঈমান থেকে বেরিয়ে যায়।

➤ যে তাগুতের পক্ষ নেয় — সে জাহান্নামের আগুন নিজের জন্য কিনে নেয়!

---

📢 আজ হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি:

হে তাগুদের গোলামগণ!
আল্লাহর বিধান প্রত্যাখ্যান করে যারা মানুষের তৈরি বিধানকে গ্রহণ করে, তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে ফাসিক, জালিম ও কাফির।
তোমরা যদি তাওবা না করো, ফিরে না আসো — তবে তোমাদের জন্য রয়েছে এক কঠিন শাস্তি!

> "তুমি কাফিরদের জন্য দুঃখ করো না; জাহান্নামই তাদের জন্য যথেষ্ট।"
— (সূরা আন-তাওবা ৯:৭৩)

---

❗ অতএব, এখনো সময় আছে:

🛑 তাগুদের শাসনকে বর্জন করো!
🛑 কুফরি আইন প্রত্যাখ্যান করো!
🛑 শুধু আল্লাহর বিধানের প্রতি ঈমান আনো এবং তা বাস্তব জীবনে কার্যকর করো!

> "আল্লাহর শাসনই সর্বোত্তম শাসন।"
— (সূরা আল-মায়েদা ৫:৫০)

12/06/2025

#দুনিয়া— #আখিরাতের #ক্ষেত, #না #ধ্বংসের #ফাঁদ?

আলহামদুলিল্লাহ। ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু ‘আলা রসূলিল্লাহ।

সম্মানিত মুসল্লী ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আজ আমি এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো, যা হয়তো কারো কারো মনে খোঁচা দেবে, তবুও বলবো—কারণ সত্য কথার চেয়ে বড় কোনো উপকার নেই।

---

🌍 দুনিয়া আখিরাতের ক্ষেত — কথাটা বললেই কি যথেষ্ট?

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

> "الدنيا مَزرَعةُ الآخرة"
“দুনিয়া হলো আখিরাতের ক্ষেত।”
— (বায়হাকি, শু‘আবুল ঈমান)

কিন্তু প্রশ্ন হলো — আমরা কি সত্যিই এই ক্ষেতে আখিরাতের ফসল বপন করছি, নাকি এই ক্ষেতে আমরা আগুন বপন করছি, যা কবর ও জাহান্নামে আমাদের পুড়িয়ে দেবে?

---

📖 কুরআন কী বলছে?

আল্লাহ বলেন:

> "وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ"
“এই দুনিয়ার জীবন তো প্রতারণার ভোগমাত্র।”
— (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫)

কিন্তু আফসোস! আমরা প্রতারণার পেছনে ছুটি, আর সত্যের দিকে পিঠ ফিরাই।

আজ আমরা এমন এক উম্মত হয়ে গেছি—

নামাজের জন্য সময় নেই, কিন্তু নাটক সিরিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাই।

মসজিদ খালি, কিন্তু স্টেডিয়াম ভরা!

কুরআনের তেলাওয়াতের শব্দ বিরক্তিকর মনে হয়, কিন্তু গান বাজলে মাথা দুলে!

---

⚠️ এই অবস্থা কি আমাদের আখিরাত গড়ে দেবে, না ধ্বংস ডেকে আনবে?

শুধু জানাজার নামাজ পড়লেই কেউ জান্নাতে যাবে না।
শুধু "আমার হৃদয় ভালো" বললে চলবে না, যদি কাজ ভালো না হয়।

রাসূল ﷺ বলেন:

> "স্মরণ করো, দেহে একটি মাংসপিণ্ড আছে, তা ভালো হলে পুরো দেহ ভালো হয়, আর তা নষ্ট হলে পুরো দেহ নষ্ট হয়ে যায় — তা হলো হৃদয়।"
— (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২)

তাহলে প্রশ্ন:
আমাদের হৃদয় কি এখন জীবিত, নাকি প্রযুক্তি, সিনেমা, বিলাসিতা আর গাফেলতিতে মৃত?

---

🔥 একটু কঠিন বাস্তবতা বলি:

আপনি যদি সকালে ফজরের নামাজ না পড়েন, কিন্তু অফিসে ঠিক সময়ে যান—তাহলে বুঝে নিন, আপনি আল্লাহর নয়, দুনিয়ার দাস।

যদি পাঞ্জাবি পড়ে মসজিদে যান, কিন্তু অন্যের হক মারেন—তাহলে আপনি মুখোশধারী!

যারা দুনিয়া গড়ার পেছনে জীবন শেষ করে দেয়, তারা কবরকে খালি ফেলে রেখে মাটি খুঁড়ে প্রাসাদ বানায়!

আল্লাহ বলেন:

> "جُعِلَتِ النَّارُ لِمَنْ كَانَتِ الدُّنْيَا هَمَّهُ"
“যার চিন্তা শুধু দুনিয়া, তার জন্য আগুন বানানো হয়েছে।”
— (সহীহ জামে, হাদীস: ৩১১৬)

🛑 তাই আজ হুঁশ ফিরাও!

দুনিয়া খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে।
প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটা কেবল মৃত্যু ঘনিয়ে আনে।

কেউ মরলে বলি “ইন্নালিল্লাহি…” — অথচ ভাবি না, আমিও হবো ওই লাশ।

দুনিয়া যদি আখিরাতের ক্ষেত হয়, তাহলে প্রশ্ন করো নিজেকে:

তুমি কী বপন করছো?

নামাজ, তাকওয়া, কুরআন — নাকি গান, গীবত আর বিলাস?

---

🌱 উপসংহার:

ভাই ও বোনেরা,
এখনো সময় আছে। আজই ফিরে আসো।
দুনিয়াকে ব্যবহার করো, দুনিয়ার দাস হও না।
আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য কাজ করো, তাহলে আখিরাতে বিজয় তোমার হবেই ইনশাআল্লাহ।

اللهم اجعلنا من عبادك الصالحين، ونجنا من فتنة الدنيا. آمين.

والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته

12/06/2025

📖 পর্দা ও আত্মার ইজ্জত — হেদায়াতের দরজায় একটুকরো কাপড়

পর্দা শুধু কাপড় নয়—পর্দা হলো হৃদয়ের তাকওয়া, ইজ্জতের প্রাচীর এবং ঈমানের প্রতিচ্ছবি।
আজকের সমাজে হিজাবকে সাজ বানিয়ে ফেলা হয়েছে, আর অশ্লীলতাকে "ব্যক্তিস্বাধীনতা" নামে গৌরব দেওয়া হচ্ছে। অথচ ইসলাম শেখায়—যে চোখ হারাম দেখে, যে হৃদয় লজ্জাহীন, সেই চোখ ও হৃদয় জান্নাত থেকে দূরে থাকবে।

❝যারা বলে পর্দা মনের হয়, তারা আয়নার সামনে দাঁড়ায় কেন?❞
যার হৃদয়ে লজ্জা নেই, তার পরনের হিজাব শুধু ফ্যাশন।
পর্দাহীনতা আজ এমন এক "নিউ নরমাল" হয়েছে, যা ধীরে ধীরে চরিত্র, পরিবার, সমাজ—সবকিছু ধ্বংস করছে।

কুরআন ঘোষণা দিয়েছে:
"তারা যেন সৌন্দর্য প্রকাশ না করে..." (সূরা আন-নূর: ৩১)
"যারা চায় অশ্লীলতা ছড়াক, তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।" (সূরা আন-নূর: ১৯)

রাসূল ﷺ বললেন:
"কাপড় পরেও যারা উলঙ্গ, তারা জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।" (সহীহ মুসলিম)

ভাই, দৃষ্টি নামাও। তোমার এক ক্লিক, এক নজর, এক লাইক—তোমাকে জাহান্নামের পথে নিতে পারে।
বোন, তুমি যখন পর্দার আড়ালে থেকেও আল্লাহর সামনে জ্বলজ্বল করো—তোমার সে হায়া-তাকওয়াই তোমার আসল সৌন্দর্য।

এ সমাজ যদি পর্দা ভুলে যায়, তবে ইজ্জতের পতন অনিবার্য। আর যারা এই পতন রুখে দাঁড়ায়, তারা ইমানের প্রহরী।

পর্দা মানে কষ্ট নয়, বরং তা আত্মার শান্তি।
পর্দা মানে নিজেকে হারাম চোখ থেকে হেফাজত করা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
পর্দা মানে জান্নাতের পথে এক সাহসী পদক্ষেপ।

---

🤍 শেষ বাক্য:

> "তুমি যদি পৃথিবীর মানুষের সামনে নিজেকে ঢাকো আল্লাহর জন্য—একদিন আখিরাতে আল্লাহ তোমার সব গুনাহ ঢেকে দেবেন।"

10/06/2025

“আমরা কঠোরভাবে নিন্দা জানাই এমন দ্বৈত নীতির বিরুদ্ধে, যেখানে নবীজি (সা.)-কে অপমান করা হয় বাকস্বাধীনতার নামে, অথচ মুসলমানদের প্রতিবাদকে ‘মব আচরণ’ হিসেবে দেখানো হয়। ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান না দিলে সহনশীল সমাজ গঠন সম্ভব নয়।”

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তাওহীদ ও জিহাদী সৈনিক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share