25/07/2025
■■ পবিত্র জুমু'আর দিনের বিশেষ রিমাইন্ডারঃ সকল
বালেগ মুসলিম নর-নারীর জন্য প্রযোজ্য!! ■■
■■ আল'হামদুলিল্লাহ!! সপ্তাহ ঘুরে আবার চলে এলো আমাদের কাছে সপ্তাহের সর্বশ্রেঠ ও পবিত্র দিন শুক্রবার, তথা পবিত্র জুমু‘আর দিন!! শুক্রবারের দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ, ফযীলতপূর্ণ এবং অসাধারণ বারাকাতপূর্ণ একটি দিন! পবিত্র জুমু'আর দিন তথা শুক্রবার দিনটি মুসলিম উম্মাহ জন্য সাপ্তাহিক পবিত্র ঈদের দিন তথা খুশী এবং আনন্দের পবিত্র দিন!!
●● আল'হামদুলিল্লাহ! পবিত্র এই শুক্রবার দিন তথা এই পবিত্র জুমু'আর দিনটি চলমান ১৪৪৬ আরবী/ইসলামী/চন্দ্র/হিজরী সন/বছর/ক্যালেন্ডারের ১০ম(দশম)মাস তথা পবিত্র শাওয়াল মাসের ৪র্থ(চতুর্থ) ও শেষ এবং ১৪৪৬ চন্দ্র/আরবী/হিজরী/ইসলামি সন/বছর/ক্যালেন্ডার এর ৪১'শ (একচল্লিশ তম) পবিত্র শুক্রবার/জুমু’আ দিবস/দিন!!!
■■ জুমু'আর দিনের সময়!! ■■
বৃহস্পতিবার দিন সূর্যাস্তের পর/মাগরিবের সময় থেকে শুরু করে শুক্রবার দিন সূর্যাস্ত/মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত সময় হলো
পবিত্র জুমু‘আর তথা শুক্রবার দিনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত!!
■■ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন!! ■■
সবাইকে পবিত্র জুমু'আর দিনের আন্তরিক প্রিতী ও
শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন ও মুবারকবাদ জানাচ্ছি!!
▪সবার জন্য শুভ কামনা!! ধন্যবাদ সবাইকে!!
আল্লাহ হাফিয!!
جزاكم الله خيرا وبارك الله فيكم!! تقبل الله منا ومنكم
صالح الأعمال!! مع السلامة والعافية علينا وعليكم!!
■■ সকল বালেগ মুসলিম নারী-পুরুষদের
কাছে একটি বিনীত অনুরোধ!! ■■
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎|| সকল বালেগ পুরুষদের কাছে আবেদনঃ ||▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
হে মুসলিম সমাজ! আজকে একটু আগে আগে পবিত্র মসজিদে যান প্লিজ! নাবীজি ﷺ কী বলেছেন জানেন? নবীজি ﷺ বলেছেনঃ
●▪০১। "জুমু'আর দিন যে ব্যক্তি ভালোভাবে গোছল করে,
●▪০২। আগে আগে মসজিদে গমন করে,
●▪০৩। পায়ে হেটে মসজিদে যায়,
●▪০৪। ঈমামের কাছাকাছি বসে,
●▪০৫। ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং অনর্থক কাজ না করে,
-------এমন ব্যক্তির প্রতিটা কদমের পরিবর্তে এক বৎসর টানা নফল নামায পড়লে ও রোযা রাখলে যে সওয়াব হয়, সেই সওয়াব তাকে দেয়া হয়!"
-----[তিরমিজিঃ ৪৯৬, আবু দাউদঃ৩৪৫]
●▪আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার!!
■■ সুব'হানাল্লাহ! ধরুন! কারো বাসা থেকে জুমু'আর মসজিদে যেতে যদি অন্তত ৫০ কদম হাটা লাগে, তার মানে হলো তিনি একাধারে ৫০ বছর রোযা রাখা এবং ৫০ বছর রোযা অবস্থায় নফল নামায পড়ার সমপরিমাণ সওয়াব পাবেন! সুবহানাল্লাহ! আল'হামদুলিল্লাহ! আল্লাহু আকবার!
••••••••|| সকল নারীদের কাছে আবেদন ||••••••••••
সকল মা-বোনদের বলবো! আপনি আপনার স্বামী, ছেলে, ভাই কিংবা বাবাকে আগে আগে মসজিদে পাঠান এবং এর জন্য তাদেরকে জোর তাগীদ দিন এবং মসজিদে যাবার জন্য সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন! তাহলে আপনারাও সবাই এ ফযীলাত লাভ করবেন ইন শা আল্লাহ।
■■ এই দারুণ অফারটি কেবলমাত্র সপ্তাহে একদিন এবং একবারের জন্য! তাও শুধুমাত্র এক ওয়াক্ত নামাযের জন্য! প্লিজ! হেলায়-ফেলায় কেউ নষ্ট করবেন না এমন অসাধারণ একটি সুযোগ! মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দান করুন(আ-মীন)।।
■■ পবিত্র জুমু‘আর দিনের রিমাইন্ডার!! ■■
||সকল মুসলিম বালেগ পুরুষের
জন্য এ দিনের করণীয়||
■■ জেনে নিনঃ সকল বালেগ মুসলিম পুরুষের জন্য পবিত্র জুমু’আর দিনের উল্লেখযোগ্য কিছু আমলঃ
■▪০১.পাক ও পবিত্র হতে হাতপায়ের নোখ কাটা, শরীরের অন্যান্য লোম কাটা, তারপর গোসল করা।
■▪০২. মিসওয়াক করা।
■▪০৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা।
■▪০৪. মাথা, দাঁড়ি ও শরীরে তেল ব্যবহার করা।
■▪০৫. যথাসম্ভব উত্তম পোষাক পরা।
■▪০৬. আগে আগে মসজিদে আসা।
■▪০৭. সম্ভব হলে হেঁটে হেঁটে মসজিদে যাওয়া এবং এভাবেই হেটে হেটে আসা।
■▪০৮. ইমামের দিকে মুখ করে বসা ও কথা না বলা।
■▪০৯. খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা।
■▪১০. মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনা ও চুপ থাকা।
■▪১১. দুই খুতবার মাঝখানে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা এক্ষেত্রে হাত তোলা জুরুরী নয়।
■▪১২. জুমার রাতে ও দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা এবং বেশি বেশি দু'আ করা।
■▪১৩. সূরা কাহাফ পাঠ করা। এতে এক জুমা থেকে আরেক জুমা তা আপনার জন্য নূর হবে।
■▪১৪. আসরের পর দু'আ করা। ইন শা আল্লাহ্ এই সময়ের দু'আ কবুল হবে।
■▪১৫. মসজিদে পরে এসে মুসুল্লিদের ডিঙিয়ে সামনে না যাওয়া, এরূপকারীদের ব্যাপারে প্রিয় নাবী রসূল সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম কঠোর মনোভাব পোষণ করেছেন!!
■■ শুধুমাত্র বালেগ সকল মা-বোন/মহিলাদের
জন্য এদিনের করণীয়!! ■■
জুমু'আর দিনে বা শুক্রবারে একজন নারীও বিভিন্ন আমল এবং কাজ-কর্মের মাধ্যমে অসংখ্য সাওয়াব অর্জন করতে পারেন! মা-বোন/মহিলাদের জন্য এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে জেনে নিন!!
■■ ফজরের সালাত আদায় করুন এবং নামাজ শেষ করে না ঘুমিয়ে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করুন। বিশেষ করে সূরা আল-কাহফ অবশ্যই তিলাওয়াত করুন। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
-------“যে ব্যক্তি জুমু'আর দিন সূরা কাহফ পাঠ করে, সে ব্যক্তির জন্য দুই জুমআর মধ্যবর্তী কাল জ্যোতির্ময় হয়ে যায়।”
-----(হাকেম, বাইহাক্বী, সহীহুল জামে’৬৪৭০, হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৪৫৭)
●▪অন্যত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ
------“যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম দিক থেকে দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের (ফিৎনা) থেকে পরিত্রাণ পাবে।”
-------অন্য বর্ণনায় ‘কাহফ সূরার শেষ দিক থেকে’ উল্লেখ হয়েছে। (মুসলিম ১৯১৯-১৯২০, হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৪৫৬)
●▪তবে, মুখস্থ করে নেওয়া উত্তম।
■■ জুমু'আর আযানের অন্তত ১ঘন্টা পূর্বে স্বামীকে রেডি হবার জন্য তাকীদ দিন, সাহায্য করুন, জোর দিন। উত্তম পোশাক এবং সুগন্ধি সামনে রেডি করে রাখুন। সর্বোপরি আযানের পূর্বেই যেনো মসজিদে যেতে দেরি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন।
■■ সাংসারিক কাজ-কর্ম সব গুছিয়ে রাখুন, এতে আমল-ইবাদাত করতে সুবিধা হবে। বিশেষ করে আসর ওয়াক্ত থেকে মাগরিব পর্যন্ত সম্পুর্নরূপে ফ্রি থাকা যায় এমন ব্যবস্থা করে রাখুন।
■■ আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
-------"উত্তম কাজের প্রতিদান উত্তম ছাড়া আর কী হতে পারে!"
-----(সূরা আর-রহমান:৬০)
■■ আসর সালাত আদায় করে উক্ত স্থানেই বসে বসে বিভিন্ন মাসনুন যিকর, তাসবীহ এবং দরূদ শরীফ পাঠ করুঅন এবং বেশি বেশি দু'আ করুন এবং মাগরিবের সালাতের অপেক্ষারত অবস্থায় থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন।
■▪আসর থেকে মাগরিব এর মধ্যকার সময়ে যত দু'আ পারেন পড়তে থাকুন, বেশি বেশি ইস্তিগফার এবং দুরূদ পড়ুন।
■▪বেশি দরূদ পাঠে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাফা‘আত নসিব হয় এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে দরৃদ পেশ করা হয়।
-----[আবু দাউদ: ১০৪৭, তিরমিযি: ৪৮৪]
■▪জুমু‘আর দিনে বেশি দরূদ পড়লে আল্লাহর নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য শাফায়াতকারী ও সাক্ষী হবেন।
-----[বায়হাকি: ২৭৭১]
■▪আসরের শেষ মূহুর্ত থেকে মাগরিব পর্যন্ত দু'আ কবুল হবে বলে সহীহ্ হাদিসে এসেছে, তাই আল্লাহর কাছে চাইতে থাকুন। দু'হাত তুলে বেশি বেশি দু'আ করুন। কেঁদেকেটে অনুনয়-বিনয় করে দু'আ করুন। আল্লাহ শুনছেন এবং দু'আ কবুল করবেন এমন আশা নিয়ে দু'আকরুন।
■▪আসরের শেষ সময়ে বা মাগরিবের পূর্বে দু‘আ কবুল হয়।
-----[নাসাঈ, আবু দাউদ: ১০৪৮]
■■ সব সময় মনে রাখবেন, স্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সকল সদস্যদের নেক কাজে, আমল-ইবাদাতে সাহায্য এবং উৎসাহ দিলে আপনিও উক্ত আমল-ইবাদাতের জন্য এর সমপরিমান সাওয়াব পাবেন ইন শা আল্লাহ।
■▪আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
-------"যে ব্যক্তি কোন সৎকাজে অপরকে উদ্বুদ্ধ করে, সেও ততটুকু সওয়াব পায়, যতটুকু সৎকর্মী পায়।"
-----[মুসলিমঃ ১৮৯৩]
■■ আল্লাহুম্মা সল্লি আ'লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদ!!
■■ জুমু‘আর দিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং
ফযীলাতপূর্ণ তিনটি আমল!! ■■
||সকল মুসলিম নারী-পুরুষ সবার জন্য প্রযোজ্য||
■▪০১] সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা!
■▪০৩] বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করা এবং
■▪০৩] বেশি বেশি করে দু'আ করা!!
■■ জুমু'আর দিন আসর থেকে মাগরিবের সময় পর্যন্ত দু'আ কবুলের অন্যতম সময়। এই মূল্যবান সময়টি চলে কাযোরই হাতছাড়া করা উচিত নয়! মহান রবের কাছে চেয়ে নিন যা চাওয়ার! পবিত্র আল-কুরআন থেকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দু'আঃ
رَبَّنَا آتِنَا فِيْ الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِيْ الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ
-----হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
-----হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা ঈমান আনলাম। অতএব, আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
-----হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুল্ম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।
رَبِّ اجْعَلْنِيْ مُقِيْمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِيْ ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
-----হে আমার রব, আমাকে সলাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব, আর আমার দু’আ কবূল করুন।
رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ
-----হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।
-----(আ-মীন, আ-মীন ইয়া রব্বাল আ'লামীন)।।
■■ জেনে নিনঃ জুমু‘আর দিনের
বর্জনীয় কতিপয় কাজ!! ■■
||জুমু'আর সলাতে উপস্থিত সকল
মুসুল্লীগণের জন্য প্রযোজ্য!!
---------পবিত্র জুম্মার দিনে যা বর্জনীয়-------------
■▪০১] ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়া উচিত নয়। তন্দ্রা ভাব হলে জায়গা পরিবর্তন করে বসা উচিত।
-----(সহিহঃ আবু দাউদঃ ১১১৯)
■▪০২] খুৎবার সময় কেউ কথা বললে "চুপ করুন" এতটুকু কথাও বলা যাবে না ।
-----(নাসায়ীঃ ৭১৪, সহিহ বুখারীঃ ৯৩৪)
■▪০৩] ভাগ ভাগ হয়ে কিংবা গোল গোল হয়ে বসা উচিত নয়, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন!
-----(সহিহ হাদিসঃ আবু দাউদঃ ১০৮৯)
■▪০৪] মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া।
-----(বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)
■▪০৫] মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা।
-----(আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)
■▪০৬] কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা।
-----(বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)
■▪০৭] ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা।
-----(আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)
■▪৮] সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা। বরং যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা।
-----(আবু দাউদঃ৮৬২)।
●▪অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।
■▪০৯] মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা।
-----(বুখারীঃ ৮৫৩)
●▪কেননা, এতে মুসল্লি ও মালাইকাদের কষ্ট হয়।
●▪যারা ধূমপান করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছিঃ আজ থেকে ধূমপান ছাড়ার পরিকল্পনা করুন। এটি শুধুমাত্র মাকরুহ নয়! বরং তামাক জাতীয় সকল পণ্য পান করা হারাম।
■▪১০] কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা। অর্থাৎ
মুসুল্লী ও সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা।
-----(বুখারীঃ৫১০)
■▪১১] এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।
-----(আবু দাউদঃ ১৩৩২)।
●● ইয়া আল্লাহ তা'আলা! আমাদেরকে পবিত্র জুম’আর দিনের পরিপূর্ণ আমল করার এবং পবিত্র জুমু'আর দিনের হক্ব আদায় করার তাওফীক দান করুন এবং আমাদেরকে পবিত্র জুমু'আর দিনের পরিপূর্ণ ফযীলত ও বারাকাত দান করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল এবং হিফাযত করুন এবং আমাদেরকে সুস্থ্য, সুন্দর, নিরাপদ এবং ভালো রাখুন সব সময় এবং প্রতিটি মূহুর্তে(আ-মীন)।। ❤️💖