09/11/2024
-ক্ষু"ধায় পেটটা ভালই নাড়াচাড়া দিচ্ছে। প্রাইভেট পড়াতে এসেছি সুমাইয়াকে।
এই মেয়েটাকে সেই দশম শ্রেণী থেকেই পড়াচ্ছি। এখন ও এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে।
সুমাইয়ার বাবা সেনাবাহিনীর অফিসার এবং মা গৃহিণী।
- আমি একজন সাধারণ মানুষ। অভাবী মানুষও বলা যায়। অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ি। আমার ইনকাম এর রাস্তা হলো টিউশনি করা।
টিউশনির টাকায় নিজে চলি, আর গ্রামে মায়ের কাছে কিছু টাকা পাঠাই।
-আমার বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন।
গ্রামে মা আর ছোট ভাই থাকেন। আমার পাঠানো টাকায় তারা কোনমতে চালিয়ে নেন।
যা বলছিলাম, এখন সন্ধ্যা। ক্ষুধায় কাতর হয়ে গেছি। দুপুরে কিছু খাইনি।
অবশ্য প্রায়ই আমি দুপুরে কিছু খাইনা। এতে কিছু অর্থ বেচেঁ যায়।
অর্থ হাতে থাকলে কিছু কাজে লাগানো যাবে, খেলে তো শেষই হয়ে যায়, এটা আমার যুক্তি।
- সুমাইয়াকে প্রায় ৩ বছর ধরে পড়াচ্ছি। পড়ানোর প্রথম দিন থেকেই দেখতাম আমাকে কিছু নাস্তা দেয়া হতো।
এতে অনেক উপকার হয়েছে। দুপুরে অভুক্ত থাকি, নাস্তাটা পেয়ে তাই অখুশি হওয়ার কারণ নেই।
আজ হয়তো ব্যতিক্রম। আধঘণ্টা হয়ে গেল পড়াচ্ছি, এখনো নাস্তা নিয়ে কাজের মেয়েটা আসেনি।
নাস্তা হয়তো আসবে না, এই কথা মনে হতেই ক্ষুধাটা আরো
বেড়ে গেল।
হয়তো একটু অন্যমনস্ক ছিলাম তাই সুমাইয়া ডাক দিলো,
- ভাইয়া ...
-- হু, বলো।
- আপনি কি কিছু ভাবছিলেন?
-- নাতো।
- ও। আচ্ছা, আমি ইকটু ভিতরের ঘর থেকে আসছি।
সুমাইয়া কেন ভিতরের ঘরে গেল কে জানে। এই মেয়েটাকে পড়িয়ে অনেক শান্তি পেয়েছি। মেধাবী ছাত্রী। কিছু বোঝানোর জন্য অত পরিশ্রম করতে হয়না।
খাবারের ট্রে হাতে সুমাইয়া ঘরে ঢুকলো। আমি ইকটু লজ্জিত বোধ করলাম।
সুমাইয়া কিছু বুঝে ফেললো নাকি।
সুমাইয়া বলল,
- আজকে কাজের মেয়েটা অসুস্থ তাই নাস্তা দিয়ে যেতে পারেনি।
-- আরে সমস্যা নাই।সব পর্ব এই পেজে সবার আগে পাবেন তাই পেজটা লাইক করুন নেক্সট লিখতে হবে না পরের পর্ব পোস্ট হলেই পাবেন তুমি কষ্ট করে আনতে গেলে কেন?
সুমাইয়া কিছু বললো না। ইকটু বাঁকানো হাসি দিলো। আমি খাবার হাতে নিলাম। ক্ষুধা নিয়ে অতদিকে তাকানোর সময় কই। চা, দুই টুকরো বিস্কুট এবং দুই টুকরো কেক।
আমার জন্য এইই বেশি। খাবার শেষ করে দেখি সুমাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি বিব্রতবোধ করলাম। স্বাভাবিকের চেয়ে একটু অন্যভাবে হয়তো খাবার শেষ করে ফেলেছি। সুমাইয়া বলল,
- ভাইয়া, আজও আপনি সাদা শার্টটি পড়ে এসেছেন!
-- লাল শার্টটা ধুয়ে দিসি।
- আপনার আর শার্ট নাই? শুধু লাল আর সাদা, লাল আর সা