It's Rejaul

01/05/2025

✊ মে দিবসে সব শ্রমিক ছুটিতে।

#লিজেন্ড হইলে বুঝতে পারবেন।

21/04/2025

08/04/2025

গল্প: "চুপ থাকা ভালবাসা"

নাম ছিল আরিফ। সাধারণ এক ছেলেই — খুব বেশি চোখে পড়ে না, খুব বেশি কথা বলে না। কলেজে যেত চুপচাপ, বই পড়তো, ক্লাস করতো, তারপর ফিরে আসতো। কিন্তু ওর মন জুড়ে ছিল একজন — তানিয়া।

তানিয়া ছিল ঠিক উল্টো। প্রাণবন্ত, হাসিখুশি, সবার প্রিয়। আরিফ প্রতিদিন তাকিয়ে থাকতো দূর থেকে — ওর হাসি, ওর কথা, এমনকি ওর নীরবতা যেন একেকটা কবিতা হয়ে বাজতো ওর মনে।

কখনও কিছু বলেনি আরিফ। কারণ জানতো, ওর ভালোবাসা একতরফা। তানিয়া হয়তো জানেও না, ওর ক্লাসে এমন কেউ আছে যে প্রতিদিন চুপচাপ ভালবাসে।

একবার ওর বন্ধু জিজ্ঞেস করেছিল, “তুই ওকে বলিস না কেন?”

আরিফ মুচকি হেসে বলেছিল, “ভালোবাসা মানে শুধু পাওয়া না... ও হাসলেই আমার ভাল লাগে, সেটা কি কম কিছু?”

দিন গেছে, কলেজ শেষ, জীবন এগিয়ে গেছে। তানিয়া হয়তো এখন অনেক দূরে, অন্য কারও জীবনসঙ্গী। আরিফ আজও ভালোবাসে — কারো অজান্তে, নিজের মতো করে।

তার চুপ থাকা ভালবাসা আজও বেঁচে আছে, কোনো অভিযোগ ছাড়াই... শুধু মনে মনে।

#ভালবাসারছোঁয়া
#কষ্টেরগল্প
#একতরফা_ভালবাসা

07/04/2025

শিরোনাম: "শেষ চিঠি"

সীমা ছোটবেলা থেকেই বাবাকে খুব ভালোবাসত। মা ছিল না, জন্মের পরই মারা যায়। বাবা-ই ছিল তার পুরো পৃথিবী। অভাব ছিল, কিন্তু ভালোবাসার অভাব কখনও হয়নি। বাবা দিনমজুরির কাজ করতেন, আর সীমা পড়াশোনা করত—বাবার স্বপ্ন ছিল, মেয়েটা একদিন বড় কিছু হবে।

সীমা কলেজে ভর্তি হলো, গ্রামের প্রথম মেয়ে যে এতদূর এসেছে। বাবার চোখে তখন একরাশ গর্ব। নিজের খাবার কম খেয়ে, কষ্ট করে টাকাটা জোগাড় করতেন—শুধু মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য।

একদিন হঠাৎ বাবার শরীর খারাপ হলো। ডাক্তার বলল, ক্যান্সার। শেষ পর্যায়। সীমা সব শুনেও বাবার সামনে হাসত, বলত—“তুমি ঠিক হয়ে যাবে, বাবা।”

বাবা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন। আর সীমা শহরের হাসপাতালে, মেডিকেলের লাইব্রেরিতে বসে নিজের বইয়ের পাশে রাখত একটা খালি কাগজ—যেখানে বাবার জন্য লেখা হতো প্রতিদিন একটা চিঠি। বাবার কাছে পৌঁছাত না সেগুলো, কিন্তু সীমার মনের সব কথাই সেখানে থাকত।

শেষ চিঠিটা লিখেছিল এমন:

> “বাবা, আজ তোমার গায়ে হাত দিয়ে তোমায় ডাকলাম, কিন্তু তুমি চোখ খোলোনি। তুমি কি জানো, আমি কাল ডাক্তার হয়ে যাব? তুমি কি জানো, তোমার মেয়েটা আজ তোমার শেষ স্বপ্নটাও পূরণ করে ফেলেছে? শুধু তুমি নেই, এই দেখা দেখার দিনটায়… বাবা, তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে কেন? আমি তো শুধু তোমার জন্যই লড়ছিলাম...”

চিঠিটা সীমা বাবার বুকের কাছে রেখে দিয়েছিল। আর বাবার মুখে তখনও লেগে ছিল শান্তির একটা হাসি—মনে হচ্ছিল, সেই শেষ চিঠিটার কথাগুলো যেন তিনি আগেই জানতেন।

---
..
।।।
।।
।
।
।
#শেষচিঠি
#বাবারমেয়ে
#কষ্টেরগল্প
#ভালবাসারছোঁয়া
#চোখেজল
#হৃদয়স্পর্শী
#শেষবিদায়
#বাবারস্বপ্ন
#বাংলাগল্প
#দুঃখেরগল্প

07/04/2025

গল্প: "বালপুরের বেকুব বাদশা"

এক ছিল বাদশা। নাম তার বেকুব খান। রাজ্য বালপুর। রাজ্যে কোনো কাজকর্ম নাই—সকলে সারাদিন আমপাতা দিয়ে হাওয়া খায়, আর বাদশার খেয়াল-খুশি মতো নাটক দেখে।

একদিন বাদশা ঘোষণা দিল, "আজ থেকে রাজ্যে কেউ হাঁচি দিলে তাকে এক বালতি পানি দিয়ে গোসল করাইতে হইবে। কারণ হাঁচির মধ্যে ষড়যন্ত্র আছে!"

প্রজারা ভাবল, বাদশার মাথায় গরম বাসি খিচুড়ি গেছে।

আরেকদিন বাদশা বলল, "আজ থেকে মুরগি ডিম না দিলে সেই মুরগিরে জেল খাটাইতে হইবে।"

এরপর রাজ্যে ডিম খাওয়া বন্ধ। সবাই হাঁ করে বসে থাকে, যদি কোনো মুরগি ডিম দেয়—তো একপেট ভাত খাওয়া যাবে।

একদিন রাজপ্রাসাদে এক টিয়া পাখি এসে "গাধা গাধা" বলে ডাকা শুরু করল। বাদশা খুশি হয়ে টিয়ারে প্রধান উপদেষ্টা বানাল। সে দিনের পর দিন পলিসি বানায়: যেমন “বাঁশ বেয়ে স্কুলে যাওয়া”, “গরুরে ভোট দেওয়া”, আর “ঘুমিয়ে খাজনা দেওয়া”।

শেষমেশ প্রজারা ধৈর্য হারিয়ে একসাথে আওয়াজ তুলল—"এই বাইন** বাদশারে নামাও!"

রাজপথে মিছিল, হাতে আমপাতা, গলায় গালি। আর বাদশা তখন রাজপ্রাসাদে বসে পানির মধ্যে খিচুড়ি রান্না করে—যা এক ফোঁটাও সিদ্ধ হয় না।

---
#বাংলাহাস্য
#বাইনকাহিনি
#পাগলবাদশা
#কমেডিকিং
#গল্পগল্পখেলি
#টিয়া উপদেষ্টা
#বালপুরেরবাদশা
#বাংলামেমে
#আজাইরাকাহিনি
#গল্পদিয়েগালি

বি: দ্র:Just for fun কেউ seriously নিয়েন না।😆

06/04/2025

দেরিতে হইলেও আমিও বানিয়ে দিলাম **Ghibli🤤🤤**

#এশিয়ার_বৃহত্তম_আম_গাছ।

06/04/2025

শেষ চিঠি

বিকেল সাড়ে পাঁচটা। শহরের এক পুরোনো লাইব্রেরির কোণায় বসে একটা চিঠি পড়ছিল অন্বেষা। চিঠিটা কেউ রাখেনি — ওর নিজের লেখা, কিন্তু কাউকে কখনো পাঠানো হয়নি।

চিঠির ঠিকানায় নাম লেখা ছিল — "তুমি, যে কখনো ফিরলে না"।

চার বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল অরিত্র — হঠাৎ, হুট করে, কোনও কথা না বলে। ভালবাসা ছিল, তর্ক ছিল, স্বপ্নও ছিল… কিন্তু উত্তর ছিল না। শুধু প্রশ্ন।
এখন, লাইব্রেরির সেই কোণায় বসে, চিঠির শব্দগুলো যেন তার কান্নার প্রতিধ্বনি।

ঠিক তখনই এক ছায়া এসে পড়ে তার সামনে। এক চেনা কণ্ঠ বলে,
“এই চিঠি কি আমার জন্যই?”

অন্বেষার গলা শুকিয়ে যায়। চিঠিটা ছিঁড়ে ফেলতে চায় — কিন্তু পারছে না। চোখ তুলে দেখে — অরিত্র। পালিয়ে আসা সেই চোখদুটো, একটু বেশি ক্লান্ত, একটু বেশি গভীর।

“তুই?”
“হ্যাঁ, আমি। এতদিন পরে, কিন্তু এখনও... তুই ঠিক ওই লাইব্রেরির কোণায়। আমি জানতাম।”

অন্বেষা উঠে দাঁড়ায়, চোখে জল — রাগে, অভিমানে, ভালবাসায়।

“তুই চলে গেছিলি কেন?”

অরিত্র উত্তর দেয় না। শুধু চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে।

“তুই জানিস, আমি ক'বার এই চিঠিটা লিখেছি? মুছে আবার লিখেছি? ভালবাসা দিয়ে শুরু করতাম, ঘৃণা দিয়ে শেষ করতাম।”

অরিত্র বলে, “আমিও প্রতিদিন তোর নাম লিখতাম — মনের খাতায়। কিন্তু সাহস করিনি পাঠাতে।”

হঠাৎ লাইব্রেরির বাতিটা ঝাঁপসা হয়ে যায়। বাইরে বৃষ্টি শুরু হয়।
অন্বেষা ধীরে চিঠিটা এগিয়ে দেয়।

“এই চিঠিটা এবার তুই পড়ে ফেল। বাকিটা তোরই লেখা হোক।”

অরিত্র হাতে চিঠি নিয়ে বলে, “শেষ চিঠি হতে দে না এটা। নতুন পাতায় লিখি এবার — একসাথে।”

---...
.


#শেষ_চিঠি
#ভালবাসা_নাকি_অভিমান
#চিঠিতে_লুকোনো_মন
#যদি_ফিরে_আসো
#অন্তরার_পাতায়
#একসাথে_নতুন_গল্প

06/04/2025

“ছায়ার প্রেম” — এক হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার গল্প।
ভালোবাসা কি কখনও শেষ হয়… নাকি রয়ে যায়, এক ঝাপসা ছায়ার মতো?

---

গল্পের নাম: “ছায়ার প্রেম”

ঢাকার এক পুরোনো মহল্লায়, সাদমান একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে নতুনভাবে উঠেছে। সাংবাদিক সে, রহস্যময় ঘটনা নিয়ে কাজ করে। বাড়িটা অদ্ভুত—প্রতিদিন রাত ১২টার পর একটা জানালার পর্দা নিজে থেকেই নড়ে ওঠে, যেন কেউ দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকে।

একদিন ঠিক করল, সে সেই জানালার সামনে বসে থাকবে। রাত ১২টা বাজতেই জানালাটা আবার কাঁপল, আর হঠাৎই হালকা হাওয়ার সঙ্গে একটা মেয়ের গলা শোনা গেল—“তুমি কেন এসেছো?”

চমকে উঠলেও সাদমান শান্ত গলায় বলল, “তোমার জন্য।”

সেই ছায়া থেকে ধীরে ধীরে আবির্ভূত হল এক রহস্যময়ী মেয়ে—নাম তার লায়লা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাড়িতে ছিল তার শেষ আশ্রয়। ভালোবাসত এক তরুণকে, কিন্তু তাকে হারিয়েছিল এক বিশ্বাসঘাতকতায়। আর সেই অপেক্ষায় থেকে গিয়েছে এই বাড়ির এক কোণে, অদৃশ্য হয়ে।

লায়লার চোখে পানি, “তুমি ঠিক তার মত দেখতে, কথা বলার ভঙ্গিও এক।”

সাদমান কৌতূহল আর রহস্যে বিভোর। প্রতিদিন রাত ১২টায় তারা কথা বলে, গল্প করে, হাসে। ধীরে ধীরে সাদমান অনুভব করে, সে প্রেমে পড়ছে।

কিন্তু একদিন, লায়লা বলে—“আমাকে মুক্ত করো। যে বিশ্বাসঘাতক ছিল, সে এখনো বেঁচে আছে, এই মহল্লায়ই। তাকে খুঁজে দাও।”

সাদমান খোঁজ শুরু করে। বহু পুরনো নথি ঘেঁটে, সাক্ষাৎকার নিয়ে অবশেষে খুঁজে পায় এক বৃদ্ধকে—যার অতীত গোপন এক চক্রান্তে ভরা।

সেই বৃদ্ধের মুখোমুখি হলে সে স্বীকার করে, “হ্যাঁ, আমি লায়লাকে ফাঁদে ফেলে দিই—কিন্তু আমি ভালোবাসতাম তাকেই।”

সেই স্বীকারোক্তি শুনেই লায়লার আত্মা শান্ত হয়। সেদিন রাত ১২টা বাজতেই সাদমানের জানালায় আর কোনো ছায়া আসে না।

কিন্তু তার ডেস্কে লায়লার হাতে লেখা একটা চিঠি—
“ধন্যবাদ সাদমান। তুমি আমার প্রেম, তুমি আমার মুক্তি। এবার তুমি বাঁচো, ভালোবাসো।”

--
।
।
।
।

#ছায়ার_প্রেম #ভালোবাসার_ছায়া #রহস্য_রোমান্স #বাংলা_গল্প #ভৌতিক_ভালোবাসা

#ছায়ার_প্রেম
#রহস্য_রোমান্স
#বাংলা_গল্প
#ভৌতিক_ভালোবাসা
#মায়ার_ছায়া
#রাত১২টারগল্প
#ভালোবাসার_প্রেত
#হারিয়ে_যাওয়া_ভালোবাসা
#বাংলা_লাভস্টোরি
#অদেখা_ভালোবাসা