
29/07/2025
"মুজাদ্দেদ" আরবী শব্দ। যাহার আভিধানিক অর্থ সংস্কারক, সংশোষক বা ভ্রম-প্রমান দূরকারী বা উৎকর্ষ সাধক।
পূর্বেই বলা হইয়াছে, মানুষ যখনই আল্লাহকে ভুলিয়া অসত্য ও কুসংস্কারের অন্ধকারে নিমজ্জিত হইত, শয়তান বা নাফসে আম্মারার পায়রবী১ করা শুরু করিত, আল্লাহর বিধানের বিরোধিতা করিত; ঠিক তখনই দয়াময় খোদাতায়ালা এক একজন নবী বা রাসূল প্রেরণ করিয়া আল্লাহভোলা, পথভ্রষ্ট ও গোমরাহ মানব জাতিকে অসত্য ও অন্ধকারের গভীর সমুদ্র হইতে উদ্ধার করিবার ব্যবস্থা করিতেন। আগত নবী বা রাসূল মানবজাতিকে শয়তান ও নাফসের শৃংখল হইতে মুক্ত করিতেন; তাহাদের আত্মিক ত্রুটি-বিচ্যুতি ধুইয়া মুছিয়া পরিষ্কার করিতেন তথা আত্মিক সংস্কারক হিসাবে কাজ করিতেন। ঠিক তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্র হইতে যাবতীয় কুসংস্কার ও মিথ্যাকে ঝাড়িয়া ফেলিয়া আল্লাহর সত্য বিধানকে প্রতিষ্ঠিত করিতেন; অশান্ত ও ঝঞ্ঝা-বিক্ষুপ্ত মানবসমাজে শান্তি আনয়ন করিতেন। আল্লাহর প্রেরিত ঐ সমস্ত নবী ও রাসূলের যাবতীয় কর্মকান্ডই ছিল সংস্কারমুখী।
শ্রেষ্ঠ নবী, রাসূলে পাক (সাঃ) এর পরে আল্লাহপাক তাহার বিধানকে শেরেকী, বেদাতী ও মিথ্যার বেড়াজাল হইতে মুক্ত রাখার জন্য নবী পাঠান না ঠিকই; কিন্তু নবীদের চরিত্রে চরিত্রবান করিয়া প্রতি শতাব্দিতেই উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্য হইতে কিছু কিছু বিশেষ লোক পাঠান, যাহারা আল্লাহর বিধানকে বা দীন ইসলামকে কলুষমুক্ত রাখিবার জন্য আজীবন পরিশ্রম করেন। তাহাদের কর্মকান্ডও হয় সংস্কার ধর্মী। তাহাদেরকেই মুজাদ্দেদ বলা হয়। মূলতঃ নবুয়ত ও মুজাদ্দেদীয়াতের তফাৎ করিতে গেলে যাহা বলা যায়, তাহা হইল-নবুয়ত হইল মূল বা আসল, আর
মুজাদ্দেদীয়াত হইল প্রতিবিম্ব বা ছায়া ।
বানী- বিশ্ব ওলী খাজা বাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ)
মহান প্রতিষ্ঠাতা, জাকের পার্টি।
Dr. Saim Amir Faisal Sami Sir 🙏