04/09/2025
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে স্মার্টফোন এখন সবার হাতের নাগালে, এমনকি শিশুদের হাতেও। আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে অনেক অভিভাবক অল্প বয়সেই সন্তানদের হাতে এই ডিভাইস তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু এর অজানা ঝুঁকি নিয়ে কি ভেবেছেন?
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৩ বছরের কম বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ব্যবহার ঘুমের ব্যাঘাত, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং মানসিক চাপ বাড়ায়। বিশেষ করে যারা ১২ বছর বা তার আগে স্মার্টফোন পেয়েছে, তাদের মধ্যে আ'ত্ম'হ'ত্যার চিন্তা, হ্যালুসিনেশন, আগ্রাসী আচরণ, দুর্বল আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং আত্মসম্মানের অভাব বেশি দেখা যায়।
এ প্রভাবের মূল কারণ সোশ্যাল মিডিয়া। এটা সাইবার বুলিং, পারিবারিক সম্পর্কে টানাপোড়েন এবং ঘুমের সমস্যা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ৫-৬ বছর বয়সে ফোন পাওয়া মেয়েদের প্রায় ৪৮% গুরুতর আ'ত্ম'হ'ত্যার চিন্তা করেছে, যেখানে ১৩ বছর বা তার বেশি বয়সে ফোন পাওয়া মেয়েদের ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ২৮%। ছেলেদের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা গেছে, তবে কিছুটা কম।
এ পরিস্থিতি এড়াতে অভিভাবকদের উচিত এখনই সচেতন হওয়া। সন্তানের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করুন, বিকল্প সৃজনশীল সমাধান দিন। তাদের সঙ্গে মিডিয়া নিয়ে আলোচনা করুন এবং স্ক্রিনের বাইরে মানসম্মত সময় কাটাতে উৎসাহিত করুন। স্মার্টফোন দেওয়ার আগে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে ভাবুন—কারণ আপনার এক সিদ্ধান্ত সন্তানের মানসিক সুস্থতায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
রিফাত জাহান শিফা
লেখক, বিজ্ঞান্বেষী