Rasel 2.0

Rasel 2.0 My Daily vlog. Follow to Follow back.
(1)

 # # দুই বডি বিল্ডার আর এক হালি ডিমএক গ্রামে থাকতো দুই দারুণ বডি বিল্ডার—একজনের নাম ছিল বজলু, আরেকজন মজনু। দু'জনেরই শরীর...
19/07/2025

# # দুই বডি বিল্ডার আর এক হালি ডিম

এক গ্রামে থাকতো দুই দারুণ বডি বিল্ডার—একজনের নাম ছিল বজলু, আরেকজন মজনু। দু'জনেরই শরীর যেন একেবারে পাথর! হাত পা দেখে গ্রামের লোকেরা বলতো, “বাহ, এরা তো Hulk আর Thor এর দূর সম্পর্কের ভাই হবে!”

কিন্তু সমস্যা ছিল—দুজনেই ভাবতো, সে-ই গ্রামে সবচেয়ে শক্তিশালী। একদিন বজলু বাজারে গিয়ে ৬টা ডিম কিনে ফিরছিল। হঠাৎ মজনু সামনে পড়ে গেল।

মজনু বললো,
— “এই বজলু! শুনেছি ডিম খেয়ে নাকি তোর পেশি বেড়ে গেছে? চল দেখা যাক, কে বেশি শক্তিশালী!”

বজলু হেসে বললো,
— “ডিম খাওয়াই শুধু না, শক্তি দেখাতে গেলে আগে প্রতিযোগিতা করতে হবে। ডিম ছিনিয়ে খাওয়ার প্রতিযোগিতা কেমন হবে?”

মজনু বললো,
— “চ্যালেঞ্জ একসেপ্টেড!”

ব্যস, দুই জনই রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেল। নিয়ম হলো—যে বেশি ডিম ছিনিয়ে খাবে, সেই হবে গ্রামের 'ডিম মাস্টার'।

প্রথম রাউন্ডে বজলু ডিম ছুঁড়ে দিল আর মজনু লাফ দিয়ে ক্যাচ করলো। খেতে গিয়ে দেখি ডিম কাঁচা! পুরো মুখ দিয়ে স্লিপ করে পড়লো জামায়। সবাই হো হো করে হাসতে লাগল।

দ্বিতীয় রাউন্ডে মজনু ছুঁড়লো, বজলু ক্যাচ করলো। সে ভাবলো ফাটিয়ে খাবে। কিন্তু এইবার ডিমটা নাকি বাচ্চা মুরগির ডিম! ঠোকর দিয়ে ঢুকিয়ে দিল পুরো মুখে, আর এক চিৎকার—“কুড় কুড় কুড়!”

গ্রামের সবাই হেসে লুটোপুটি।

শেষ রাউন্ডে বজলু বললো,
— “এইবার আসল খেলা!”

বজলু একসাথে ৪টা ডিম এক হাতে নিয়ে মজনুকে বললো,
— “যদি পারিস এই ডিম ছাড়াই শক্তি দেখাও।”

মজনু হঠাৎ পাশের কলাগাছ উপড়ে ফেললো। বজলু কিছু না বলে ডিম ভাজা বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে শুরু করলো।

গ্রামের মাতব্বর বললো,
— “শক্তির আসল ব্যবহার হলো শান্তি আর ডিম খাওয়ার মধ্যে!”

সেই থেকে গ্রামের নিয়ম—যখনই ঝগড়া হবে, সবাই মিলে ডিম ভাজা খাবে।

আর বজলু আর মজনু এখন শুধু শরীর বানায় না, ভালো ডিমের হালিমও বানায়!

# # # —শেষ— 🥚💪

 # # # গল্পঃ দুই গরুর ভালোবাসাএক ছিলো সাদা গরু — নাম তার “গোলাপী”। আরেক ছিলো কালো গরু — নাম “কালু”। দুজনেই ছিলো এক গ্রাম...
19/07/2025

# # # গল্পঃ দুই গরুর ভালোবাসা

এক ছিলো সাদা গরু — নাম তার “গোলাপী”। আরেক ছিলো কালো গরু — নাম “কালু”। দুজনেই ছিলো এক গ্রামের দু'পাশের খামারে। গোলাপীর মালিক ছিলো হাজী করিম সাহেব আর কালুর মালিক ছিলো ওস্তাদ রশিদ।

হাজী করিম সাহেবের খামার ছিলো সাজানো গোছানো, গোলাপীর গলায় ঝুনঝুনি বাঁধা থাকতো। সকাল হলেই সে খামারের খোলা মাঠে ঘুরে বেড়াতো। অন্যদিকে কালু ছিলো গ্রামের সবচেয়ে শক্তিশালী গরু। তাকে দুধের জন্য নয়, হালচাষের জন্য বড় করে তোলা হয়েছিল।

প্রতিদিন সকালে যখন গোলাপী খোলা মাঠে খেতের ধারে ঘাস খেতো, দূর থেকে কালু তাকে দেখতো। কখনো লেজ নাড়িয়ে, কখনো “হুঁ… হুঁ…” ডেকে নিজের উপস্থিতি জানান দিতো। প্রথম দিকে গোলাপী পাত্তা দিতো না, কিন্তু ধীরে ধীরে তার মনেও কিছু একটা জন্মাতে লাগলো।

একদিন দুপুর বেলা দুই গরু খেতের পাশের পুকুরঘাটে মুখোমুখি হলো। গোলাপী শান্ত স্বরে বললো,
— “কি ব্যাপার, এতদিন ধরে আমাকে দূর থেকে দেখছো কেন?”

কালু একটু মাথা নিচু করে বললো,
— “তোমার গলার ঝুনঝুনির শব্দ শোনার জন্যই তো দূর থেকে দাঁড়িয়ে থাকি। তুমি হাসলে আমার বুকের ভিতর আনন্দের ঢেউ ওঠে।”

সেইদিন থেকেই তাদের বন্ধুত্বের শুরু। খামারের সব গরুরা জানতো, এই দুই গরুর মধ্যে এক অদ্ভুত ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

দিন যেতে লাগলো। মাঝে মাঝে খামার পালারা বুঝে যেতো, গোলাপী আর কালুকে আলাদা রাখা কঠিন। তাই বিকেলে দুই খামারের মাঝে একটাই খোলা মাঠ করে দেওয়া হলো। ওখানেই একসাথে খেলতো, ঘাস খেতো আর গল্প করতো।

একবার গ্রামের হাটে বিক্রির কথা উঠলো। গোলাপীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এক ব্যবসায়ী এলো। কিন্তু সেই রাতেই গোলাপী কিছু খায়নি, চোখ দিয়ে পানি পড়েছে। কালুও গোয়ালে অস্থির হয়ে উঠলো।

হাজী করিম সাহেব আর ওস্তাদ রশিদ বুঝে গেলেন — এই দুই গরুকে আলাদা করা অন্যায় হবে। তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, আর কখনও বিক্রির কথা ভাববেন না।

এরপর থেকে গোলাপী আর কালু একসাথে মাঠে ঘুরে বেড়াতো, একসাথে খেতো, আর সন্ধ্যাবেলায় গ্রামের শিশুরা এসে গল্প শুনতো তাদের ভালোবাসার।

গ্রামের সবাই বলতো —
“মানুষের মাঝে যে ভালোবাসা, প্রাণীর মাঝেও সেই ভালোবাসা বিরাজমান। গোলাপী আর কালু তার সবচেয়ে সুন্দর প্রমাণ।”

🌾 **শেষ।** 🌾

 # # # মজার গল্প: পাতা বাবা ও ছোট্ট টিপুগ্রামের এক কোণে ছিল এক বিশাল বটগাছ। সেই গাছের পাতারা ছিল একেবারে আলাদা। তারা নিজ...
18/07/2025

# # # মজার গল্প: পাতা বাবা ও ছোট্ট টিপু

গ্রামের এক কোণে ছিল এক বিশাল বটগাছ। সেই গাছের পাতারা ছিল একেবারে আলাদা। তারা নিজেদের একজনকে নেতা বানিয়েছিল — তার নাম ছিল **পাতা বাবা**। সে ছিল সবচেয়ে বড়, সবুজ, চকচকে পাতা। গাছের সব পাতা তাকে খুব সম্মান করত।

একদিন দুপুরবেলা ছোট্ট টিপু গাছতলায় খেলতে এল। হঠাৎ বাতাসে একটা পাতা উড়ে এসে টিপুর মাথায় পড়ল। টিপু মাটিতে তাকিয়ে বলল,
— “এই পাতা কেন আমার মাথায় পড়ল?”

পাতা বাবা রেগে গিয়ে বলল,
— “আমি তোমাকে শাস্তি দিলাম, টিপু! তুমি গতকাল এখানে ছাগল এনে আমাদের পাতা খাইয়েছিলে!”

টিপু অবাক হয়ে চারদিকে তাকাল,
— “কে কথা বলছে?”

পাতা বাবা বলল,
— “আমি, পাতার রাজা! আমি সব দেখি। তুমি যদি আর ছাগল আনো, আমি তোমার হোমওয়ার্ক গায়েব করে দেব!”

টিপু বলল,
— “ওরে বাবা! আমি তো নিজেই হোমওয়ার্ক করতে পারি না, আর গায়েব হলে তো মার খেতে হবে!”

পাতারা দুলে দুলে হাসল। পাতার বাবাও একটু মুচকি হাসি দিল। তারপর বলল,
— “ঠিক আছে, তুমি আমাদের রক্ষা করলে, আমরাও তোমাকে সাহায্য করবো।”

পরদিন স্কুলে টিপু অঙ্ক ক্লাসে কঠিন প্রশ্নে আটকে গেল। জানালার পাশে বসে পাতাদের কথা মনে পড়ে গেল। সে ফিসফিসিয়ে বলল,
— “পাতা বাবা, একটু সাহায্য করবেন?”

ঠিক তখনি জানালার বাইরে থেকে এক পাতা উড়ে এসে টিপুর খাতায় সঠিক উত্তর লিখে দিল! সবাই অবাক, শিক্ষক বললেন,
— “টিপু, তুমি তো খুব বুদ্ধিমান!”

টিপু মুচকি হেসে বলল,
— “সবই পাতার দয়া স্যার!”

সেই থেকে টিপু গাছতলা পরিষ্কার রাখে, ছাগল আনে না, আর পাতারা তার গোপন বন্ধু হয়ে যায়। মাঝে মাঝে টিপু পাতার নীচে বসে ফিসফিস করে বলে,
— “পাতা বাবা, আরেকটু সাহায্য লাগবে!”

পাতা বাবা দুলে দুলে হাসে আর বলে,
— “হয়, দোস্তি তো পাকাপোক্ত!”

আর গাছের পাতারা খুশিতে দুলতে থাকে।

**শেষ!**

কবিরাজ মহাশয় অমাবস্যার মধ্যরাতে দিঘিতে ডুব দিয়েছেন।কারো রোগ হলে যোগাযোগ করবেন।
18/07/2025

কবিরাজ মহাশয় অমাবস্যার মধ্যরাতে দিঘিতে ডুব দিয়েছেন।কারো রোগ হলে যোগাযোগ করবেন।

18/07/2025

আপনারা কোন ধরনের গল্প পছন্দ করেন প্লিজ কমেন্ট এ বলে যান।

শিরোনামঃ **“কুমির মামার কান্না”**এক দেশে ছিল এক গভীর নদের ধারে সবুজ ঘেরা এক গ্রাম। সেই নদের পানিতে বাস করত এক বুড়ো কুমির...
17/07/2025

শিরোনামঃ **“কুমির মামার কান্না”**

এক দেশে ছিল এক গভীর নদের ধারে সবুজ ঘেরা এক গ্রাম। সেই নদের পানিতে বাস করত এক বুড়ো কুমির। সবাই তাকে “কুমির মামা” বলে ডাকত। ছোটবেলা থেকেই সে নদীতে খেলাধুলা করে বড় হয়েছে। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে একদম একা হয়ে পড়েছিল।

গ্রামের ছেলেমেয়েরা আগে নদের ধারে খেলত, কুমির মামাকে দেখে হাততালি দিত। কিন্তু সময় বদলে গেল। বড় বড় মেশিন এসে নদীর পাশের গাছ কেটে ফেলল। পানির পাশে ময়লা ফেলা শুরু হলো। মাছেরা হারিয়ে গেল। আর কুমির মামাও হয়ে পড়ল নিঃসঙ্গ।

একদিন নদীর ধারে এক ছোট্ট ছেলে রাজু এলো। সে খেলতে খেলতে পানির ধারে চলে এল। হঠাৎ কুমির মামা পানির উপর মুখ দেখাল। রাজু ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাতে চাইল। কিন্তু কুমির মামা বলল,
— “ওরে বাবা, ভয় পাস না, আমি কাউকে খাই না।”

রাজু একটু সাহস পেল। সে আবার এগিয়ে গেল। কুমির মামা চুপচাপ নদীর মাঝে ভাসছিল। রাজু জিজ্ঞেস করল,
— “তুমি এত দুঃখী কেন মামা?”

কুমির মামার চোখে জল টলমল করতে লাগল। সে বলল,
— “আমার ছোটবেলায় এই নদীতে কত মাছ ছিল, কত পাখি গান গাইত। তোমরা সবাই খেলতে আসতে। এখন শুধু নোংরা আর ময়লা। সবাই আমাকে ভুলে গেছে। আমার বন্ধু মাছগুলোও নেই।”

রাজু মন খারাপ করে বলল,
— “আমি কিছু করবো মামা।”

পরদিন রাজু গ্রামের সব ছেলেমেয়েদের নিয়ে নদীর ধারে এল। সবাই মিলে নদীর পাশে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করল। নদীর পাশে গাছ লাগালো। সেই দিন থেকে গ্রামের সবাই কুমির মামাকে দেখতে আসত। নদী পরিষ্কার হতে শুরু করল, মাছও আবার ফিরে এলো।

কুমির মামা খুশিতে হাসল। সে বলল,
— “এইবার আমি আর একা না। তোমরা সবাই আমার বন্ধু।”

রাজু হেসে বলল,
— “নদী আর প্রকৃতিকে ভালোবাসলে, প্রকৃতিও তোমাকে ভালোবাসবে।”

এরপর থেকে কুমির মামা আর কোনোদিন একা ছিল না। রাজু আর গ্রামের সবাই মিলে নদী আর প্রকৃতিকে আগলে রাখত।

**শেষ।** 🌊🐊

এক গ্রামে ছিল এক বোকাসোকা লোক—নাম তার ডিমু মিয়া। গ্রামের সবাই তাকে “ডিমু ডিমওয়ালা” বলে ডাকতো। কারণ সে সারাদিন শুধু ডিম...
17/07/2025

এক গ্রামে ছিল এক বোকাসোকা লোক—নাম তার ডিমু মিয়া। গ্রামের সবাই তাকে “ডিমু ডিমওয়ালা” বলে ডাকতো। কারণ সে সারাদিন শুধু ডিম নিয়ে ব্যস্ত থাকতো।

একদিন ডিমু মিয়া বাজার থেকে এক হালি ডিম কিনে ফিরছিল। হঠাৎ রাস্তায় এক শেয়াল এসে বলল,
— “ডিমু ভাই, ওই ডিমগুলো আমাকে দিলেই আমি আপনাকে এক গুপ্তধনের খবর দেবো।”

ডিমু মিয়া তো মহাখুশি! ভাবলো, “ডিম দিয়ে যদি গুপ্তধন পাই, তো মন্দ কী!”

সে শেয়ালকে একটাও ডিম না দিয়ে বলল,
— “আগে গুপ্তধন দেখাও, পরে ডিম!”

শেয়াল ধূর্ত হেসে বলল,
— “ঠিক আছে, চোখ বন্ধ করো।”

ডিমু চোখ বন্ধ করলো। শেয়াল শেয়ালে কি আর ভালো চিন্তা করবে! সটান ডিমগুলো মুখে তুলে নিয়ে দৌড়!

ডিমু চোখ খুলে দেখে—শেয়াল নেই, ডিম নেই!
সে মাথা চুলকে বলে,
— “এই জন্যই সবাই আমাকে ডিমু বলে!”

পরের দিন থেকে ডিমু সিদ্ধান্ত নিলো, আর ডিম না কিনে সে হাঁস-মুরগি পালন করবে। তখন ডিম হবে ফ্রি!

কিন্তু প্রথম দিনেই সে হাঁস কিনে পুকুরে ছেড়ে দিলো। হাঁস গেলো আর ফিরে এলোনা। পুকুরের পাশে বসে ডিমু তখন বললো—
— “হাঁস গেলো, ডিম গেলো… এখন আমি পুরোপুরি ডিমোন্নতি হয়ে গেলাম!”

গ্রামের সবাই হেসে গড়িয়ে পড়ল। এরপর থেকে ডিমু মিয়া হয়ে গেল “ডিমোন্নতি ডিমু!”

# # # শিক্ষা: বেশি চালাকির চেষ্টায় ডিমও যাবে, হাঁসও যাবে! 🥚🦆😄

Address

Ullapara

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rasel 2.0 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share