
01/06/2024
আতিকুর রহমান টিপুঃ
একজন মানুষ কখনোই ব্যাক্তির আদর্শ আর ব্যক্তির চিন্তায় জীবন পার করতে পারেনা।তার বিবেক আর জ্ঞান দিয়ে কি করা উচিত কোনটি ভালো নয় নির্ধারন করা উচিত।মানুষ একমাত্র আল্লাহর দাসত্বই করবে।আর কারো নয়।আল্লাহ সব বুঝেন আর জানেন।তার কাছে মাধ্যম দিয়ে আগাতে হয়না।মাধ্যম কেবল জ্ঞান বুদ্ধি আর চলার পথ দেখাবার জন্য দরকার।কেবল একজনের কাছে বন্দী হয়েই তা অর্জন ঠিক নয়।অংক শিক্ষার জন্য অংক শিক্ষকের দরকার।ধর্ম শিক্ষার জন্য ধর্ম শিক্ষকের দরকার।বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য বিজ্ঞান শিক্ষকের দরকার।তেমনি প্রতিটি ধাপে রয়েছে জানার মাধ্যম।পবিত্র কোরআন কি বলেছে? আকাশ বাতাস চন্দ্র সূর্য আবর্তন নিয়ে জানতে।শ্রষ্ঠার সৃষ্টি নিয়ে জানতে।বিজ্ঞান নিয়ে জানতে।পরিমাপ নিয়ে জানতে।
জোতিস্ক নিয়ে জানতে।সৃষ্টির রহস্য নিয়ে জানতে।মওলানাগন সে বিষয়ে কি পবিত্র কোরআনের বিষদ ব্যাখা করছেন?তারা করছেন কোন মওলানা কি বল্লেন তা নিয়ে মাঠ গরম করতে।একজন ভুল করলে তা ব্যাক্তিগত কন্ট্রাক না করে তাকে আঘাত করতে উদ্যত হচ্ছেন।পীরগন ওলিগন মানব কল্যানে পবিত্র কোরআন, হাদিস ও নামাজ রোজার মহা বার্তা প্রচার করে গেছেন তা ভুলে তাদের মাজার নিয়ে তর্কে লিপ্ত হতে।তারা কি উদ্দেশ্যে আর কি নিয়ে এ জনপদে এসেছিলেন পরিবার পরিজন ছেড়ে সেই বাণী রেখে তাদের মাজার নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত হতে।
মানুষ পৃথিবীতে আগমন করলে বা জন্ম নিলে মা বাবাসহ স্বজনরা স্বাগত জানায়।আবার মৃত্যুর পর তার লাশকে বহনের সময় সমবেদনা জানায়।কিন্তু কেউ কবরে বা চিতায় মৃত ব্যাক্তির সাথে গমন করেনা।নিজেরই যেতে হয়।
তাই নিজেকে জানার দরকার।নিজেরা কেনো ব্যাক্তির জন্য দ্বন্দ্বে লিপ্ত হবো? কেউ কি কারো জন্য জন্ম নেয়? নিজের জন্যই জন্য প্রাকৃতিক ভাবে পৃথিবীকে গমন।তাই কারো দাস কেনো হবো? জানবো সবার কাছে কারো দায় নিয়ে কেনো এত চেঁচামেঁচি করবো?আমরাতো আল্লাহর দাস।আল্লাহর গোলাম।আইসিইউতে একমাস থাকলে কত টাকা হাসপাতালকে দিতে হয়? জানেন? আর প্রতিদিন কি পরিমাণ অক্সিজেন আমরা প্রকৃতি থেকে নিয়ে বাঁচি।১০ বছরের অক্সিজেনের দাম কত?তা কি পরিশোধ সম্ভব? এই যে আল্লাহর সূর্য থেকে যে আলো বা তাপ গ্রহন করি তার দাম কি দেয়া সম্ভব? কত রংগের ফলমুল,শাক সবজি, মাছ মাংসসহ কত উপাদান গ্রহন করছি তার মূল্য কি দিতে পারবো?.এই যে বিজ্ঞানময় শরীর,মন আর জীবনটা তিনি তৈরী করে দিয়েছেন নিয়মের মাধ্যমে যার ভেতর কেবলই ভাব,অনুভব আর প্রাপ্তিময়তা তার কতটুকু জানতে চেয়েছি।এসব কিছুর জন্য আল্লাহর গোলামী করিনা তার জন্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করিনা কিন্তু ক্ষণিক লোভ আর হীন স্বার্থের জন্য ব্যাক্তির জন্য কতনা চামচামী আর নিজেকে বিকিয়ে দিচ্ছি! এটা কি ঠিক?
কেউ কারো উপকারে আসবেনা কঠিন কিয়ামতের দিন।পৃথিবীতেই করোনার সময় কোন পীর কি তার শিষ্যকে জড়িয়ে ধরতে দেখেছেন?
একটি ট্রলার ডুবি হলে যার যার জীবন নিয়ে বাঁচার চেষ্ঠা করবে।চাচা যার যার জীবন সে বাঁচা।ক্যানসার হলে কোন পীর কি তাকে রক্ষা করতে বা তার কষ্ট ধারণ করতে পারবে? কিংবা যদি বলে ক্যান্সারের স্পর্শে ক্ষতি হতে পারে।তখন এ যামানার আকিদার পীর সাহেব কি শিষ্যের ধারে কাছে আসবেন?
আমরা পীর,মাশায়েখ,শিক্ষকের কাছে জানবো কিন্তু অধিনস্থ হয়ে জীবন জিম্মি হতে দেবোনা।তাদের সম্মান করবো কিন্তু জীবনভর অধিনস্থ হবোনা।
জীবন জিম্মি করে দেবো আল্লাহর কাছে যিনি সব দেখেন ও জানেন।তার কাছে নেতা নিয়ে যেতে হয়না।
তিনি সব দেখেন ও সব বিষয়ে জ্ঞাত।সমগ্র সৃষ্টিটা তার নিয়ন্ত্রণে।আল্লাহর রাসুলই কেবল সুপারিশকারী।বাকীরা ইয়ানাফসি।