BanglaDigital

  • Home
  • BanglaDigital

BanglaDigital Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from BanglaDigital, Digital creator, .

How to take smart marketing decision in a complex marketing environment.
26/06/2025

How to take smart marketing decision in a complex marketing environment.

22/05/2025

ওয়ার্ক ফ্রম হোম (work from home) : আইটি সেক্টরের গেম চেঞ্জার কর্ম -কৌশল

“ওয়ার্ক ফ্রম হোম” কিংবা “রিমোট ওয়ার্ক” কর্ম-পদ্ধতি প্রচলিত নিয়মের কর্পোরেট ব্যবস্থাপনাভিত্তিক কোন পদ্ধতি নয়। কর্মী এবং কোম্পানি উভয়ের জন্য উইন-উইন সিচ্যুয়েশন এর সুযোগ থাকায় “ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ কৌশলটি এখনো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত, বিশেষ করে “আইটি” সেক্টরে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।

hrstacks পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় সাম্প্রতিক সময়ে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” কর্ম-কৌশলের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্ব জনশক্তির মাত্র ১৫% থেকে ২০২৪ সালে ৪০% এ উন্নীত হয়েছে।

 Technology বা প্রযুক্তি খাতের সর্বোচ্চ ৬০% কর্মী এর আওতায় আছে।
 রিমোট ওয়ার্ক পছন্দের তালিকায় শীর্ষ স্থানে মিলিনিয়াম গ্রুপ (২৫-৪০ বছর); এবং
 দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে জেন-জি গ্রুপ (১৮-২৪)।
 রিমোট ওয়ার্ক টুলস/সফটওয়ার জুম শীর্ষে ৮৫%, মাইক্রোসফট টিম ৭৫%।
“ওয়ার্ক ফ্রম হোম” পদ্ধতি বিভিন্ন খাতের জন্য অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি করিলেও আইটি খাতের জন্য তা একেবাত্রে গেম চেঞ্জার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কেন?

ডিজিটাল প্রযুক্তি অবিরতভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবির্ভাবে এ পরিবর্তনশীলতায় যাদুকরী গতিশীলতা এসেছে। এ পরিবর্তনশীলতার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা তথা এগিয়ে থাকার জন্য নিত্য নতুন ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে হয়। বিদ্যমান কর্পোরেট কালচারের কর্মপরিবেশে দিনব্যাপী মিটিং কিংবা সিদ্ধান্তের দীর্ঘসূত্রিতা ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে ইনোভেটিভ আইডিয়া বা কর্মকান্ডের প্রতিকূল হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” প্রমাণিত সফল কর্মপন্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপি স্বীকৃতি লাভ করেছে।

একজন আইটি প্রফেশনাল একই সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ণের কাজ করে থাকেন। বিশেষ করে এসএমইদের ক্ষেত্রে এমনকি কোন বিশেষ প্রজেক্টের ক্ষেত্রে একক ব্যক্তিই কাজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” বাড়তি সুবিধা দেয়।

“ওয়ার্ক ফ্রম হোম” এর বিরাট/বিপুল সুবিধা রয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তি/গ্যাজেট এর সংশ্লিষ্টতা থাকায় আইটি সেক্টরের জন্য সংগত কারণে তা অধিকতর।

“ওয়ার্ক ফ্রম হোম” এর কতিপয় প্রধান প্রধান সুবিধা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
 Save Time- বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে Time বা সময় মূল্যবান সম্পদ। বাসায় থেকে কাজ করার মাধ্যমে অফিসে যাতায়াত এড়িয়ে মূল্যবান সময় বাঁচানো সম্ভব হয়।
 Save Money- বাসায় কাজ করার মাধ্যমে দামী ফর্মাল ড্রেসের খরচসহ নৈমিত্তিক যাতায়াত এবং লাঞ্চ/স্নেক্সের খরচ বাঁচানো সম্ভব হয়।
 Flexible Work Schedule – ধরা-বাঁধা কর্ম-সিডিউলের বাধ্যবাধকতা নয়া থাকায় ইতিবাচক কর্ম-মুডে কাজ করার মাধ্যমে কাজের গুণগত মান উন্নত হয়।
 Improve Work-Life Balance – কর্পোরেট কর্ম-পরিবেশে কর্ম ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় কর্মের বাহিরে বিশেষ করে পারিবারিক জরুরি কাজ সম্পাদন করাও অসম্ভব হয়ে উঠে, যা স্বল্পমেয়াদী জটিলতা তৈরিসহ দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” এর মাধ্যমে জীবন-কর্মের একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা রক্ষা সম্ভব হয়।
 Increase Productivity- যাতায়াতের কষ্ট কিংবা কর্পোরেট কর্ম-পরিবেশের চাপ নয়া থাকায় শারীরিক ও মানসিক অনুকূল পরিবেশে কাজের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
 Reduce Stress- দৈনন্দিন নির্ধারিত ওয়ার্কলোড নয়া থাকায় শারীরিক বাঃ মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।
 Managing Childcare Expenses- বাসায় কাজের সুযোগ থাকায় সন্তানদের জন্য চাইল্ডকেয়ার খাতে কোন খরচ হয় না।
 Increase Engagement in the Community- অফিসে কাজের ফলে সময়ের সীমাবদ্ধতায় আগ্রহী হওয়া স্বত্তেও অনেকে সেবামূলক কাজ কিংবা স্বেচ্ছাশ্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
 Lower Carbon Footprint- অফিসে বিদ্যুৎ ব্যবহার, এসি কিংবা ফ্রিজ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কম থাকায় সামগ্রিকভাবে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস পায়।
 Minimize Office Politics and Drama- অফিস চলাকালে কর্মীদের মধ্যে দলাদলি/ স্বার্থের দ্বন্ধ হয়, ওয়ার্ক ফ্রম হোম অনুসরণে এর থেকে মুক্তি মিলে।
 Increase Happiness- চাকরির প্রতি সন্তুষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা সামগ্রিকভাবে জীবনকে অধিকতর আনন্দময় করে তোলে।

12/06/2024

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI): চাকরী বিনাশী নাকি চাকরী সৃষ্টিকারী?

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে বিশ্বব্যাপি সর্বাধিক প্রচলিত নেতিবাচক ধারণাটি হলো, এ প্রযুক্তি বিদ্যমান বহু চাকরীর ক্ষেত্র বিলুপ্তি ঘটিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত করবে। ফলে কর্মরত জনবল বেকার হবে, কর্মপ্রত্যাশী জনবল চাকরী বঞ্চিত হবে। তবে এ ধারণাটি আংশিক সত্য। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কেবল চাকরীর ক্ষেত্রে সংকুচিত করবে না, নতুন নতুন চাকরীর অফুরান সুযোগও তৈরি করবে।

অর্থনীতিতে পরিবর্তনশীলতা অনিবার্য্য, যা ইনোভেশনের মাধ্যমে আসে এবং নতুন নতুন ইনোভেশনের দ্বারা সাধারণত পুরাতন ইনোভেশনসমূহ প্রতিস্থাপন কিংবা অকার্যকর হয়ে থাকে। নতুন নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবে প্রচলিত এবং পুরাতন প্রযুক্তি নির্ভর কতিপয় খাতের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যেতে পারে। ফলে কিছু কর্মক্ষেত্র বিলুপ্ত হতে পারে। তবে অনেক নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। McKinsey একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় বর্তমান সময়ে বিদ্যমান Job গুলির ৩৩% এর কোন অস্তিত্ব মাত্র ২৫ বছর আগেও ছিল না।

জার্মানভিত্তিক অন-লাইন গবেষণা প্রতিষ্ঠান Statista এর এক সমীক্ষামতে ২০২৩-২০২৮ সময়কালে AI ব্যবহারজনিত কারণে বিশ্বের বর্তমানে বিদ্যমান চাকরীর ধরণ পরিবর্তন বা বিলুপ্তির সম্ভাবনার পক্ষে মতামত দিয়েছেন ৩৬%, পক্ষান্তরে বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন ৫৬%।

World Economic Forum কর্তৃক ৮০০ এর অধিক গ্লোবাল কোম্পানির উপর পরিচালিত একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায় ২৫% মনে করেন AI ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান চাকরী বিলুপ্ত হবে, পক্ষান্তরে ৫০% মনে করেন নতুন নতুন চাকরীর ক্ষেত্র তৈরি হবে।

World Economic Forum এর প্রাক্কলন মতে ২০২৫ সালের মধ্যে AI ব্যবহারের কারণে ৮৫ মিলিয়ন চাকরিজীবি বর্তমান চাকরী হারাবে, পক্ষান্তরে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাদের অপর একটি প্রাক্কলন অনুসারে ২০২৮ সাল নাগাদ অটোমেশনের কারণে ৬৯ মিলিয়ন নতুন চাকরী সৃষ্টি হবে, তবে নেট চাকরী বিলুপ্তির হবে ২%।

McKinsey Global Institute এর স্টাডির ফলাফল থেকে জানা যায় ২০৩০ সাল নাগাদ AI ব্যবহারের কারণে বিশ্বে ২০-৫০ মিলিয়ন নতুন চাকরীর সুযোগ সৃষ্টি হবে।

IMF এর প্রাক্কলন মতে AI ব্যবহারের প্রভাব বিশ্বে মোট চাকরীর ৪০% এর ওপর পড়তে পারে। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের ৬০% চাকরী এর আওতায় আসবে, যার ৫০% এর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আসুন AI কে ভয় নয়, জয় করার প্রস্তুতি গ্রহণ করি।

13/05/2024

Facebook Friend আসলেই কি Friend?

Friend বা বন্ধু এমন একটি সম্পর্ক , মানুষ নিজ পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনদের বাহিরে যাকে বেশি বিশ্বাস করে, যার উপর বেশী আস্থা রাখে, অন্য কাউকে না বলা কথাটিও যাকে নির্দ্বিধায় বলতে পারে। বন্ধুত্বের গভীরতা কিংবা মাত্রা নির্ধারণে বাংলায় একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে, “বিপদে বন্ধুর পরীক্ষা হয়”। অর্থাৎ প্রকৃত বন্ধুরা বন্ধুর বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। Friendship সম্পর্কিত Wikipedia's definition হলো , “Friendship is a term used to denote co-operative and supportive behavior between two or more people”। অর্থাৎ পারস্পরিক নির্ভরতা, সহযোগিতা এবং আস্থা ইত্যাদি হলো বন্ধুত্বের মূল ভিত্তি।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে Facebook এর কল্যাণে Friend শব্দটি বৈশ্বিক মাত্রা পেয়েছে। Facebook এর একজন একাউন্ট হোল্ডার ইচ্ছে করলে শত, সহস্র বন্ধু নির্বাচন করতে পারেন। বন্ধুরা দেশী/বিদেশী, পরিচিত/অপরিচিত, মেয়ে/পুরুষ, বাস্তব/অবাস্তব, সত্যিকার এমনকি ফেক-বন্ধুও হয়ে থাকেন। সোস্যাল মিডিয়া বিশেষ করে Facebook এর আমাদের অগণিত বন্ধু তৈরি হয়, যা নিয়ে আমরা অনেকে গর্বিত হই।

সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া আসলে সৌভাগ্যের বিষয়। জীবনে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য বন্ধুর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের বৃহত্তম অলাভজনক প্রতিষ্ঠান Mayo Clinic বিশেষজ্ঞ স্টাফদের মতে মানুষের স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার উপর বন্ধুত্বের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ভালো বন্ধু থাকা মানে স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা, জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়, বিষাদ দূর হয়ে জীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠে, নিজের উপর আস্থা বৃদ্ধি পায়, এমনি আরো অনেক কিছু। অর্থাৎ মানসিক প্রশান্তি এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে বন্ধুত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্টাফদের মতে বাস্তব জীবনে বন্ধুদের সাথে সহজে সংবেদনশীল তথ্যাদিও শেয়ার করা যায়। কিন্ত সোস্যাল মিডিয়ার বন্ধু বাস্তব জীবনের বন্ধুদের মত বিশ্বস্ত না হওয়ায় তাদের সাথে সংবেদনশীল তথ্যাদি বিনিময় মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ফেক সোস্যাল মিডিয়া বন্ধুর দ্বারা অপরিসীম ক্ষতির আশংকা থাকে।

Facebook Friend আসলেই কি Friend? বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক গবেষণা হয়েছে। Oxford University এর Evolutionary Psychology বিষয়ের প্রফেসর Robin Dunbar এর গবেষণাটি বিশ্বব্যাপী বহুল সমাদৃত। তার গবেষণামতে সোস্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের ওপর বাস্তবের বন্ধুদের ন্যায় মোটেও নির্ভর করা যায় না। তিনি তার গবেষণায় দেখিয়েছেন মানুষের Cognitive Limitation থাকার কারণে অগণিত বন্ধুর সাথে নিবিড় বা নির্ভরশীল সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব নয়। বন্ধুত্বের নিবিড়তা নির্ভর করে এর সংখ্যার উপর। তিনি প্রকৃত বন্ধুত্ব স্থাপনের নিমিত্ত বন্ধুদের সংখ্যা সম্পর্কেও নিম্নরুপ ধারণা দিয়েছেনঃ

— Five “intimate” friends. This is your support group — the people who know you best.
— 15 “sympathetic” friends whom you can confide in.
— 50 “close” friends. You may not see them all the time, but if you were having a milestone birthday party, they’d be on your guest list.
— Now we have the 150 “friends.” If you ran into them on the street, you’d probably suggest a cup of coffee (or, in my case, a beer) for a chance to catch up.
— The next circle out is 500 “acquaintances.” You probably know just the briefest of back stories about them like how you know them.
— Finally, we have 1,500 as our cognitive limit. On a good day, we may remember their name if we see them.

অর্থাৎ বন্ধু সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বন্ধুত্বের গভীরতা/নিবিড়তা হ্রাস পায়।

Science Museum Group এর গবেষক Roger Highfield এক নিবন্ধে গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন সোস্যাল মিডিয়ার বন্ধু কোনভাবেই বাস্তব জীবনের বন্ধুর ন্যায় উপকারী নয়। সহযোগিতার Benefit to cost ratio বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা যায় পারস্পরিক বন্ধনের দৃঢ়তার উপর সহযোগিতার মাত্রা নির্ভরশীল। অর্থাৎ স্থায়ী পারিবারিক বন্ধন, স্থায়ী অংশীদারিত্ব কিংবা স্থায়ী বন্ধুত্বের মাধ্যমে সহযোগিতা জোড়ালো হয়। গবেষণায় দেখা যায় মানুষের বাস্তব জীবনের সামাজিক বন্ধন , এমনকি পশু-পাখিদের সামাজিক বন্ধনের স্কোর Facebook বন্ধুদের সামাজিক বন্ধনের স্কোরের চেয়েও বেশী। অর্থাৎ Facebook বন্ধুদের পারস্পরিক বন্ধন বাস্তব জীবনের পশু-পাখিদের বন্ধনের চেয়েও দূর্বল। তাই অগণিত Facebook বন্ধু থাকার পরও নির্ভর করার মত বন্ধুর সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য হয়ে থাকে। সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক স্থাপন দুষণীয় কিছু নয়। তবে মনে রাখা উচিত সোস্যাল মিডিয়ার বিপুল সংখ্যাক বন্ধুকূল কখনো বাস্তবের স্বল্প সংখ্যক বন্ধু-গ্রুপের বিকল্প হতে পারে না।

পরিশেষে একটি বহুল প্রচলিত বাংলা প্রবাদের সাহায্য নিয়ে বলা যায় Facebook Friend হলো কাজীর গরুর মত, কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই।

08/08/2023

জ্ঞানের কথা, জ্ঞানীর কথাঃ “একই সূর্যের আলো চুলের কালো রঙ হাল্কা/ধুসর করে অথচ শরীরের চামড়ার হাল্কা রঙ গাঢ় করে, কেন?”

‘রৌদ্রে খেলা-ধুলা করলে গায়ের রঙ পুড়ে যাবে’ সন্তানদের প্রতি পিতা-মাতার এমন শাসনের কথা প্রায় সবারই জানা। তা ছাড়াও সী-বিচে সান-বাথের মাধ্যমে শরীর পুড়ানোর বিলাসিতা শীত-প্রধান দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, গ্রীষ্ম-মন্ডলীয় দেশগুলি এমনকি আমাদের মত দারিদ্র-পীড়িত দেশ-সমূহেও বেশ সংক্রামিত হয়েছে। অপরদিকে, সূর্যের প্রচন্ড তাপে চুলের রঙ বদলে হাল্কা হওয়ার ঘটনাও আমাদের অজানা নয়। অর্থাৎ সূর্যের আলো গায়ের রঙ পুড়িয়ে গাঢ় কিংবা তামাটে করে অথচ চুলের রঙ হাল্কা বা ফ্যাকাসে করে। মানব দেহের বিভিন্ন অংশে একই সূর্যের আলোর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার রহস্যটা আসলে কি!

বিশ্বখ্যাত New York Times ম্যাগাজিনের বিজ্ঞান-বিষয়ক জার্নালিস্ট DANIEL ENGBER তার Why Does Sunlight Lighten Hair ButDarken Skin? এবং ক্লিনিক্যাল ডার্মাটলজিস্ট Zoe Diana Draelos তার “Hair, sun, regulation, and beauty” প্রবন্ধে মানুষের মাথার চুল এবং শরীরের চামড়ায় সূর্যালোকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোকপাত করেছেন। সূর্যের আল্টা-ভায়োলেট রশ্মি মানব দেহের চামড়া এবং চুল উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হলেও প্রতিক্রিয়ায় ভিন্নতা রয়েছে। এ ভিন্নতার মূলে রয়েছে শরীরের বিভিন্ন অংশের Cell এর ভিন্নতা এবং melanin এর কার্যকারিতা।

মানব দেশের চামড়ার Cell গুলি জীবন্ত, যা সূর্যালোকের আল্টা-ভায়োলেট রশ্মির বিপরীতে প্রতিক্রিয়াশীল থাকে এবং মানিয়ে নিতে পারে। সূর্যের আল্টা-ভায়োলেট রশ্মি চামড়ার উপর পড়া মাত্র বিশেষ ধরণের হরমোন নিঃসরণ হয়, যা অধিক পরিমাণে মেলানিন তৈরির মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দৃঢ করে। অধিক পরিমাণে উৎপাদিত melanin চামড়ার উপরি স্তরে জমা হয় এবং চামড়া গাঢ় বা কালো বর্ণ ধারণ করে।

মানুষের চুলে বিদ্যমান Cell গুলি জীবন্ত নয়, অর্থাৎ মৃত। ফলে সূর্যের আল্টা-ভায়োলেট রশ্মির প্রভাবে সেখানে সান-বার্ণ সম্ভব না হওয়ায় চুলের বর্ণ গাঢ় হওয়ার পরিবর্তে ফ্যাকাশে হয়। কাল বর্ণের চুল সাদাটে হয় এবং সোনালী বর্ণের চুল হলুদাভ হয়।

আমরা জানি সূর্যালোক থেকে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন-ডি এর যোগান পায়। তবে এটাও সত্যি বেশী সময় সূর্যালোকে থাকিলে মাথার চুলের রঙ বিনষ্ট হওয়াসহ শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।

28/06/2023

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যেকোন নতুন আবির্ভাবে সর্বদা যুগপৎভাবে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক থাকে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেল....

This is going to be an excellent start for beginner content writers
25/06/2023

This is going to be an excellent start for beginner content writers

Alison offers free online content marketing courses. Grow your business today through effective and persuasive communication with your customers.

11/06/2023

ফেসবুক ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে নায়ক-নায়িকাগণ’র সশরীরে বিরাজমান থাকার সুযোগ নেই। বিভিন্ন কর্মকান্ড যেমন পোস্ট, শেয়া...

04/06/2023

ই-বুক পাঠকের জ্ঞানের তৃষ্ণা মিটাতে যতটা পারদর্শী, মনের তৃষ্ণা মিটাতে তেমনটি নয়। গ্রাহকের হ্রদয় স্পর্শ করতে পেপার...

28/05/2023

ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থা গ্রাহক-কেন্দ্রীক; কেবলমাত্র আকর্ষণীয় ওয়েবপেজ চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবসা টিকিয়ে র....

08/05/2023

“পরিবর্তনশীলতা মানব-জীবনের চরম সত্য; অথচ অনেকেই তা অস্বীকার করি”

মানব জীবন পরিবর্তনশীল; প্রাকৃতিক নিয়ম এবং মানুষের দ্বারা কৃত্রিমভাবেও পরিবর্তন হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে আমাদের বয়স বাড়ে, মন-মানসিকতায় পরিবর্তন আসে। তাছাড়াও প্রতিনিয়ত আমাদের অবস্থান পরিবর্তিত হচ্ছে, চাকরী, প্রযুক্তি, আইডিয়ার ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। জীবনে পরিবর্তন যেমন সত্য, তেমনি সত্য আমরা অনেকে পরিবর্তন মেনে নিতে মোটেও ইচ্ছুক নই। জীবনের অনিবার্য্য পরিবর্তন যারা স্বাগত জানাতে পারে তাদের জীবনে সফলতা আসে, পক্ষান্তরে অবজ্ঞা/অস্বীকার করলে জীবনে পিছিয়ে পড়ার আশংকা থাকে, জীবন ধারণ দূর্বিসহ হয়ে উঠতে পারে।
মানুষ কেন পরিবর্তনকে অস্বীকার করে, ভয় পায়??
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক অন-লাইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান Hack Spirit এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফ্রি-ল্যান্সার রাইটার Roselle Umlas এর “People who fear change often share these 10 rigid traits” প্রবন্ধে পরিবর্তনশীলতায় ভীত মানুষের কতিপয় পরিচিত বৈশিষ্ট্যাবলী অর্থাৎ পরিবর্তনশীলতাকে স্বাগত জানাতে ব্যর্থতার নেপথ্যের কারণ বর্ণনা করেছেন। এ ধরণের ব্যক্তিবর্গ পরিবর্তনকে জীবন চলার পথে দূরহ চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে থাকে।
Roselle Umlas তার প্রবন্ধে যেকোন ধরণের পরিবর্তনকে ভয়ের পিছনে নিম্নোক্ত ১০ টি কারণ চিহ্নিত করেছেনঃ

1) Perfectionism- আশংকা করা হয় পরিবর্তনের ফলে নতুন ইস্যু, নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিবে। ফলে কার্যক্রম পরিকল্পনা মাফিক এবং নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।

2) Fear of failure- পরিবর্তনের মাধ্যমে কমফোর্ট জোনের বাহিরে গিয়ে নতুন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সফলতা না আসা অর্থাৎ ব্যর্থতার আশংকা থেকে অনেকেই পরিবর্তনে অনাগ্রহী হয়ে থাকেন।

3) Fear of judgment- চারিপাশের মানুষজন পরিবর্তনকে কিভাবে মূল্যায়ণ করে অর্থাৎ যদি ভালোভাবে না নেয়? এ ধরণের আশংকাও নেতিবাচকভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

4) Low self-esteem- যাদের মধ্যে উচ্চাশার অভাব রয়েছে, পরিবর্তন মোকাবেলার তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয়।


5) Stubbornness- অনেক মানুষের মধ্যে নিজের অবস্থানে অনড় থাকার বিষয়ে এক ধরণের জেদ কাজ করে। এ ধরণের জেদী মানসিকতার মানুষ পরিবর্তনে অনীহা প্রকাশ করে থাকে।

6) Overdependence on routine- অনেক মানুষ জীবনটাকে গাণিতিক নিয়মে পরিচালিত করতে অভ্যস্ত। রুটিনের বাহিরে একচুল নড়াতেও তাদের অনীহা। এ মানসিকতা মানুষকে পরিবর্তনকে কোন মতেই মেনে নিতে উৎসাহিত করে না।

7) Inability to let go-পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে আমাদেরকে পরিচিত জীবন যাত্রা বিসর্জন দিয়ে নতুনকে আলিংগন করতে হয়। কিন্তু অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের পক্ষে পরিচিত কোন কিছু পরিত্যাগ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। ফলে তাদের পক্ষে পরিবর্তন হওয়া সম্ভব হয় না।

8) Need for control- মানুষ সবসময় চায় পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে থাকুক। তাই তো পরিচিত পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। যখন কোন পরিবর্তন আসে তখন নিয়ন্ত্রণ বজার রাখতে না পারা কিংবা নিয়ন্ত্রণহীনতার আশংকা দেখা দেয়। নিয়ন্ত্রণের অভাববোধ থেকে মানুষ পরিবর্তনের বিরোধী হয়ে পড়ে।

9) Procrastination- কোন কাজে গড়িমসি কিংবা দীর্ঘসূত্রিতার স্বভাব রয়েছে এমন লোকজন পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে আগ্রহী হয় না। গড়িমসি কিংবা দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে তারা সময়মত পরিবর্তনে অনীহা প্রদান করে থাকে।

10) Catastrophic thinking- কিছু মানুষ আছেন যারা যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে এর ভয়ংকরতম ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিয়ে বেশী চিন্তা করে থাকেন। যে কোন পরিবর্তনের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবটিই তাদের ভাবনায় বেশী কাজ করে। ফলে তারা পরিবর্তনকে এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন।

এটা মনে করার কোন কারণ নেই, সকল পরিবর্তন সর্বদাই ইতিবাচক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে । তবে ইনোভেটিভ এবং বুদ্ধিমানেরা সকল পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে তা থেকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে লাভবান হওয়ার উপায় খুঁজে বের করে নেয়।

Address


Telephone

+8801720343861

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BanglaDigital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BanglaDigital:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share