
15/08/2025
ভালো মেয়েরাই কেন সবসময় বেশি ক'ষ্ট পায়?
প্রত্যেকটা মেয়ের অবশ্যই একবার হলেও জানা উচিত!
একটা জিনিস ভীষণ ভাল করে বুঝতেই পেরেছি। বহু মেয়ে অবহেলিত শুধুমাত্র চাহিদা কম থাকার কারণে। কীরকম চাহিদা? মাছ ছাড়াও দিব্যি ভাত খেতে পারে। অর্থাৎ ওর মাছের প্রয়োজন নেই। ও তো চায়নি, তার মানে এটাই স্বাভাবিক। ওর সাজের জিনিসের প্রয়োজন নেই। কোনও দিন মুখ ফুটে বলে না তো, তাহলে ওর লাগে না।
কখনও কোনও অসুখে ও মাগো বাবাগো বলে শুয়ে না পড়া মেয়েদের যন্ত্রণা যে হতে পারে বা সত্যিই সে অসুস্থ বোধ করতে পারে সেটা তার কাছের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যই নয়। ওই যে চাহিদা কম!
যে মেয়ে বাপের জন্মে হাত খরচ চায়নি আমি হলফ করে বলতে পারি তাকে কেউ হাতে তুলে দুটো টাকা হাত খরচ দেয়নি।
এক্ষেত্রে মেয়েদের বহু কাঙ্খিত জিনিসের চাহিদাই দাম পায় না। কারণ তারা চায় না দামি লিপস্টিক, সখের ফোন, প্রিয় চকলেট, দু দিনের উইকেন্ড, ব্র্যান্ডেড ফেসিয়াল, দামি হেয়ার কাট। এর জন্য কী হয় যখন সত্যিই কিছুর ভীষণ প্রয়োজন হয় ওটাও বাকিগুলোর মতো কদর পায় না। কারণ মেয়েটার তো কোনও ডিম্যান্ডই নেই।
এইসব মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সাফার করে যারা বাবা ও স্বামীর কাছে নিজেকে দামি বলে প্রমাণ করেনি। এর ফলে এরা সকলের কাছেই মারাত্মক সহজলভ্য হয়ে পড়ে। এদের সখের জামা লাগে না, প্রয়োজনের জুতো লাগে না, অসুস্থতা হলে কেয়ার লাগে না, এমনকী যন্ত্রণা হলেও সেটা ভীষণ মেকি কারণ এরাই একটা সময় বুঝিয়েছে আমাদের যন্ত্রণা পর্যন্ত হয় না সহ্য করতে পারি।
যে মেয়েদের ডিম্যান্ড কম তাদের সময় দেওয়াটাও গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে কারণ সঙ্গী ভাবে ও তো এমনিতেই থাকবে। আর আজকালকার যুগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মেয়েদের কথা আর বললামই না বেশিরভাগই পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকতে গিয়ে প্রাপ্তির খাতায় শূন্য থেকে যাচ্ছে, এদের জিনিসপত্র দেওয়া বা আবদার মেটানো তো দূর কি বাত এদের সামান্য কষ্টটাও পর্যন্ত মানতে নারাজ হচ্ছে সমাজ। কারণ এরা ক'ষ্ট হজম করতে পারে।
অন্যদিকে বাড়ির লালুনি পুষুনি মেয়েটা গদগদ হয়ে বাবা বা স্বামীর কাছে দামি আইফোন চাইলে নির্বিঘ্নে তা জুটে যায়। মাসের শেষে পার্লার খরচা কসমেটিক্স খরচা, জামা কাপড়ের খরচা বেশ মিলে যায়। এদের সখ মেটাতে আপত্তি হয় না কারও ওটা প্রয়োজনের মধ্যেই পড়ে। কারণ তাঁরা নিজেদের দাম বোঝাতে পেরেছে.... অন্যদিকে যে এইসব না চেয়ে সামান্য মানসিক শান্তি চেয়েছিল তাতেও জোটে শুধু তিরস্কার আর অপমান। হায় রে সমাজ! ত্যাগকে এরা সহজলভ্য বানিয়ে দিল।
Collected- from Anulekha.