13/05/2025
আনিকা তাবাসসুম, পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। চাকরি সুবাদে অফিসে সুসম্পর্ক তৈরি হয় তার একজন সহকর্মীর সাথে। বিয়ের কথা আদান-প্রদানের মাধ্যমে পারিবারিক ভাবে বিষয়টি এগিয়ে যায়। শুরুতে দু'পক্ষই সম্মতি হলেও শেষে বিয়েটি আর হয়ে উঠে নি।
মাস খানিক ধরে আনিকার সহকর্মী তাকে বিভিন্ন ভাবে প্ররোচিত করছে দেখা করার জন্য, একান্ত সময় কাটানোর জন্য। কিন্তু পারিবারিক সিদ্ধান্তে না হওয়ায় আনিকা পিছু হটে যায় এবং চাকরিটি ছেড়ে দেয় যেন সহকর্মী তাকে আর বিরক্ত করতে না পারে।
আনিকার সহকর্মী তাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে,তাকে ছাড়া অন্যত্র বিয়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ(বিয়ে আটকে) রাখার সম্পর্কে সর্তক করে। কিন্তু আনিকা বরাবরই বিষয় টা এড়িয়ে যায় এবং সহকর্মী আস্তে আস্তে সব জায়গায় ব্যর্থ হয়।
ঘটনাচক্রে কিছুদিন পর আনিকা তার সহকর্মীর উক্তত্য-বিরক্ত আর কোথাও পাচ্ছে না,সে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। কিন্তু আনিকা রাস্তায় হাটলে তার মনে হয় কে যেন তার পিছনে হাটে, ছায়ার মতো কে যেন তার সব কর্মে নিযুক্ত।বিষয় টা তার নার্ভাসের কারণ হলেও তেমন গুরুত্ব দেয়নি।কিন্তু কিছু মাস পর......
আনিকা একা একা কান্না করে,মন ভার হয়ে থাকে,আত্মীয়-স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন,চাকরিচ্যুত, আনমনা জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। মাথা ব্যথা এখন তার নিত্যদিনের সঙ্গী,শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অস্বাভাবিক নড়াচড়া, মানষিক অস্থিরতা, চেহারা ফ্যাকাসে, চুল পড়ে সৌন্দর্য বিলিন হয়ে গেছে। বৃদ্ধ মানুষের মত আচরণ, রাগারাগি ভাংচুর যেন তার স্বাভাবিক আচরণে পরিনত হয়েছে। বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব আসলে রাগে ফেটে পড়ে, বাবা-মার সাথে আনিকা আগের মত আচরণ নেই সে এখন বাবা-মার সাথে উচ্চস্বর ব্যতীত কথাই বলে না। শারীরিক ও মানষিক পরিবর্তন গুলোর সাথে আনিকা জীবনটাকে যেন নিজের অনিচ্ছায় মানিয়ে নিচ্ছে ।
পরিবার তার এই লক্ষন গুলো নিয়ে চিন্তিত হয়ে অভিজ্ঞ একজন "রাকির" মাধ্যমে জানতে পারে তার মেয়ের উপর বিবাহ বন্ধের যাদু করা হয়েছে। যার লক্ষন গুলো নিচে দেওয়া হল.....
#বিয়ে আটকে রাখার যাদুর লক্ষণসমূহ :-
১। বাহ্যিক কোনো কারণ ছাড়াই প্রায়ই সর্দি লেগে থাকা।শরীরের তাপমাত্রার স্বাভাবিক থাকার পরেও জ্বর জ্বর ভাব থাকা কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলে জ্বর নেই ধরা না পরা।
২। মানুষিক অস্থিরতা, বুকের মাঝে এক ধরণের সংকীর্ণ ভাব তৈরি হওয়া, বিশেষত আসর এবং মাগরীবের পরে এবং এটি মধ্যরাত পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া।
৩। প্রায়ই পেটে ব্যথাভাব অনুভব করা বিশেষ করে নাভির চারপাশে, এবং পেটের ভেতর গর্জন করা, পেটের ভেতরে বলের মতো কিছু নড়াচড়া করা।
৪।ঘুমের মধ্যে প্রায়ই ভয় পাওয়া,ঘুমোতে না পারা,
ঘুমের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করা, কোন কারণ ছাড়া রাতে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া।
৫। ঘুম থেকে ওঠার পরেও দীর্ঘক্ষণ কষ্ট অনুভূত হওয়া।সারারাত ঘুমিয়ে সকালে উঠে মনে হচ্ছে রাতে ঘুমাইনি।
৬। যত ভালো প্রস্তাবই হোক, কোনোটাই মনমতো না হওয়া এবং বিয়ের কথা শুনতেই মেজাজ খারাপ করা।
৭। বিয়ের প্রস্তাবদাতাকে অযথাই সন্দেহ ও ঘৃণার চোখে দেখা।বিয়ের প্রস্তাব দিলে মনে চরম ভয় ও আতঙ্ক বোধ করা।
৮।অকারণেই মন খারাপ হওয়া, সর্বদা আজে-বাজে চিন্তা মাথায় আসা।
৯। প্রায়শই মাথা ব্যথা থাকা এবং ঔষধেও ভাল না হওয়া।মাথা ব্যথা আসরের পর হতে মধ্যরাত পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া।
১০। সামান্য কিছুতেই রেগে যাওয়া, কখনো ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করা।
১১। মেরুদণ্ডের নিচের দিকে হাড়ে প্রায়শই ব্যথা হওয়া।
১২। দিব্যি সুস্থ থাকা অবস্থায় বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া কোনো ধরণের সমস্যা না থাকা সত্বেও বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহ না থাকা।
১৩।প্রস্তাব আসার পূর্বে পূর্ণ আগ্রহ থাকা সত্তেও প্রস্তাব আসলেই বিয়ের আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলেই চেহারা-স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাওয়া।
১৪। স্বপ্নে খাওয়া দাওয়া করা বা স্বপ্নে খাবার দেখা।
১৫। স্বপ্নে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হওয়া।ঘুম হতে উঠার পরে সমস্যা শরীর ব্যথা হয়ে থাকা, শরীর নীল রঙের দাগ বা আচড় দেখা।
১৬। হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই মেজাজ এবং মানুসিকতা বিষণ্ণতা ভুগেন স্পষ্ট কারণ ছাড়াই একা একা কান্না করা।
১৭। কেউ বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং দেখতে আসে তার সাথে বসে তবে সে বিচ্ছিন্ন এবং ঘৃণা বোধ করে। এবং এক জায়গায় স্থির থাকতে না চাওয়া।
১৮। প্রথম প্রথম বিয়ের প্রস্তাব আসলেও পরবর্তীতে আর বিয়ের প্রস্তাব না আসা।
১৯। দেখতে শুনতে ভাল,পারিবারিক দিক দিয়ে সব ভালো, দেখে যাবার পর আর কোন কথাবার্তা না বলা।
আনিকা তখন বুঝতে পারে তার স্বাভাবিক জীবনে একটা খাদেম জ্বীনের প্রভাব পরেছে, যে জ্বীনের প্রভাবে সে চাইলেও স্বাভাবিক হতে পারছে না।
(ঘটনাটি কাল্পনিক,কিন্তু সমাজে আনিকার মত ছড়িয়ে আছে অসংখ্য বোন যারা জীবনে ভুল মানুষের সাথে পরিচয় হয়ে উক্ত সমস্যায় ভুক্তভোগী, কখনো পারিবারিক শত্রুতার জোরেও বিবাহ উপযুক্ত মেয়েদের আয়বুড়ো করে রাখার পরিকল্পনাও নতুন নয়)
আপনাদের যাদের বিবাহ বিলম্ব হচ্ছে তারা সবক্ষেত্রে স্বাভাবিক বিলম্ব মনে করে বসে থাকবেন না। হতে পারে আপনিও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তাই শর্টে উক্ত লক্ষন গুলো নিজের সাথে মিলিয়ে নিন।
আল্লাহ সমস্ত জ্বীন-যাদু-বদনজরের পেশেন্টদের সুস্থতা দান করুন এবং অবিবাহিত বোনদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিক আমিন।
সুন্নার আলোকে জ্বিন ও জাদুর চিকিৎসা নিতে
যোগাযোগ করুন...
হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমু :- 01613-018493