Learn microfinance

  • Home
  • Learn microfinance

Learn microfinance Learn Microfinance is a page from where everyone in Microfinance sector will benefit.

Our services :
Financial consultant,
ngo - mfi tips,
Job interview tips,
job,
Career tips, Enterprise Development
Motivational speech etc. Learn Microfinance is a fb page from where everyone in Microfinance sector will benefit. Microfinance organizations will know what steps will be taken to make them strong in sustainable development. Those who work in the microfinance sector, they will get various information about the activities.

মনেপ্রাণে কাজ করেন, দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেন, কিন্তু প্রমোশন পান না। অন্যদিকে, যাদের কাজের মান তুলনামূলক কম, কিন্তু “রি...
22/10/2025

মনেপ্রাণে কাজ করেন, দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেন, কিন্তু প্রমোশন পান না। অন্যদিকে, যাদের কাজের মান তুলনামূলক কম, কিন্তু “রিলেশন মেইনটেইন” করতে জানে—তারা এগিয়ে যায়।

১. কাজ বনাম সম্পর্ক

প্রতিটি অফিসে দুটি বিষয় চলে পাশাপাশি — কাজের পারফরম্যান্স এবং সম্পর্ক।
আপনি যদি শুধু কাজ করেন কিন্তু যোগাযোগ না রাখেন, তখন আপনার কাজ অনেক সময় অদৃশ্য থেকে যায়। কারণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা সবসময় আপনার রিপোর্ট দেখে না; তারা অনেক সময় যার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো, তার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখে।

২. তেল দেওয়া মানে কি সবসময়ই চাটুকারিতা ?

“তেল দেওয়া” মানে সবসময়ই চাটুকারিতা নয়।
- নিয়মিত আপডেট দেওয়া
-বসকে কাজের অগ্রগতি জানানো
-শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো
-সহযোগিতামূলক মনোভাব রাখা
এসব করলে সেটি “প্রফেশনাল যোগাযোগ”, বা স্মার্ট রিলেশন ম্যানেজমেন্ট।

৩. কেন আপনি পিছিয়ে পড়েন?
যদি আপনি মনে করেন, “আমি কাজ করি, তাই সবাই দেখবে”—এটা সবসময় ঘটে না।
- আপনি যোগাযোগ রাখেন না
- আপনার অর্জন কেউ জানেই না
- আপনার প্রতি ‘ইমোশনাল কানেকশন’ তৈরি হয় না
ফলে আপনি উপেক্ষিত থেকে যান, আর কেউ আপনার চেয়ে কম কাজ করেও এগিয়ে যায়।

সমাধান কী?

- কাজের মান বজায় রাখুন
- সম্পর্ক গড়ুন কিন্তু তোষামোদ নয়
- সময়মতো রিপোর্ট ও আপডেট দিন
- সিনিয়রদের সাথে বিনীতভাবে যোগাযোগ রাখুন
- টিমওয়ার্কে সক্রিয় থাকুন
এভাবে আপনি সম্মানও পাবেন, প্রমোশনও পাবেন।

লেখকঃ Learn microfinance

#চাকরি

বস বলেন, “তুমি খুব দায়িত্বশীল, তোমার মতো ম্যানেজার আরও দরকার।” কিন্তু পদোন্নতির সময় দেখা যায়, নির্বাচিত হলো অন্য কেউ—যিন...
13/10/2025

বস বলেন, “তুমি খুব দায়িত্বশীল, তোমার মতো ম্যানেজার আরও দরকার।” কিন্তু পদোন্নতির সময় দেখা যায়, নির্বাচিত হলো অন্য কেউ—যিনি আপনার মতো অভিজ্ঞ নন।
তখন হয়তো মনে হয়, “আমি কী ভুল করলাম?”
উত্তরটা কঠিন, কিন্তু সত্যি—পরিশ্রম আপনাকে নির্ভরযোগ্য করে, প্রভাবশালী নয়।

- ‘ভালো কর্মী’ হওয়াই যখন আপনার পথের কাঁটা

মাইক্রোফাইন্যান্সের মাঝারি পর্যায়ের অধিকাংশ ম্যানেজার সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন—
লোন বিতরণ, আদায়, MIS, রিপোর্ট, মাঠ পর্যবেক্ষণ, টিমের সমস্যার সমাধান—
সবকিছুতেই আপনি সেরা।
কিন্তু এর ফল কী হয় জানেন?

আপনি হয়ে যান ‘অপরিহার্য’ কিন্তু ‘অদৃশ্য’।
সবার বিশ্বাস, “এই শাখা ওর হাতেই ভালো চলে,”
কিন্তু কেউ ভাবে না—“এই ম্যানেজার ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।”

পদোন্নতি শুধু কাজের দক্ষতার জন্য নয়,
বরং “ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা” দেখানোর জন্যও হয়।

- ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যা দেখেন
আপনি হয়তো ভাবছেন,
“আমি তো টার্গেট পূরণ করছি, তাহলে উন্নতি মিলছে না কেন?”

কারণ, ঊর্ধ্বতনরা শুধু আপনার রিপোর্টের সংখ্যা দেখেন না, তারা দেখেন আপনি কৌশলগতভাবে ভাবতে পারেন কি না।

আপনি শুধু বলছেন—“এই মাসে ৯৮% আদায় হয়েছে,”
না কি বলছেন—“এই আদায়ের প্রবণতা দেখাচ্ছে, আগামী ত্রৈমাসিকে রিস্ক বাড়তে পারে, তাই নতুন গ্রুপ গঠনের কৌশল দরকার।”
যাঁরা পদোন্নতি পান, তাঁরা শুধু বলেন না “কী হলো,”
তাঁরা বলেন—“এরপর কী হতে পারে।”

-তাঁরা প্রশ্ন করেন—

আমরা কোন ধরনের ঋণগ্রহীতাকে মিস করছি?
এই লোন প্রোডাক্ট কি আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য পূরণে সহায়ক?
আমরা যদি এই প্রোগ্রামটা অন্য জেলায় চালু করি, কোথায় চ্যালেঞ্জ আসবে?

এই চিন্তাধারাই আপনাকে ‘স্ট্র্যাটেজিক ভিজিবিলিটি’ দেয়

যেখানে আপনি শুধু কাজ করেন না, বরং পথ দেখান।

- ঝুঁকি না নিলে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না

আমাদের অফিস কালচারে প্রায়ই বলা হয়—“চুপচাপ থাক, ঝামেলা করো না।”
কিন্তু যারা কেবল নিয়ম মেনে চলে, তারা কখনো নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছায় না।
একজন ভালো ম্যানেজার সাহস করে বলেন—
“এই সদস্যকে নতুন লোন প্রোডাক্ট দিলে রিস্ক কমবে,”
অথবা
“এই এলাকার গ্রুপ স্ট্রাকচার বদলালে আদায় আরও বাড়বে।”

যখন আপনি সাহসীভাবে যুক্তি দেন,
তখনই বসদের কাছে আপনি ‘সম্ভাবনাময় নেতা’ হিসেবে দৃশ্যমান হন।

মনে রাখবেন—
ঝুঁকি নেওয়া মানে বেপরোয়া হওয়া নয়, বরং নতুন দিক দেখানো।
নেতৃত্ব মানে শুধু টিম সামলানো নয়, প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে টেনে নেওয়া।
‘আমার শাখা’ নয়, বলুন ‘আমাদের শাখা’
যখন আপনি রিপোর্ট দেন,
শুধু বলবেন না—“আমার শাখার টার্গেট পূরণ হয়েছে।”
বরং বলুন—
“এই কাজের ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের (বকেয়া হার) কমেছে।”
“এই উদ্ভাবনী গ্রুপ মডেল অন্য এলাকাতেও কার্যকর হতে পারে।”
“এই উদ্যোগের ফলে সদস্যদের আয়ের সুযোগ বেড়েছে।”
কারণ, ঊর্ধ্বতনরা সংখ্যার চেয়ে প্রভাব খোঁজেন।
যদি আপনার রিপোর্টে “প্রভাবের গল্প” না থাকে,
তারা আগ্রহ হারাবে।
কিন্তু যদি আপনি বলেন—
“এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ফলে ৬০% সদস্যের সঞ্চয় দ্বিগুণ হয়েছে,
এটা বছরে সংস্থার ৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত সঞ্চয় এনেছে।”
তাহলে সবাই মনোযোগ দিয়ে শুনবে—
কারণ আপনি তখন সংস্থার ভাষায় কথা বলছেন।

শেষকথা
আপনি ভালো কর্মী—এটা যথেষ্ট নয়।
আপনাকে হতে হবে এমন কৌশলগত চিন্তক,
যিনি শুধু কাজ করেন না, বরং প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কল্পনা করেন।
কারণ,
পরিশ্রম আপনাকে নির্ভরযোগ্য করে,
কিন্তু চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে প্রভাবশালী করে তোলে।
#চাকরি #সফলতা

মাইক্রোফাইন্যান্স সেক্টরে যারা কাজ করেন—তাদের জীবনের গল্পও একেকটা সংগ্রামের অধ্যায়। অনেকেই গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন, কেউ হয়...
11/10/2025

মাইক্রোফাইন্যান্স সেক্টরে যারা কাজ করেন—তাদের জীবনের গল্পও একেকটা সংগ্রামের অধ্যায়। অনেকেই গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন, কেউ হয়তো ভালো ইংরেজি জানেন না, কেউ হয়তো অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, আবার কেউ কেউ আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভাবেন—“আমাকে দিয়ে কিছু হবে না!”
কিন্তু থামুন!
এটাই ভুল ভাবনা।

আপনি একজন উন্নয়ন কর্মী, আপনার ভেতরেও অসাধারণ এক সম্ভাবনা ঘুমিয়ে আছে, যা এখনো জাগেনি শুধু ভয়, সন্দেহ আর “লোকে কি বলবে” চিন্তার কারণে।
আপনি প্রতিদিন মাঠে কাজ করছেন, পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনছেন, তাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন—তাহলে নিজের স্বপ্ন কেন দেখবেন না?

আপনিও পারেন নেতৃত্ব দিতে, নতুন ভাবে শুরু করতে, সমাজে প্রভাবশালী একজন মানুষ হয়ে উঠতে।
এই পৃথিবীতে আপনি এসেছেন কিছু সৃষ্টি করতে, কিছু দিতে। দরকার শুধু—

- আত্মবিশ্বাস

- শেখার আগ্রহ

- কঠোর পরিশ্রম

- এবং লেগে থাকার মানসিকতা

আজ থেকেই নিজের ভেতরের সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলুন।
আপনি শুধু একজন ফিল্ড অফিসার, শাখা ব্যবস্থাপক বা কর্মকর্তা নন—

আপনি সমাজ পরিবর্তনের যোদ্ধা!
আপনার প্রতিদিনের কাজই গড়ে তুলছে অসংখ্য পরিবারের ভবিষ্যৎ।
তাই বলছি —
নিজের ভেতরের সম্ভাবনাকে জাগান, নিজেকে বিশ্বাস করুন, আর শুরু করুন এখনই।
মাইক্রোফাইন্যান্স পেশাকে শুধু চাকরি নয়, একটি মিশন হিসেবে দেখুন।
লেখকঃ Learn microfinance
#চাকরি #সফলতা

এই পেশায় কাজ করলে মানুষ শুধু নিজের উন্নয়ন নয়, সমাজ ও দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখে—যার ভেতরে থাকে এক ধরনের মানসিক শান্তি ও প...
08/10/2025

এই পেশায় কাজ করলে মানুষ শুধু নিজের উন্নয়ন নয়, সমাজ ও দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখে—যার ভেতরে থাকে এক ধরনের মানসিক শান্তি ও পরিতৃপ্তি।

১. সমাজ পরিবর্তনের অংশ হওয়া
এনজিও কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে সমাজের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। নিজের কাজের ফলাফল মাঠ পর্যায়ে দেখার সুযোগ পাওয়া যায়—যেমন কারও আয়ের সুযোগ তৈরি হওয়া, শিশুর স্কুলে ভর্তি হওয়া, বা নারীর আত্মনির্ভর হওয়া। এই অর্জনগুলোই প্রকৃত আনন্দের উৎস।

২. মানবিক সম্পর্ক ও ভালোবাসা অর্জন
এনজিও কর্মীদের সঙ্গে মাঠের মানুষের হৃদয়ঘন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা আপন করে নেয়, সম্মান দেয়, ভালোবাসা দেয়। এই মানবিক বন্ধন কর্মজীবনে এক অনন্য প্রাপ্তি।

৩. শেখার ও উন্নতির সুযোগ
এনজিও কাজের মাধ্যমে নানারকম বাস্তব অভিজ্ঞতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ এবং টিমওয়ার্ক শেখা যায়।
প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও মাঠ অভিজ্ঞতা—সব মিলিয়ে একজন কর্মী হয়ে ওঠেন বহুমুখী দক্ষ পেশাজীবী।

৪. কাজের বৈচিত্র্য ও সৃজনশীলতা
প্রতিদিন নতুন জায়গা, নতুন মানুষ ও নতুন সমস্যা—যার সমাধান করতে হয় নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে। একঘেয়ে অফিস রুটিনের বদলে এখানে কাজের ধরন বৈচিত্র্যময় ও প্রাণবন্ত।

৫. আত্মতৃপ্তি ও গর্ব
যখন দেখা যায় নিজের কাজের মাধ্যমে একটি পরিবার আত্মনির্ভর হয়েছে বা একজন নারী নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে—তখন এক অদ্ভুত গর্ব ও শান্তি অনুভব হয়।

৬. বাস্তব জীবনের শিক্ষা
এনজিও চাকরিতে বইয়ের বাইরে জীবনের বাস্তব শিক্ষা পাওয়া যায়—মানুষের দুঃখ-কষ্ট, আশা, সংগ্রাম, সহানুভূতি ও জীবনের মূল্য সম্পর্কে গভীর ধারণা তৈরি হয়।

৭. কর্মজীবনে চ্যালেঞ্জ ও অর্জনের ভারসাম্য
এনজিও কাজ অনেক সময় কষ্টকর, তবুও সেই কষ্ট শেষে যখন প্রকল্প সফল হয় বা লক্ষ্য পূরণ হয়—তখন সেই সন্তুষ্টি অন্য যেকোনো চাকরির চেয়ে বেশি।

৮. সামাজিক সম্মান ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি
মানুষ এনজিও কর্মীদের সম্মান করে, কারণ তারা সমাজে ভালো কিছু করার চেষ্টা করে। নিজের পরিবারের কাছেও এটি গর্বের বিষয় হয়ে ওঠে।

৯. নারী ও তরুণদের জন্য সমান সুযোগ
এনজিও খাতে নারী ও তরুণরা নেতৃত্ব, মাঠকাজ ও ব্যবস্থাপনায় নিজেদের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ পান—যা আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং জীবন সমৃদ্ধ করে।

সারসংক্ষেপে বলা যায়
এনজিও চাকরি কেবল একটি ক্যারিয়ার নয়, বরং এটি একটি মিশন, এক মানবিক যাত্রা।
যিনি মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদন করতে চান, তার জন্য এই পেশা শুধু আনন্দদায়ক নয়, বরং জীবনবদলানো একটি অভিজ্ঞতা।
#চাকরি #সফলতা

মাস ক্লোজিং বা অন্য অজুহাতে ছুটি পান নি । সেই সকল প্রতিষ্ঠানের নাম সবার জানা উচিত । আবার যারা সঠিক ভাবে ছুটি পেয়েছেন তার...
02/10/2025

মাস ক্লোজিং বা অন্য অজুহাতে ছুটি পান নি । সেই সকল প্রতিষ্ঠানের নাম সবার জানা উচিত । আবার যারা সঠিক ভাবে ছুটি পেয়েছেন তারাও আপনাদের সংস্থার নাম জানাবেন । সবাই মানবিক প্রতিষ্ঠানের নামও জানতে চায় !

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উপলক্ষে সারা দেশে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো— কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের সেই ছুটি ভোগ করতে দেওয়া হয়নি।
প্রশ্ন হলো—

কর্মীদের উৎসবের দিনে বাড়িতে না যেতে দেওয়া কি মানবিক হলো?

যদি কোনও কর্মীকে ধর্মীয় বা ব্যক্তিগত সময়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়—

-তার মনে ক্ষোভ তৈরি হয়

-কাজের প্রতি অনীহা জন্মায়

-মানসিক চাপের কারণে উৎপাদনশীলতা কমে যায়

-দীর্ঘমেয়াদে কর্মী প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়

অতএব, মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে কোনও প্রতিষ্ঠান কখনোই লাভবান হতে পারে না।
#ছুটি #চাকরি

I got 2,454 reactions and 230 replies on my recent top post! Thank you all for your continued support. I could not have ...
01/10/2025

I got 2,454 reactions and 230 replies on my recent top post! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

মাইক্রোফাইন্যান্সে যদি সপ্তাহে ২(দুই) দিন ছুটি দেওয়া হয়, তাহলে এর প্রভাব শুধু কর্মীদের উপরই নয়, বরং পুরো প্রতিষ্ঠান ও সদস্যদের উপরও ইতিবাচক হবে।

১. কর্মীদের জন্য উপকার

-শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম
মাঠের কাজ শারীরিকভাবে কষ্টকর, দুই দিনের ছুটি শরীর ও মনকে পুনরুজ্জীবিত করবে।

-পারিবারিক ও সামাজিক সময় বৃদ্ধি
পরিবার ও ব্যক্তিগত কাজে সময় দেওয়ার সুযোগ বাড়বে, যা কর্মীদের সুখী ও অনুপ্রাণিত রাখবে।

-বার্নআউট কমবে
পর্যাপ্ত বিশ্রামের ফলে দীর্ঘমেয়াদে কর্মীরা বেশি সময় চাকরিতে টিকে থাকতে পারবেন।

-সৃজনশীলতা ও কাজের মান বৃদ্ধি
রিফ্রেশ মস্তিষ্কে নতুন আইডিয়া ও সমস্যার সমাধান সহজ হয়।

২. প্রতিষ্ঠানের জন্য উপকার

-কর্মী ধরে রাখার হার বাড়বে
সন্তুষ্ট কর্মীরা চাকরি ছাড়ার প্রবণতা কমাবে, ফলে নিয়োগ খরচ বাঁচবে।

-উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি
বিশ্রামপ্রাপ্ত কর্মীরা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারবেন।

-সুনাম বৃদ্ধি
কর্মীবান্ধব নীতি প্রতিষ্ঠানকে ভালো নিয়োগদাতা হিসেবে পরিচিত করবে।

৩. সদস্য ও কমিউনিটির জন্য উপকার

কর্মীরা উদ্যমী থাকায় সদস্যদের সেবা মান উন্নত হবে।

মাঠে গিয়ে যোগাযোগে ইতিবাচক মনোভাব থাকবে, যা সদস্য-প্রতিষ্ঠান সম্পর্ক মজবুত করবে।

৪. বাস্তবায়নের টিপস

-অফিস ও মাঠের কাজকে দুই দিনের ছুটির মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে পুনর্বিন্যাস করা।

-ডিজিটাল কালেকশন বা রিপোর্টিং টুল ব্যবহার করে সময় বাঁচানো।

-টার্গেট ও কালেকশন প্ল্যান এমনভাবে সাজানো যাতে দুই দিনের ছুটি কাজের বিঘ্ন না ঘটায়।

মাইক্রোফাইন্যান্সে সপ্তাহে দুই দিন ছুটির ৯ টি সরাসরি উপকার । আশা করি কর্তাগণের দৃষ্টি আর্কষন করবেঃ

১. শারীরিক বিশ্রাম ও শক্তি পুনরুদ্ধার

মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হয় দীর্ঘসময় ধরে হেঁটে বা মোটরসাইকেলে ভ্রমণ করে। দুই দিনের ছুটি শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে, ফলে কর্মীরা শারীরিকভাবে বেশি সক্ষম হন।

২. মানসিক চাপ কমানো

প্রতিদিন টার্গেট, কালেকশন, বকেয়া—এসব চাপ থেকে সাময়িক মুক্তি মনকে শান্ত করে, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

৩. পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো

মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মীরা অনেক সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাইরে থাকেন। দুই দিনের ছুটি তাদের পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার সুযোগ দেয়।

৪. সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি

গ্রামের অনুষ্ঠান, আত্মীয়দের বিয়ে, সামাজিক আড্ডা—এসবের সাথে যুক্ত হতে পারলে কর্মীদের সামাজিক বন্ধন মজবুত হয়, যা মাঠ পর্যায়ের কাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৫. কাজের মান ও মনোযোগ বৃদ্ধি

বিশ্রামপ্রাপ্ত কর্মীরা বেশি মনোযোগ দিয়ে সদস্য যাচাই, গ্রুপ মিটিং, এবং ঋণ বিতরণ/আদায়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। ভুল কম হয়, কাজের মান বাড়ে।

৬. বার্নআউট প্রতিরোধ

মাইক্রোফাইন্যান্স সেক্টরে বার্নআউট একটি বড় সমস্যা। পর্যাপ্ত বিশ্রাম থাকলে দীর্ঘমেয়াদে কর্মীরা তাদের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন।

৭. কর্মী ধরে রাখার হার বৃদ্ধি

দুই দিনের ছুটি থাকলে কর্মীরা চাকরি পরিবর্তনের প্রবণতা কমায়। এতে প্রতিষ্ঠান নতুন কর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের খরচ বাঁচাতে পারে।

৮. স্বাস্থ্য সুরক্ষা

শরীর বিশ্রাম পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিতি কমে।

৯. উদ্যম ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি

পর্যাপ্ত বিশ্রাম কর্মীদের নতুন আইডিয়া দিতে ও মাঠের সমস্যার সমাধান খুঁজতে সাহায্য করে।

বসকে পরিবর্তন করা আপনার হাতে নেই, বস যদি আপনার প্রত্যাশা মতো না হয় বা ভাগ্য ভালো না হয়, তখন হতাশ হয়ে গেলে চলবে না। কিছু ...
27/09/2025

বসকে পরিবর্তন করা আপনার হাতে নেই, বস যদি আপনার প্রত্যাশা মতো না হয় বা ভাগ্য ভালো না হয়, তখন হতাশ হয়ে গেলে চলবে না। কিছু বাস্তবমুখী কৌশল নিতে পারেন—

১. নিজের কাজের প্রতি ফোকাস রাখুন
খারাপ বস থাকলেও নিজের কাজকে অবহেলা করবেন না।

২. আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন
বস বেশি বাড়াবাড়ি করলেও আবেগপ্রবণ হয়ে প্রতিক্রিয়া দেবেন না। বেশি তর্ক করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বরং কৌশলে চলুন।

৩. সম্পর্ক মেইনটেইন করুন
যতটা সম্ভব পেশাদারভাবে বসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আপনার কাজ পরিষ্কার রাখুন।

৪. সহকর্মীদের সাপোর্ট নিন
মাঠকর্মী বা অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এতে মানসিক চাপ কমবে এবং কাজের পরিবেশও সহজ হবে।

৫. বিকল্প দক্ষতা গড়ে তুলুন
বস বদলানো আপনার হাতে নেই, কিন্তু নিজের দক্ষতা বাড়ানো আপনার হাতে আছে। MIS, ডিজিটাল রিপোর্টিং, কমিউনিকেশন—এসব শিখুন। এগুলো ভবিষ্যতে আপনাকে আরও শক্তিশালী করবে।

৬. ধৈর্য ধরুন ও সুযোগ খুঁজুন
খারাপ বস আজীবন থাকবে না। হয়তো বদলি হবে, হয়তো আপনি অন্য জায়গায় সুযোগ পাবেন। ততদিন ধৈর্য ধরুন, কাজ শিখুন, অভিজ্ঞতা নিন।

সহজভাবে বললে—বসকে পরিবর্তন করা আপনার হাতে নেই, কিন্তু নিজের মনোভাব, দক্ষতা আর কাজের মান ঠিক রাখা পুরোপুরি আপনার হাতে।

লেখকঃ Learn microfinance

#চাকরি #সফলতা

একটা গাছকে যদি বলি—“তুমি আগে ফল দাও, তারপর তোমাকে পানি দেবো, সার দেবো, যত্ন করবো।”তাহলে গাছ কি করবে ? গাছ নিজের মত চেষ্ট...
26/09/2025

একটা গাছকে যদি বলি—
“তুমি আগে ফল দাও, তারপর তোমাকে পানি দেবো, সার দেবো, যত্ন করবো।”
তাহলে গাছ কি করবে ?
গাছ নিজের মত চেষ্টা করবে কিন্তু ফল দেওয়ার আগেই হয়ত মরে যাবে!

গাছকে ভাল ফল পাওয়ার আগে যত্ন দিতে হয়—
যত্ন নিলে গাছ শক্ত হয়, বড় হয়, একসময় ফল দেয়।

অনেক বস আছেন যারা মাঠকর্মীদের কাছে শুধু ফলাফল চান—

➡️ বেশি ঋণ বিতরণ দাও, ১০০% আদায় করো
➡️ সঞ্চয় বাড়াও
➡️ ঝামেলা ছাড়া রিপোর্ট দাও - ইত্যাদি ।

কিন্তু কর্মীদের জন্য—

❌ সঠিক প্রশিক্ষণ নেই
❌ মানসিক সাপোর্ট নেই
❌ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই, নীতিমালা নেই
❌ ভুল করলে পাশে দাঁড়ানো নেই

ফলে কর্মীরা ঠিকমতো পারফরম্যান্স দিতে পারে না। বরং তারা চাপে পড়ে যায়, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
এর বাস্তব শিক্ষা হলো—

একজন টিম লিডার বা বস যদি সত্যিই ফলাফল চান, তবে আগে কর্মীদের যত্ন নিতে হবে, প্রশিক্ষণ দিতে হবে, সাপোর্ট দিতে হবে।
তাহলেই তারা নিজেরাই একদিন ফল দেবে—যেমন গাছ যত্ন পেলে সময়মতো ফল দেয়।

লেখকঃ Learn microfinance

#সফলতা

একজন কার্যকর টিম লিডার শুধু নির্দেশ দেন না—তিনি পাশে থাকেন, অনুপ্রেরণা দেন, বোঝেন এবং প্রতিটি সদস্যকে আরও দক্ষ করে তোলেন...
24/09/2025

একজন কার্যকর টিম লিডার শুধু নির্দেশ দেন না—তিনি পাশে থাকেন, অনুপ্রেরণা দেন, বোঝেন এবং প্রতিটি সদস্যকে আরও দক্ষ করে তোলেন। নিচে এমনই ৭টি দক্ষতার কথা বলা হলো, যা একজন মাইক্রোফাইন্যান্স টিম লিডারের ভেতরে থাকা অপরিহার্য—

১. মন দিয়ে শোনা, মাঝপথে থামিয়ে না দেওয়া:

মাঠকর্মীরা প্রায়ই নানা সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিডারের কাছে আসে। আপনি যদি তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং মাঝপথে বাধা না দেন, তারা মনে করবে তাদের মতামত মূল্যবান। এতে বিশ্বাস গড়ে ওঠে, এবং তারা আরও দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে।

২. অন্যের সাফল্যে খোলামেলা প্রশংসা করা:

ধরুন, একজন কর্মী মাসের সেরা সংগ্রহ বা ঋণ আদায়ে ভালো ফল করেছে। খোলাখুলিভাবে প্রশংসা করুন, কৃতিত্ব দিন। এতে শুধু তার মনোবলই বাড়বে না, অন্যরাও ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবে। মনে রাখবেন, বড় লিডার হতে হলে বড় মন চাই।

৩. সমালোচনার সময় টিমের পাশে দাঁড়ানো:

কখনো হয়তো শাখার ঋণ আদায়ের হার কমে গেছে, বা মাঠ পর্যায়ে অভিযোগ এসেছে। এসময় কর্মীদের দোষ চাপিয়ে দেওয়ার বদলে তাদের পাশে দাঁড়ান। সমস্যা সমাধানে সহায়তা করুন। এতে টিম আপনাকে নিজের একজন মনে করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে আনুগত্য বাড়বে।

৪. ব্যর্থতা থেকে শেখানো:

সব প্রকল্প সবসময় সফল হবে না। কিন্তু ব্যর্থতা মানেই থেমে যাওয়া নয়। একজন লিডারের দায়িত্ব হলো টিমকে বোঝানো—“ভুল থেকে কীভাবে শেখা যায়”। এই মানসিকতা কর্মীদের মধ্যে ভয় কমাবে এবং তাদের আরও দক্ষ হতে সাহায্য করবে।

৫. পরিবর্তনকে স্বাগত জানানো:

ডিজিটাল রিপোর্টিং, মোবাইল ব্যাংকিং, নতুন সফটওয়্যার—মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিদিন বদলাচ্ছে। একজন আধুনিক লিডারকে পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে হবে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শিখতে হবে এবং টিমকেও তা শেখাতে হবে।

৬. আবেগ বোঝার ক্ষমতা (ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স):

মাঠকর্মীরা প্রতিদিন নানা চাপের মধ্যে কাজ করেন। কখনো ঋণ আদায় হয় না, কখনো ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত সমস্যা সামনে আসে। একজন লিডারের উচিত তাদের আবেগ বোঝা, সহানুভূতিশীল হওয়া। এতে কর্মীরা স্থিতিশীলভাবে কাজ করতে পারে, চাপ কম অনুভব করে।

৭. নতুন ধারণায় উৎসাহ দেওয়া:

ঋণ আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতিতে সবসময় সমাধান আসে না। নতুন কৌশল, ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা অনেক সময় সফলতা আনে। টিমকে এমন পরিবেশ দিন যেখানে তারা খোলাখুলিভাবে মতামত দিতে পারে। নতুন আইডিয়া এলে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন। এতে টিম আরও উদ্ভাবনী ও কার্যকর হয়ে উঠবে।

সারকথা হলো, মাইক্রোফাইন্যান্সে নেতৃত্ব মানে শুধু কাজ ভাগ করে দেওয়া নয়। একজন লিডার হলেন টিমের প্রেরণাদাতা, সমস্যা সমাধানকারী ও উন্নতির পথপ্রদর্শক। যদি আপনি এই খাতে সফল টিম লিডার হতে চান, তবে উপরের সাতটি গুণ নিজের ভেতরে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।
লেখক : Learn microfinance

#নেতৃত্ব

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস! 🎋প্রতি বছরের মতো আজও ১৮ সেপ্টেম্বর আমরা বাঁশকে স্মরণ করছি। কিন্তু অফিসে ঢুকলেই বোঝা যায়, বাঁশ শুধু জ...
18/09/2025

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস! 🎋
প্রতি বছরের মতো আজও ১৮ সেপ্টেম্বর আমরা বাঁশকে স্মরণ করছি। কিন্তু অফিসে ঢুকলেই বোঝা যায়, বাঁশ শুধু জঙ্গলে না, অফিসেও বেশ “একটিভ”!

🔹 ফিল্ড অফিসারের বাঁশ:
সকাল সকাল মাঠে গেলেই বুঝতে পারে—আজ কিস্তি মিস হয়েছে। বাঁশ তার জন্য রেডি!

🔹 ম্যানেজারের বাঁশ:
মাসের শুরুতে মিটিং আর শেষে সাধারণত বেশি দেখা যায়। রিপোর্ট মেলাতে না পারলে—বাঁশ নিশ্চিত।

🔹 এরিয়া ম্যানেজারের বাঁশ:
হঠাৎ কোনো ব্রাঞ্চে গিয়ে দেখে—টাকা কম, রিপোর্ট গড়বড়। তখন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে দিয়ে পুরো বাঁশবাগানই ঝাড়ায় দেন।

🔹 জোনাল ম্যানেজারের বাঁশ:
বড় বড় মিটিংয়ে বলেন—“টার্গেট পূরণ হয়নি কেন?” সেই মুহূর্তেই বাঁশ জোন থেকে অফিস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

🔹 অডিটের বাঁশ:
অডিট টিম এলে অফিসে লুকোচুরি খেলা শুরু হয়। ফাইল, ভাউচার সব ঝাড়ে-বাঁশে খুঁজে দেখে। শেষে বলে—“এই ভুলটা কেন হলো?” তখন বাঁশটা ডাইরেক্ট ম্যানেজারের ঘাড়ে!

🔹 মনিটরিংয়ের বাঁশ:
মনিটরিং অফিসার চুপচাপ আসে, সব দেখে, তারপর রিপোর্টে লিখে দেয়—“অনেক উন্নতির সুযোগ আছে।” মানে বাঁশ আসছে ধীরে ধীরে, বুঝতেই পারবে না!

🔹 হেড অফিসের বাঁশ:
হঠাৎ নতুন সার্কুলার: “আগামীকাল সকালেই রিপোর্ট জমা দিন।” তখন সবার মাথায় শুধু একটাই শব্দ—বাঁশ!

🔹 সদস্যের বাঁশ:
প্রায় সব সদস্যর বাগানেই বাঁশ আছে। তবে কম আর বেশি।

সব মিলিয়ে দেখা যায়, বাঁশ দিবস শুধু বন-জঙ্গলে নয়, অফিসেও ধুমধাম করে পালন হয়। শেষ পর্যন্ত কেউ না কেউ বাঁশ খেয়েই দিবস শেষ করে!

লেখকঃ Learn microfinance

#বাঁশ

নিয়মিত সঞ্চয় দিত, সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করত, এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখত— তারা অনেক সময় পরবর্তীতে সমস্...
14/09/2025

নিয়মিত সঞ্চয় দিত, সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করত, এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখত— তারা অনেক সময় পরবর্তীতে সমস্যা তৈরি করতে শুরু করে। কিন্তু কেন ?

কেন পুরাতন ভালো সদস্যরাও নতুন করে সমস্যা করতে শুরু করে?

১. অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ (Over-indebtedness)
পুরাতন সদস্যরা একাধিক এনজিও বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে শুরু করে। ফলে এক জায়গার টাকা দিয়ে অন্য জায়গার কিস্তি মেটায়। কিছুদিন পর আর সামলাতে পারে না।

২. অভিজ্ঞতার কারণে প্রভাবশালী হওয়া
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা মাঠকর্মী বা অফিসকে চাপে ফেলতে চায়। যেমন— কিস্তি মওকুফ, সময় বাড়ানো বা নিয়ম ভেঙে সুবিধা নেওয়া।

৩. প্রকল্পে বিনিয়োগের ব্যর্থতা
শুরুতে সঠিকভাবে টাকা ব্যবহার করলেও পরবর্তীতে ব্যবসায় ক্ষতি হলে তারা ঋণ শোধে অনীহা প্রকাশ করে।

৪.সামাজিক মর্যাদা ও প্রভাব
পুরাতন সদস্যরা গ্রামের বা সমাজের প্রভাবশালী হয়ে গেলে অনেক সময় নিয়ম মানতে চায় না। “আমাদের ছাড়া তো সমিতি চলবে না” – এই মানসিকতা কাজ করে।

৫.কর্মীদের সাথে অতিরিক্ত সম্পর্ক
দীর্ঘদিন ধরে একই মাঠকর্মীর সাথে সম্পর্ক থাকলে অনেক সদস্য নিয়ম ভাঙতে সুবিধা পায়। এতে শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।

৬. দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আয়ের অনিশ্চয়তা ও বেকারত্বের কারণে সদস্যদের কিস্তি পরিশোধের সক্ষমতা কমে যায়।

৭.রাজনৈতিক অস্থিরতা
হরতাল, অবরোধ, অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিবেশ ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে ঋণগ্রহীতারা সময়মতো কিস্তি দিতে পারে না।

৮.বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা
বৈদেশিক বাজারে মন্দা, রপ্তানি কমে যাওয়া বা রেমিট্যান্স হ্রাস পাওয়ার প্রভাব গ্রামীণ অর্থনীতিতেও পড়ে। এতে সদস্যরা ব্যবসায় ক্ষতির মুখে পড়ে।

৯. যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক সংকট
ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা বা বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে গ্রামের ছোট ব্যবসায়ও চাপ পড়ে।

করণীয় পদক্ষেপ

১.সদস্য পুনর্মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করা – প্রতি বছর পুরাতন সদস্যদেরও নতুনদের মতো যাচাই করতে হবে।

২.ঋণ সীমা নিয়ন্ত্রণ – বাস্তব সক্ষমতা অনুযায়ী ঋণ সীমা নির্ধারণ করা দরকার।

৩.শৃঙ্খলা রক্ষা নীতি – নিয়ম ভঙ্গকারীদের জন্য জরিমানা বা ঋণ বন্ধের নীতি থাকতে হবে।

৪.নতুন সদস্য তৈরি করা – শুধু পুরাতনদের উপর নির্ভর না করে নতুন সদস্য ভর্তি করতে হবে।

৫.সচেতনতা সভা – নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে নিয়ম মানার গুরুত্ব বোঝাতে হবে।

৬.স্টাফ ট্রেনিং – মাঠকর্মীদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন তারা প্রভাবশালী সদস্যদের চাপের বাইরে থেকে কাজ করতে পারে।

শেষ কথা
ব্যক্তিগত অভ্যাস, অতিরিক্ত ঋণ, সামাজিক প্রভাব ছাড়াও দেশের অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ এবং বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা তাদের আচরণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই প্রতিষ্ঠানকে সম্মান বজায় রেখেই সঠিকভাবে নিয়ম কার্যকর করতে হবে, যাতে নতুন সদস্যরা খারাপ শিক্ষা না পায় এবং প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ব অক্ষুণ্ণ থাকে।

লেখকঃ Learn Microfinance

#চাকরি

মাইক্রোফাইন্যান্সে “ভাল সদস্য” চিহ্নিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক সদস্য নির্বাচন করলে আদায় হার, ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং ...
12/09/2025

মাইক্রোফাইন্যান্সে “ভাল সদস্য” চিহ্নিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক সদস্য নির্বাচন করলে আদায় হার, ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ব—সব কিছুই নির্ভর করে।

আমি বিষয়টি কয়েক ধাপে ব্যাখ্যা করছি:

🔎 ১. আর্থিক আচরণ (Financial Behavior)
নিয়মিত সঞ্চয় জমা দেয় → ভালো সদস্যরা সঞ্চয় অভ্যাসী হয়।
কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করে → সময়মতো কিস্তি দেওয়া একটি বড় সূচক।
ঋণ প্রকল্পে বিনিয়োগ করে → ঋণ অন্য খাতে (ভোগ, বিলাসিতা, দেনা শোধে) ব্যবহার না করে আয়ের প্রকল্পে ব্যবহার করে।

🤝 ২. সামাজিক আচরণ (Social Behavior)
আচরণ ভদ্র ও সহযোগিতামূলক → মাঠকর্মী ও গ্রুপ সদস্যদের সাথে সুন্দর আচরণ করে।
সামাজিক মর্যাদা আছে → গ্রামে বা কমিউনিটিতে তাকে বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত হিসেবে দেখা হয়।
উগ্র আচরণ করে না → সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চায়, ঝগড়াটে নয়।

🧠 ৩. সচেতনতা ও জ্ঞান (Awareness & Knowledge)
প্রকল্প সম্পর্কে জ্ঞান রাখে → কিভাবে টাকা ব্যবহার করলে আয় বাড়বে তা বোঝে।
আর্থিক শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী → প্রশিক্ষণ, মিটিং বা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে।
দূরদর্শী পরিকল্পনা করে → ঋণ কীভাবে শোধ করবে ও লাভ কীভাবে আসবে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকে।

💼 ৪. জীবনযাত্রা ও স্থিতিশীলতা (Lifestyle & Stability)
পারিবারিক স্থিতিশীলতা → পরিবারের সবাই সহযোগিতামূলক হলে ঋণ ব্যবহারে ঝুঁকি কমে।
স্থায়ী বসবাসকারী → একই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে থাকে, হঠাৎ উধাও হওয়ার ঝুঁকি কম।
আয়ের উৎস বৈচিত্র্যপূর্ণ → একাধিক আয়ের উৎস থাকলে ঋণ শোধ করার সক্ষমতা বাড়ে।

🚩 ৫. সতর্ক সংকেত (Red Flags — “ভাল সদস্য নয়” এর লক্ষণ)
নিয়মিত সঞ্চয় বা কিস্তি দিতে গড়িমসি করে।
ঋণ ভোগ্যপণ্যে ব্যয় করে।
গ্রুপ বা কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করে।
অন্যত্র প্রচুর দেনা আছে।
পরিবার/গ্রামে তার সুনাম নেই।

✅ সংক্ষেপে ভাল সদস্য চেনার কৌশল
নিয়মিত সঞ্চয় ও কিস্তি প্রদানকারী
ঋণ প্রকল্পে ব্যবহার করে আয়ের উৎস তৈরি করে
আচরণে ভদ্র ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য
অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় সচেতন ও দূরদর্শী
পরিবার ও সমাজে স্থিতিশীল ও সুনামধন্য

লেখক: Learn Microfinance

#চাকরি

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Learn microfinance posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Learn microfinance:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share