Nur Foundation

  • Home
  • Nur Foundation

Nur Foundation আল কোরআন বিশ্ব মানবতার মুক্তির পথ।
Al-Quran is the path to the liberation of world humanity

18/04/2022

গোপনে ছাদাকবা করা :

প্রকাশ্যে ও গোপনে উভয় অবস্থায় দান করা যায় । তবে গোপনে দান করা উত্তম । কেননা এতে লৌকিকতা ও প্রদর্শনেচ্ছা থাকে না । তবে প্রকাশ্যে দান করা অধিক কল্যাণকর হ’লে প্রকাশ্যেই দান করতে হবে । আল্লাহ বলেন ,

যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান কর , তবে তা কতই না উত্তম ! আর যদি তা গোপনে কর ও অভাবীদের প্রদান কর , তবে তোমাদের জন্য তা আরও উত্তম । এবং ( এর দ্বারা ) তিনি তোমাদের কিছু পাপ মোচন করে দিবেন । আর তোমরা ( গোপনে ) যা কিছু কর , আল্লাহ তার খবর রাখেন ' ( বাক্বারাহ ২/২৭১ )

16/04/2022

১০০ টি কবিরা গুনাহ

নিচে ১০০ টি কবিরা গুনাহের তালিকা উল্লেখ করা হলো । সবাই এগুলো থেকে দূরে থাকুন এবং আল্লাহর নিকট পানাহ চান ৷
• আল্লাহর সাথে শিরক করা
• নামায পরিত্যাগ কর
• পিতা - মাতার অবাধ্য হওয়া
• অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
• পিতা - মাতাকে অভিসম্পাত করা
• যাদু - টোনা করা
• এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
• জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন করা
• সতী - সাধী মু'মিন নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া
• রোযা না রাখা
• যাকাত আদায় না করা
• ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা
• যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
• প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
• অহংকার করা
• চুগলখোরি করা ( ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো )
• আত্মহত্যা করা
• আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
• অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা •
উপকার করে খোটা দান করা
• মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
• মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
• জুয়া খেলা
• তকদীর অস্বীকার করা
• অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
• গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
• পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
• রাসূল ( সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
• মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
• মিথ্যা কথা বলা
• মিথ্যা কসম খাওয়া
• মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা
• জিনা - ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
• সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া
• মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
• হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে করা
• যার জন্যে হিলা করা হয়
• মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা
• মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা
• মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
• মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
• খেলার ছলে কোন প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের লক্ষ্য বস্তু বানানো
• কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা
• আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা
• ওজনে কম দেয়া
• ঝগড়া - বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা
• ইসলামী আইনানুসারে বিচার বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা
• জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা বা পরের জমি জবর দখল করা
• গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ চর্চা করা
• দাঁত চিকন করা
• সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা
• অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
• পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা
• নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা
• বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো
• কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া
• পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান
• মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
• ডাকাতি করা
● চুরি করা
• সুদ লেন - দেন করা , সুদ লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা
• ঘুষ লেন - দেন করা
• গনিমত তথা জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের পূর্বে আত্মসাৎ করা
• স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
• জুলুম - অত্যাচার করা
• অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা
• প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা
• রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা
• স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা
• পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা
• সাহাবীদের গালি দেয়া
• নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির সামনে দিয়ে গমন করা
• মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন
• ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা
• পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা
• কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
• আল্লাহর ব্যাপারে অনাধকার চর্চা করা
• বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
• যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট
• স্বামীর অবাধ্য হওয়া স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা
• স্বামী - স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
• স্বামী - স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা
• বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া
• বিশ্বাস ঘাতকতা করা
• অঙ্গীকার পূরণ না করা
• আমানতের খিয়ানত করা
• প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
• ঋণ পরিশোধ না করা
• বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না • তাবিজ - কবজ , রিং , সুতা ইত্যাদি ঝুলানো
• পরীক্ষায় নকল করা
• ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা
• ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা
• আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার - ফয়সালা করা
• দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা
• কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা
• নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা
• আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া ।

সংকলনে : আব্দুল্লাহিল হাদী লিসান্স , মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দাঈ , জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার , সউদী আরব ।

15/04/2022

একটা ভালো ও সুন্দর জীবন

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার , পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত । সুরা নাহলঃ ৯৭

বিশ্বাসীদেরকে আল্লাহ একটি সুন্দর জীবন প্রদান করেন । অনেকেই বোকার মত বাহ্যিক অবস্থা দেখে জীবনের ভালো খারাপ বিচার করতে যায় যেটা বোকামি । আল্লাহ মুমিনদেরকে ধনি করুক বা দরিদ্র -তারা সব সময় সর্ব ক্ষেত্রেই শান্তির একটা জীবন লাভ করেন ।

13/04/2022

বিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহর ২৫ টি ওয়াদা আল্লাহর ওয়াদা সত্য । আল্লাহ যা ওয়াদা করেন তাই পুরোন করেন । পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্য করে ২৫ টি ওয়াদা করেছেন । অর্থাৎ যারা বিশ্বাসী হয়েছেন আল্লাহ তাদের জন্যে কিছু পুরস্কার ও সাহায্যের ওয়াদা করেছেন এবং তা অবশ্যই আল্লাহ পুরোন করবেন । কারন আল্লাহ বলেনঃ “ আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । আল্লাহ প্রতিশ্রুতির খেলাফ করেন না । ” সুরা যুমার আয়াত ২০ এখন আসুন দেখে নেই আল্লাহর সেই ওয়াদা গুলো কি কি !!

( ১) জান্নাতের ওয়াদা আল্লাহ বিশ্বাসীদের জান্নাতের ওয়াদা দিয়েছেন , আল্লাহ বলেনঃ “ আর হে নবী ( সাঃ ) , যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে , আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন , যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে । যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে , তখনই তারা বলবে , এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম । বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে । এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে । আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে । ” [ সুরা বাকারাঃ ২৫ ] অর্থাৎ যারা ইমান আনবেন তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাত । এটা আল্লাহর ওয়াদা ।

( ২ ) নুর বা আলো হাসরের ময়দানে যখন পুলসিরাত পার করতে বলা হবে তখন থাকবে অন্ধকার , ঘুট ঘুটে অন্ধকার । যদি আল্লাহ আলো না দেন তাহলে সেই পুলসিরাত পার হওয়া হবে অসম্ভব । তাই দুনিয়াতে যারা বিশ্বাসী ছিল বা যারা ইমান এনেছিল তাদের ইমানের আলোই তখন পুলসিরাত পার করতে কাজে লাগবে । এখন যেটা আধ্যাতিক আলো তখন সেটাই হবে বাহ্যিক আলো । আল্লাহ মুমিনদেরকে সেইদিন তাদের ইমানের আলো দেওয়ার ওয়াদা দিয়েছেন আল্লাহ বলেনঃ যেদিন আপনি দেখবেন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে , তাদের সম্মুখ ভাগে ও ডানপার্শ্বে তাদের জ্যোতি ছুটোছুটি করবে বলা হবেঃ আজ তোমাদের জন্যে সুসংবাদ জান্নাতের , যার তলদেশে নদী প্রবাহিত , তাতে তারা চিরকাল থাকবে । এটাই মহাসাফল্য । সুরা আল হাদিদঃ ১২

( ৩ ) আল্লাহ আপনার সাথে থাকবে আল্লাহ বলেনঃ “ জেনে রেখ আল্লাহ রয়েছেন ঈমানদারদের সাথে । সুরা আনফালঃ ১৯ যখন আল্লাহ বলেন আল্লাহ বিশ্বাসীদের সাথে আছে , তার মানে হচ্ছে বিশ্বাসীদের আর কারও প্রয়োজন নেই । তাদের জন্যে আল্লাহই যথস্ট ।

( ৪ ) আল্লাহর অনুগ্রহ আল্লাহর করুনার ওয়াদা করেছেন আল্লাহ বলেনঃ ... আল্লাহর মুমিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল । সুরা আল ইমরানঃ ১৫২
আল্লাহর দয়া , তার করুনা অসীম । আমরা যে টুকু দয়া বা করুনা পাওয়ার যোগ্য তার থেকে হাজার গুন বেশি অনুগ্রহ আল্লাহ আমাদের প্রতি প্রদর্শন করেন ।

( ৫ ) আল্লাহ মুমিনদের রক্ষা করার এবং তার বন্ধুত্বের ওয়াদা করেছেন আল্লাহ বলেনঃ “ নিশ্চয়ই ঐ সব লোক ইবরাহীমের নিকটতম যারা তার অনুগামী হয়েছেন আর এই নবী এবং মুমিনগন এবং আল্লাহ তা'আলা বিশ্বাসীগণের বন্ধু । ” সুরা আল ইমরানঃ ৬৮
অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা বলছেন যে তিনি বিশ্বাসীদের বন্ধু । সুতরাং আল্লাহর বন্ধুত্বের ওয়াদা পাওয়ার পর একজন বিশ্বাসীর আর কি বা চাওয়ার থাকতে পারে !!!

( ৬ ) আল্লাহ তার রহমতের ওয়াদা করেছেন ( কারন আল্লাহ হচ্ছেন রাহমান ) মহান আল্লাহ বলেনঃ “ যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে , তাদেরকে তাদের পালনকর্তা স্বীয় রহমতে দাখিল করবেন । এটাই প্রকাশ্য সাফল্য । ” সুরা আল - যাসিয়াঃ ৩০
আল্লাহ বিশ্বাসীদের ওপর তার রহমত বর্ষণ করবেন । আর আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না ।

( ৭ ) বিজয় - সফলত আল্লাহ বিশ্বাসীদেরকে দুনিয়া এবং আখিরাতে বিজয় দানের ওয়াদা করেছেন । || আল্লাহ বলেনঃ “ নিশ্চই আমি সাহায্য করব রসূলগণকে ও মুমিনগণকে পার্থিব জীবনে ও সাক্ষীদের দন্ডায়মান হওয়ার দিবসে । ” সুরা গাফির আয়াত ৫৯
আল্লাহ আরও বলেনঃ “ ... মুমিনদের সাহায্য ( বিজয় ) করা আমার দায়িত্ব । ” সুরা আর রুমঃ ৪৭
আল্লাহ বিশ্বাসীদেরকে বিজয়ের ওয়াদা করেছেন । তাই প্রথমে আপাত দৃষ্টিতে সময়িক ভাবে মনে হতে পারে যে বিশ্বাসীরা হেরে যাচ্ছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শেষ পর্যন্ত জয় বিশ্বাসীদেরই হবে । কারন এটা আল্লাহর ওয়াদা ।

( ৮ ) আল্লাহ বিশ্বাসীদের ভেতরের মন্দকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন আল্লাহ বলেনঃ “ আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে , আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে দেব এবং তাদেরকে কর্মের উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দেব । ” সুরা আনকাবুতঃ ৭
আল্লাহ বিশ্বাসীদের ভেতর থেকে মন্দকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন ৷ কারন জান্নাত হচ্ছে পবিত্র স্থান এবং কোন অপবিত্র ব্যক্তি বা বস্তু জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । জাররাহ পরিমান গুনাহ বা অপবিত্রতা নিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করা অসম্ভব । নিজের গুনাহ থেকে সম্পূর্ন বিশুদ্ধ না হয়ে কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না । আর আল্লাহ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্বাসীদেরকে গুনাহ থেকে পরিশুদ্ধ করেন আর সেই পদ্ধতি গুলো হলঃ তাওবা , আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা , রোগব্যাধি , কষ্ট , আরো অনেক পরিক্ষার সম্মুক্ষিন করে আল্লাহ বিশ্বাসীদেরকে বিশুদ্ধ করেন । আল্লাহ বিশ্বাসীদের মধ্যে কতককে এতটাই পছন্দ করেন যে তাদের কারও কারো গুনাহ বা অপরাধ আল্লাহ এই দুনিয়াতে গোপন রাখেন এবং পরকালেও গপন রাখবেন । এই ভাবেই আল্লাহ বিশ্বাসীদের ভেতর থেকে মন্দ নিশ্চিহ্ন করবেন ।

( ৯ ) আল্লাহর ভালোবাসা আল্লাহ বলেনঃ “ যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে , তাদেরকে দয়াময় আল্লাহ ভালবাসা দেবেন । ” সুরা মারইয়ামঃ ৯৬
বিশ্বাসীরা আল্লাহর ভালোবাসা পাবেন । এটাও আল্লাহর ওয়াদা

( ১০ ) আল্লাহ ওয়াদা করেছেন বিশ্বাসীদের কোন ভালো কাজই ব্রিথা যাবে না “ যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার নষ্ট করি না । ” সুরা কাহাফঃ ৩০
মাঝে মাঝে মনে হয় যে সব কাজ বৃথা হয়ে যাচ্ছে তাই না । ধরেন দাওয়ার কাজ করতে অনেক সময়ই মনে হতে পারে যে নষ্ট হচ্ছে । কেউ কথা শুনছে না অথবা দাওয়ার ফলে কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না । সেই সময় মনে রাখতে হবে যে আল্লাহ মুমিনদের কোন কাজকেই বৃথা যেতে দিবে না । এবং আপনার এই দাওয়ার কাজের পুরষ্কার আল্লাহর কাছেই রয়েছে ।

( ১১ ) শয়তান থেকে সুরক্ষা আল্লাহ বলেনঃ “ তার আধিপত্য চলে না তাদের উপর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আপন পালন কর্তার উপর ভরসা রাখে । ” সুরা নাহলঃ ৯৯
আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলে আল্লাহ শয়তানের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করেন ।

( ১২ ) অবিচল , দৃঢ় তার ওয়াদা আল্লাহ বলেনঃ “ আল্লাহ তা আলা মুমিনদেরকে মজবুত বাক্য দ্বারা মজবুত করেন । পার্থিবজীবনে এবং পরকালে । এবং আল্লাহ জালেমদেরকে পথভ্রষ্ট করেন । আল্লাহ যা ইচ্ছা , তা করেন । ” সুরা ইবরাহিমঃ ২৭
আল্লাহ বিশ্বাসীদের ওয়াদা করেছেন যে আল্লাহ তাদেরকে জীবনের পথে দৃঢ়তা দান করবেন । এবং সিরাতুল মুস্তাকিমে অবিচল রাখবেন । ( ৯৩ )
একটা ভালো সমাপ্তি আল্লাহ বলেনঃ “ যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে , তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ এবং মনোরম প্রত্যাবর্তণস্থল । ” সুরা রা’আদঃ ২৯ আল্লাহ মুমিনদের বা বিশ্বাসীদের একটা সুন্দর সমাপ্তির ওয়াদা করেছেন , সুতরাং জীবনে যত বস্তুর পথ পারি দিতে হোক না কেন একজন বিশ্বাসী হলে তার শেষটা হবে চমৎকার এবং সুখের ।দিতে হোক না কেন একজন বিশ্বাসী হলে তার শেষটা হবে চমৎকার এবং সুখের ।

( ১৪ ) আল্লাহ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন আল্লাহ বলেনঃ অতঃপর আমি বাঁচিয়ে নেই নিজের রসূলগণকে এবং তাদেরকে যারা ঈমান এনেছে এমনিভাবে । ঈমানদারদের বাঁচিয়ে নেয়া আমার দায়িত্বও বটে । সুরা ইউনুসঃ ১০৩ সুতরাং যদি কোন ইমানদার বিপদে পতিত হয় তাহলে আল্লাহ তাকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন । যেমন ইউনুস ( আঃ ) যখন মাছের পেটে ছিলেন । এই ভয়ংকর বিপদে তিনি একমাত্র আল্লাহকে স্মরন করলেন তার কাছে সাহায্য চাইলেন এবং আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন ।

( ১৫ ) পথ প্রদর্শন ( হিদায়াহ ) আল্লাহ বলেনঃ অবশ্য যেসব লোক ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে , তাদেরকে হেদায়েত দান করবেন তাদের পালনকর্তা , তাদের ঈমানের মাধ্যমে । এমন সুসময় কানন - কুঞ্জের প্রতি যার তলদেশে প্রবাহিত হয় প্রস্রবণসমূহ । সুরা ইউনুসঃ ৯ এবং মুমিনদের জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল আল্লাহর দেয়া এই গাইডেন্স বা হিদায়াত । দুনিয়ার জীবনে সরল পথে থাকাটাই বিশ্বাসীদের জন্যে সবার্থকতা আর আল্লাহর ওয়াদা আছে যে তিনি মুমিনদেরকে পথ পদর্শন করবেন ।

( ১৬ ) আল্লাহ বরকত দেয়ার ওয়াদা করেছেন “ আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন করত , তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী ও পার্থিব নেয়ামত সমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম ৷ কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে । সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের কৃতকর্মের বদলাতে । ” সুরা আল আরাফঃ ৯৬ শুধু মাত্র দুনিয়ার ভালোর জন্যে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা মটেই সমিচিন নয় বরং দুনিয়া এবং আখিরাতে আল্লাহর অনুগ্রহ পাওয়ার আশা করে আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করাই মুমিনদের কাজ । আর আল্লাহ তা'আলা ইমানদার দের প্রত্যেক ভালো কাজে বরকত দিয়ে দেন । কারন এইটা আল্লাহর ওয়াদা ।

( ১৭ ) শান্তি এবং সুরক্ষা আল্লাহ বলেনঃ “ যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শেরেকীর সাথে মিশ্রিত করে না , তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী । ” সুরা আল আনামঃ ৮২ বিশ্বাসীদের জন্যে আল্লাহ শান্তির ওয়াদা করেছেন । এবং হৃদয়ের এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তি দেয়ার মালিক এক মাত্র আল্লহ । বদরের যুদ্ধে যখন প্রায় ৩৪৩ জন নিয়ে প্রায় ১০০০ সৈন্যের বিরুদ্ধে মুসলিমদের মোকাবেলা করতে হয়েছিল তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়ে প্রশান্তি ( সাকিনাহ ) দিয়ে দেন এবং যুদ্ধের আগে তাদের সবার চখে পরসান্তির ঘুম এনে দেন । এইভাবেই আল্লাহ মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন ।

( ১৮ ) আল্লাহর ক্ষমা মহান আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যারা বিশ্বাস স্থাপন করে , এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে , আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহান প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । সুরা মায়েদাঃ ৯ মানুষের জন্যে যেটা সবচেয়ে প্রয়োজনিয় তা হল মহান আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ যারা বিশ্বাস স্থাপন করে , এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে , আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহান প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । সুরা মায়েদাঃ ৯ মানুষের জন্যে যেটা সবচেয়ে প্রয়োজনিয় তা হল আল্লাহর ক্ষমা । আর সেই সৌভাগ্যবান যাকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন , আর মুমিনদের আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন ।

( ১৯ ) আল্লাহ বিশ্বাসীদের প্রাপ্য পরিপূর্ন রূপে বুঝিয়ে দেবেন আল্লাহ বলেনঃ পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে । তাদের প্রাপ্য পরিপূর্ণভাবে দেয়া হবে । আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না । সুরা আল ইমরানঃ ৫৭

( ২০ ) ভয় - দুঃখ , দুর্দশা দূর করে দেবেন আল্লাহ বলেনঃ নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে , সৎকাজ করেছে , নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে , তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে । তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না । সুরা বাকারাঃ ২৭৭

( ২১ ) আল্লাহ অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসবেন আল্লাহ বলেনঃ “ যারা ঈমান এনেছে , আল্লাহ তাদের অভিভাবক ৷ তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে । আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত । তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায় । এরাই হলো দোযখের অধিবাসী , চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে । সুরা বাকারাঃ ২৫৭

( ২২ ) আল্লাহ কখনই কাফিরদেরকে সম্পূর্নরূপে মুমিনদের ওপর প্রতিপত্তি বিস্তার করতে দেবেন না কিছুতেই আল্লাহ কাফেরদেরকে মুসলমানদের উপর বিজয় দান করবেন না।সুরা নিসাঃ ১৪৪ এখন আমাদের একটু চিন্তা করার সময় এসেছে । কাফেররা আংশিক ভাবে সাময়িক সময়ের জন্যে বিজয়ের স্বাদ পেলেও প্রকৃত বিজয় কিন্তু হবে বিশ্বাসীদেরই ।
( ২৩ ) প্রতিরক্ষা আল্লাহ বলেনঃ আল্লাহ মুমিনদের থেকে শত্রুদেরকে হটিয়ে দেবেন । আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না । সুরা হজঃ ৩৮ আল্লাহ তার বিশ্বাসীবান্দাদেরকে প্রতিরক্ষার ওয়াদা দিয়েছেন ৷

( ২৪ ) একটা ভালো ও সুন্দর জীবন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার , পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত । সুরা নাহলঃ ৯৭ বিশ্বাসীদেরকে আল্লাহ একটি সুন্দর জীবন প্রদান করেন । অনেকেই বোকার মত বাহ্যিক অবস্থা দেখে জীবনের ভালো খারাপ বিচার করতে যায় যেটা বোকামি । আল্লাহ মুমিনদেরকে ধনি করুক বা দরিদ্র -তারা সব সময় সর্ব ক্ষেত্রেই শান্তির একটা জীবন লাভ করেন ।

( ২৫ ) বিশ্বাসীদেরকে আল্লাহ পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করবেন আল্লাহ বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে , আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে , তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন । যেমন তিনি শাসনকতৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে , যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয় - ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন । তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না । এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে , তারাই অবাধ্য ৷ সুরা –আন নুর আয়াত ৫৫
আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন মুমিনদেরকেই আল্লাহ দুনিয়ার কর্তিত্য দেবেন । সুতরাং একজন বিশ্বাসী আল্লাহর কাছ থেকে উপরোক্ত প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা পেয়ে থাকে । এবং আল্লাহ কখনই তার প্রতিশ্রুতির ব্যাতিক্রম করে না । আচ্ছা আল্লাহ তো আল্লাহর ওয়াদা করে দিয়েছেন । কিন্তু আমরা কি তার এই ওয়াদা গ্রহন করার জন্যে প্রস্তুত বা আমরা কি সেই যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি বা পারছি ?? আল্লাহ আমাদের সবাই কে মুমিন হিসেবে জীবিত রাখুক এবং মুমিন হিসেবেই মৃত্যু দেক । এবং বিনা হিসেবে জান্নাত দেক বারযাখের জীবনকে সুখের করুক । আমিন ।

11/04/2022

হিংসা কি ও তা থেকে মুক্তির উপায়

কারও জ্ঞান , বুদ্ধি , সম্পদ , মান - ইজ্জত , সুখ - স্বাচ্ছন্দ ইত্যাদি ভাল কিছু দেখে মনে কষ্ট লাগা এবং আকাংখা হওয়া যে সেটা না থাকুক বা ধ্বংস হয়ে যাক এবং তা হলেই মনে আনন্দ লাগা- এই মনেবৃত্তিকে বলা হয় হাসাদ বা হিংসা । সাধারণতঃ তাকাব্বুর ( নিজের বড়ত্ববোধ ) বা শত্রুতা থেকে এই মনোভাব সৃষ্টি হয় । কিংবা কারও মন যদি খবীছ হয় তাহলেও এই মনেবৃত্তি জাগতে পারে । হিংসার কারণে নেক আমল নষ্ট হয়ে যায় এবং আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হতে হয় । হিংসুক ব্যক্তি চিরকাল মনের কষ্টে কাল যাপন করতে থাকে , জীবনে কখনও মনে শান্তি পায় না । এখানে উল্লেখ্য যে , কারও ভাল কিছু দেখে সেটা ধ্বংসের কামনা না করে শুধু নিজের জন্য অনুরূপ হয়ে যাওয়ার কামনা করা গর্হিত নয় বরং এরূপ কামনা করা ওয়াজিব , মুস্তাহাব পর্যায়ের হলে মুসাহাব , আর মুবাহ পর্যায়ের হলে মুবাহ । এটাকে হিংসা নয় বরং গিবতা বলা হয় ।

এই হিংসা থেকে মুক্তির উপায়।
১. যার প্রতি হিংসা হয় , মনে না চাইলেও লোক সমাজে তার প্রশংসা করা ।
২. যার যে নেয়ামতের কারণে হিংসা হয় , সেটা তার জন্য আরও বৃদ্ধি পাক আল্লাহর কাছে এই দুআ করতে থাকা ।
৩. মনে না চাইলেও দেখা হলে তাকে সালাম করা , তার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা দেখানো এবং ন ব্যবহার করা ।
৪. মাঝে মধ্যে তাকে হাদিয়া প্রদান করা ।
( দেখুনঃ বেহেশতী যেওর , আহকামে যিন্দেগী )

10/04/2022

পবিত্র কুরআনুল কারীমের ১০০ নির্দেশনা

০১. কথাবার্তায় কর্কশ হবে না । ( ০৩ঃ ১৫৯ )
০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন ( ০৩ঃ ৯৩৪ ) ।
০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন । ( ০৪ঃ ৩৬ )
০৪. অহংকার করবেন না । ( ০৭ঃ ১৩ )
০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করুন ( ০৭ঃ ১৯৯ )
০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন । ( ২০ঃ ৪৪ )
০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না । ( ৩১ঃ ১৯ )
০৮. অন্যকে উপহাস করবেন না ( ৪৯ঃ ১১ )
০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন । ( ১৭ঃ ২৩ )
১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক শব্দ উচ্চারণ করবেন না । ( ৪৭ঃ ২৩ )
১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবেন না । ( ২৪ঃ ৫৮ )
১২. ঋণ গ্রহণ করলে তা লিখে রাখুন । ( ০২ঃ ২৮২ )
১৩. কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না । ( ০২ঃ১৭০ ) ১৪. ঋণ গ্রহণকারীর কঠিন পরিস্থিতিতে পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিন । ( ২ঃ ২৮০ )
১৫. কখনো সুদের সাথে জড়িত হবেন না । ( ০২ঃ ২৭৫ ) ১৬. কখনো ঘুষের সাথে জড়িতে হবেন না । ( ০২০৯৮৮ ) ১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না । ( ০২.১৭৭ )
১৮. আস্থা রাখুন ( ০২ঃ ২৮৩ )
১৯. সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করবেন না । ( ২:৪২ )
২০. ইনসাফের সাথে বিচার করবেন । ( ০৪ঃ ৫৮ )
২১. ন্যায়বিচারের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যান । ( ০৪ : ১৩৫ )
২২. মৃতদের সম্পদ তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করুন । ( ০৪:০৭ )
২৩. মহিলাদের উত্তরাধিকারের অধিকার আদায় করুন । ( ০৪ঃ ০৭ )
২৪. এতিমদের সম্পত্তি গ্রাস করবেন না । ( ০৪.১০ )
২৫. এতিমদের রক্ষা করুন । ( ০২.২২০ )
২৬. অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করবেন না । ( ০৪৪ ২৯ )
২৭. মানুষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করুন । ( ৪৯ঃ ০৯ )
২৮. সন্দেহ এড়িয়ে চলুন । ( ৪৯০ ৪২ )
২৯. গুপ্তচরবৃত্তি করবেন না , কুৎসা রটাবেন না । ( ৪৯ঃ ১২ )
৩০. আল্লাহর বিধানুসারে বিচার করুন । ( ০৫ঃ ৪৫ )
৩১. সাদাকাতে সম্পদ ব্যয় করুন । ( ৫৭ঃ ০৭ )
৩২.দরিদ্রকে খাবার খাওয়ান । ( ১০৭ঃ ০৩ )
৩৩. অভাবীকে অভাব পূরুনের উপায় বাতলে দিন । ( ০২ঃ ২৭৩ )
৩৪. অপব্যয় করবেন না । ( ৯৭ঃ ২৯ )
৩৫. খোঁটা দিয়ে দানকে নষ্ট করে দিবেন না । ( ০২ঃ ২৬৪ ) ৩৬. অতিথিকে সম্মান করুন । ( ৫৪ঃ ২৬ )
৩৭. কেবলমাত্র নিজে আমল করে তারপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যকে আমল করার আদেশ দিবেন । ( ০২:৪৪ )
৩৮. কাউকে গালাগালি করবেন না । ( ০২ঃ ৬০ )
৩৯. লোকজনকে মসজিদে যেতে বাধা দিবেন না । ( ০২ঃ ১৪৪ )
৪০. কেবল তাদের সাথেই লড়াই করুন , যারা আপনার সাথে লড়াই করে ( ০২ঃ ১৯০ )
৪১. যুদ্ধের শিষ্টাচার মেনে চলুন । ( ০২৪ ১৯১ )
৪২. যুদ্ধেংদেহী হবেন না । ( ০৮৪৯৫ )
৪৩. দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না । ( ০২ঃ ২৫৬ )
৪৪. সকল নবির উপর ঈমান আনুন । ( ২ : ২৮৫ )
৪৫. স্ত্রীর মাসিকের সময় যৌন মিলন করবেন না । ( ০২ঃ ২২২ )
৪৬. আপনার শিশুকে পূর্ণ দুবছর বুকের দুধ খাওয়ান । ( ০২ঃ ২৩৩ )
৪৭. অননুমোদিত উপায়ে যৌন মিলন করবেন না । ( ১৭ঃ ৩২ )
৪৮. যোগ্যতা অনুসারে নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করুন । ( ০২ঃ ২৪৭ )
৪৯. কোনো ব্যক্তিকে সামর্থ্যের বাহিরে বেশি বোঝা চাপিয়ে দিবেন না । ( ০২ঃ ২৮৬ )
৫০. বিভক্তি উসকে দিবেন না । ( ০৩ঃ ১০৩ )
৫১. মহাবিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করুন ( ৩ : ১৯১ )
৫২. আমল অনুযায়ী পুরুষ ও মহিলাদের সমান পুরষ্কার পাবেন ; তাই আমল করুন । ( ৩ : ১৯৫ )
৫৩. ' মাহরাম ' আত্মীয়কে বিবাহ করবেন না । ( ০৪ঃ ২৩ ) ৫৪. পুরুষ হিসেবে মহিলাদের সুরক্ষা দিন । ( ০৪ঃ ৩৪ )
৫৫. কৃপণ হবেন না । ( ০৪ঃ ৩৭ )
৫৬. অন্তরে পরশ্রীকাতরতা পুষে রাখবেন না । ( ০৪ঃ ( 8 ) ৫৭. একে অপরকে হত্যা করবেন না । ( ০৪ঃ ৯২ )
৫৮. প্রতারণার পক্ষে ওকালতি করবেন না । ( ০৪ঃ ১০৫ ) ৫৯. পাপ কাজে এবং আগ্রাসনে সহযোগিতা করবেন না । ( ০৫:০২ )
৬০. সৎ কাজে সহযোগিতা করুন । ( ০৫ঃ ০২ )
৬১. সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই কোনোকিছু সত্য বলে গ্রহণ করবেন না । ( ০৬ঃ ১১৬ )
৬২. ন্যায়বিচার করুন । ( ০৫ঃ ০৮ )
৬৩. অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন । ( ০৫ঃ ৩৮ )
৬৪. পাপ ও বেআইনী কাজের বিরুদ্ধে লড়াই করুন ( ০৫ঃ ৬৩ )
৬৫. মৃত প্রাণী , রক্ত , শুকরের মাংস ভক্ষণ থেকে দূরে থাকুন । ( ০৫ঃ ০৩ )
৬৬. মাদক এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন ( ৫:৯০ )
৬৭. জুয়া খেলবেন না । ( ০৫ঃ ৯০ )
৬৮. অন্য ধর্মের দেবদেবীদের অবমাননা করবেন না । ( ০৬ঃ ১০৮ )
৬৯. ক্রেতাকে ঠকানোর উদ্দ্যেশ্যে মাপে কম দিবেন না । ( ০৬ঃ ১৫২ )
৭০. খান এবং পান করুন ; তবে অপচয় করবেন না । ( ০৭ঃ ৩১ )
৭১. নামাজের সময় ভালো পোশাক পরিধান করুন । ( ০৭:৩6 )
৭২. আশ্রয়প্রার্থীকে সুরক্ষা দিন , সহযোগিতা করুন । ( ০৯:০৬ )
৭৩. বিশুদ্ধতাকে আঁকড়ে ধরুন । ( ০৯ঃ ৬০৮ )
৭৪. আল্লাহর রহমতের আশা কখনই পরিত্যাগ করবেন না । ( ৪২ঃ ৮৭ )
৭৫. অজ্ঞতাবশত ভুল করলে আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশা করুন । ( ১৬ঃ ১১৯ )
৭৬. মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করুন হিকমা ও উত্তমভাবে । ( ১৬ঃ ১২৫ )
৭৭. অন্যের পাপের বোঝা কাউকে বইতে হবে না , বিশ্বাস করুন । ( ৯৭ঃ ১৫ )
৭৮. দারিদ্র্যের ভয়ে আপনার বাচ্চাদের হত্যা করবেন না । ( ১৭ঃ ৩১ )
৭৯. যে বিষয়ে জ্ঞান আপনার জ্ঞান নাই , সে বিষয়ে কারও পিছু লাগবেন না । ( ১৭ঃ ৩৬ )
৮০. নিরর্থক কাজ থেকে দূরে থাকুন । ( ২৩ঃ ০৩ )
৮১. অনুমতি না নিয়ে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করবেন না । ( ২৪ঃ ২৭ )
৮২. যারা আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে , তাদের জন্য তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন , এই বিশ্বাস রাখুন । ( ২৪:৫৫ )
৮৩. জমিনে নম্রভাবে চলাফেরা করুন । ( ২৫ঃ ৬৩ )
৮৪. পৃথিবীতে আপনার অংশকে অবহেলা করবেন না । ( ২৮ঃ ৭৭ )
৮৫. আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যকে ডাকবেন না । ( ২৮ঃ ৮৮ )
৮৬. সমকামিতার ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হবেন না । ( ২৯ঃ ২৯ ) ৮৭. সৎ কাজের আদেশ দিন , অসৎ কাজে বাধা দিন । ( ৩১ঃ ১৭ )
৮৮. জমিনের উপর দম্ভভরে ঘুরে বেড়াবেন না । ( ৩১ঃ ১৮ ) ৮৯. মহিলারা তাদের জাকজমকপূর্ণ পোষাক প্রদর্শন করে বেড়াবে না । ( ৩৩ঃ ৩৩ )
৯০. আল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা করেন , বিশ্বাস রাখুন । ( ৩৯ঃ ৫৩ )
৯১. আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না । ( ৩৯ঃ ৫৩ ) ৯২. ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করুন । ( ৪৯ঃ ৩৪ )
৯৩. পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন । ( ৪২ঃ ১৩ )
৯৪. সর্বোত্তম মানুষ হওয়ার লড়াই করুন । ( ৪৯ঃ ১৩ )
৯৫. বৈরাগ্যবাদী হবেন না । ( ৫৭ঃ ২৭ )
৯৬. জ্ঞান অন্বেষণে ব্যাপৃত হোন । ( ৫৮ঃ ১১ )
৯৭. অমুসলিমদের সাথে সদয় এবং নিরপেক্ষ আচরণ করুন । ( ৬০ঃ ০৮ )
৯৮. লোভ থেকে নিজেকে বাঁচান । ( ৬৪ঃ ১৬ )
৯৯. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন । ( ৭৩ঃ ২০ )
১০০. ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দিবেন না । ( ৯৩ঃ ১০ )

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nur Foundation posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nur Foundation:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share