16/03/2025
ফাতওয়া দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।আল্লামা আব্দুর রশিদ নোমানী (রাহঃ) امام ابن ماجہ اور علم حدیث গ্ৰন্থে লিখেন:
تفقہ کا درجہ علوم شرعیہ کا آخری درجہ ہے
"ইলমে ফিকহ হলো - শরয়ী ইলমের সর্বোচ্চ স্তর "
খলিফাতুল মুসলিমিন আলী (রাঃ) জ্ঞানের শহর কুফায় প্রবেশকালে চার হাজার ছাত্র কে "হাদিস" পড়তে দেখেন, অথচ সেখানে "ফিকহ" এর ছাত্র সংখ্যা ছিল চার শত।
(امام ابن ماجہ اور علم حدیث ص : 40)
এর দ্বারা অনুমান হয় ফন্নে "ফিকহ" কতটা সুক্ষ্ম ও জটিল।
সাহাবায়ে কেরাম যে পরিমান হাদিস বর্ণনা করতেন তার চেয়ে অনেক কম ফতোয়া দিতেন। সবচেয়ে বেশি ফতোয়া দিতেন ছয় জন সাহাবা। তন্মধ্যে তিন জন আনচার ও তিন জন মুহাজির। আরেক বর্ণনায় এসেছে দশ জন সাহাবী। অন্য বর্ণনায় চৌদ্দ জন সাহাবী। হাফেজ ইবনুল কাইয়্যুম আল জাওজী রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা "ই'লামুল মুয়াক্কায়ীন" গ্ৰন্থে লিখেন : সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে ফতোয়া দাতার সংখ্যা হল সব মিলিয়ে ১৩০ জন ।
রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদীসে ফরমান--
من افتاه بغير علم كان اثمه على من افتاه
"কেহ ইলেম ছাড়া ফতোয়া দিলে গুনাহগার হবে"
ইমাম শাতেবী (রহঃ) বলেন:
المفتى قائم فى الأمة مقام النبي صلى الله عليه وسلم
"(দাওয়াত- তাবলীগ ও তালিমের দৃষ্টিকোন থেকে) মুফতী হলো - নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্থলাভিষিক্ত"
(الموافقات للشاطبى ٤/٤٤٥)
আলোচ্য উদ্ধৃতি সমূহের আলোকে এ কথা স্পষ্ট হয় যে, ফতোয়া দেওয়া, মুফতী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুক্ষ্ম বিষয়ের দায়িত্ব পালন করা। যুগ পরম্পরায় কেবল প্রাজ্ঞ ও বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগনই এ মহান দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে এ কথা ও স্পষ্ট হয় যে, গভীর জ্ঞান ছাড়া শুধু দু'চারটি কিতাব পড়ে নিলেই ফতোয়া দেয়া যায় না।
অনলাইন ফতোয়া বিভাগ, অনলাইন ইফতা বিভাগের তো প্রশ্নই আসে না। যেখানে ২৪ ঘন্টা আবাসিক মাদরাসায় থেকে একজন তালেবে ইলেম একটি তামরীন করতে কোনো কোনো সময় এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যায়, সেখানে অনলাইনে কিতাব না দেখে, না পড়ে, তামরীন না করে কি করে একজন ছাত্র মুফতী হবে?
আর যাই হোক এটাকে আমরা ইফতা বা তাখাসসুস ফিল ইফতা মনে করি না। বাংলাদেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব, মুফতী দেলোয়ার সাহেব, মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ সাহেব ও আমার উস্তাদ মুফতী কেফায়াতুল্লাহ সাহেব (হাফিজাহুমুল্লাহ) সহ বড়দের কেউই অনলাইন ইফতা কে সাপোর্ট করেন না। তাদের অনেকেই অনলাইন ইফতা পড়ার চেয়ে বরং একেবারে ইফতা না পড়া ভাল মনে করেন।
সুতরাং সত্যিকার অর্থে মুফতী হতে হলে অফলাইন আবাসিক ইফতা বিভাগের বিকল্প নেই। সেই সাথে প্রয়োজন ফাতওয়া বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে সুদীর্ঘ অধ্যয়ন ও বাস্তব অনুশীলন । সে লক্ষ্যেই আমরা বরাবরের মতো এবারও সীমিতসংখ্যক ছাত্র ভর্তি নিব। আমাদের রয়েছে চার মাযহাবের পর্যাপ্ত কিতাব সম্বলিত মনোরম দারুল মুতালাআ-- যা অন্য অনেক ইফতা বিভাগে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। রয়েছে এক ঝাঁক বিজ্ঞ মুফতী সাহেবান -- যারা দীর্ঘ এক দশক ধরে সুনামের সাথে ফিকহের কাজ আঞ্জাম দিচ্ছেন। সুতরাং আর কেন দেরি ? নিশ্চিন্তে আপনি আপনার ভর্তির জন্য যোগাযোগ করুন। পহেলা রমজান থেকেই ভর্তি ফরম দেয়া হচ্ছে।
🔸🔸 উল্লেখ্য যে, মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।
আগ্ৰহী তালেবে এলেমরা যে কোনো সময় মাদরাসার অফিসে যোগাযোগ করে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
গত কয়েকদিনে আমরা পাঁচজন ছাত্র ভর্তি নিয়েছি । আরো পাঁচ জন নিব ইনশাআল্লাহ।
ইফতা ভর্তি ফি: ১০০০/
মাসিক খোরাকি: সর্বনিম্ন ১০০০/
মুমতাজ ছাত্রদের সম্পুর্ন ফ্রী
🔹🔹নোট: আমাদের মাদরাসা ২০১৯ সনে ফাতওয়া বিভাগ দিয়েই শুরু হয়। তখন থেকে প্রতি বছর অনেক মেধাবী ছাত্র আমাদের ইফতা বিভাগ থেকে মুফতী হয়ে সারা দেশে সুনামের সাথে খেদমত করে যাচ্ছে।