31/08/2025
কাদের স্বার্থে এমন আচরণ করছে দেশের আইনশৃংখলা বাহিনী ?
মন্তব্য প্রতিবেদন: ঢাকার সাম্প্রতিক ঘটনার পর গোটা জাতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়োজিত হলেও, গত রাতে তাদের অতি উৎসাহী ও বেপরোয়া আচরণে পরিস্থিতি ভিন্নরূপ নিয়েছে।
গণ অধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বড় বড় লাঠি হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে হামলা চালিয়েছেন, তা দেখে দেশবাসী হতবাক। বিশেষত ভিপি নুরুল হক নুরের মতো একজন পরিচিত জাতীয় নেতার ওপর এমন নির্মম হামলা জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় স্পষ্ট, ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক শক্তির দোসররা পূর্বপরিকল্পিতভাবে “হলুদ হেলমেট বাহিনী”কে ভাড়া করে এনে রাজধানীতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছে। অথচ জনগণের প্রতিপক্ষ শক্তিকে রক্ষা করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নৃশংস আচরণে লিপ্ত হয়েছে এমন অভিযোগ এখন জনমনে গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত।
২৮ ্রআগস্ট রাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপরও অমানবিক হামলার ঘটনা জাতিকে আরও ব্যথিত করেছে। রাফিদ জামান খান, বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, তিনি নিজে পুলিশের নৃশংসতার শিকার হয়েছেন। তার বর্ণনায় উঠে এসেছে, ডিসি মাসুদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে পিছন থেকে ধরে ফেলে মাটিতে আছড়ে দেন, লাঠিপেটা করেন, বুট দিয়ে লাথি মারেন এবং হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেন। দেশের সবচেয়ে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ওপর এমন বর্বরোচিত আক্রমণ কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয়।
প্রশ্ন জাগে ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যদি একের পর এক রাজনৈতিক নেতা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত হতে হয়, তবে সরকারের নৈতিক বৈধতা কোথায় থাকে? ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর যাদের রক্তের বিনিময়ে নতুন সরকার গঠিত হয়েছিল, সেই শক্তির ওপর যদি আজ হামলা হয়, তবে তা গোটা জাতির জন্য সতর্ক সংকেত।
এখন স্পষ্ট, দেশের ১৮ কোটি মানুষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই দেশ ও এর জনগণ কার হাতে নিরাপদ থাকবে। রাষ্ট্রীয় শক্তির নামে যদি জনতার কণ্ঠরোধ, রাজনৈতিক নেতার রক্তাক্ত দেহ এবং শিক্ষার্থীদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হয়, তবে সেই শক্তির প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণই চূড়ান্ত ক্ষমতার উৎস। সেই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু যদি জনগণ বারবার রক্তাক্ত হয়,