29/08/2025
আমার বিয়ে হয়েছিল অনেক আশা নিয়ে। সংসার শুরুটা ভালোই চলছিল। একসময় আমি প্রেগন্যান্ট হলে আমাকে সাহায্য করার জন্য আমার বোন আমাদের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করে। প্রথমে সবকিছু স্বাভাবিক লাগলেও ধীরে ধীরে লক্ষ্য করলাম আমার বোন আর স্বামীর মধ্যে অস্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হচ্ছে।
আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রায় এক মাস আমাকে হাসপাতালে থাকতে হয়। সেই সময়ে আমার পাশে ছিলেন শুধু আমার মা। অথচ আমার স্বামী কিংবা আমার বোন—দুজনের কেউই একবারও হাসপাতালে খোঁজ নিতে আসেনি। পরবর্তীতে আমি দেখতে পাই, তারা দুজন একসঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় এবং ফেসবুকে ছবি পোস্ট করছে। আমার বোন ক্যাপশনে লিখছে “My forever”, আর তার নিচে আমার স্বামী ভালোবাসার মন্তব্য করছে। আমি যে কষ্টে ছিলাম, তা তাদের কারোই চিন্তায় ছিল না।
বাড়ি ফেরার পর স্বামী আমার সঙ্গে অকারণে ঝগড়া শুরু করে দেয়। আমার বোন প্রকাশ্যে বলতে থাকে—আমি নাকি আমার স্বামীর সুখ কেড়ে নিয়েছি, আমার কারণে সে নাকি সংসারে সুখী নয়। তারা এমনকি একসঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে, আর আমি অসহায় হয়ে পাশের রুমে শুয়ে থাকতাম। মা-কে বহুবার বললেও তিনি সবকিছুকে আমার ভুল ধারণা বলে উড়িয়ে দেন।
এই সময়েই আমার মিসক্যারেজ হয়। নিজের সন্তান হারানোর পর আমি সিদ্ধান্ত নিই, এদের এভাবে ছেড়ে দিলে চলবে না। একদিন রাগে আমি বোনকে চুল ধরে বাড়ি থেকে বের করে দিই এবং স্বামীকে এমনভাবে শাস্তি দিই যাতে সে আজীবন মনে রাখে। এরপর আমি ডিভোর্সের মামলা দায়ের করি এবং আমার হাতে থাকা প্রমাণগুলো আদালতে উপস্থাপন করি। বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে।
এখন আমি আলাদা একটি ফ্ল্যাটে একা থাকি। আমার জীবনের এই কঠিন অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে—বিশ্বাসঘাতকতা কখনও মেনে নেওয়া উচিত নয়। স্বামী থাকতে যদি কেউ স্ত্রীর বোনের সাথে সম্পর্ক করে, তবে তাকে হাড়ে হাড়ে এর মূল্য দিতে হবে।