26/07/2025
আওয়ামীলীগ নেতা শরীফ মিয়াজীকে জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বানানোর তোড়জোড় , বিএনপি -জামায়াত নেতাকর্মীদের ক্ষোভ
আনোয়ারা ( চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধি
কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও জুলধা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য শরীফ মিয়াজি জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এজন্য তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনও করেছেন বলে জানা গেছে। আর স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান হতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকার জনসাধারণ এবং সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আওয়ামিলীগ নেতা শরীফ মিয়াজির বিরুদ্ধে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারাও অভিযোগ রয়েছে। ফলে ভুক্তভোগী নেতাকর্মীরা বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেননা।
জানা যায়, জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য শরীফ মিয়াজি আওয়ামীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদ ও সাবেক কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীর যে কোনো অনুষ্ঠানে সামনের সাড়িতে থাকতেন। সর্বশেষ ২০১৮ ও ২০২৪ সালের স্বৈরাচার সরকারের অবৈধ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে এলাকায় গণসংযোগের ছবি এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এতকিছুর পরও এই আওয়ামীলীগ নেতা কিভাবে এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করে প্রশাসনের নিকট প্রশ্ন রেখেছেন এলাকা বিএনপি -জামায়াতের সাধারণ নেতাকর্মীরা। এই রকম একজন তালিকাভুক্ত আওয়ামীলীগ নেতাকে প্যানেল চেয়ারম্যান অনুমোদন দিলে এলাকায় বিশ্চৃঙ্খলা হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, ৫ আগষ্টের পরিবর্তনের পর জুলধা ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা। সম্প্রতি তাঁর অন্যত্র বদলি হয়েছে। আগামীকাল কর্ণফুলী উপজেলায় তার শেষ কর্মদিবস। তিনি চলে যাওয়াতে জুলধা ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবেন।
জুলধা ৩ নং ওয়ার্ডর ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন বলেন,শরীফ মিয়াজী আওয়ামীলীগ করে এটা সবাই জানে। কিন্তু সকল ইউপি সদস্য সাক্ষর করেছে এজন্য আমিও করেছি। আমি যদি না করি তাহলে আমার সাথে একটা দুরত্ব সৃষ্টি হবেনা?।
ইউপি সদস্য শরীফ মিয়াজি বলেন,আমি আওয়ামিলীগ করলেও কোনো রকম নাশকতামূলক কাজে আমি জড়িত ছিলামনা। আপনি বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কাছে জানতে পারবেন। আমার আবেদনে দশজন ইউপি সদস্য সাক্ষর করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মোবাইলে একাধিক কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।