
27/07/2025
★ছায়া পাহাড়ের রহস্য★
ছায়া পাহাড়ের নিচে সবুজে মোড়া ছোট্ট একটা গ্রাম। মেঠো পথে ছুটছে সাইকেল চালানো রাজু, পিঠে একটা পুরনো ব্যাগ। সে গরম হাওয়া চিরে চলে যাচ্ছে স্কুলের দিকে। অন্যদিকে, স্কুলের উঠোনে দাঁড়িয়ে আছে কবিতা। পরনে নীল-সাদা শাড়ি, হাতে কিছু কাগজ। রাজুকে দেখেই সে একটু হাসে।
কবিতা (হেসে):
“আজও দেরি করলি, ডিটেকটিভ সাহেব!”
রাজু:
“তুই জানিস না, আমি প্রতিদিন একটা রহস্য নিয়ে ঘুম থেকে উঠি!”
দুজনের চোখে-মুখে খুনসুটির হাসি, কিন্তু ভিতরে জমে থাকা ভালোবাসার এক অলিখিত ভাষা।
এক সন্ধ্যায় কবিতা রাজুকে ডাকে।
সে হাতে ধরে এক পুরনো চামড়ার ডায়েরি।
কবিতা:
“এইটা আমার বাবার। উনি বলতেন, ছায়া পাহাড়ের ভেতরে একটা লুকানো গুহা আছে, যেটা এক শতাব্দী ধরে কেউ খুঁজে পায়নি।”
ডায়েরির মাঝে একটা হস্তলিখিত মানচিত্র।
রাজুর চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে।
তারা ঠিক করে, কাল রাতে তারা যাবে।
রাত ১১টা। ঘন কুয়াশায় দুইজন টর্চলাইট নিয়ে পাহাড়ের পথে হাঁটে। ঝোপের মাঝে অদ্ভুত শব্দ, কখনো পাখির ডানা ঝাপটা, কখনো যেন কারো নিঃশ্বাস!
গুহার মুখে পৌঁছেই কবিতা থেমে যায়।
কবিতা (ভয়ে):
“রাজু... আমরা ফিরে যাই?”
রাজু (তার হাত ধরে):
“তুই যদি পেছনে না সরিস, আমি সামনে যাব।”
তারা গুহার ভেতরে ঢুকে পড়ে। হঠাৎ প্রবল ঝাঁকুনিতে এক পাথরের দরজা বন্ধ হয়ে যায় পেছনে!
ভেতরে অদ্ভুত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রাচীন মূর্তি, দেয়ালে ছাপা লেখা—
"যার হৃদয়ে ভালোবাসা, সেদিকেই মুক্তির পথ।"
কবিতার চোখে জল।
“আমরা কি আর ফিরতে পারব না?”
রাজু চুপ করে। গায়ের গরম কাপড় খুলে সে একখণ্ড মোমবাতিতে আগুন জ্বালায়। সেই আলোতেই গুহার এক দেয়ালে আরেকটা গোপন দরজা দেখা যায়। দরজায় খোদাই—
"ভালোবাসাই চাবি।"
রাজু কবিতার দিকে তাকিয়ে ধীরে তার হাত ধরে।
দরজা খুলে যায়।
পাহাড়ের উপরে এসে দাঁড়ায় রাজু আর কবিতা। নিচে ছড়িয়ে আছে সবুজ গ্রাম, ভোরের আলোয় ঝলমল করছে চারপাশ।
কবিতা (নরম গলায়):
“তুই পাশে না থাকলে আমি হারিয়ে যেতাম।”
রাজু:
“তুইই আমার আলো, কবিতা। তুই না থাকলে আমি অন্ধকারেই রয়ে যেতাম।”
হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকে তারা পাহাড়ের চূড়ায়। নতুন ভোর, নতুন শুরু, আর সেই পুরনো ভালোবাসা—যা সময়কে জয় করে।
কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন
চলবে.....