Barishailla Maiya

  • Home
  • Barishailla Maiya

Barishailla Maiya আসসালামু আলাইকুম।।

02/08/2025

কি অবস্থা সবার??

প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ,আসসালামু আলাইকুম।(সায়ান এর আম্মুর পোস্ট) আমি এবং ইউসুফ স্যার হয়তো এমন কোনো ভুল করে ফেলেছি যার জন্য আ...
24/07/2025

প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম।
(সায়ান এর আম্মুর পোস্ট)
আমি এবং ইউসুফ স্যার হয়তো এমন কোনো ভুল করে ফেলেছি যার জন্য আমাদের মহান রব এই কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করেছেন। হয়তো আমরা জানিও না, কোথায় ভুল করলাম। কিন্তু ফলাফল? আমাদের জীবনের সমস্ত আলো নিভে গেল—আমাদের সায়ান আর নেই।

আমার ছোট্ট, মেধাবী, শান্তশিষ্ট ছেলেটা... যে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার স্বপ্ন দেখতো, যে একটু পড়লেই সব মনে রাখতে পারতো, যে বয়সে রোজা রাখা কঠিন—সে ক্লাস টু থেকে ৩০ রোজা রাখতো, নিয়মিত নামাজ পড়তো—সেই সোনামানুষটাকেই আমরা হারালাম।

আজ তার ছবি পত্রিকায়, ফেসবুকের প্রতিটি পোস্টে। অথচ আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম—একদিন সে আবিষ্কার করবে কিছু, ছড়াবে আলো। ওর বাবা প্রায়ই বলত, “সীমা, আমাদের ছেলে একদিন বড় কিছু করবে।” সেই ছেলেটাই আজ আক্ষরিক অর্থেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।

বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে যেখানে জ্ঞান ও স্বপ্ন গড়ে ওঠার কথা, সেখানে এমন নির্মম পরিণতি! রাজনৈতিক অস্থিরতা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছে। ওর বাবার স্বপ্ন ছিল, ছেলেকে আমেরিকায় পড়াতে চাই। নিরাপত্তার জন্যই তো দেশের বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আজ মনে হয়, সময়ের আগেই সে আমাদের ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাল—চিরদিনের জন্য।

ঘটনার দিন এক অজানা নাম্বার থেকে ফোন এলো। জানলাম, ইউসুফ স্যারের এক ছাত্র, অমিত, আমাদের ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেই ছেলেটির কাছ থেকেই শুনলাম, আমার ছেলেটি নিশ্বাস নিতে পারছিল না, তবু সেই অবস্থাতেও আমার ফোন নাম্বার দিয়ে গেছে—মাকে যেন জানায়।

বাংলাদেশ মেডিকেলে গিয়ে যখন ওর দগ্ধ শরীর চাচ্চু দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে, তখন সায়ান বলে, “চিন্তা কোরো না চাচ্চু, সব ঠিক হয়ে যাবে।” ওর বাবা গেলে মাথা নেড়ে সাড়া দেয়—এই শেষ মেলবন্ধন।

আমি যখন ওকে দেখতে গেলাম আইসিইউতে, চিনতেই পারিনি। বললাম, “মা, বাবা, সোনা পাখি, শুধু পড়ো — লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্জোয়ালিমীন।”
সে মাথা নেড়ে বুঝিয়ে দিল—এটাই আমাদের শেষ আলাপ।

আজ দিন যেন থেমে গেছে। রাত যেন দীর্ঘ এক শূন্যতা। আমি জানি না, কীভাবে ওকে ছাড়া এই জীবন পার করবো। আমার বুক ফেটে যায়—কখন যেতে পারবো আমার সোনা পাখির কাছে!

সোনা, মা যদি কখনো তোমার কোনো চাওয়া পূরণ করতে না পারে, আমাকে ক্ষমা করো।
আমি তোমার ব্যর্থ মা — যে কিছুই করতে পারিনি।

sir,Shammi mam

আফিয়াকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি...আফিয়া, আমার খালাতো ননদ। গতকাল থেকে আজ অবধি আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ওকে খুঁজে প...
23/07/2025

আফিয়াকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি...

আফিয়া, আমার খালাতো ননদ। গতকাল থেকে আজ অবধি আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ওকে খুঁজে পাওয়ার জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাইনি।
এতটুকু বুঝতে পারছি—সে হয়তো এখন জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে লড়ছে, কিংবা হয়তো... (আল্লাহ না করুন) আমাদের মাঝে আর নেই।

আমরা দেশের সব হাসপাতাল, বার্ন ইউনিটে খোঁজ নিয়েছি। বড় বড় ডাক্তার পাঠিয়েছি। কিন্তু আফিয়া কোথায় আছে, এখনো কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো—কিছু পেজ, গ্রুপ, এমনকি কিছু মানুষ নিশ্চিতভাবে বলছেন, সে মারা গেছে বা দাফন হয়ে গেছে!
আমাদের অনুরোধ, প্লিজ, আগে আমাদের মেয়েটাকে আমরা হাতে পাই—তারপর না হয় আপনারা বলবেন।

আজ ওর বাবা ডিএনএ টেস্ট করাতে গেছেন।
আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি—একবার করে শুধু "দুয়ায়ে ইউনূস" আর "ইসমে আযম" পড়ে দিন আফিয়ার জন্য।
সে ছিল আংকেল-আন্টির একমাত্র সন্তান, সবার চোখের মণি।

জীবিত হোক বা মৃত—আমরা শুধু চাই, তাকে একবার হাতে পাই।
আল্লাহ যেন আমাদের ধৈর্য দেন, আর আফিয়াকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।

আমিন।


#আফিয়ার_জন্য_দোয়া

#দোয়া_করুন


🖤 "জুলাই আর ফিরে না আসুক বাংলার বুকে…"আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে,রাজশাহীর সাহসী তরুণ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম বিবাহবন...
22/07/2025

🖤 "জুলাই আর ফিরে না আসুক বাংলার বুকে…"

আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে,
রাজশাহীর সাহসী তরুণ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন—
ভালোবাসা, স্বপ্ন, আর নতুন জীবনের শুরু হয়েছিলো।

কিন্তু সেই সাজানো সংসার,
যেখানে হাসির পর হাসি জমা হচ্ছিলো,
সেই ছোট্ট ১২ মাসের ভালোবাসার গল্পটা
এক নিমিষেই ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলো
উত্তরার মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কাছে। 💔

তাদের এখনো কোথাও দূরে ঘুরতে যাওয়া হয়নি...
কথা ছিল প্রশিক্ষণ শেষ হলে
একটা লম্বা ছুটিতে গিয়ে একটু "স্বপ্ন" ছুঁয়ে আসবে —
কিন্তু সেই তৌকিরই আজ
জীবনের শেষ ছুটিতে চলে গেলেন...
এবার আর ফিরবেন না।

তৌকির ছিলেন ৭৬ বিএএফএ কোর্সের বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা।
আজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর
তাঁর চালানো এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
তাকে দ্রুত উদ্ধার করে
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলেও…
তখন সব শেষ।

😢 তিনি চাইলেই বাঁচতে পারতেন —
প্যারাসুট ব্যবহার করে আকাশে ঝাঁপ দিতে পারতেন…
কিন্তু না,
তিনি লড়ে গেছেন শেষ অবধি।
প্লেনটা যেন স্কুল বিল্ডিং থেকে সরে যায়,
শিশুদের কিছু না হয় —
এই চেষ্টাতেই তিনি জীবনটা দিয়ে দিলেন।

যে আকাশ ছিলো তাঁর স্বপ্নের উঠোন,
সেই আকাশই হলো তাঁর শেষ আশ্রয়।
স্বপ্নপূরণের দিনেই তাঁকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো।

আজীবন ট্রমা হয়ে রইলো "জুলাই"।
বাংলাদেশ কবে মুক্তি পাবে এই
আতঙ্কের জুলাই থেকে —
তা কেউ জানে না।

যারা আহত হয়েছেন —
তাদের জন্য গভীর সহানুভূতি ও দোয়া।
আর যারা চিরতরে চলে গেছেন,
তাদের আত্মা শান্তি পাক।

মাশাল্লাহ তাবারকআল্লাহ 🥰🥰❤️
20/07/2025

মাশাল্লাহ তাবারকআল্লাহ 🥰🥰❤️

শুভ সকাল।।।
18/07/2025

শুভ সকাল।।।

চ্যাট জিপটিরে বললাম আমাকে একটা নতুন বউয়ের ছবি তাও এই ছবিখান দিলো তিনি।
17/07/2025

চ্যাট জিপটিরে বললাম আমাকে একটা নতুন বউয়ের ছবি তাও এই ছবিখান দিলো তিনি।

মাত্র একমাস হলো বিয়ে হয়েছে।আর এখনই মনে হয়, আমি ভীষণ ক্লান্ত... ভেতরটা একদম শূন্য হয়ে গেছে। 🥲আমি সেনসেটিভ মানুষ।এই বাসায় ...
17/07/2025

মাত্র একমাস হলো বিয়ে হয়েছে।
আর এখনই মনে হয়, আমি ভীষণ ক্লান্ত... ভেতরটা একদম শূন্য হয়ে গেছে। 🥲
আমি সেনসেটিভ মানুষ।
এই বাসায় আসার পর থেকে,
প্রতিটা দিন কেঁদেছি — কোনো না কোনো কষ্টে, চাপে, অপমানে।

চাকরি করি আমি।
বিয়ের পরদিনই শাশুড়ি বললেন —
"তোমার বেতনের টাকায় ঘরভাড়া দেবো।"
যে বাবা-মা সারাজীবন পাশে ছিলো,
তাঁদের কাছেও তো কখনো একটা টাকা নিতে পারিনি...

সকাল ৮টায় বের হই, রাত ৮টায় ফিরি।
কিন্তু দরজায় পা দিতেই —
“এসো রান্না করো। আমার শরীর ভালো না।”
(উনি প্রতিদিনই বলেন এটা।)

ঘর আমি ঝাড়ি, রান্না আমিই করি।
আর আমার স্বামী?
সব দেখে… তবুও কিছু দেখে না।

ননদ ১৬ বছরের।
খেয়ে ফেলে, ফ্লোরে ময়লা ফেলে…
প্লেটটাও রেখে যায় আমার জন্য।
আর যখন কেউ একটু বলেনা,
তখন শাশুড়ির উত্তর —
“ও তো ছোট, ওকে কিছু বলিস না!”

আমি আর আমার স্বামী একটু পাশাপাশি বসলে,
ননদের মন খারাপ হয়।
রাগ করে ভাইয়ের সাথেই কথা বলে না…

এই নতুন সংসারে আমি কোথায়?
আমার মন, আমার কথা… কারো কানে পৌঁছায় না।

আমি কষ্ট পাচ্ছি।
চুপচাপ সহ্য করছি…
কিন্তু ভেতরে ভেতরে একেবারে মরে যাচ্ছি।

আমার ননদকে তার শশুর-শাশুড়ি, তার বাচ্চা ও বর সহ বাসা থেকে বের করে দিয়েছে প্রায় ৫ মাস হলো। এরপর থেকে সে এবং তার পরিবার ...
16/07/2025

আমার ননদকে তার শশুর-শাশুড়ি, তার বাচ্চা ও বর সহ বাসা থেকে বের করে দিয়েছে প্রায় ৫ মাস হলো। এরপর থেকে সে এবং তার পরিবার আমাদের বাসায় থেকে চলেছে।

আমার শশুর-শাশুড়ি গ্রামে থাকেন, আর আমি আমার বর ও ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকি। আমাদের বড় ফ্ল্যাট আছে। ইচ্ছা ছিল ১ রুম সাবলেট দিয়ে দেবে, কিন্তু ননদ এসে থাকায় ভাড়া দিইনি। আমি বলেছিলাম, যেহেতু জরুরি পরিস্থিতি, এখন থাকো, পরবর্তীতে বাসা খুঁজে নিবে। কিন্তু ৪ মাস পার হয়ে ৫ মাস হতে চলেছে, যাওয়ার কোনো চিহ্ন নেই। আমার বর বলেছে, যেহেতু আছে, থাকুক। আমারও আপত্তি নেই, কারণ সংসারের ব্যাপার আমার বরই দেখবেন।

কিন্তু আমার অবস্থাটা খুবই খারাপ। কী করব বুঝতে পারছি না।

আমার ছেলে হওয়ার আগে আমি চাকরি করতাম, সেই টাকা দিয়ে ঘরের প্রত্যেক জিনিস নিজে কিনেছি — চায়ের চামচ থেকে শুরু করে ফ্রিজ, টিভি সব কিছু। বর থেকে কিছু চাইনি, কারণ আমার বর সংসারের জিনিসপত্র কেনার প্রতি আগ্রহ দেখান না।

এখন ননদ এসে সব কিছু তার মতো ব্যবহার করতে শুরু করেছে। সামান্য ২০০/৩০০ টাকার জিনিসও সে নিজে কিনে আনে না।

আমার রুমে এসে এসি চালু রেখে ঘুমায়। তার নিজস্ব রুমে টিভি থাকলেও সেটি তার ভালো লাগে না, আমার রুমের বড় টিভি দেখতে পছন্দ করে। রাত ৩-৪ টা বাজে, সে আমার বেডরুম থেকে বের হয় না, প্রাইভেসির বিষয় হয়ে গেছে। আমি বিরক্ত হয়ে ড্রয়িং রুমে টিভি লাগিয়েছি।

রাতে ঘুমায় ৫-৬ টায়, দুপুর ২-৩ টায় উঠে। তার দুই ছেলে-মেয়েকে সকালে নাস্তা দিতে হয়, মুখ-হাত ধোয়াতে হয়, টয়লেট করাতে হয়।

আমি খুব কম ফ্রাইপ্যান, নস্টিক কড়াই ব্যবহার করি, কিন্তু সে আমার ওই কড়াই দিয়ে রান্না করে যা আমার পছন্দ নয়। কড়াইয়ের হ্যান্ডেল ভেঙে ফেলেছে। আমার কিচেন সেলফে প্লেট-বাটি রাখার জায়গা নেই, কারণ সে উইস করে।

ছেলে-মেয়েরা আমার ফোন দিয়ে কাটুন দেখার অভ্যাস করছে। আমার বাচ্চাসহ তিন বাচ্চার দুষ্টুমিতে আমার মাথা সব সময় গরম থাকে।

আমার ননদ নিজে রান্না করলে রান্নাঘর পরিষ্কার করে না, এসব কাজ আমাকে করতে হয়। প্রায় সময় চলে যায়, পরে ফোন করে বলে ভাবি বেশি করে রান্না করো, আমরা তোমাদের সাথে খাবো। ঘর বা ফ্রিজে খাবার থাকলে জিজ্ঞেস করে না, না বলে খেয়ে ফেলে। আমার ঘরের সব জিনিস ব্যবহার করে। সহজে বাজার করতে চায় না।

এখন আমার বর ৭ জনের সংসার চালাচ্ছে। তার ইনকাম আমার বর থেকে অনেক বেশি হলেও সে এমন আচরণ করছে।

মেয়েদের জীবনের ৮০ ভাগ সময় যায় রান্না ঘরে।
16/07/2025

মেয়েদের জীবনের ৮০ ভাগ সময় যায় রান্না ঘরে।

15/07/2025

জীবনের সবচেয়ে বড় অপ্রাপ্তি কি?

13/07/2025

ফেসবুকে কি চলে?

Address


Telephone

+8801537534290

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Barishailla Maiya posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Barishailla Maiya:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share