The AkaalBodhon

  • Home
  • The AkaalBodhon

The AkaalBodhon Official page of AkaalBodhon,
a Bengali little magazine edited and published by Milon Syed.
(1)

On 3 August 2011, AkaalBodhon started its journey as organizational mouthpiece of KOBITASSROM. In every publication AkaalBodhon has sharpened its own characteristics and consolidated its position in the world of Bengali magazines. From 2019 AkaalBodhon is being published as an online edition as well as a printed edition. The online edition is: www.akaalbodhon.com
The online edition of AkaalBodhon

is a popular online magazine in Bangladesh and West Bengal. DISCLAIMER
Any user who posts any comment on this page that is in violation of Section 57 of the ICT ACT, 2006 or any other provisions of laws applicable in respect of electronic communication shall be liable to prosecution in accordance with law and shall be subject to punishment of not less than 7 years imprisonment.

15/08/2025

15/08/2025

পাকিস্তান রাষ্ট্রের অস্তিত্ব, গঠন ও কার্যক্রম বিশ্লেষণ করতে গেলে একটি মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়—পাকিস্তান কি আদতে একটি "রাষ্ট্র", নাকি এটি একটি ধারণা বা কল্পনালব্ধ গঠন, যার ভিত্তি রাজনীতি, ধর্মীয় ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক সামরিক সমীকরণের উপর দাঁড়িয়ে? এই প্রশ্নটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে যখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কার্যক্রম, জনগণের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা, এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের বাস্তবতা বিশ্লেষণ করা হয়।

| রাষ্ট্র ও দেশের মধ্যে পার্থক্য |

রাজনীতিবিজ্ঞানের পরিভাষায় "রাষ্ট্র" (State) এবং "দেশ" (Country) দুটি ভিন্ন ধারণা। রাষ্ট্র বলতে বোঝায় একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমারেখায় গঠিত রাজনৈতিক সংগঠন, যা চারটি মৌলিক উপাদানে গঠিত—জনগণ, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার এবং সার্বভৌম ক্ষমতা। অন্যদিকে, "দেশ" শব্দটি অধিকতর সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক ধারণা, যেখানে একটি ভূখণ্ড, জনগোষ্ঠী ও তাদের সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা প্রাধান্য পায়।

উদাহরণস্বরূপ, ফিলিস্তিন একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃত হলেও এখনো রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত নয় জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্যের কাছে। আবার কুর্দিস্তান একটি জাতিগত-সাংস্কৃতিক দেশ হলেও এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র নয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এটি একটি রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও, এর অস্তিত্ব অনেকাংশে কল্পনালব্ধ রাজনৈতিক ও সামরিক অভিপ্রায়ের উপর দাঁড়িয়ে।

| পাকিস্তানের জন্ম: একটি ধারণার বাস্তবায়ন |

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হয় দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে। এই তত্ত্বে বলা হয়, মুসলমান ও হিন্দু দুটি আলাদা জাতি, এবং তারা একত্রে সহাবস্থান করতে অক্ষম। এই ধারণা রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশদের মদদে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই তত্ত্বের বাস্তবতাকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিহাস নিজেই—কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মই প্রমাণ করে, ধর্মীয় ভিত্তির উপর রাষ্ট্র গঠন একটি অস্থিতিশীল ও অবাস্তব ধারণা।

| বঙ্গবন্ধু ও জনগণের নেতৃত্ব |

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রকৃত অর্থে জনগণের নেতা হিসেবে যিনি আত্মপ্রকাশ করেছেন, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছিলেন একমাত্র নেতা যিনি গণভোটে জনগণের সরাসরি ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন। তার নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সামিল হয় এবং শেষ পর্যন্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।

বর্তমান পাকিস্তানের প্রেক্ষিতে যদি কাউকে জনগণের নেতা বলা হয়, তবে ইমরান খানকে সেই জায়গায় রাখা যেতে পারে, যদিও তার জনপ্রিয়তা অনেকাংশে একটি কর্পোরেট-মিডিয়া নির্মিত ভাবমূর্তি। তা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ডিপ স্টেট যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রমাণ করে যে তিনি আইএসআই ও সেনাবাহিনির পছন্দের নেতা নন।

| পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও ডিপ স্টেট |

পাকিস্তানের প্রকৃত ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হলো সেনাবাহিনী এবং তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে একটি তথাকথিত "ডিপ স্টেট" বা গভীর রাষ্ট্র, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং দেশটির পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি এমনকি মিডিয়া ও বিচার ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রণ করে।

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বা বেনজির ভুট্টোসহ বহু জনপ্রিয় নেতা এই ডিপ স্টেটের রোষানলে পড়েছেন। সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে, যেমন ১৯৯৯ সালে পারভেজ মোশাররফ কর্তৃক নওয়াজ শরীফের সরকার উৎখাত। উল্লেখযোগ্য যে, মোশাররফ কারগিল যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন মূলত সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে, এবং এর মাধ্যমে সেনাবাহিনির গুরুত্ব বাড়ানোই ছিল অন্যতম লক্ষ্য।

| ইন্ডিয়া-পাকিস্তান যুদ্ধ ও যুদ্ধাবস্থা: সেনাবাহিনির কৌশল |

পাকিস্তান সেনাবাহিনির কৌশলগত একটি পন্থা হলো, সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনির অবস্থান সুদৃঢ় করা। ১৯৪৮, ১৯৬৫ এবং ১৯৯৯ সালের যুদ্ধসমূহ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বিশেষ করে কারগিল যুদ্ধ ছিল সম্পূর্ণরূপে সেনাবাহিনির পরিকল্পিত, যেখানে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্মতি পর্যন্ত ছিল না।

সাম্প্রতিক কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলাও এমন একটি ঘটনার অংশ, যা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেনাবাহিনির কর্তৃত্ব বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে। এই হামলার মাধ্যমে একদিকে ভারতকে রাজনৈতিকভাবে ব্যস্ত রাখা, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনিকে 'রক্ষাকর্তা' হিসেবে উপস্থাপন করাই ছিল লক্ষ্য।

| বাংলাদেশে আইএসআই-এর ভূমিকা ও মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যু |

৫ আগস্ট ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে আইএসআইয়ের কর্মতৎপরতা দৃশ্যত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে জামায়াত-শিবির ও পাকিস্তানপন্থী চক্রের রাজনৈতিক পুনরুত্থান এই বিষয়ের সত্যতা প্রকাশ করে।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান দখলদার সরকারকে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন জামায়াতের ছত্রছায়ায় পরিচালিত একটি পাকিস্তানপন্থী শাসনব্যবস্থা। এই সরকার আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের 'নিরপেক্ষ' ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করলেও অভ্যন্তরীণ নীতিনির্ধারণে জামায়াত ও আইএসআইয়ের প্রভাব স্পষ্ট।

রাজনীতির ময়দানে ভারতবিদ্বেষ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের বিরুদ্ধে হুমকি, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্যের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ও বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সামাজিক মাধ্যমে একটি বিতর্কিত লেখা শেয়ার করেন, যা স্পষ্টভাবে ভারতবিরোধী মনোভাব প্রতিফলিত করে।

এই সরকার ও জামায়াতের মাধ্যমে আইএসআই বাংলাদেশকে একটি কার্যকর দ্বিতীয় ঘাঁটিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছে। এর উদ্দেশ্য শুধু ভারতবিরোধী মনোভাব জিইয়ে রাখা নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে একটি স্ট্র্যাটেজিক ফ্রন্ট গড়ে তোলা।

| উপসংহার |

পাকিস্তান রাষ্ট্র একটি ক্লাসিক্যাল আধুনিক রাষ্ট্রের মতো কাজ করে না। এটি একটি ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি এমন এক রাজনৈতিক সত্তা, যার মূল চালিকা শক্তি হলো সেনাবাহিনী ও আইএসআই। জনগণের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ সেখানে সীমিত এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ডিপ স্টেটের অনুমোদিত। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব কেবলমাত্র একটি 'স্ট্র্যাটেজিক প্যাদার' মতো—বিশেষ করে চীন ও আমেরিকার বৈরী সমীকরণে ব্যবহৃত এক রাজনৈতিক সরঞ্জাম। ভারতের সাথে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ, এবং কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করাই পাকিস্তান ডিপ স্টেটের কৌশলগত অস্ত্রভাণ্ডারের অংশ।

এই বাস্তবতা অনুধাবন করে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বলয় গঠনের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালো হয়, যেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে পাকিস্তান ডিপ স্টেটের এই অস্থিতিশীল কৌশলের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

✍️ Milon Syed
Editor, The AkaalBodhon
26.04.2025

15/08/2025

I am Milon Syed, the editor of The AkaalBodhon and a passionate socio-cultural activist from Dhaka, Bangladesh. As the founder of the recital organization KOBITASSROM, I strive to connect hearts through poetry, art, and activism.

Follow my journey to explore powerful ideas, cultural expressions, and meaningful dialogues. Let’s build a vibrant community together!

👉 Follow this page now to stay inspired! 😍

বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য একটি সুষম শাসনব্যবস্থা অতীব জরুরী। এ কাজে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তারা...
13/08/2025

বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য একটি সুষম শাসনব্যবস্থা অতীব জরুরী। এ কাজে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তারা এগিয়ে না আসলে, তাদেরকে ঠেলে সেখানেই নিয়ে আসতে হবে। এই কাজ জাতীয় সংসদে হতে হবে এবং জাতীয় সংসদের মাধ্যমেই শাসনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষম শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

১। প্রথম আলো পত্রিকার একটা স্লোগান ছিল, ‘বদলে যাও, বদলে দাও’। স্লোগানটা প্রথমে শুনলে বেশ ভাল লাগে। মনে হয় যেন, সত্যিই তো, বদলে যেতে হবে, বদলে দিতে হবে। কিন্তু স্লোগানটা প্রথমেই একজনকে মানুষকে বুঝিয়ে দেয়, সে নিজে ভাল না। ফলে তার ভেতর ভাল হওয়ার তাগাদা অনুভূত হয়। পরে আবার যখন সে এই স্লোগানটিই দেখে, তখন ভাবে, আরে আমি তো ভালই, তো আমি নিজেকে বদলাবো কেন? দ্বন্দ্বটা শুরু হয় এখানেই।

২। খুব সম্ভবত বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর এই স্লোগানের বিরোধীতা করে বেশ বড় বড় বিলবোর্ড স্থাপন করেছিল সেসময়। সত্যিই তো, ‘কেন বদলে যাবো? কেন বদলে দিব?’ যদি আমি ভাল হই। যদি যা আছে তা ভাল হয়। পরবর্তীতে প্রথম আলো সেই স্লোগান পাল্টে দেয়। তাদের এখন নতুন স্লোগান ‘যা কিছু ভাল, তার সাথে প্রথম আলো’। এটা বেশ। সবসময় ভালর সাথেই থাকতে হয়। যদিও প্রশ্ন থেকে যায়, প্রথম আলো সবসময় ভালর সাথে থাকে কিনা? কিংবা কখনোই ভালর সাথে থাকে কিনা?

৩। প্রথম আলো ভালর সাথে আছে কি নাই, সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর। আমরা কিছুটা আলোচনা করতে পারি ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ টার্মটি নিয়ে। আমার মনে হয়, প্রথম আলোর এই স্লোগান ‘বদলে যাও, বদলে দাও’-এর মতই এই টার্ম ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ একটি বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী টার্ম।

৪। ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ এই শব্দবন্ধের ভেতর নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নাই। ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ করতে গিয়ে কি আমরা রাষ্ট্রের খোলনলচে সব পাল্টে ফেলবো? নাকি নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় সংস্কার করবো?

৫। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রেক্ষিতে বলা যায়, তিপ্পান্ন বছর আগে যে রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি হয়েছে, দীর্ঘ সময়ের প্রেক্ষিতে এবং এই দীর্ঘ সময়ে রাষ্ট্রের প্রস্তাবনা ও মূলনীতির বাহিরে গিয়ে রাষ্ট্রশাসনের প্রেক্ষিতে এর সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছে। এদিকটা নিয়ে না রাষ্ট্র পরিচালকগণ কিংবা রাষ্ট্রের বুদ্ধিজীবিগণ কেউ মনযোগ দিয়েছেন বলে মনে হয় না।

৬। বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ইতিপূর্বে সংঘটিত কিছু আন্দোলনের সময় আমরা ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ দাবিটি সামনে আসতে দেখি। সবক’টি আন্দোলনেই ছাত্ররা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ‘রাষ্ট্র সংস্কারের’ দাবিটিও তাদেরই তোলা। কিন্তু আন্দোলনের সময় এবং আন্দোলন পরবর্তী সময়ে তারা কিভাবে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ করছেন? এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়।

৭। যে কথাটি আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, কোটাপ্রথা সংস্কার কিংবা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিলুপ্তির দাবিতে যে আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল, তা আসলে কোনভাবেই কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলনটি ছিলই মূলত একটি গণঅভ্যুত্থানের পরিবেশ তৈরি করা এবং সেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন। সে হিসাবে ধরে নেওয়া যায় যে, এই আন্দোলন এবং তৎপরবর্তী সকল ঘটনা সবকিছুই পূর্বপরিকল্পিত।

৮। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যে ধ্বংসযজ্ঞ আমরা অবলোকন করলাম, তার কোন বিহিতব্যবস্থার কথা আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকার এখন পর্যন্ত বলে নাই। আন্দোলনকর্মীদের একটি অংশ এখনো রাস্তায় আছে। তারা ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বিভিন্ন জায়গার দেওয়ালে তাদের আন্দোলন সম্পর্কিত চিত্রকর্ম করছে।

৯। আন্দোলনের সরকার এসে একে একে রাষ্ট্রের সব নীতিনির্ধারণী জায়গার প্রধানদের পদত্যাগে বাধ্য করছে। এমনকি একজন উপদেষ্টার উস্কানিতে কিছু সংখ্যক আন্দোনকারী অনেকটা গুন্ডাব্যবস্থায় সুপ্রীম কোর্ট ঘেরাও করে প্রধান বিচারপতি ও অ্যাপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগে বাধ্য করেছে। ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ ধারণা নিয়ে সরকার গঠন করে রাষ্ট্রের অন্যতম বিভাগে আঘাত কোনভাবেই রাষ্ট্র সংস্কার হতে পারে না।

১০। পাঁচ নম্বর পয়েন্টেই আমি বলেছি, রাষ্ট্র সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছে। তবে রাষ্ট্রের কোন জায়গায় সংস্কার করবেন, সেটা নির্ধারণ করাটা সবার আগে জরুরী। ৪ আগস্ট ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ রূপান্তরের রূপরেখা নামক যে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি কাউন্সিল গঠন করবে। সেই প্রস্তাব এবং বর্তমান কর্মকাণ্ড দেখে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, এই আন্দোলনের পরিকল্পনার সাথে জড়িত পক্ষগুলো স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানকে অস্বীকার করে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, যা আমাদের সকলের জন্য অশনিসংকেত।

১১। ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেভাবে ‘মাইক্রোক্রেডিট’-এর মূলা ঝুলিয়ে দরিদ্রকে আরো দরিদ্র করে তুলেছিলেন। ঠিক তেমনই ‘রাষ্ট্র সংস্কারের’ মূলা ঝুলিয়ে বাঙালিকে আবার বোকা বানিয়ে বাংলাদেশকে বাংলাস্তান কিংবা অন্য কোনকিছু করার পায়তারা করা হচ্ছে কিনা?

১২। বাংলাদেশে সংঘটিত সকল অপশাসন, স্বৈরশাসন ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে আমাদের স্পেসিফিক হতে হবে। এই কাজ রাজনীতিবিদদের কাজ। তাদের কাজ তাদেরকেই করতে দিতে হবে। যদি কোন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তার উচ্চাশা ও প্রতিহিংসার বদলা নেওয়ার জন্য ‘রাষ্ট্র সংস্কারের’ বিলাপ করে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে, ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ তার উদ্দেশ্য না, তার উদ্দেশ্য অন্যকিছু।

১৩। বর্তমান সরকার এখন পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির ওপর আক্রমণ এবং তাঁর ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতির ওপর আঘাতের ব্যাপারে টুঁ শব্দটিও করেন নাই। উপরোন্তু শেখ হাসিনা পরবর্তী সকল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের নিষিদ্ধ ঘোষিত একাত্তরের দালাল জামায়াতে ইসলামির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি আমাদের আশংকাগ্রস্ত করে তোলে, এই সরকার আদৌ আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে কিনা?

১৪। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য একটি সুষম শাসনব্যবস্থা অতীব জরুরী। এ কাজে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তারা এগিয়ে না আসলে, তাদেরকে ঠেলে সেখানেই নিয়ে আসতে হবে। এই কাজ জাতীয় সংসদে হতে হবে এবং জাতীয় সংসদের মাধ্যমেই শাসনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষম শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। আর এইসব কাজের জন্য বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সরব উপস্থিতি প্রয়োজন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে এবং সমানভাবে জামায়াতকে ও এর সকল অঙ্গ সংগঠনকে স্বাধীন বাংলাদেশের শত্রু হিসাবে বিবেচনা করে।

তাহারা এবং তাহাদের রাষ্ট্র সংস্কার | লেখা: আগস্ট ১২, ২০২৪

- Milon Syed
Editor, The AkaalBodhon

অকালবোধন—যা আমার অ্যাক্টিভিজমে নতুন মাত্রা আনে। - Milon
13/08/2025

অকালবোধন—যা আমার অ্যাক্টিভিজমে নতুন মাত্রা আনে। - Milon

শাহবাগ আন্দোলনের সময়—সেদিন একুশে ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যা। শাহবাগ বিপণি বিতানের সামনের রাস্তায় আমরা ১৯৫২টি দিয়া/প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে লিখেছিলাম—“Ban Jamat-Shibir”। জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আলোকিত এক বার্তা জানিয়েছিলাম আমরা। আমাদের সেই আন্দোলনযজ্ঞে সহায়তা করতে এসেছিল নালন্দা বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। প্রদীপে তেল ঢালতে ঢালতে একজন আমাকে প্রশ্ন করেছিল—
“আপনি কি অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট?”

বালকের সেই কোমল প্রশ্নে আমি কিছুক্ষণ থমকে গেলাম। পরে উত্তর দিলাম—
“না।”

সে আবার প্রশ্ন করল—
“তাহলে আপনি কী?”

আমি এবার একটু নরম স্বরে বললাম—
“আমি শুধুই একজন অ্যাক্টিভিস্ট।”

আসলে আমি সেই অর্থে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নই—যে অর্থে বাঙালি অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকে চেনে। যেমন ধরুন, ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন গড়েছিলেন যারা—অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, ইমরান এইচ সরকার—তারাই তো মূলত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। আন্দোলনের প্রাবল্যে ও গণমাধ্যমের কল্যাণে তখন থেকেই “অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট” শব্দটি সাধারণে প্রসার পায়।

কিন্তু আমি কি সত্যিই একজন অ্যাক্টিভিস্ট? আমি আবৃত্তি করি—বা অন্তত চেষ্টা করি। টুকটাক কবিতা লেখার চেষ্টাও করি। বছর দশেক আগে আবেগের তাড়নায় একটি পুস্তকও প্রকাশ করি। এসব করে কি আমি অ্যাক্টিভিজম করি?

আমি রাজনীতি নিয়ে ভাবি—দেশ, রাষ্ট্র, সহনাগরিকদের নিয়ে ভাবি। সমাজ ও রাষ্ট্রের অসঙ্গতি নিয়ে ভাবি। এসব ভাবনায় কখনো কখনো দ্রোহী হয়ে উঠি। অকালবোধন-এর সম্পাদকীয়তে সেই দ্রোহের আভাস প্রকাশ পায়। আমি শাহবাগের স্লোগানে কণ্ঠ মেলাই। বীর রসের কবিতায় আমার কণ্ঠ সমর্পণ করি। তবুও মনে প্রশ্ন জাগে—
“আমি কি সত্যিই একজন অ্যাক্টিভিস্ট?”

এ নিয়ে একবার শাওন ইসলামের সাথে তর্ক হয়েছিল। কোন কথার সূত্রে আমি নিজেকে অ্যাক্টিভিস্ট বলেছিলাম। শাওন বলেছিল—
“মিলন ভাই, আপনি জানেন কাকে অ্যাক্টিভিস্ট বলা হয়? অ্যাক্টিভিজম কী?”

তার বিদ্রুপসূচক প্রশ্নে কষ্ট পেলেও উত্তর দিয়েছিলাম—
“শাওন, অ্যাক্টিভিজমের সংজ্ঞা জানা আমার কাজ নয়। আজকের আমার কর্মকাণ্ড আর জীবন বিশ্লেষণ করে পঞ্চাশ বছর পরে আপনার মতো কোন এক শাওন ইসলাম নতুন করে অ্যাক্টিভিজমের সংজ্ঞা লিখবে। সংজ্ঞা লেখা আপনার কাজ—আমার নয়।”

তবে একথা বললেও আমি শাওন ইসলামকেও একজন অ্যাক্টিভিস্ট মনে করি।

| আমার ভেতরের বীজ |

মাতৃভূমি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাবনা কৈশোরেই হৃদয়ে প্রোথিত হয়েছিল। অ্যাক্টিভিজমের উন্মাদনা বা ফ্যান্টাসি জেঁকে বসে এগারো বছর বয়সে, যখন সমরেশ মজুমদারের কালবেলা পড়ে ফেলি। অসময়ের এই পাঠ আমার ভেতরে গভীরভাবে বসে যায় এবং চিন্তার জগতে প্রভাব রাখতে থাকে। এর সাথে যুক্ত হয় রাজনীতি করা বড়মামার সাহচর্য।

এসএসসি পাসের পর কলেজে ভর্তি হতেই বেলায়েত হোসেন রতনের হাত ধরে ছাত্রলীগে যুক্ত হলাম। এরপর তাইরে-নাইরে করে কেটে যায় বেশ কয়েকটি বছর। কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি যুক্ত হলাম নানা কার্যক্রমে। ২০০২ সালে গুরুদেব গোলাম মোস্তফা বাউলার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা “ডোমার সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ” আমার চিন্তা ও কর্মজগতে দারুণ প্রভাব ফেলে। ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি শিল্প ও সাহিত্যও হয়ে ওঠে আমার দ্রোহ ও রাজনীতির হাতিয়ার।

| ঢাকায় আগমন |
২০০৪ সালের আজকের দিনে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় চলে আসি। অনেকটা সেই গানের মতো—
“একটু ভাল করে বাঁচব বলে, আর একটু ভাল রোজগার।”

রোজগার ভাল হয়েছে কিনা বা আগের চেয়ে এখন কেমন আছি, সেটা আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যাপার। তবে একটি বিষয় সত্যি—আমার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হয়। আবৃত্তির মাধ্যমেই শুরু হয় সেই যাত্রা। পরে প্রকাশিত হয় অকালবোধন—যা আমার অ্যাক্টিভিজমে নতুন মাত্রা আনে।

ডোমার ছেড়ে ঢাকায় আসার পর সাংগঠনিক রাজনীতি থেকে আমি দূরে সরে আসি—সে প্রায় একুশ বছর হলো। এই একুশ বছরে আওয়ামী লীগের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তবে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দল ও সরকারের নানা কর্মকাণ্ডে মর্মাহত হয়েছি, কখনো কখনো প্রতিবাদও করেছি। তবে সেই প্রতিবাদ হয়তো ততটা জোরালো ছিল না—যতটা হওয়া উচিত ছিল।

কেন না? কারণ ২০১৩ সাল আমার ও আমার মতো অনেক অ্যাক্টিভিস্টের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাহীন হলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা কঠিন হবে। হয়তো আমরা পেরে উঠব না। মাতৃভূমি, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর যে আঘাত আসবে—তা হয়তো আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শক্তি ছাড়া প্রতিহত করা সম্ভব হবে না।

এই প্রায় ১৬ বছরে অনেক আওয়ামী সুবিধাভোগীর আস্ফালনে ব্যথিত হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। কিন্তু কিছু বলতে পারিনি, কারণ আওয়ামী লীগের স্টেকহোল্ডার কখনোই ছিলাম না। সেদিনের সুবিধাভোগীদের অনেকের এখন খোঁজ মেলে না—তারা নিরাপত্তার জন্য আড়ালে আছেন বা দলে পল্টি নিয়েছেন। একদল প্রমাণ করেছেন—তারা আসলেই বড় মুনাফিক। তাদের জন্য করুণা।

| শেষমেষ |

আজ এই লেখার উদ্দেশ্য মূলত নাড়িপোতা ভূমি থেকে নগরে আসার একুশতম বর্ষপূর্তি উদযাপন। আমি সেটাই করছি।

স্বদেশ আবার ফিরে পাক তার মধুর হাসি।
বাঙালি মাথা উঁচু করে কথা বলুক আবার।
জগতের মঙ্গল হোক।

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

❤️ আমি কি সত্যিই একজন অ্যাক্টিভিস্ট? ❤️

✍️ Milon Syed
Editor, The AkaalBodhon

🔴 আসছে ফাগুনে আমরা দ্বিগুণ হবো!অকালবোধনের পরবর্তী দুটি সংখ্যা (২১ ও ২২) একই সাথে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে! থাকছে বিশেষ বিষয়বস...
29/01/2025

🔴 আসছে ফাগুনে আমরা দ্বিগুণ হবো!
অকালবোধনের পরবর্তী দুটি সংখ্যা (২১ ও ২২) একই সাথে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে! থাকছে বিশেষ বিষয়বস্তু ও ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা। অপেক্ষায় থাকুন!



🔴 Double Celebration in Phagun!
The next two issues of AkaalBodhon (21 & 22) are coming together! Featuring special themes and a unique presentation. Stay tuned!

Milon Syed
Editor, The AkaalBodhon

🔴 আসছে ফাগুনে আমরা দ্বিগুণ হবো!
অকালবোধনের পরবর্তী দুটি সংখ্যা (২১ ও ২২) একই সাথে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে! থাকছে বিশেষ বিষয়বস্তু ও ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা। অপেক্ষায় থাকুন!



🔴 Double Celebration in Phagun!
The next two issues of AkaalBodhon (21 & 22) are coming together! Featuring special themes and a unique presentation. Stay tuned!

Milon Syed
Editor, The AkaalBodhon

22/01/2025

My work | The AkaalBodhon

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The AkaalBodhon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The AkaalBodhon:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share

সিনেমা সংখ্যা : মুদ্রিত সংস্করণ

www.akaalbodhon.com

আষাঢ়ে প্রকাশিত অনলাইন সংস্করণটির মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশ করতে চাই ভাদ্রে। সেটা সেপ্টেম্বরে। দশ ফর্মার পত্রিকাটি ১০০ জিএসএম আর্ট পেপারে মুদ্রিত হবে। প্রতিটি পত্রিকার মূল্য ২০০ টাকা (বিক্রেতা কমিশন, কুরিয়ার খরচ ইত্যাদি সহ)। যদি লেখক ও পাঠককুল অগ্রিম ২০০ কপি পত্রিকা কিনে নেন, তাহলে আমাদের পক্ষে পত্রিকাটি মুদ্রণ করা সম্ভব হবে।

এ সংখ্যায় প্রকাশিত লেখকগণ সৌজন্য কপি তো পাবেনই। তবে তারা যদি নিজ উদ্যোগে পত্রিকাটির অগ্রিম বিক্রিতে আমাদের সহায়তা করেন, তবে তা অবশ্যই আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো। আর ইতিমধ্যেই যারা আশ্বাস দিয়েছেন, তাদের শুভেচ্ছা জানাই।

এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে এমন আবেদন করা অসমীচীন হবে না নিশ্চয়। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত হবে নবম শ্রাবণ ।। অনলাইন সংস্করণ সংখ্যাটি। তাই আগস্টের দশ তারিখের মধ্যে পাওয়া আশ্বাসের ভিত্তিতে অইদিনই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দিতে পারবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।