Department Of Archaeology, Comilla University- Kotbari, Cumilla.

Department Of Archaeology, Comilla University- Kotbari, Cumilla. We care about Archaeology. Many people don't know about archaeology properly. What can be done by an archaeologist?

In this page, we have shown you the aims & objectives of Archaeology. This is an archaeological research based platform. Archaeology is a multi-diciplinary research based subject. The researchers reconstruct the ancient history by the Archaeological remains.

02/10/2022

#সদ্য_পাওয়া
ক্যাম্পাসে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রশাসনের জরুরী সভায় হল সিলগালা করাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

*পূজার বন্ধ চলাকালীন সময়ে হল সিলগালা থাকবে। রোববার সন্ধ্যায় ৬টার মধ্যে হল সিলগালা করা হবে।

*আগামী ১০ তারিখ থেকে ১৭ তারিখের নির্ধারিত পরিক্ষা স্থগিত থাকবে।

*এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সূত্র: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি-কুবিসাস

বৃষ্টিস্নাত কুবি ক্যাম্পাস💙💞
04/09/2022

বৃষ্টিস্নাত কুবি ক্যাম্পাস💙💞

30/08/2022

রাতেই ক্যাম্পাসে উল্লাস শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের......

29/08/2022

The winning moments....🥰

29/08/2022

আন্তঃবিভাগ নাট্যোৎসবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ চ্যাম্পিয়ন! অভিনেতাদের অনবদ্য পারফরম্যান্সে দর্শকরা খুব মুগ্ধ।

অভিনন্দন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

পরিবারের একাংশ......❣️সিনিয়র-জুনিয়র বন্ধন। ❣️
04/08/2022

পরিবারের একাংশ......❣️
সিনিয়র-জুনিয়র বন্ধন। ❣️

আমার ছোটবেলা কেটেছে মৌলভীবাজার শহরের শাহ মুস্তফা রোডে। হজরত শাহ মুস্তফা (রঃ) এর মাজার শরীফ এর একেবারে পাশেই ছিল  বাবা'র ...
19/07/2022

আমার ছোটবেলা কেটেছে মৌলভীবাজার শহরের
শাহ মুস্তফা রোডে। হজরত শাহ মুস্তফা (রঃ) এর মাজার শরীফ এর একেবারে পাশেই ছিল বাবা'র সরকারি বাসভবন। আব্বু এখানেই নামাজ পড়তেন।
বড় ঈদগাহ ও ছিল এখানে।

অন্যান্য মাজারের মতো এখানেও ছিল বিশাল পুকুর। সেই পুকুরে বড় বড় কুৎসিত দেখতে কিছু গজার মাছ ছিল। বাসা থেকে মুড়ি নিয়ে পুকুরপাড় এ বসে বসে মাছগুলো কে খাওয়ানো ছিল আমার প্রাত্যহিক কাজ। আর প্রাত্যহিক এই দুরূহ কাজ টা করতে গিয়ে মাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়ে গিয়েছিল।
ছেলেবেলা থেকেই আমি খুব মনোযোগী পর্যবেক্ষক।

মাজারের একটা পরিচিত ঘ্রাণ আছে;
আপনারা কখনো সেটা পেয়েছেন?
আমি পাই!
মাজারের প্রবেশ পথ জুড়ে আতর, আগরবাতি, মেসওয়াক, টুপি, তসবিহ এর খোলা দোকান। জোব্বাধারী দোকানীর ঠোঁটের কশ বেয়ে গড়িয়ে
পরা খাসিয়া পানের রঙিন পিকের সাথে
জর্দার নেশালু গন্ধ এক ঝলক ছুঁয়ে দিয়ে যেতো।
পাশের দোকানের বিশাল কড়াই এর সাথে রণক্লান্ত খুন্তির ঘটাং ঘটাং বাদানুবাদের মাঝেই গোলাপজল দেয়া লালচে সুজির হালুয়া ( মোহনভোগ) র তীব্র সুবাস!
কোনো মাজারে গেলে এই ঘ্রাণ আমাকে আমার ছেলেবেলা মনে করিয়ে দেয়।

প্রাচীন পুকুরের পাড়ে দাঁড়ালে শ্যাওলা মেশানো কাঁদামাটির নোনতা গন্ধের সাথে অশীতিপর মাছগুলোর আঁশটে গন্ধ মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতো। চারপাশের আতর গোলাপের চড়া সুবাসের ভেতরেও সেই আঁশটে গন্ধ আমার নাক ছুঁয়ে থাকতো!
আমার ছেলেবেলা হারিয়ে গেলেও
সেই গন্ধ এখনো আমি হারাইনি।

মেজো দুলাভাই এর সরকারি বাসভবন ছিল
হযরত শাহজালাল ( রঃ)) র মাজারের কাছেই।
সেখানেও এই এক ই অবস্থা।
বাড়তি পাওনা ছিল, কবুতর।
দানা ছিটালেই উড়ে আসতো ঝাঁকে ঝাঁকে।

মাজারে ঢোকার পথ জুড়ে হাঁকডাক
ভীড়
হালুয়ার ঘ্রাণ.....
ফেরীওয়ালার হাতের বাক্সের মতো কাঁচঘেরা বক্সে
বিভিন্ন পাথর আর তামা পিতলের আংটি।
হকারদের কাছে হলুদ -কমলা হাতে বাধার সুতো ( রিস্ট ব্যান্ড), আগরবাতি আর মোমবাতির স্তুপ।

বিভিন্ন দেশে মন্দির দেখেছি।।
উপমহাদেশের অন্যান্য মাজার ও দেখেছি।
সবগুলোর ই চিরচেনা রূপ।
ভক্তবৃন্দ যে যার রিচুয়্যাল অনুযায়ী
তাদের প্রার্থনা জানান।
কোথাও জপমালা, কোথাও তসবিহ!
কোথাও হলুদ-লাল হাত বন্ধনি;
কোথাও শুধুই লাল।
মাজারে যেমন আতর-আগরবাতির সুবাস
তেমনি মন্দিরে ধূপ-ধূনোর সুবাস।
সব ধর্মের উপাসনালয়ের ভেতরে
একমাত্র মোমবাতির ই জয়জয়কার!
মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা
সব জায়গাতেই এক থোকা মোমবাতি রয়েছে।
জয়তু মোমবাতি!

গিয়েছিলাম বাগেরহাট শহরে অবস্থিত
হজরত খানজাহান আলী (রঃ)) এর মাজার শরীফে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের ভেতর দিয়ে সেখানে বিপুল সংখক ভক্তবৃন্দের আনাগোনা দেখেছি।
আমার সেই এক ই পর্যবেক্ষণ!
প্রচুর ভক্ত।
নজরানা।
নানা রিচুয়্যাল।
মূল মাজারের স্থাপনা ঘিরে প্রদক্ষিণ।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।
বোতল ভর্তি পানি।

পাশেই সুন্দর বিশাল দিঘী।
নাম খাঞ্জেলি দিঘী ( খানজাহান আলী দিঘী)। দুইশ একর আয়তনের এই বিশাল দিঘীটি খনন করার পর সুপেয় পানি যেন কেউ নষ্ট না করতে পারে তাই এক জোড়া মিঠা পানির কুমির ছেড়ে দেয়া হয়। সেই থেকে বংশ পরম্পরায় এখানে কুমিরের বসবাস।
সেখানেও রিচুয়্যাল এর কমতি নেই।
পাপ মোচনের চেষ্টায়.....

মেইন রোড থেকে একটু ভেতরে যেতে হয়।
মাজারের মেইন গেট
রাস্তা থেকে একটু উঁচুতে।
গলির দুই পাশেই সেই চিরচেনা রূপ।
হাঁকডাক।
সেই আগরবাতি, মোমবাতি আর তামা পিতল পাথরের আংটি। সেই নকুল দানা, বাতাসা, কদমা।
শুধু হালুয়ার ঘ্রাণ পেলাম না। 😋

একটু ইতিহাসঃ

১৩৬৯ খ্রীস্টাব্দে দিল্লীতে উলুঘ খান এর জন্ম এক তুর্কি পরিবারে। যিনি কুরআন, হাদিস, সুন্নাহ ও ফিকহ শাস্ত্রের একজন পন্ডিত ছিলেন।
তিনি তুঘলক সেনাবাহিনীতে যোগাদান করেন। তুর্ক- আফগান আমলে সেনাপতির সম্মানিত উপাধী ছিল 'খান-ই- আযম'। একসময় পেশাগত কাজের অংশ হিসেবে দুই লক্ষাধিক সৈন্য নিয়ে ' বাংলা' আক্রমণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঝিনাইদহ এর বারোবাজারে কিছুকাল অবস্থান করেন ও বাংলার দক্ষিণ পশ্চিম অংশে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে থাকেন।

এই উলুঘ খান এর প্রচলিত নাম হলো,
হজরত খানজাহান আলী (রঃ))।

খানজাহান আলী ছিলেন একজন সুফী সাধক এবং
বৃহত্তর যশোর ও খুলনা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত এলাকার ( সম্ভবত বাগেরহাট) আঞ্চলিক শাসক। তিনি পনেরো শতকের প্রথমার্ধে তৎকালীন খলিফাতাবাদ ( বাগেরহাট) এর শাসনকর্তা হন।
প্রথমে দিল্লীর সুলতান ও পরে বাংলার সুলতানের কাছ থেকে সুন্দরবন বনাঞ্চল জায়গীর লাভ করেন। এই অঞ্চলে লবনাক্ত পানির বদলে মিঠাপানির ব্যবস্থা করার জন্য দিঘী খনন করেন। বনজঙ্গল কেটে চাষের জমি বের করেন। মানুষের চলাফেরার সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট এমন কি চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটা মহাসড়ক ও নির্মাণ করেন। কথিত আছে, খানজাহান আলী ৩৬০ জন আউলিয়া নিয়ে এই দেশে আসেন এবং
বারোবাজার থেকে শুরু করে পুরো ভাটি অঞ্চলে
৩৬০ টি মসজিদ ও ৩৬০ টি দিঘী খনন করেন৷
( এই মসজিদগুলোর কয়েকটি নিয়ে আমার লেখা রয়েছে)।
খানজাহান আলী এই খলিফাতাবাদের অধীনে তিনটি শহর প্রতিষ্ঠা করেন;
মারুলি কসবা
পাইগ্রাম কসবা ও
বারো বাজার।
বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে স্থানীয় অধিবাসীদের ভেতর তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ে এবং একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়। পরে তিনি যখন ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন, মানুষ তা সাদরে গ্রহণ করেছিল। পনেরো শতকে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে খানজাহান আলী 'র ব্যাপক অবদান রয়েছে।

প্রথমে শাসক হিসেবে জীবন শুরু করলেও পরে ধর্মচিন্তা ও জনসেবাই ছিল তাঁর ব্রত।
তিনি এই অঞ্চলের নামকরণ করেন,
"খলিফাত-ই-আবাদ "( খলিফাতাবাদ)।
ষাট গম্বুজ মসজিদ, সিংগার মসজিদ,সোনা মসজিদ, বিবি বেগেনি মসজিদ সহ অসংখ্য মসজিদের স্থপতি তিনি। তাঁর তৈরি বিভিন্ন মসজিদের নির্মাণশৈলীর অভিনবত্ব সত্যি ই অবাক করার মতো।

মাজার শরীফের শিলালিপি অনুযায়ী তাঁর নাম
' খান-ই-আযম খানজাহান', ' উলুঘ খানজাহান ' হিসেবে লেখা আছে। এই শিলালিপিতে আরবি ও ফার্সী ভাষায় আরও লেখা রয়েছে যে, ৮৬৩ হিজরি ২৬ জিলহাজ্ব এ ষাট গম্বুজ মসজিদ এর দরবার কক্ষে এশার নামাজ রত অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

খাঞ্জেলি দীঘি'র উত্তর পাড়ে তাঁর সমাধি সৌধ রয়েছে।
স্কয়ার এই সৌধটির ছাদে বড় একটি পাথরের গম্বুজ রয়েছে। জানা যায়, এই পাথরগুলো চট্টগ্রাম থেকে সমুদ্র পথে ভাসিয়ে আনা হয়েছে।

প্রতি বছর ২৫ অগ্রহায়ণ এ এই মহান সাধকের বার্ষিক ওরশ পালন করা হয় এবং চৈত্র মাসের প্রথম পূর্ণিমায়
মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

কিছুদিন আগে খানজাহান আলী'র বসতভিটায় খননকাজ চালিয়ে সুলতানি আমল ও মুঘল আমলের মৃৎপাত্র নিদর্শন পাওয়া গেছে।

সুযোগ হলে দেখে আসবেন।

খুলনার কথকতা - পর্ব ২৩। ৩০ জুন ২০২২'দুঃখিনী রাজকন্যা অভয়ার কিংবদন্তীর স্বরূপ ২৭৭ বছর পুরনো এগারো শিব মন্দির'[বৃহত্তর খুল...
03/07/2022

খুলনার কথকতা - পর্ব ২৩। ৩০ জুন ২০২২
'দুঃখিনী রাজকন্যা অভয়ার কিংবদন্তীর স্বরূপ ২৭৭ বছর পুরনো এগারো শিব মন্দির'

[বৃহত্তর খুলনার অলিতে-গলিতে, প্রান্তরে-নদীতে, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে, ঐতিহ্য-কিংবদন্তীতে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক অজানা গল্প। সেই গল্প হলেও সত্যি ঘটনাগুলোকে সক্কলকে জানাবার উদ্দেশ্যে আমাদের এই সাপ্তাহিক ব্লগ - খুলনার কথকতা। লিখছেন সুস্মিত সাইফ আহমেদ]

"যশোর নগর ধাম প্রতাপ আদিত্য নাম
মহারাজ বঙ্গজ কায়স্থ।
নাহি মানে পাতশায় কেহ নাহি আঁটে তায়
ভয়ে যত ভূপতি দ্বারস্থ।।"

(বিদ্যাসুন্দর, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর)

আচ্ছা রাজা প্রতাপাদিত্যের যশোহর তো সাতক্ষীরার ধূমঘাট, ঈশ্বরীপুরে! তাহলে আজকের যশোর জেলার সাথে প্রাচীন যশোহরের অমিল কেন? কেন-ই বা প্রতাপাদিত্যের যশোহরের সাথে বর্তমান যশোরের শতক কিলো দূরত্ব? কিভাবেই-বা হল অধুনা যশোরের নামকরণ? সবকিছুর সাথে বিনাসুতি মালার মত গেঁথে আছে একটা নাম। দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে বড় মন্দির কমপ্লেক্স: এগারো শিব মন্দির।

বাংলার বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ যশোরাজাধিরাজ প্রতাপাদিত্য রায়। তাঁর অখণ্ড যশোহর রাজ্য পশ্চিমে বিহারের পাটনা, দক্ষিণে উড়িষ্যার পুরী ও পূর্বে চট্টগ্রামের কাছে সন্দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তিনি বাংলার তৎকালীন সমৃদ্ধ জনপদ গৌড়ের যশ হরণ করেছিলেন বিধায় তাঁর রাজ্যের নাম দেয়া হয়েছিল যশোহর - এমন কিংবদন্তীও শোনা যায়। বিদেশী মুঘলদের হাত থেকে স্বদেশ ভূমি বাঁচাতে ঈশা খাঁর নেতৃত্বে অন্যান্য ভুঁইয়াদের মতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেন রাজা প্রতাপাদিত্য-ও। তবে মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই তিনি বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারেন নি। হার হয়েছিল তাঁর। তাঁর মৃত্যুর পর তিন সন্তান উদয়াদিত্য, সংগ্রামাদিত্য এবং বিন্দুমতি-র সন্তানেরা বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাক্রমের আবর্তে ক্রমশ সুন্দরবন সংলগ্ন প্রাচীন যশোহর থেকে উত্তর দিকে রাজত্ব স্থাপনে অগ্রসর হয়। এভাবে খান জাহান আলীর অন্যতম প্রশাসনিক কেন্দ্র মুড়লী ও পয়োগ্রাম কসবায় রাজ্যবিস্তার করে প্রতাপ বংশ। এভাবে বর্তমান যশোর সদরের চাঁচড়ায় প্রতাপ বংশের রাজত্ব চলতে থাকে। ১৮শ শতকের প্রথমার্ধে চাঁচড়ার সিংহাসনে বসেন রাজা নীলকণ্ঠ রায়। ইনিই ঐতিহাসিক এগারো শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা।

রাজা নীলকণ্ঠের সিংহাসনারোহণকালে বাংলায় চলছে এক ক্রান্তিকাল। নদীবিধৌত সমুদ্র সন্নিকটের এই জনপদে বেড়েই চলেছিল দুর্ধর্ষ হার্মাদ জলদস্যুর অত্যাচার-নির্যাতন। ধনসম্পদ লুটের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের ধরে নিয়ে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিতো তারা। এই অরাজকতা দমন করার উদ্যোগ নিলেন রাজা নীলকণ্ঠ রায়। হার্মাদ দস্যুদের তাড়িয়ে ভৈরব নদের তীরবর্তী হিন্দু সম্প্রদায়ের অতি প্রাচীন তীর্থস্থান 'ভাটপাড়া'-র সন্নিকটে স্থাপন করলেন নতুন রাজধানী। সমকালীন সময়েই তাঁর কোল আলো করে এসেছিল এক ফুটফুটে রাজকন্যা। নাম ছিল তাঁর অভয়া। এই অভয়ার নামেই নতুন রাজধানীর নামকরণ হয় 'অভয়ানগর'। আর যে ঘাটের তীরে রাজা নীলকণ্ঠের রাজপ্রাসাদ গড়ে উঠেছিল, তার নাম আজো 'রাজঘাট'।

এভাবেই ভৈরব পাড়ে আহ্লাদে-আতিশায্যে দিন কাটছিল রাজকুমারী অভয়ার। বাবার চোখের মণি সে। ধীরে ধীরে রাজকুমারী বড় হলো। বিবাহের সময় আসলো। রাজকুমারী অভয়ার সাথে গাঁটছড়া বাঁধলেন 'নড়াইল রাজবাড়ি'-র কুমার নীলাম্বর রায়। তবে অদৃষ্টের পরিহাসে বিবাহের কিছুদিন পরেই মারা যান নীলাম্বর রায়। তখন বৈধ্যব্যের শ্বেতবাসে পিতৃগৃহে প্রত্যাবর্তন হয় অভয়ার। তবে স্থানীয় কিংবদন্তী গল্পে এটা বলা যায় যে, রাজকুমারী নাকি পিতার অমতে রাজবাড়ির মালির সাথে বিবাহ করেন। যদিও এই ঘটনার কোন-ই ঐতিহাসিক সূত্র নেই।

রায় বংশের কুলদেবতা ছিলেন মহাদেব শিব। তাই অকালবিধবা অভয়া শিব ঠাকুরের আরাধনা করেই কাটিয়ে দিতে চাইলেন বাকি জীবন। পিতাকে জানালেন তাঁর বাসনা। তখন একটা-দুইটা নয়, ৬০ একর জমির উপর শিবের ১১ অবতারের প্রতীকীস্বরূপ এগারোটা টেরাকোটার শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রাজা নীলকণ্ঠ রায়। প্রতিটি মন্দিরে স্থাপিত হয় কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ। রাজা নীলকণ্ঠ রায় প্রতিটি মন্দিরের জন্য দু’শ বিঘা নিষ্কর জমি দান করেছিলেন। এই জমি থেকে মন্দিরের খরচ উঠে আসতো। মন্দিরের ভোগ হওয়ার পরে ভক্তদের প্রসাদ বিলি করার পর পূজারী ব্রাহ্মণদের বাড়ি বাড়ি ভোগ পাঠানো হতো। এভাবেই মন্দিরের যাবতীয় সম্পত্তি সংরক্ষিত ছিল দেশভাগের আগ অব্দি।

এই মোটামুটি এগারো শিব মন্দিরের নির্মাণের গল্প। এবার বরং আসি এর স্থাপত্যরীতির বিবরণে। এগারো শিবের সমূদয় মন্দিরের নির্মাণকাল ১৭৪৫-৬৪ সাল। তাই এই মন্দিরগুলোর বয়স ২৭০ এর ঊর্ধ্বে। এই মন্দিরের অন্যতম বিশেষত্ব হলো এটি যশোহর-খুলনার স্থানীয় স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত। এই মন্দিরের স্থাপত্যশৈলীর সাথে মিল রয়েছে ধুলগ্রাম জগন্নাথ মন্দির, মহেশ্বরপাশা জোড়বাংলা মন্দির ইত্যাদির। মন্দির নির্মাণে ব্রিটিশ আমলে অনুসৃত চুন সুরকি এবং ইটের ব্যবহার করা হয়েছে। ইটের আকৃতি পাতলা ও বর্গাকার। চুন-সুরকির প্রলেপ ধরে রেখেছে ইটগুলোকে। ছাঁদগুলো নির্মিত হয়েছে উলম্ব ধরনের ডোমের সমন্বয়ে। অর্থাৎ দুই স্তরে নির্মিত ছাদের ভেতরে গোলাকার এবং বাইরে চালা রীতিতে নির্মিত।

পূর্ব ও পশ্চিম সারিতে চারটি করে মোট আটটি মন্দির। দক্ষিণ দিকে প্রবেশপথের দু’দিকে রয়েছে দুটি মন্দির। মূল মন্দিরটি উত্তর দিকে। সব মিলিয়ে এগারোটি মন্দির। আগে প্রত্যেকটি মন্দিরে নিত্যপূজা হতো, তবে বর্তমানে উত্তরদিকের মূল মন্দিরেই কেবল পুজো হয়। যদিও সেই কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গগুলো চুরি গেছে বহুদিন।

মূল মন্দিরটির দৈর্ঘ্য ২৪ ফুট ৪ ইঞ্চি ও প্রস্থ ২২ ফুট ৩ ইঞ্চি। দেয়ালের প্রস্থ ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি। মন্দিরের বাইরে দক্ষিণ দিকে আছে প্রধান প্রবেশপথ। প্রতিটি মন্দিরে প্রবেশের জন্য আছে খিলানাকৃতির প্রবেশপথ ও উপপ্রবেশপথ, বাঁকানো ও কোণাকৃতির কার্ণিস। আর রয়েছে অনিন্দ্যসুন্দর পোড়ামাটির কারুকার্য। তার মধ্যে রয়েছে পদ্মসহ বিভিন্ন নকশার মোটিফ
মন্দিরের চারদিকে প্রাচীরে ঘেরা। উত্তর-পশ্চিম কোণে একসময় পুকুর ছিল যা এখন দখলদারদের কবলে। আর মন্দিরের পাশ্ববর্তী পানের বরজেই ছিল অভয়ানগরের রাজবাড়ি। তবে সেগুলোর আজ চিহ্নও নেই। এমনকি মন্দিরগুলোও ভেঙ্গেচুরে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল কয়েক বছর আগে।

তবে ২০১৪ সালে এগারো শিব মন্দির সংস্কারেরর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। প্রথম ধাপের সেই কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে। আর যথাযথ সংস্কারের ফলে মন্দিরটি তার অনিন্দ্যসুন্দর কারুকাজ নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে, ঘোষণা করছে আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যেকে। তবে এখনো কাজ আছে বাকি। মন্দির যাবার পথটি আজো দুর্গম। মন্দিরের নেই কোন তোরণ বা সিংহ দরজা। মন্দিরের সম্বন্ধে যশোহর-খুলনার-ই খুব কম মানুষ জানে। স্থানীয় এক বারুজীবী পরিবার এই মন্দিরের নিত্যপূজার দায়িত্ব নিয়ে আসছে। তবে তারা বাদে স্থানীয় জনগণ আর কেউ মন্দিরগুলোকে নিয়ে ভাবিত নয়। এক্ষেত্রে এই অসামান্য পুরাকীর্তিকে সারা বাংলাদেশের সাথে পরিচয় করাতে বিভিন্ন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। হতেই পারে চৈত্রমাসের চড়কের মেলা। আর চড়কের মেলাকে কেন্দ্র করে পুনর্জ্জীবিত করা যেতে পারে যশোহর-খুলনার ঐতিহ্যবাহী অষ্টক গানকে। তবে এগুলো নিছক-ই পরিকল্পনা মাত্র। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক উদ্যোগ না নিলে এগুলোর কিছুই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

এই যা! এত কিছু বলতে বলতে আজকের লেখা শুরুর আগের জটটা ছাড়াতে ভুলে গেছি। প্রতাপাদিত্য বংশ, বলা বাহুল্য রাজা নীলকণ্ঠ রায়ের রাজত্বকালেই বাংলায় কোম্পানী শাসনের সূত্রপাত হয়। তখনকার প্রতাপ রাজত্ব যেহেতু অনেক বড় ছিল, তাই শুধুমাত্র সেই অঞ্চলটাকে শাসন করার উদ্দেশ্যেই নতুন প্রশাসনিক একক স্থাপনের প্রয়োজন দেখা দেয়। ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৮৬ সালে তাই বঙ্গের প্রথম জেলা 'যশোহর' প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতাপ-রাজধানী ধূমঘাট ছিল এই যশোহরের অন্তর্গত। তাই সেখান থেকেই জেলার নামকরণ হয় যশোহর। তবে সুন্দরবন তীরবর্তী ধূমঘাট প্রান্তিক পরিবেশ, নতুন জেলার মানচিত্রে দক্ষিণ-কৌণিক অবস্থানে থাকা এবং প্রতাপাদিত্যের উত্তরসূরীণের চাঁচড়া ও অভয়ানগরে বসবাসের দরুণ সব মিলিয়ে 'যশোহর' জেলার যাবতীয় প্রশাসনিক দপ্তর স্থাপিত হয় মুড়লীতে। এভাবে দিনের পর দিন যায়। যশোহর জেলার কেন্দ্রস্থান মুড়লী-ই ধীরে ধীরে যশোর নামে পরিচিত হতে থাকে। এমনকি ১৮৮২ সালে প্রতাপাদিত্যের আদি যশোহর খুলনা জেলা এবং ১৯৮৪ সালে সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত হয়। তাই আজকের যশোহর জেলার নামকরণ হয়েছে ব্রিটিশদের বদৌলতে।

আর এই যশোহরের-ই সবথেকে সুন্দর ঐতিহাসিক নিদর্শন এগারো শিব মন্দির। অভয়নগর (পূর্বতন অভয়ানগর) উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ভৈরব নদীর তীরে এই স্থাপনাটি অবস্থিত। তবে যশোহর শহরের তুলনায় খুলনা-র বেশি কাছে এই মন্দির কমপ্লেক্স। খুলনা জেলার যেখানে সীমানা শেষ, সেখানেই এগারো শিব মন্দির। খুলনা শহর থেকে মাহিন্দ্র নিয়ে ১ ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন যশোর রাজঘাট জুটমিলের খেয়াঘাটে। তারপর ঘাট পার হলে দুই মিনিটের হাঁটা পথ। এছাড়া রেলপথে আসতে চাইলে নওয়াপাড়া স্টেশনে নেমে সেখান থেকেও আসা যায় এগারো শিব মন্দির। তাই একবার হলেও ঘুরে আসবেন সেখান থেকে। সারা দক্ষিণবঙ্গে এত বড় মন্দির কমপ্লেক্স আর দ্বিতীয়টা নেই। তবে শুধু মন্দির দর্শনই কেন, পারিবারিক ভ্রমণের জন্যও জায়গাটা বেশ সুন্দর। আমার স্পষ্ট মনে পড়ে আমরা সবাই মিলে বসন্তের এক সকালবেলা জেলখানা ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে ভৈরবের জলে ভেসে সেনহাটি, ধুলগ্রাম, ভাটপাড়া, এগারো শিব মন্দির ঘুরেছিলাম। অসাধারণ ছিল দিনটা! তাই দুঃখিনী রাজকন্যা অভয়ার স্মৃতিবিজড়িত 'এগারো শিব মন্দির' মন্দিরের পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকা ইতিহাসের পরশ পেতে একবার হলেও ঘুরে আসুন এগারো শিব মন্দির।

বি:দ্র: এগারো শিব মন্দিরের বিস্তারিত ইতিহাস ও নির্মাণশৈলী নিয়ে আমাদের ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম KK Khulna একটি অসাধারণ তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। লিংকটি দেয়া হল। আপনারা সবাই দেখবেন আশা রাখি।

https://youtu.be/V9X4mTQKJDI

তথ্যসূত্র:
১.যশোহর খুলনার ইতিহাস (দ্বিতীয় খণ্ড), সতীশচন্দ্র মিত্র
২.মানসিংহ-ভবানন্দ উপাখ্যান, বিদ্যাসুন্দর কাব্য, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
৩.এগারো শিব মন্দির, আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়, খুলনা; প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৪.যশোর এগারো শিব মন্দির: যে মন্দিরের সাথে মিশে আছে এক দুঃখী রাজকুমারীর গল্প, অমিতাভ অরণ্য, roar বাংলা
৫.বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (যশোর জেলা)

Archaeological Sites of Bangladesh
Archaeology of Bangladesh
Art and Heritage of Bangladesh

১৪ ব্যাচ ও নবীন ব্যাচের বন্ধন।প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৭ম ও ৮ম ব্যাচ।তোমাদের প্রতি দোয়া ও ভালবাসা।বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সুন্দর ...
19/05/2022

১৪ ব্যাচ ও নবীন ব্যাচের বন্ধন।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৭ম ও ৮ম ব্যাচ।

তোমাদের প্রতি দোয়া ও ভালবাসা।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সুন্দর ও মসৃণ হোক।

 #কুমিল্লার_পাঁচথুবীর_প্রত্নতাত্ত্বিক_খনন_পরিদর্শনে_কুবির_প্রত্নতত্ত্ব_বিভাগের_চেয়ারম্যানআজ (২৭ এপ্রিল ২০২২) কুমিল্লা বি...
27/04/2022

#কুমিল্লার_পাঁচথুবীর_প্রত্নতাত্ত্বিক_খনন_পরিদর্শনে_কুবির_প্রত্নতত্ত্ব_বিভাগের_চেয়ারম্যান
আজ (২৭ এপ্রিল ২০২২) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন কুমিল্লা জেলার পাঁচথুবী মন্তের মুড়ায় পরিচালিত প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ফিল্ড অফিসার (খননের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো: শাহীন আলম খননে উন্মোচিত প্রত্ন-স্থাপত্যিক কাঠামোর ধ্বংসাবশেষসহ সার্বিক বিষয়ে তথ্য প্রদান করেন। এ সময় প্রত্নতাত্ত্বিক খনন দলের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

21/04/2022

Iftar and Dowa.
Gratitude to All of the Organisers.

Department of Archaeology, CoU.

এসো হে বৈশাখ এসো এসো। ❤️নববর্ষের শুভেচ্ছা।পহেলা নববর্ষ ১৪২৯।
14/04/2022

এসো হে বৈশাখ এসো এসো। ❤️

নববর্ষের শুভেচ্ছা।
পহেলা নববর্ষ ১৪২৯।

সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ♥️
26/03/2022

সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ♥️

বাংলাদেশের বাহান্নতম স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।
26/03/2022

বাংলাদেশের বাহান্নতম স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।

This award stands alone proudly witnessing your hard work and dedication. Congratulations girls, the champion of inter d...
22/03/2022

This award stands alone proudly witnessing your hard work and dedication. Congratulations girls, the champion of inter department Volleyball tournament....

.

.

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নতুনভাবে সেজেছে ক্যাম্পাস। #রাতের_কুমিল্লা_বিশ্ববিদ্যালয়। ❤️
16/03/2022

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নতুনভাবে সেজেছে ক্যাম্পাস।

#রাতের_কুমিল্লা_বিশ্ববিদ্যালয়। ❤️

আজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জন্য বিশেষ আনন্দের দিন। আমাদের ছেলেমেয়েরা আজবিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ আন্ত...
11/03/2022

আজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জন্য বিশেষ আনন্দের দিন। আমাদের ছেলেমেয়েরা আজ
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ আন্ত:বিভাগ বির্তক প্রতিযোগীতায় রানারআপ এবং আন্ত:বিভাগ ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার পুরুষ ও প্রমিলা উভয় গ্রুপেই দ্বিতীয় রাউন্ডে বিজয়ী হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে।
অভিনন্দন অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড় ও বিতার্কিকদের। সেই সাথে বিভাগের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ক্যামেরায় Hossain.

Address

Salmanpur, Kotbari
Cumilla
3506

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Department Of Archaeology, Comilla University- Kotbari, Cumilla. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Department Of Archaeology, Comilla University- Kotbari, Cumilla.:

Share