FilmFusion Studios, Patuakhali (2025)

Welcome to FilmFusion Studios, where creativity meets the lens! 🎥🌟

🎬 About Us:
At FilmFusion Studios, we're passionate about the art of storytelling through film. Our journey began with a simple dream – to craft compelling narratives and breathtaking visuals that captivate audiences and leave a lasting impact. With a dedicated team of filmmakers, writers, and artists, we've turned this dream into

a thriving reality.

📽️ Our Vision:
Our vision is clear: to be at the forefront of cinematic innovation, producing films that inspire, entertain, and provoke thought. We strive to bring unique stories to life and push the boundaries of storytelling in the digital age. Every project we undertake is a fusion of imagination, expertise, and cutting-edge technology.

🌎 What We Do:
FilmFusion Studios is a full-service film production company. From pre-production to post-production, we handle every aspect of filmmaking with precision and creativity. Whether it's a feature film, a documentary, a commercial, or a web series, we pour our hearts and souls into every project, ensuring it meets the highest standards of quality and originality.

👏 Our Team:
Our talented and diverse team is the driving force behind our success. From award-winning directors to visionary cinematographers, we've assembled a group of passionate professionals who share a common goal: to bring your stories to life with unmatched artistry and dedication.

📦 Our Services:

Scriptwriting and Development
Filming and Cinematography
Editing and Post-Production
Visual Effects
Sound Design and Music Composition
Marketing and Distribution
🏆 Our Achievements:
Over the years, we've garnered critical acclaim and audience love for our work. Our films have graced prestigious film festivals, received awards, and, most importantly, touched the hearts of viewers worldwide. We believe in the power of cinema to evoke emotions, spark conversations, and make a difference.

🌟 Let's Collaborate:
Whether you're a fellow filmmaker, a writer with a captivating story, a brand looking to create impactful content, or simply a film enthusiast, FilmFusion Studios is open to collaboration. Join us on our journey as we continue to fuse creativity, passion, and innovation to create compelling cinematic masterpieces. Follow us for updates, behind-the-scenes glimpses, and a front-row seat to the magic of storytelling through film.

📣 Connect with us and let's embark on a cinematic adventure like no other! 🎥✨

Contact:
🌐 Website: www.filmfusionstudios.com
📧 Email: [email protected]
📱 Social Media: https://www.facebook.com/emon.jas/
Mobile-01718460777

🎬 Lights, Camera, Fusion! 🌟🎥

17/07/2025

ইতিহাসের পাতায় প্রিন্স র‍্যান্ডিয়ান (Prince Randian) ছিলেন এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যার জীবন ছিল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে এক নিরন্তর যুদ্ধ এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

১৮৭১ সালে ব্রিটিশ গায়ানায় জন্ম নেওয়া প্রিন্স র‍্যান্ডিয়ান “টেট্রা-অ্যামেলিয়া সিনড্রোম (tetra-amelia syndrome)” নামক এক বিরল অবস্থা নিয়ে জন্মেছিলেন, যার অর্থ হলো জন্মের সময় তাঁর চারটি হাত-পা-ই ছিল না। সাধারণত এই সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুরা বেশিদিন "বাঁ"চে না, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে প্রিন্স র‍্যান্ডিয়ান ৬৩ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।

১৮৮৯ সালে বিখ্যাত শোম্যান পি.টি. বার্নাম তাঁকে আবিষ্কার করেন এবং আমেরিকায় নিয়ে আসেন। তিনি “দ্য লিভিং টর্সো” (The Living Torso) এবং
“দ্য হিউম্যান ক্যাটারপিলার” (The Human Caterpillar) নামে পরিচিতি লাভ করেন। মঞ্চে তিনি তাঁর কোমর ও কাঁধ ব্যবহার করে শুঁয়ো*পোকার মতো নড়াচড়া করতেন।

তাঁর সবচেয়ে পরিচিত দক্ষতা ছিল শুধুমাত্র ঠোঁট, মুখ, চিবুক এবং বুকের পেশী ব্যবহার করে সিগারেট রোল করা ও ধরানো। ১৯৩২ সালের কাল্ট ফিল্ম ‘ফ্র্যাকস’ (Freaks) এ তাঁর এই দৃশ্যটি অমর হয়ে আছে। তবে তাঁর দক্ষতা এখানেই শেষ ছিল না। তিনি মুখ দিয়ে ব্রাশ বা স্টাইলাস ধরে ছবি আঁকতে, লিখতে এবং এমনকি কাঠের ব্লকে রেজার সুরক্ষিত করে মুখ দিয়ে শেভও করতেন। তিনি নিজেই তাঁর ধূমপানের জিনিসপত্র রাখার কাঠের বাক্সটি তৈরি করেছিলেন।

প্রিন্স র‍্যান্ডিয়ান হিন্দি, ইংরেজি, জার্মান ও ফরাসি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারতেন এবং তাঁর রসবোধের জন্য পরিচিত ছিলেন। মঞ্চের বাইরেও তিনি এক পরিপূর্ণ জীবনযাপন করেছেন। তিনি প্রিন্সেস সারাহ নামের এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের চার সন্তান ছিল। ১৯৩৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর, ৬৩ বছর বয়সে, নিউইয়র্কে তাঁর শেষ পারফরম্যান্সের কিছুক্ষণ পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি "মা"রা যান।

প্রিন্স র‍্যান্ডিয়ানের জীবন প্রমাণ করে যে আসল শক্তি হাত-পায়ে নয়, বরং আত্মায় নিহিত। তাঁর গল্প মানব মনের অদম্য স্পৃহা এবং ইচ্ছাশক্তির এক জীবন্ত প্রতীক, যা আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique

12/07/2025

আমরা অনেকেই লিওনার্দো দা ভিঞ্চির বিখ্যাত "Vitruvian Man" চিত্রটা দেখেছি—একজন নগ্ন মানুষ, যার দুই হাত আর পা ছড়িয়ে আছে আর চারপাশে আঁকা আছে একটি বৃত্ত ও একটি বর্গ। এই চিত্রটি আমরা সাধারণত দেখি মানবদেহের নিখুঁত অনুপাত বোঝাতে কিংবা বিজ্ঞান ও শিল্পের এক অসাধারণ মিলন হিসেবে।

তবে সম্প্রতি জানা গেছে, এই চিত্রের ভেতরেই লুকিয়ে ছিল এক গভীর বৈজ্ঞানিক রহস্য যেটা কেউ গত ৫০০ বছরেও খুঁজে পাননি! আর চমৎকার বিষয় হলো এই গোপন রহস্য আবিষ্কার করেছেন কোনো চিত্রবিশারদ বা ইতিহাসবিদ নন বরং লন্ডনের একজন দন্ত চিকিৎসক ড. ররি ম্যাক সুইনি। তিনি দা ভিঞ্চির নিজের হাতে লেখা নোট থেকে একটি বাক্য খুঁজে পান যেখানে বলা হয়েছিল—মানুষের দুই পায়ের মাঝখানে একটি সমবাহু ত্রিভুজ কল্পনা করতে হবে। অর্থাৎ এমন এক ত্রিভুজ যার তিনটি বাহু সমান।

এই বাক্যটিকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ড. সুইনি দেখতে পান এই ত্রিভুজটি আসলে দাঁতের চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক গুরুত্বপূর্ণ ধারণার সঙ্গে মিলে যায যেটাকে বলা হয় Bonwill’s Triangle। এটি হচ্ছে মানুষের মুখের মধ্যে তিনটি নির্দিষ্ট পয়েন্টের (দুইটি নিচের দাঁতের কোণ ও উপরের সামনের দাঁতের মাঝখান) মধ্যে গঠিত একটি সমবাহু ত্রিভুজ। এই ত্রিভুজ মানুষের মুখের ভারসাম্য, দাঁত মেলানো, চোয়ালের গতি ইত্যাদি বুঝতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে কি দা ভিঞ্চি ৫০০ বছর আগেই চোয়ালের এই সাইন্স বুঝে ফেলেছিলেন? ড. সুইনি বলেন শুধু তাই নয়—তিনি আরও গভীর কিছু বোঝাতে চেয়েছিলেন এর মাধ্যমে।

ড. সুইনির মতে, দা ভিঞ্চি যে ত্রিভুজের কথা বলেছেন, সেটার ভেতর যে সংখ্যা বা অনুপাত (প্রায় ১.৬৪) দেখা যায়, সেটা শুধু মানুষের শরীরেই না, বরং প্রকৃতির অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। যেমন—গাছ যেভাবে ডালপালা মেলে, মৌমাছির চাক যেভাবে গঠিত হয়, এমনকি আমাদের শরীরের DNA-র ভেতরেও এই রকম অনুপাত দেখা যায়। শুধু তাই না কিছু পরমাণুর গঠনেও এই একই অনুপাতের মতো ছাপ পাওয়া যায় বলে ড. সুইনি মনে করেন। অর্থাৎ, এটা এমন একটা জ্যামিতিক নিয়ম যেটা মানুষের দেহ থেকে শুরু করে প্রকৃতির ভেতর এমনকি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার ভেতরেও একই রকমভাবে দেখা যায়। অর্থাৎ, দা ভিঞ্চির Vitruvian Man কেবল শরীরের অনুপাত বা একটি সুন্দর শিল্পকর্ম ছিল না—এটা হতে পারে এক গভীর জ্যামিতিক এবং বৈজ্ঞানিক বার্তা। একটা সার্বজনীন গঠন বা universal design যা প্রকৃতি, মানবদেহ এবং বিজ্ঞানের অনেক স্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত।

10/07/2025

“যে শহরে ১০০টাকায় নারীদেহ পাওয়া যায় সেই শহরে নারীর জন্য কান্না করতে যাবো কেন?”
ছেলেটার কথা শুনে একটু অবাক হলাম। ল্যাম্পপোস্টের হলুদ সোডিয়ামের আলোতে খেয়াল করলাম ছেলেটা চোখের জল আটকানোর বারবার বৃথা চেষ্টা করছে। অর্ধখাওয়া সিগারেটটা ছেলেটার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম,
- টানার অভ্যাস আছে?
ছেলেটা আমার হাত থেকে সিগারেটটা নিয়ে নিকোটিনের ধোঁয়া আকাশে ছাড়তে ছাড়তে বললো,
- “মালিহার সাথে আমার ৩ বছরের প্রেম। অথচ ১৫ দিনের পরিচয়ে সে অন্য একটা ছেলের সাথে রাত কাটালো। আচ্ছা সে যখন অন্য একটা ছেলের সামনে ন*গ্ন হচ্ছিলো তখন কি একবারও আমার কথা মনে হয় নি? মনে হয় নি সেই সব দিনের কথা? যাকে এক পলক দেখার জন্য সারাদিন ওর বাসার সামনের কদম গাছে বানরের মতো ঝুলে থাকতাম। এলাকার মানুষজন তো আমার নামও দিয়েছিলো “কদম গাছের বান্দর”। ছেলেটা যখন ওর উন্মুক্ত বুকে নাক ঘষছিলো তখন তার একবারও মনে হয় নি আমার কথা? তার থেকে দূরে থাকতে হবে বলে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও ভর্তি হই নি। ছেলেটা যখন লালসার চিহ্ন ওর সারা গায়ে একে দিচ্ছিলো তখন কি তার একবারও মনে হয় নি আমার কথা? আমার চুম্বন তো শুধু ওর কপালেই আটকে ছিলো। কখনো তো কপাল থেকে ঠোঁট অব্দি পৌছায় নি। তাহলে কি এটাই আমার ভুল ছিলো?”

ছেলেটার প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারি নি। শুধু যাওয়ার সময় সিগারেটের প্যাকেটটা ছেলেটার হাতে দিয়ে বললাম,
-যদি পারো কষ্টগুলো নিকোটিনের ধোঁয়ার সাথে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করো। যদি কষ্ট উড়াতে পারো তাহলে হয়তো বেঁচে যেতে পারো…

রাত কয়টা বাজে জানি না। বাসা থেকে বের হবার সময় ঘড়ি, ফোন কোনটাই সাথে আনি নি। দিন হলে হয়তো সূর্য দেখে বলে দেওয়া যেতো কয়টা বাজতে পারে । চাঁদ দেখে বলা সম্ভব না। পিছনে যে ছেলেটাকে ফেলে এসেছি সে হয়তো আজ সারারাত সিগারেটের সাথে নিজেও পুড়বে। বারবার চোখের জল মুছবে আর নিজেই নিজেকে বুঝাবে, “যে শহরে ১০০টাকা দিয়ে নারীদেহ পাওয়া যায় সেই শহরে নারীর জন্য কাদবো কেন?”
একসময় হয়তো নিজের কাছে নিজেই হেরে যাবে…

অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করছি একটা কুকুর আমার পিছন পিছন হাটছে। আমি কুকুরটাকে জিজ্ঞেস করলাম,
- কিরে, তুই কি কোন কুত্তীর মায়ায় আটকেছিলি?
কুকুরটা আমার দিকে তাকিয়ে কয়েকবার ঘেউঘেউ করলো। আর অর্থ হলো,
“ কারো মায়াতে আটকানোর সময় নাই। ভাদ্র মাসে সবাই সমান”

কুকুরটা ঠিকিই বলেছে। এই শহরে এখন ভাদ্রমাস চলছে। কেউ বা ৩ বছরের প্রেম ভুলে অন্যের সামনে কাপড় খুলছে আর কেউ বা—---

ঘেউ ঘেউ ( যার অর্থ, তুই কি কারো মায়াতে আটকেছিস?”)

এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেই নি। হাঁটতে হাঁটতে ব্রীজের উপর এসে যখন দাঁড়ালাম তখন খেয়াল করি এক তরুণী ব্রীজের রেলিংয়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে। আমি পিছন থেকে মেয়েটাকে বললাম,
-ঝাঁপ দিয়ে লাভ নেই। মরবেন না। নদীতে এখন হাটু পানি। উল্টো কাঁদায় মাখামাখি হবেন
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে মনমরা ভাবে হেসে বললো,
- “ যার সর্বাঙ্গে কাঁদা লেগে আছে তার শরীরে নতুন করে আর কি কাঁদা লাগবে?”
আমি বললাম,
-যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মরে যাবেন সেহেতু একটু সময় নিয়ে মরুন। দেখা গেলো মরার জন্য ঝাঁপ দিলেন অথচ মরলেন না। উল্টো নদীর দূষিত পানি খেয়ে পেট খারাপ হয়ে গেলো।

মেয়েটা কিছুক্ষণ চুপ থেকে মাথা নিচু করে বললো,
- “এই সময়টা যে আমার হাতে নেই। ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে নিজের শরীরটা বিলিয়ে দিলাম। যখন বুঝতে পারলাম আমার শরীরের মাঝে অন্য একটা শরীরের অস্তিত্ব প্রকাশ পাচ্ছে তখন ভালোবাসার মানুষের হাতে পায়ে ধরে বললাম, চলো বিয়েটা করে ফেলি। সে বিয়ে করে নি নিজের ক্যারিয়ারের জন্য। বরং আমাকে বাধ্য করেছে এমন একজনকে খু*ন করতে যার এখনো জন্মই হয় নি। ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে এটাও করলাম। কিন্তু যার জন্য এতো পাপ করলাম তাকে পেলাম না। সরকারী বড় পোস্টে জব পেয়ে যাবার পর মানুষটা আমায় বলে দিলো তার সাথে নাকি আমাকে মানায় না। আজ অন্য একটা মানুষকে বিয়ে করে নিলো। অন্য একটা নারীর চোখের দিকে যখন সে তাকাবে তখন কি আমার কথা ওর একবারও মনে পড়বে না? ও কি ভুলে যাবে ওর যখন শূন্য পকেট ছিলো তখন আমি কোনদিন ৩ বেলা খাবার খাই নি। একবেলা খেয়ে বাকি দুইবেলার খাবারের টাকা ওর হাতে তুলে দিয়েছি। ঐ নারীর হাতটা যখন স্পর্শ করবে তখন কি ওর একবারও মনে পড়বে না আমার কথা? যে আমি ২০ টাকা বাস ভাড়া বাচানোর জন্য রোদে পুড়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করেছি।
অন্য মেয়ের শাড়ির আঁচলটা যখন ও সরাবে তখন ও কি ভুলে যাবে আমি রঙ জ্বলে যাওয়া সালোয়ার কামিজ পড়তাম শুধু ওর পরিহিত জামাটা যেন চকচক করে?”

আমি মেয়েটার প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারি নি। শুধু যাবার আগে এটাই বললাম,
- সাঁতার না জানলে হাটু পানিতেও মৃত্যু হতে পারে। যদি সাঁতার জানেন তাহলে বেঁচে যেতে পারেন…

কুকুরটা এখনো আমার পিছন পিছন হাটছে। আমি কুকুরটা বললাম,
-তুই জানিস ছেলেটা সিগারেটের প্যাকেটটা শেষ করে নিজের দেহ থেকে নিজেকে বিসর্জন দিবে?
কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করলো যার অর্থ হলো ( চলে যাওয়ার জন্যই আমরা জন্মেছি। আমাদের চলে যেতেই হবে)
- তুই এটা জানিস, মেয়েটা সাঁতার জানার পরেও মেয়েটা মারা যাবে?
কুকুরটা আবারও ঘেউঘেউ করলো, যার অর্থ হলো ( বেঁচে থাকার ইচ্ছে শক্তি ফুরিয়ে গেছে বলেই মেয়েটার মৃত্যু হবে)
-তুই এটা জানিস, কিছুক্ষণ পর চলন্ত একটা গাড়ি আমার এই দেহটাকে থেতলে দিয়ে চলে যাবে? কুকুরটা এইবার নিশ্চুপ হয়ে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। এইবার মনে হলো কুকুরটা সত্যি সত্যি আমায় কিছু বলতে চাইছে কিন্তু কথা বলার ক্ষমতা নাই দেখে সে বলতে পারছে না। যদি তার কথা বলার ক্ষমতা থাকতো তাহলে সে বলতো, “কেন নিজেকে নিজে শেষ করে দিতে চাইছিস।”
আমার উত্তর হতো তখন,
- এক জোড়া সোনার বালার কাছে ১ ডজন কাঁচের চুড়ির মূল্য নিতান্তই কম। আচ্ছা আমার স্ত্রী যখন অন্য একটা পর পুরুষের খোলা পিঠে নখের আঁচড় কাটছিলো তখন কি তার একবারও আমার কথা মনে হয় নি? সে কি ভুলে গিয়েছিলো সেইসব দিনের কথা? প্রতিদিন বাসায় ফেরার সময় তার জন্য বুক পকেটে করে বেলীফুলের মালা আনা। শাড়ির কুচি গুলো ঠিক করে তার বাঁকা টিপটা সোজা করে দেওয়ার কথা কিংবা মাঝরাতে দুইজনের ঝুম বৃষ্টিতে ভিজা?
আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। ঝপসা চোখে তাকিয়ে দেখি র*ক্তে ভিজে আছে কাচের চুড়ি গুলো। কুকুরটা সমানে ঘেউঘেউ করছে। হয়তো সে বলতে চেষ্টা করছে, “ কেন এমনটা করলি? মানুষতো এর চেয়েও বেশি কষ্ট নিয়ে বাঁচে।”

আমার নিথর দেহটা রাস্তায় পড়ে রইলো। কুকুরটা আমার পাশে বসে ঘেউ ঘেউ করতে লাগলো যার অর্থ হলো, ( আমি অভিশাপ দিলাম এই শহরের সেই সব প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু হোক, যারা শুধু একজনকেই নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে ঠকেছিলো)

Address

Patuakhali

Website

http://www.filmfusionstudios.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when FilmFusion Studios posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

FilmFusion Studios