Radio Aslan

Radio Aslan Music& talk& News

ইসরায়েলি কোম্পানি না হওয়া সত্ত্বেও Bata'র প্রতি ক্ষোভের কারণ জানেন তো? ১৯৭০ সালে তিনি প্রথম ঢাকায় আসেন। বাটা স্যু কোম্পা...
07/04/2025

ইসরায়েলি কোম্পানি না হওয়া সত্ত্বেও Bata'র প্রতি ক্ষোভের কারণ জানেন তো?

১৯৭০ সালে তিনি প্রথম ঢাকায় আসেন। বাটা স্যু কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭১ সালের প্রথম দিকে বাটা জুতার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে টঙ্গীর কারখানায় নিয়োগ পান।

২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের নামে গণহত্যা চালায়। সে সময় তিনি সেই রাতের ভয়াবহতার কিছু ছবি তুলে পাঠান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

বাটা স্যু কোম্পানীর মত বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়াতে অবাধ চলাচল ছিল সর্বত্র। সেই সুযোগে তিনি সম্পর্ক গড়ে তোলেন টিক্কা খান, রাও ফারমান আলী, নিয়াজিদের সাথে। আর অন্য দিকে প্রধান সেনাপতি কর্নেল এমএজি ওসমানীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তারপর সব তথ্য ফাঁস করে দিতেন।

তারপর নিজেই বাটার শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ করে টংগীসহ সেক্টর ১ এবং ২ নম্বরে গড়ে তোলা গেরিলা বাহিনীকে নিজ দায়িত্বে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি নিজেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর নিজেই জীবন বিপন্ন করে বাংলাদেশের যুদ্ধে নেমে পড়েন। তিনি বাঙ্গালী যোদ্ধাদের নিয়ে টঙ্গী-ভৈরব রেললাইনের ব্রীজ, কালভার্ট ধ্বংস করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করতে থাকেন।

সে সময় তিনি ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাইকমিশনের গোপন সহযোগিতা পেতেন। রক্তক্ষয়ী নয়মাস মুক্তিযুদ্ধের শেষে টঙ্গীতে ফিরে আসেন বিজয়ীর বেশে।

১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশেই ছিলেন তারপর নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। তিনিই একমাত্র বিদেশী বাংলাদেশী যিনি মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য "বীর প্রতীক" খেতাব পান। এই মহান মানুষটির নাম "উইলিয়াম এ এস ঔডারল্যান্ড"। ২০০১ সালের ১৮ মে অস্ট্রেলিয়ার পার্থের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজকে বাটার শোরুম ভেঙে, জুতা চুরি ও লুটপাট করে অকৃতজ্ঞ বেঈমান পাকিস্তানি ডিএনএ'র দোসররা সেই প্রতিশোধ নিল।

30/01/2025

ADHD এর পূর্ণরূপ হলো **Attention-Deficit/Hyperactivity Disorder** (মনোযোগের ঘাটতি ও অতিসক্রিয়তা ব্যাধি)। এটি একটি নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার, যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়, তবে এটি প্রাপ্তবয়স্কদেরও প্রভাবিত করতে পারে। ADHD আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি প্রদর্শন করে:

# # # ADHD এর প্রধান লক্ষণ:
1. **মনোযোগের অভাব (Inattention):**
- কোনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে অসুবিধা।
- সহজেই বিভ্রান্ত হওয়া।
- কাজ বা দায়িত্ব সম্পূর্ণ করতে সমস্যা।
- জিনিসপত্র হারানো বা ভুলে যাওয়া।

2. **অতিসক্রিয়তা (Hyperactivity):**
- অতিরিক্ত নড়াচড়া করা, বিশেষত যখন তা অনুপযুক্ত।
- এক জায়গায় শান্তভাবে বসে থাকতে অসুবিধা।
- অতিরিক্ত কথা বলা।

3. **আবেগপ্রবণতা (Impulsivity):**
- অপেক্ষা করতে অসুবিধা।
- অন্যদের কথা বা কাজে বাধা দেওয়া।
- ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়া।

# # # ADHD এর প্রকারভেদ:
1. **মনোযোগের ঘাটতি প্রাধান্য (Predominantly Inattentive Presentation):**
- মনোযোগের সমস্যা প্রধান লক্ষণ, অতিসক্রিয়তা কম।

2. **অতিসক্রিয়তা ও আবেগপ্রবণতা প্রাধান্য (Predominantly Hyperactive-Impulsive Presentation):**
- অতিসক্রিয়তা ও আবেগপ্রবণতা প্রধান লক্ষণ, মনোযোগের ঘাটতি কম।

3. **মিশ্র প্রকার (Combined Presentation):**
- মনোযোগের ঘাটতি, অতিসক্রিয়তা ও আবেগপ্রবণতা উভয়ই দেখা যায়।

# # # ADHD এর কারণ:
- **জেনেটিক্স:** পরিবারে ADHD থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
- **মস্তিষ্কের গঠন ও কার্যকারিতা:** মস্তিষ্কের কিছু অংশের কার্যকারিতায় পার্থক্য।
- **পরিবেশগত কারণ:** গর্ভাবস্থায় ধূমপান, মদ্যপান বা বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ।

# # # চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:
1. **ওষুধ:** স্টিমুল্যান্ট (যেমন Ritalin, Adderall) এবং নন-স্টিমুল্যান্ট ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
2. **থেরাপি:** Cognitive Behavioral Therapy (CBT) এবং Behavioral Therapy।
3. **জীবনযাত্রার পরিবর্তন:** নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং ঘুমের রুটিন।
4. **শিক্ষা ও সহায়তা:** স্কুলে বিশেষ সহায়তা এবং প্যারেন্টিং ট্রেনিং।

ADHD আক্রান্ত ব্যক্তিরা সঠিক চিকিৎসা ও সহায়তা পেলে তাদের লক্ষ্য অর্জন এবং দৈনন্দিন জীবনে সফল হতে পারে।

26/01/2025

ফ্রিজে মধু রাখা ঠিক না, কারণ এটি মধুর গুণাগুণ এবং প্রকৃতি নষ্ট করতে পারে। মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা নিজেই সংরক্ষণ করার ক্ষমতা রাখে, এবং এতে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সমস্যা খুব কম হয়। ফ্রিজে রাখলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে:

ক্রিস্টালাইজেশন বা জমে যাওয়া: ফ্রিজে রাখলে মধু দ্রুত জমে যেতে পারে এবং এটি খাওয়া বা ব্যবহার করা কঠিন হয়ে যায়। এটি মধুর গুণাগুণে কোনো প্রভাব ফেলে না, তবে এর স্বাভাবিক তরল অবস্থায় ফিরে আনতে গরম করা প্রয়োজন হয়।

স্বাদ এবং গন্ধ পরিবর্তন: নিম্ন তাপমাত্রায় মধুর স্বাদ এবং গন্ধ পরিবর্তন হতে পারে, যা প্রাকৃতিক মধুর বৈশিষ্ট্য নষ্ট করতে পারে।

অপ্রয়োজনীয় সংরক্ষণ: মধু নিজেই একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষণকারী, এবং এটি দীর্ঘদিন ভালো থাকে। তাই ফ্রিজে রাখার দরকার নেই।

মধু সংরক্ষণের জন্য একটি শুষ্ক, ঠাণ্ডা এবং অন্ধকার স্থানে রাখা উত্তম, যেখানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে (প্রায় ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। এভাবে রাখলে মধু অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

22/01/2025

পায়ের তলা ফাটার (Cracked Heels) প্রধান কারণগুলো শারীরিক, পরিবেশগত, এবং জীবনযাত্রার সাথে জড়িত। এটি একটি সাধারণ সমস্যা হলেও কখনো কখনো এটি ব্যথা, অস্বস্তি এবং সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। গবেষণাভিত্তিক কিছু কারণ এবং সমাধান নিচে আলোচনা করা হলো:

পায়ের তলা ফাটার কারণ

ত্বকের শুষ্কতা:
পায়ের তলার ত্বক সাধারণত মোটা এবং শুষ্ক হয়। আর্দ্রতার অভাবে ত্বক হারিয়ে ফেলে প্রাকৃতিক স্থিতিস্থাপকতা, ফলে ফাটল দেখা দেয়।

পরিবেশগত কারণ:
শীতকালীন শুষ্ক আবহাওয়া বা অতিরিক্ত আর্দ্রতা ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট করে। গরম পরিবেশে বেশি সময় ধরে খালি পায়ে হাঁটা বা অতিরিক্ত পানি ব্যবহার পায়ের তলা ফাটার ঝুঁকি বাড়ায়।

খাদ্যাভ্যাস:
ভিটামিন এ, সি এবং ই-র অভাব পায়ের ত্বকের স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। তাছাড়া জিঙ্ক এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি ত্বকের শুষ্কতার কারণ হতে পারে।

জীবনযাপন এবং অভ্যাস:

খালি পায়ে হাঁটা।

দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা।

অনুপযুক্ত বা শক্ত জুতা ব্যবহার।

চিকিৎসাগত কারণ:

ডায়াবেটিস: এটি রক্ত প্রবাহ কমিয়ে পায়ের ত্বককে শুষ্ক করে।

থাইরয়েড সমস্যা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ত্বকের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করে।

ছত্রাক সংক্রমণ: অ্যাথলিটস ফুটের মতো সমস্যা ত্বকের ফাটল তৈরি করে।

বয়স:
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বক প্রাকৃতিক তেল উৎপাদনের ক্ষমতা হারায়, ফলে পায়ের তলা ফাটে।

গবেষণা থেকে প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়

ত্বক আর্দ্র রাখা:
পা ধোয়ার পর নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার (যেমন শিয়া বাটার বা ভ্যাসেলিন) ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।

নিয়মিত পায়ের যত্ন:

পা পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা।

সপ্তাহে একবার স্ক্রাব ব্যবহার করে মৃত কোষ পরিষ্কার করা।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস:
পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা, যেমন সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, এবং মাছ।

উপযুক্ত জুতা ব্যবহার:
আরামদায়ক এবং সঠিক মাপের জুতা ব্যবহার করলে পায়ের চাপ কমে।

চিকিৎসা:
যদি পায়ের তলা ফাটার সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, পায়ের সঠিক যত্ন এবং নিয়মিত আর্দ্রতা বজায় রাখার মাধ্যমে এ সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। উন্নত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে পারে।

21/01/2025

মেনিনজাইটিস কি? :-মেনিনজাইটিস হলো মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের চারপাশে থাকা প্রতিরক্ষামূলক আবরণ (মেনিনজেস) এর প্রদাহ। এটি একটি গুরুতর রোগ এবং ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, বা পরজীবী দ্বারা হতে পারে। মেনিনজাইটিস দ্রুত চিকিৎসা না করলে প্রাণঘাতী হতে পারে।

মেনিনজাইটিসের কারণ

ভাইরাল মেনিনজাইটিস: সাধারণত তুলনামূলক হালকা এবং স্বাভাবিকভাবে সেরে যায়।

ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস: এটি মারাত্মক এবং অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।

ছত্রাকজনিত মেনিনজাইটিস: দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের রোগীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

পরজীবী মেনিনজাইটিস: বিরল, তবে মারাত্মক।

লক্ষণ

প্রচণ্ড মাথাব্যথা

জ্বর

ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া

বমি বা বমিভাব

আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা

মনের বিভ্রান্তি বা অজ্ঞান হওয়া

শিশুদের ক্ষেত্রে: ক্রন্দন, খাবারে অনীহা, খিঁচুনি

ঝুঁকি

শিশু এবং বৃদ্ধরা মেনিনজাইটিসে বেশি আক্রান্ত হয়।

দুর্বল ইমিউন সিস্টেম।

ঘনিষ্ঠ স্থানে বসবাস।

নির্ণয়

মেনিনজাইটিস নির্ণয়ের জন্য ল্যাবরেটরি টেস্ট প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে রয়েছে:

ল্যাম্বার পাঙ্কচার (স্পাইনাল ফ্লুইড টেস্ট): এটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা।

রক্ত পরীক্ষা।

সিটি স্ক্যান বা এমআরআই।

চিকিৎসা

ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস: দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক এবং কর্টিকোস্টেরয়েডের প্রয়োজন।

ভাইরাল মেনিনজাইটিস: বিশ্রাম, হাইড্রেশন এবং ব্যথানাশক দিয়ে পরিচালিত হয়।

প্রতিরোধ:

টিকা, যেমন হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি (Hib) এবং মেনিনজোকোকাল ভ্যাকসিন।

জীবাণুমুক্ত জীবনযাত্রা, যেমন নিয়মিত হাত ধোয়া।

গবেষণা

মেনিনজাইটিস নিয়ে আধুনিক গবেষণা মূলত টিকাদান উন্নয়ন, দ্রুত ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি এবং আরও কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতির উপর কেন্দ্রীভূত। কিছু ক্ষেত্রে জিনগত কারণগুলোও গবেষণার আওতায় আসছে।

21/01/2025

কিডনি রোগ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

কিডনি (বৃক্ক) মানব দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি রক্ত পরিশোধন করে, বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত জল মূত্র আকারে বের করে দেয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে পারে, যা কিডনি রোগের জন্ম দেয়। কিডনি রোগ (Kidney Disease) দ্রুত শনাক্ত না হলে এটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বা কিডনি বিকলতা (Kidney Failure) পর্যন্ত গড়াতে পারে।

কিডনি রোগের কারণ

১. ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসজনিত নেফ্রোপ্যাথি কিডনি রোগের একটি প্রধান কারণ।
২. উচ্চ রক্তচাপ: দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ রক্তচাপ কিডনির রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৩. সংক্রমণ (ইনফেকশন): কিডনিতে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ (যেমন পাইলোনেফ্রাইটিস) কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
৪. জিনগত কারণ: পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজের মতো জিনগত রোগ কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট করতে পারে।
৫. মেডিসিন ও রাসায়নিকের প্রভাব: দীর্ঘ সময় ধরে ব্যথানাশক ওষুধের (NSAIDs) ব্যবহার কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
৬. প্রস্রাবের রোধ বা বাধা: মূত্রনালীতে পাথর বা টিউমার কিডনি ক্ষতি করতে পারে।

লক্ষণ

১. প্রস্রাবের পরিমাণ বা গন্ধে পরিবর্তন।
২. চোখ ও পায়ে ফোলাভাব।
৩. ক্লান্তি ও দুর্বলতা।
4. ত্বকে চুলকানি।
৫. রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।
৬. ক্ষুধামন্দা ও বমি।
৭. মাথা ঘোরা বা মনোযোগে ঘাটতি।

প্রতিকার

১. ডায়েট কন্ট্রোল: লবণ ও প্রোটিন কমিয়ে সুষম খাদ্য গ্রহণ।
২. ওষুধ সেবন: ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ।
৩. পর্যাপ্ত জলপান: দেহের জলীয় ভারসাম্য রক্ষা করতে দিনে পর্যাপ্ত পানি পান।
৪. ব্যায়াম ও জীবনযাত্রা: নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা কিডনি ভালো রাখতে সহায়ক।
৫. চিকিৎসা পদ্ধতি:

ডায়ালাইসিস: কিডনি কাজ না করলে ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে রক্ত পরিশোধন করা হয়।

কিডনি প্রতিস্থাপন: কিডনি পুরোপুরি অকেজো হলে প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হয়।

গবেষণার অগ্রগতি

বর্তমানে কিডনি রোগের জিনগত কারণ এবং স্টেম সেল থেরাপি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। ন্যানো-মেডিসিন ব্যবহার করে কিডনি টিস্যুর পুনরুদ্ধার এবং কার্যক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিরোধ

১. ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
২. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
৩. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার।
৪. রাসায়নিক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলা।

উপসংহার
কিডনি রোগ দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা করলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

21/01/2025

ডায়াবেটিস: একটি গবেষণামূলক বিশ্লেষণ

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী মেটাবলিক রোগ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এটি মূলত ইনসুলিন উৎপাদন বা এর কার্যকারিতার ত্রুটির কারণে ঘটে। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে। এই রোগটি বর্তমানে তিন ধরনের দেখা যায়: টাইপ ১, টাইপ ২ এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।

ডায়াবেটিসের কারণ
১. টাইপ ১ ডায়াবেটিস: এটি একটি অটোইমিউন রোগ। শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন-উৎপাদক কোষগুলোকে ধ্বংস করে, ফলে ইনসুলিনের অভাব দেখা দেয়। ২. টাইপ ২ ডায়াবেটিস: এটি মূলত জীবনধারা ও জিনগত কারণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং ইনসুলিন উৎপাদনের ঘাটতির জন্য ঘটে। ৩. গর্ভকালীন ডায়াবেটিস: গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের ডায়াবেটিস দেখা দেয়।

গবেষণার বর্তমান অবস্থা
ডায়াবেটিস সম্পর্কিত গবেষণাগুলো মূলত দুটি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীভূত: ১. প্রতিরোধমূলক গবেষণা: ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য জীবনধারার পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। কম চিনি ও কম চর্বিযুক্ত খাবারের প্রভাব এবং শারীরিক ব্যায়ামের গুরুত্বকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। ২. চিকিৎসা গবেষণা: ইনসুলিন থেরাপির উন্নতি, কৃত্রিম প্যানক্রিয়াস, এবং নতুন ওষুধের উন্নয়নে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে। জিন থেরাপি এবং স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিরাময়ের সম্ভাবনাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস (কম শর্করা এবং উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ)
নিয়মিত ব্যায়াম
ওজন নিয়ন্ত্রণ
রক্তে শর্করার নিয়মিত পরীক্ষা
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন বা ওষুধ সেবন
উপসংহার
ডায়াবেটিস এখন বিশ্বব্যাপী একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। রোগটির উন্নত চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের জন্য গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। জীবনধারার পরিবর্তন এবং চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নয়ন রোগটি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিরোধের পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Radio Aslan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Radio Aslan:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share