21/05/2025
লোকেরা বলে ‘ট্রাস্ট বানাতে সময় লাগে’, কিন্তু সত্যি হলো ট্রাস্ট ভাঙে এক সেকেন্ডেই। আপনি সেই মুহূর্তটার জন্য প্রস্তুত তো?
ট্রাস্ট গড়ে তোলা কোনো মেথড ফলো করার বিষয় নয়। এটা একটা ‘নিমিষ’ তৈরি করার খেলা যেখানে একজন অচেনা মানুষ, আপনার প্রতি এমন এক অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি নেয়, যা লজিক দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। এবং সেই মুহূর্তটাই ব্র্যান্ডিং-এর আসল সূচনা।
বেশিরভাগ ব্র্যান্ড ট্রাস্ট বানাতে চায় প্রোডাক্ট দিয়ে, অথচ মানুষ বিশ্বাস করে ইমোশন দিয়ে। এখানেই অনেকেই হেরে যায়। আপনি হয়তো ঠিক জানেন না যে একজন অপরিচিত মানুষকে কীভাবে এমন অনুভব দিতে হয়, যা সে “বিশ্বাস” বলে ধরে নেয়।
আর এই সমস্যা থেকেই মুক্তির উপায় খুঁজে পেতে Design Octa পেজের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যেখানে ভেঙে বলা হয়ে থাকে কীভাবে একজন Brander মানুষের ভেতরের গল্পে ঢুকে বিশ্বাস তৈরি করে, এছাড়াও এই পেজে আপনি জেনে নিতে পারবেন- একজন সাধারণ শ্রোতার মনের ভেতর কেমন ধরণের প্রশ্ন তৈরি করতে হয়, যার উত্তর সে খুঁজে পায় কেবল আপনার ব্র্যান্ডেই।
এখন চলুন বুঝে নেই, ট্রাস্ট আসলে কাজ করে কীভাবে:
১. Vulnerability First, Authority Later
আপনি যদি সবসময় পারফেক্ট দেখাতে চান, মানুষ ভাববে আপনি কিছু লুকাচ্ছেন। অথচ আপনি যদি প্রথমেই বলেন, “হ্যাঁ, এই বিষয়ে আমরাও একসময় ভুল করেছিলাম”, তখনই শুরু হয় রিয়েল কানেকশন। মানুষ অগোচরেই আপনার দিকেই ঝুঁকে পড়ে।
২. Micro-Yes Strategy
অনেক বড় কথা বলে কাউকে বোঝানো যায় না। বরং ছোট ছোট ‘হ্যাঁ’ পাওয়াটাই আসল। আপনি যখন এমন কিছু বলেন বা দেখান যা তাদের মনের ভেতরের কথা, তখন তারা মাথা নাড়িয়ে নেয়, ‘ঠিক এইটাই তো আমি ভাবছিলাম’। প্রতিটি মাথা নাড়ানো মানে একটি করে মাইক্রো-ট্রাস্ট গড়ে ওঠা।
৩. The Reverse Testimonial
মানুষ যতটা না আপনার সফল ক্লায়েন্ট দেখে, তার চেয়ে বেশি কনভার্ট হয় যখন দেখে কেউ আপনাকে রিজেক্ট করেছিল, পরে ফিরে এসেছে। আপনি যদি দেখাতে পারেন যে “কেউ বিশ্বাস করেনি, কিন্তু পরে তার জীবন বদলেছে”, তবে ওই মানুষগুলোর ভেতরেই সবচেয়ে গভীর বিশ্বাস তৈরি হয়।
৪. The Memory Hack
ট্রাস্ট তখনই গভীর হয়, যখন আপনি কোনো এক পুরনো স্মৃতিকে ছুঁয়ে দেন। ব্র্যান্ড হিসেবে আপনি যদি কোনো scent, কোনো পুরনো ভয়, কোনো স্বপ্নের অনুভব ফিরিয়ে আনতে পারেন, তবেই মানুষ আপনাকে শুধু মনে রাখবে না, আপনাকে মনে করবে। ট্রাস্ট কোনো ট্রিক নয়, ট্রাস্ট হচ্ছে এমন এক অনুভূতি, যেটা মানুষ ‘চায়’ বিশ্বাস করতে শুধু তারা নিশ্চিত হতে চায়, আপনি বিশ্বাসের উপযুক্ত কি না।
আপনার কাজ, তাদের সেই ইচ্ছেকে সম্মান দেওয়া। তারপর... তারা বাকি কাজটা নিজেরাই করে।