
27/08/2025
🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻
স্বরূপকাঠীর দুর্গাকাঠীর শংকর ব্যাপারীর ৩৪০ অথবা ৩০২ ফুট বিদ্যুৎ টাওয়ারে ওঠার ঘটনাটি নিছক কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি আমাদের জাতীয় উদাসীনতার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে,বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো কতটা অরক্ষিত।
আজ শংকর ব্যাপারী বিদ্যুৎ টাওয়ারে উঠেছেন, কাল অন্য কেউ হয়তো পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল বা পায়রা সমুদ্রবন্দরের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এমন কিছু করবে, যা থেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই গাফিলতি শুধু প্রাণহানির ঝুঁকিই বাড়ায় না, বরং জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও এক বিরাট হুমকি।
প্রশাসনের কাছে বিনীত আবেদন, এই ঘটনাকে কেবল একজন ব্যক্তির পাগলামি হিসেবে না দেখে, বরং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি জরুরি সতর্কতা হিসেবে বিবেচনা করুন। দেশের প্রতিটি বিদ্যুৎ টাওয়ার, গ্যাস পাইপলাইন, সেতু, রেলওয়ে, সরকারি অফিস ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। কাঁটাতারের বেড়া, সিসিটিভি ক্যামেরা ও প্রশিক্ষিত প্রহরীর ব্যবস্থা করুন।
একটি জাতির উন্নয়ন শুধু বড় বড় প্রকল্প আর অবকাঠামোতে সীমাবদ্ধ নয়, এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও উন্নয়নেরই অংশ। তাই, এই বিষয়ে কোনো আপস নয়। অবহেলা মানেই জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা,তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।
২৬-০৮-২০২৫