Green Channel24

  • Home
  • Green Channel24

Green Channel24 M.Rahman. Editor Green Channel24. Dhaka Bangladesh

21/05/2025

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী 'তাওয়াক্কুল
কারমান হিজাব সম্পর্কে উত্তর
মানুষকে করেছে মুগ্ধ...........................................,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বিশেষ সংবাদদাতা: "শান্তিতে নোবেল বিজয়ী 'তাওয়াক্কুল কারমান'- কে হিজাব পরা সম্পর্কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি উত্তর দিলেন সুন্দরভাবে পরিষ্কার ভাষায়, যা পৃথিবীর সভ্য মানুষকে করেছে মুগ্ধ।
তাঁর উত্তরটা ছিল এরকম:
"আদিকালে মানুষ প্রায় নগ্ন ছিল এবং মানুষের বুদ্ধির বিকাশের সাথে সাথে সে পোশাক পরতে শুরু করে।
"আমি আজ যে অবস্থানে আছি এবং আমি যা পরেছি তা মানুষের উচ্চতর চিন্তা ও সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে, যা মানুষ অনেক বছর সাধনা করে অর্জন করেছে। এটি পশ্চাদমুখিতা নয়; বরং পোশাকের অপসারণ করাই পশ্চাদমুখিতা এবং প্রাচীন যুগের অসভ্য আচরণে আবার ফিরে যাওয়া।"
সভ্যতা মানে শুধু আধুনিক পোশাক নয়, বরং মর্যাদা, আত্মসংযম আর নিজের বিশ্বাসকে সম্মানের সাথে ধারণ করা। নিজের শালীনতা রক্ষা করে এগিয়ে যাওয়া; আর উল্টোটা হলো পশ্চাৎপদতায় ফেরা।
তিনি হিজাব পরাকে কেবল একটি ব্যক্তিগত, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক চেতনার প্রকাশ হিসেবেই উপস্থাপন করেননি, বরং একটি মানুষ কতটা সভ্য ও চিন্তাশীল হতে পেরেছে—তার একটি প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন।
যারা পোশাকের স্বাধীনতার কথা বলে এবং সেই সাথে বলে পোশাকের স্বাধীনতা তাদের সভ্যতা ও আভিজাত্যের প্রতীক। তারা তাওয়াক্কুল কারমান এর বলা এই গুটিকয়েক শব্দ, বাক্য নিয়ে চিন্তা করলেই উত্তর পেয়ে যাবে যে, আসলে পোশাকের স্বাধীনতা তাদের সভ্য করছে নাকি সভ্যতার নামে আদিকালের সেই নগ্নতায় তাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে।

টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিয়ান ইমনের  সবলতা আর দুর্বলতা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,...
20/05/2025

টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের
দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক
সেঞ্চুরিয়ান ইমনের
সবলতা আর দুর্বলতা
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বিবিসি নিউজ বাংলা : পারভেজ হোসেন ইমনের শতকে ভর করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু দুই ম্যাচের এই সিরিজের ম্যাচ জয়ের চেয়েও আলোচনায় এসেছে ইমনের এই শতক।
কারণ আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে শতক বাংলাদেশের জন্য বিরল ঘটনা।
একটি টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৯ টি ছক্কা যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কেউই এর আগে পারেননি। ৫৩ বলে সেঞ্চুরি- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত মাত্র একটি সেঞ্চুরি ছিল তামিম ইকবালের ৬০ বলে ১০০, এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এবং এটিই এখন দ্রুততম শতক।
পারভেজ হোসেন ইমনের বাড়ি নোয়াখালী হলেও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে তামিম ইকবালের শহরে তামিম ইকবালকে অনুকরণ এবং অনুসরণ করেই বড় হয়েছেন এই ওপেনার।

কে এই ইমন?.......................................
মাত্র নিজের অষ্টম ম্যাচেই একটা ছাপ রেখে গেলেন পারভেজ হোসেন ইমন।
তবে তার এটা প্রথম টি-২০ শতক না, পারভেজ হোসেন ইমন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করেন ২০২০ সালের ৮ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে।
ফরচুন বরিশালের হয়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, যা বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এই ইনিংসে তিনি ১০টি চার ও ৭টি ছক্কা মেরেছিলেন।
০২১৯ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে লিস্ট 'এ' ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেকের মাধ্যমে পেশাদার ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন ।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ওয়ানডে লিগ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২০২৪ সালে ৬ ম্যাচের ব্যবধানে তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন।
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লীগেও ইমন ১০০ স্ট্রাইক রেট ও ৬১ গড়ে ব্যাট করে ৭৯৮ রান তোলেন। তার দল আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন এই তরুণ ব্যাটার।
২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ইমন।
তিনি ছয় ম্যাচে ৩৩.২০ গড়ে ১৬৬ রান করেন, যার মধ্যে ফাইনালে ৪৭ রানের ইনিংস ছিল উল্লেখযোগ্য ।
২০২২ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ইমন। এরপর থেকে তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ বিভিন্ন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন।
ইমনের ব্যাটিং স্টাইল আগ্রাসী ও আত্মবিশ্বাসী, যা তাকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটের অন্যতম সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার সাম্প্রতিক সাফল্য দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কী বলছেন ইমন?...................................................................
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শতক হাঁকানোর পর ইমন নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যমে, "আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে। সেঞ্চুরি হয়েছে আজ। তাই ড্রেসিংরুমে আসার পর আমার মনে পড়েছে তামিম ভাইয়ের প্রথম সেঞ্চুরি ছিল। আমার এটা দ্বিতীয় ছিল।"
বিশেষ করে তামিম ইকবালের পরেই তার নাম এসেছে এতে ইমন খুশি।
ইমন বলেন, "তামিম ভাইকে ছোট বেলা থেকে ফলো করতাম, উনার খেলা দেখতাম"।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা ইমনের শতক সহজ ছিল না, বাংলাদেশের উইকেট পড়ছিল এক পাশ থেকে, তবে তাওহীদ হৃদয়ের সাথে ৫৮ রানের জুটিতে বাংলাদেশ একটা নির্ভরযোগ্য সংগ্রহের দিকে আগায়।
ইমন বলেন, উইকেট যখন পড়ছিল, তখন নিজের ইনটেন্ট না বদলানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।
"আমার যে শক্তির জায়গা, সেটার জন্য সব সময় অপেক্ষা করছিলাম। তবে এটাও মাথায় ছিল যে খেলাটা বড় করতে হবে। এক প্রান্ত থেকে উইকেট পড়ছে। আমাকে ইনিংস বড় করতে হবে। তাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত পেরেছি।"
এর মাঝে ইনিংসের অষ্টম ওভারেই ৩ ছক্কা হাঁকান ইমন।

ইমনের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা কোথায়..................................................................................
বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেট সাংবাদিক এম এম কায়সার বলেন, "প্রতিপক্ষ যেই হোক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতক একটা আত্মবিশ্বাস জোগাবেই।"
এটাকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের একটা নতুন শুরু কথা বলছেন মি. কায়সার।
"টি২০ ক্রিকেটে রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জেতা যাবে না, পারভেজের মধ্যে অ্যাটাকিং অ্যাপ্রোচ আছে, এই ফরম্যাটে আমি মনে করি, কেউ পাঁচ ম্যাচ খারাপ খেললেই তাকে খারিজ করে দেয়া উচিৎ না, তার সামর্থ্য আছে রান আপনি পাবেনই তার থেকে, এখানে আলাদা ব্র্যান্ডের ক্রিকেট প্রয়োজন।"
বাংলাদেশের ক্রিকেট বিশ্লেষক সৈয়দ আবিদ হোসেইন সামির ব্যাট ধরার স্টাইল নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন ইমনের ব্যাট ধরার স্টাইলটা প্রশংসনীয়, আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাট সুইংটা যথাযথ করার জন্য এইভাবে ব্যাট ধরার যথার্থতা প্রয়োজন।
"পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট সুইং বেশ শক্তিশালী কারণ তিনি ব্যাট রাখেন দ্বিতীয় উরুর কাছে, এতে করে জোরের সাথে শট খেলতে পারেন তিনি," নিজের বিশ্লেষণে বলেন আবিদ হোসেইন সামি।
এটাকে বাংলাদেশে টি-২০ ক্রিকেটের নতুন আসার আলো বলছেন বাংলাদেশের প্রথম বিভাগ লীগের এই ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক।
কারণ বাংলাদেশে টি-২০ ক্রিকেটের সাথে মানিয়ে নেয়া ক্রিকেটটা সাধারণত খেলতে দেখা যায় না বলছেন মি. সামি।
একই সাথে তিনি পারভেজ হোসেন ইমনের দুর্বলতার জায়গা হিসেবে উল্লেখ করেছেন শর্ট বল খেলার অস্বস্তিকে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এই ম্যাচের বিশ্লেষণ করে সৈয়দ আবিদ হোসেইন সামি বিবিসিকে বলেন, "আরব আমিরাতের বোলাররা পারভেজ হোসেন ইমনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি, তার যে শক্তির জায়গা ফুল লেন্থেই বল করে গেছেন তারা"।
ইমনের দুর্বলতার জায়গা শর্ট লেন্থের বল, যেখানে তেমন বল করেনি আরব আমিরাতের বোলাররা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ধারাভাষ্যকার সামি বিপিএলে ইমনের ব্যাটিং-এর কথা মনে করিয়ে বলেন, ইমনকে পেছনের লেন্থের বল বেশ অস্বস্তিতে ফেলতে পারে, তাই ইমনের এই শতকে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার জায়গা নাই বলছেন এই বিশ্লেষক।
গায়ের কাছাকাছি পেছনের লেন্থের বলে ইমনের খেলতে কষ্ট হয়, যেটা আরব আমিরাতের বোলাররা নিয়মিত বল করতে পারেননি।

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে  চীন বিজয়ী হয়েছে!...................,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,...
20/05/2025

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে
চীন বিজয়ী হয়েছে!...................
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বিবিসি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
'চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী' ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সংঘর্ষ শেষ হয়েছে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এবং দুই দেশই দাবি করেছে যে 'তারাই জয়ী' হয়েছে।
কিন্তু দুই পক্ষের এই সংঘর্ষে আলোচনার বাইরে থেকে চীনের প্রতিরক্ষা শিল্পখাতেরও বড় জয় হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
গত মাসের ২২ তারিখে পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। এর জবাবে সাতই মে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে 'সন্ত্রাসী অবকাঠামোগুলোর' উপর হামলা শুরু করে ভারত ।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের মনোরম উপত্যকায় যাদের নিশানা করা হয়েছিল, তাদের অনেককে স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের সামনে হত্যা করা হয়। দিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত 'সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে' সমর্থন করার অভিযোগ এনেছে, যদিও পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করে।
'সন্ত্রাসী হামলার' জবাবে ভারত পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা এই অভিযানের নামকরণ করে 'অপারেশন সিন্দুর'। এরপর উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে 'টিট-ফর-ট্যাট' (আঘাতের জবাবে পাল্টা আঘাত) জাতীয় সামরিক হামলা চালায়। এই সংঘর্ষে ব্যবহার করা হয় ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান।
ফ্রান্স এবং রাশিয়ান তৈরি জেট ভারত ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে, অন্যদিকে পাকিস্তান বেইজিংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি তাদের জে-১০ এবং জে-১৭ বিমান ব্যবহার করে।
পাকিস্তান দাবি করেছে তারা একাধিক ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে।
ভারত ও পাকিস্তান দুই পক্ষই জানিয়েছে, তাদের বিমান সীমান্ত অতিক্রম করেনি এবং দূর থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে।
এরই মাঝে ইসলামাবাদ দাবি করে তাদের যুদ্ধবিমান কমপক্ষে ছয়টা ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে ফ্রান্স-নির্মিত রাফায়েল যুদ্ধবিমানও রয়েছে। পাকিস্তানের তরফে এই দাবির বিষয়ে ভারত কোনও জবাব দেয়নি।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ার মার্শাল একে ভারতী গত সপ্তাহে এই দাবি সংক্রান্ত একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, "ক্ষয়ক্ষতি কম্ব্যাটের (সংঘর্ষের) একটা অংশ।"
পাকিস্তানের তরফে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার সুনির্দিষ্ট দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি এয়ার মার্শাল একে ভারতী।
তিনি বলেছিলেন, "আমরা যে সমস্ত লক্ষ্যগুলোকে বেছে নিয়েছিলাম, সেই নিশানা আমরা অর্জন করেছি এবং আমাদের সমস্ত পাইলট দেশে ফিরে এসেছেন।"
ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের মতো 'সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর' সদর দফতরে হামলা চালিয়ে তারা অন্তত '১০০জন সন্ত্রাসীকে' হত্যা করেছে।
আকাশপথে চালানো দুই পক্ষের এই হামলায় আসলে কী ঘটেছিল তার কোনও নির্দিষ্ট বিবরণ এখনও প্রকাশিত হয়নি। গণমাধ্যমে পাঞ্জাব এবং ভারত শাসিত কাশ্মীরে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার কথা প্রকাশ পেলেও ভারত সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইনস্টাগ্রামে বিবিসি বাংলা ফলো করতে ক্লিক/ট্যাপ করুন এখানে
মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করতে পাকিস্তান এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র) ছুঁড়তে সম্ভবত চীনের তৈরি জে-১০ বিমান ব্যবহার করেছে।
সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষে চীনা অস্ত্র ব্যবস্থার উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে পাকিস্তানের এই 'জয়ের' দাবিকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা শিল্পের ব্যাপক উন্নতি বলে মনে করছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার এই দাবির সঙ্গে একমত নন।
কিছু বিশেষজ্ঞ আবার একে চীনা অস্ত্র শিল্পের জন্য 'ডিপসিক মোমেন্ট' বলে অভিহিত করেছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চীনা এআই স্টার্ট-আপ ডিপসিক তাদের কস্টএফেক্টিভ (ব্যাপক খরচ না করে ভাল ফলাফল পাওয়া গিয়েছে) প্রযুক্তি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয়দের 'কাঁপিয়ে' দিয়েছিল।
চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র কর্নেল ঝাও বো বিবিসিকে বলেছেন, "ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক আকাশ যুদ্ধ চীনা অস্ত্র শিল্পের জন্য একটা বড়সড় বিজ্ঞাপন ছিল। এতদিন চীনের কাছে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে তাদের তৈরি প্ল্যাটফর্ম কেমন কাজ করে, সেটা পরীক্ষা করে দেখার কোনও সুযোগ ছিল না।"
বেইজিংভিত্তিক এই বিশ্লেষক জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে আকাশের লড়াই দেখিয়ে দিয়েছে যে "চীনের এমন কিছু ব্যবস্থা আছে যেমনটা অন্য কারও নেই।"
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পর জে-১০-এর মতো যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী চীনের অ্যাভিক চেংদু এয়ারক্রাফট কোম্পানির শেয়ারের দাম গত সপ্তাহে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, চীনের অস্ত্র শিল্পের জন্য 'শ্রেষ্ঠত্ব' ঘোষণা করার সময় এখনও আসেনি।
লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক ওয়াল্টার ল্যাডউইগের মতে, চীনা যুদ্ধবিমান সত্যিই ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান, বিশেষত রাফালকে টেক্কা দিতে পেরেছে কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তার কথায়, "আদর্শ সামরিক কৌশল বিবেচনা করলে, আগে শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধংস করে দিতে হবে, এবং স্থলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার আগেই আকাশে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিন্তু এখানে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে পাল্টা হামলার জন্য উস্কে দেওয়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর লক্ষ্য ছিলনা বলেই মনে হয়েছে।''
মি. লাডউইগ মনে করেন যে পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের 'উচ্চ সতর্কাতায়' থাকা অবস্থায় এবং তাদের জেটগুলো ইতিমধ্যে আকাশে থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় পাইলটদের 'ওড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল'। তবে ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের অভিযান বা কৌশল সম্পর্কে বিশদে জানায়নি।
এদিকে, বেইজিংও কিন্তু জে-১০ ব্যবহার করে রাফাল-সহ ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার খবর নিয়েও কোনও মন্তব্য করেনি। তবে অসমর্থিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জে-১০ ব্যবহার করে একটা 'পশ্চিমা অস্ত্র শক্তি' (রাফালকে ইঙ্গিত করে) ভূপাতিত করা নিয়ে চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক উল্লাস শুরু হয়েছে।
ভেরোনার ইন্টারন্যাশনাল টিম ফর দ্য স্টাডি অফ সিকিউরিটির চীন বিষয়ক গবেষক কার্লোটা রিনাউডো জানিয়েছেন, চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জাতীয়তাবাদী বার্তায় ভরে গেছে, যদিও যেটুকু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা দিয়ে কোনও রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছানোটা কঠিন।
তিনি বিবিসিকে বলেছেন, "এই মুহূর্তে বাস্তবতার তুলনায় মানুষের ধারণা বা মনোভাবের বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি বিষয়টাকে সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখি, তাহলে এখানে আসলে বিজয়ী হচ্ছে চীন।"
চীনের কাছে পাকিস্তান কৌশলগত ও অর্থনৈতিক মিত্র। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের অংশ হিসেবে পাকিস্তানে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ৫০ বিলিয়ন (পাঁচ হাজার কোটি) ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে চীন।
তাই পাকিস্তান 'দুর্বল' হয়ে পড়লে তা চীনের 'স্বার্থের জন্য ভাল নয়।'
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলেন, "সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে চীন একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এটা ভারতের নীতিনির্ধারকদের বিস্মিত করেছে।"
"আধুনিক যুদ্ধ ইস্যুতে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা যে কতটা গভীর, সেটি তারা সম্ভবত কল্পনাও করেননি।"
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে চীনা জেটের সক্ষমতা পশ্চিমা দেশগুলোতে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে কারণ এটা বিশ্বব্যাপী অস্ত্র বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক দেশ এবং এই তালিকায় চীন চতুর্থ।
মূলত মিয়ানমার ও পাকিস্তানের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি করে চীন। এর আগে, চীনা অস্ত্র তাদের 'নিম্নমান' এবং 'প্রযুক্তিগত সমস্যার' জন্য সমালোচিত হয়েছে।
কারিগরি ত্রুটির কারণে ২০২২ সালে মিয়ানমার বিমান বাহিনীর বহরের অন্তর্ভূক্ত চীন ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি বেশ কয়েকটা জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিকতম অভিযানের পর কলকাতায় রাস্তায় বিজেপির র‍্যালি।ছবির উৎস,NurPhoto via Getty Images
ছবির ক্যাপশান,পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানের পর কলকাতায় রাস্তায় বিজেপির র‍্যালি।
আরেকটা লক্ষণীয় বিষয় হল, পাকিস্তানের কাছে ভারতের বিমান 'খোয়ানোর' ঘটনা এই প্রথম নয়।
এর আগে, ২০১৯ সালে পাকিস্তানে সন্দেহভাজন 'সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে' ভারতীয় বিমান হামলার পরে উভয় পক্ষের মধ্যে একটা সংক্ষিপ্ত আকাশ যুদ্ধের সময়, রাশিয়ার তৈরি একটা মিগ -২১ জেটকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভিতরে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল এবং পাইলটকে আটক করা হয়েছিল। কয়েকদিন পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভারত অবশ্য বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ সহ পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান সফলভাবে ভূপাতিত করার পর ওই পাইলট বিমান থেকে 'অটো ইজেক্ট'-এর মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছিলেন। অন্যদিকে, পাকিস্তান সেই দাবি অস্বীকার করে।
ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর সত্ত্বেও মি. লাডউইগের মতো বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, দশই মে ভোরের দিকে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে 'বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুতে' আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলছেন, এই তথ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খুব একটা আসেনি।
ভারতীয় সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক সদর দফতরের অদূরে রাওয়ালপিন্ডির বাইরে কৌশলগত নূর খান বিমান ঘাঁটিসহ দেশের ১১টা পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটিতে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এটা একটা স্পর্শকাতর লক্ষ্যবস্তু যা ইসলামাবাদকে হতবাক করে দিয়েছে।
সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে একটা ছিল করাচি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভোলারিতে।
মি. লাডউইগ মনে করেন এইবার আইএএফ 'স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিওর' বা প্রচলিত নিয়মকানুন মেনে কাজ করেছে- প্রথমে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডার সিস্টেমে হামলা চালিয়েছে এবং তারপর স্থলে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করা মনোযোগ দিয়েছে।
পাকিস্তানিরা চীনের সরবরাহ করা 'এইচকিউ ৯' আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করা সত্ত্বেও ভারতীয় বিমানগুলো প্রচুর পরিমাণে ক্ষেপণাস্ত্র, লয়টারিং মিউনিশন এবং ড্রোন ব্যবহার করেছে।

"ভারত বেশ সুনির্দিষ্ট এবং নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে বলেই মনে হয়েছে। রানওয়ের মাঝখানে হামলায় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা একেবারে আদর্শ জায়গা। যদি এই সংঘর্ষ দীর্ঘমেয়াদি হতো, তাহলে এই সমস্ত স্থাপনা চালু করতে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর কত সময় লাগত, আমি বলতে পারব না।"
তবে তিনি মনে করেন , ওই অভিযান সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিতে রাজি না হয়ে ভারতের সামরিক বাহিনী এ সংক্রান্ত গল্পগুজবের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তানের ‘জয়’ দাবি করে পাকিস্তান পিপল পার্টির উদযাপন। ছবির উৎস,AFP via Getty Images
ছবির ক্যাপশান,সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তানের 'জয়' দাবি করে পাকিস্তান পিপল পার্টির উদযাপন।
পাকিস্তান বলেছে ভারতের হামলার জবাবে তারা বেশ কয়েকটা ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে দিল্লি জানিয়েছে যে ওই হামলায় কোনও সরঞ্জাম ও কর্মীদের ক্ষতি হয়নি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা 'হস্তক্ষেপ' করে এবং যুদ্ধ বন্ধের জন্য উভয় দেশের ওপর 'চাপ সৃষ্টি করে'।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের জন্য পুরো ঘটনাটা একটা 'সতর্ক বার্তার' মতো।
এর কারণ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ নিয়ে বেইজিং বিস্তারিত কোনও মন্তব্য না করলেও, চীন এটা দেখাতে আগ্রহী যে তাদের অস্ত্র পশ্চিমাদের তৈরি অস্ত্রে সাথে 'পাল্লা দিতে পারছে'।
এদিকে, দিল্লি ভালভাবেই জানে পাকিস্তানকে যে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছে চীন, সেগুলো পুরনো মডেলের। বেইজিং ইতিমধ্যেই আরও উন্নত জে-২০ স্টিলথ ফাইটার জেট অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে।
ভারত ও চীনের মধ্যে হিমালয় অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে এবং ১৯৬২ সালে একটা সংক্ষিপ্ত সীমান্ত যুদ্ধ হয়েছিল যেখানে ভারতের পরাজয় হয়। এদিকে, ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখে দুই দেশের মধ্যে একটা সংক্ষিপ্ত সীমান্ত সংঘর্ষ দেখা গিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত কিন্তু বেশ ভালভাবেই সচেতন যে তাদের দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগ দ্রুত শুরু করা দরকার। একই সঙ্গে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রয়ের গতিও বাড়ানো দরকার।
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের চীনের বিমানের 'সাফল্য' নিয়ে দাবি ওঠার পর চীনা প্রতিরক্ষা শিল্প আপাতত 'লাইমলাইট'-এ চলে এসেছে।

জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি: নুসরাত ফারিয়া.......................................................,,,,,,,,,,,,,,...
20/05/2025

জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময়
পার করেছি: নুসরাত
ফারিয়া.......................................................
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বিনোদন প্রতিবেদক : কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। মা ফেরদৌসী বেগমের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। রবিবারের ঘটনা। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিনেত্রী নুসরত ফারিয়াকে। অবশেষে নায়িকার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মঙ্গলবার সকালে এই আদেশ দেয়। নায়িকার আইনজীবী মহম্মদ ইফতেখার হোসেন জামিনের কথা জানিয়েছেন। বাসায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি এই দুইটা দিন। মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলাম।’
সোমবার বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছিল নায়িকাকে। ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুসারে মঙ্গলবার সকালেই জামিনের আবেদন করেছিলেন অভিনেত্রী। শুনানির পর তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। শুনানির সময় নুসরতের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যে সময়ের ঘটনা উল্লেখ করে অভিযুক্ত করা হয়েছে নুসরতকে, সে সময় দেশেই ছিলেন না অভিনেত্রী। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে সমস্ত নথি প্রমাণ জমা দিয়েছেন আইনজীবী। তার পরেই অভিনেত্রীর জামিন মঞ্জুর করা হয়।
সোমবার সকাল ১০টার পর জেল হেফাজত থেকে নায়িকাকে আদালতে তোলা হয়। তাঁর মাথায় ছিল পুলিশের হেলমেট, পরনে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। মহিলা পুলিশের কড়া পাহারায় আদালতে তোলা হয় নুসরতকে।
‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতকক্ষে দেওয়ালের দিকে মুখ করে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন নায়িকা। পরে এক আইনজীবী অভিনেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পরে অভিনেত্রীকে ইশারায় কথা বলতে দেখা যায়। তখনই এজলাসে আসেন বিচারক সারাহ ফারজানা হক। শুনানিতে নায়িকার আইনজীবীর দাবি, খুনের ওই ঘটনার সময় নুসরত দেশে ছিলেন না। এই মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন গত বছর ১৯ জুলাই ঢাকার ভাটারা অঞ্চলে গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক নামের ব্যক্তি। গত ৩ মে ওই ব্যক্তি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মামলার বয়ান রেকর্ড করা হয়। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে অভিনেত্রীর কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি।

ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী সিনেপ্রেমী দর্শকদের স্বপনচারিনী................................,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,...
20/05/2025

ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী সিনেপ্রেমী
দর্শকদের স্বপনচারিনী................................
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বিনোদন প্রতিবেদক : ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী সিনেপ্রেমী দর্শকদের স্বপনচারিনী। নানা ধরণের চরিত্রে অভিনেত্রীকে দেখেছে দর্শক। কখনও সীতা ওউর গীতা কখনও আবার শোলে ছবির বসন্তী। কখনও রাজিয়া সুলতানা তো কখনও মীরা বাই। গ্রামের মেয়ে থেকে শহুরে চটকদার নারী, সবেতেই সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন হেমা। কর্ম জীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবন সবেতেই তিনি চর্চিত হয়েছেন।
বলিউডের অন্দরের খবর, সিনেমার সেটে তিনি এতোটাই চুপচাপ থাকতেন, যে তাঁর সহকর্মীরা কথা বলতে আসতেই ভয় পেতেন। হেমা মালিনীকে নিয়ে সেই সময় সব প্রযোজক পরিচালক কাজ করতে চাইতেন। তবে হেমা নিজের চরিত্র বাছাই করার বিষয়ে খুঁতখুতে ছিলেন। শোনা যায় প্রযোজক প্রেমজি হেমা কে নিয়ে ছবি করতে চাইতে। তবে যতবার নায়িকার কাছে তিনি ছবির প্রস্তাব নিয়ে যেতেন, ততবার প্রেমজি কে ফিরিয়ে দিতেন হেমা। অবশেষে হেমা প্রেমজি কে বলেন, তিনি যদি মীরা বাইকে নিয়ে সিনেমা করেন, তাহলে তিনি ছবি করবেন। এই কথা শোনা মাত্র প্রেমজি গুলজারের কাছে পৌঁছে যান , এবং মীরা বাইকে নিয়ে চিত্রনাট্য লিখতে বলেন। অবশেষে শুরু হল ‘মীরা ‘ র শ্যুট। প্রসঙ্গত মীরা ছবির পরিচালক ছিলেন গুলজার, ছবির সঙ্গীত করেছিলেন রবি শঙ্কর, হেমা মালিনী ছাড়াও এই ছবিতে ছিলেন, বিনোদ খান্না, শম্মি কপুর, আমজাদ খান প্রমুখ।
তবে কিছুদিন শ্যুট এর পরই টাকা পয়সার কারনে সেই ছবির শ্যুট বন্ধ হওয়ার মুখে। সেই কথা হেমা মালিনীর কানে উঠতেই প্রেমজিকে ডেকে পাঠালেন নায়িকা। তিনি বলেন, এই ছবিটি তিনি টাকার জন্য করছেন না। শ্রদ্ধা ভরে যে টাকা দেবেন তিনি হেমাকে, সেই টাকাই নেবেন হেমা। এর পর শীঘ্রই শ্যুট শুরু করতে বলেন। এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৯ সালে। শোনা যায় এই ছবির জন্য হেমা মালিনীকে যে টাকা খামে ভরে দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকা আজও হেমা মালিনী রেখে দিয়েছেন, এটা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। এই ছবি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভক্তির থেকে সিনেমাটি করেছেন।

ভারতীয় ছবির ইতিহাসে পাকিজা’ একটি মাইলস্টোন হয়ে রয়েছে.......................................,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,...
20/05/2025

ভারতীয় ছবির ইতিহাসে পাকিজা’ একটি
মাইলস্টোন হয়ে রয়েছে.......................................
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বিনোদন প্রতিবেদক : ১৯৭২ সালের ছবি ‘পাকিজা’ ভারতীয় ছবির ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন হয়ে রয়েছে। এই ছবিতে মীনা কুমারীর অভিনয় আজও দর্শকদের মনেথেকে গিয়েছে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন কমল আমরোহী । ছবির মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল মীনা কুমারী, রাজ কুমার, অশোক কুমার, নাদিরা প্রমুখ। তবে এই সিনেমার একটি বিখ্যাত গানের দৃশ্যে মীনা কুমারীর বদলে অন্য এক অভিনেত্রীর মুখ ঢেকে দিয়ে অভিনয় করা হয়েছিল। সেই বিখ্যাত গানের কলি হল ‘ চল দিলদার চলো’…।
এই গানের দৃশ্যে যে মহিলাকে দেখা যায় মীনা কুমারীর বেশে, তিনি হলেন, অভিনেত্রী পদ্মা খান্না। যানা যায়, এই ‘পাকিজা’ ছবিটি তৈরি হতে সময় লেগেছিল প্রায় ১৫ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে অসুস্থ ছিলেন মীনা কুমারী। এই গানটির যখন দৃশ্যায়ন হয়, সেই সময়ে মীনা কুমারী খুব অসুস্থ ছিলেন, তাঁর লিভার অফ সিরোসিস হয়েছিল, তিনি এসে শ্যুট করার মত অবস্থায় ছিলেন না। অবশেষে অন্য অভিনেত্রীকে মুখ ঢেকে শ্যুট করা হয়। একবারও এই গানের দৃশ্যে ঘোমটা খোলা অবস্থায় দেখা যায়নি।
যে অভিনেত্রী এই শ্যুট করেছিল, তাঁর নাম পদ্মা খান্না। এই গানটি ছাড়াও আরও একটি গানের নাচের দৃশ্যে মীনা কুমারীর বডি ডবল হিসেবে পদ্মা খান্না কাজ করে। সেই গানের সঙ্গে যে নাচ করার কথা ছিল, সেটা অসুস্থ মীনা কুমারীর পক্ষে করা অসম্ভব ছিল। তাই মীনা কুমারীর ক্লোজ শট নিয়ে পুরো নাচ করেছিলেন পদ্ম খান্না। তবে সেই ছবির দৃশ্য দেখে দর্শকরা বুঝতেই পারেনি। পরবর্তী সময়ে পদ্মা খান্না যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছিলেন নিজের অভিনয় দক্ষতা দেখিয়ে। তবে পাকিজা ছবিতে মীনা কুমারীর সৌন্দর্য্য ও অভিনয় আজও দর্শকদের মে রয়ে গিয়েছে।

তিন রত্ন: শাবনুর, মৌসুমী ও দিতি – রূপালি পর্দার শ্রেষ্ঠীরা..............................................,,,,,,,,,,,,,,,,...
20/05/2025

তিন রত্ন: শাবনুর, মৌসুমী ও দিতি –
রূপালি পর্দার শ্রেষ্ঠীরা..............................................
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বিনোদন প্রতিবেদক :বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে, যাদের ছাড়া আমাদের শৈশব-কৈশোরের সিনেমার স্মৃতিচারণ অসম্পূর্ণ। তাদের মধ্যে অন্যতম তিনজন হলেন শাবনুর, মৌসুমী ও দিতি — তিন রত্ন, তিনটি ভিন্ন আলো।
মৌসুমী ছিলেন নব্বই দশকের কোমলতা আর সৌন্দর্যের প্রতীক। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে যাত্রা শুরু করে খুব দ্রুতই হয়ে উঠেন রোমান্টিক ও পারিবারিক ছবির ভরসার নাম। তার চোখে-মুখে এক ধরনের সারল্য ছিল, যা চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেত নিখুঁতভাবে।
শাবনুর যেন আবেগ আর প্রাণবন্ত অভিনয়ের অন্য নাম। তার হাসি, কান্না, প্রেম-ভরা সংলাপ—সবকিছুতেই ছিল এক ধরনের বাস্তবতা, যা দর্শককে পর্দার চরিত্রের প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য করত। সালমান শাহ-এর সঙ্গে তার জুটি আজও কিংবদন্তি।
আর দিতি, শক্তিমান পার্শ্বচরিত্র কিংবা নেতিবাচক রূপে হোক, তার অভিনয় সবসময় পরিপূর্ণতা দিত সিনেমায়। তাঁর কণ্ঠস্বর, উপস্থিতি ও অভিব্যক্তি দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ ফেলেছে। নায়িকা না হয়েও যেভাবে দিতি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা এক কথায় অনন্য।
তারা তিনজনই ছিলেন সময়ের সেরা। আজকের দিনে যখন বাংলা সিনেমা নতুন পথ খুঁজছে, তখন তাদের অভিনয়ের সেই নিখুঁততা ও প্যাশনকে মনে পড়াই স্বাভাবিক।
তিনজনের জন্যই হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা। তারা আমাদের সিনেমার গর্ব, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাদের নাম মনে রাখবে ভালোবাসা ও সম্মানের সঙ্গে।

প্রত্যেক মায়ের উচিত বাচ্চাদের সামনে বাবার সম্পর্কে শ্রদ্ধাভাবে কথা বলা.....................................................
20/05/2025

প্রত্যেক মায়ের উচিত বাচ্চাদের সামনে
বাবার সম্পর্কে শ্রদ্ধাভাবে
কথা বলা.............................................................
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : প্রত্যেক মায়ের উচিত তার বাচ্চাদের সামনে বাবার সম্পর্কে এমনভাবে কথা বলা, যেন বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা শিখে নেয় শিশুরা খুব ছোটবেলা থেকেই।
মায়ের বলা উচিৎ “বাচ্চারা, যখন তোমাদের বাবা বাসায় ফিরবে, তখন সবাই মিলে হাসিমুখে এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরো। বলো, ‘আমরা তোমায় ভালোবাসি।’
তোমাদের বাবা সারাদিন রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরেন—শুধু তোমাদের মুখে হাসি দেখার আশায়। তিনি হয়তো বলেন না, চোখে জল রাখেন না, কিন্তু তার নিঃশব্দ প্রতিটি মুহূর্তে—ভালোবাসার স্পর্শ লুকানো থাকে।
বাবারা তাদের ভালোবাসা শব্দে নয়, কাজে প্রকাশ করেন। তোমাদের স্কুল ফি সময়মতো দেওয়া, রাতে না খেয়ে তোমাদের পেট ভরানো, ঘুম ভেঙে তোমাদের ঘুমাতে দেখা— এসবই তাদের না বলা ভালোবাসার ভাষা।
বাবা মানে সেই ছায়া— যিনি নিজের স্বপ্নগুলো একপাশে রেখে তোমাদের ঘরের আলো জ্বালাতে নীরবে লড়ে যান।
তোমরা যদি তাকে একটু ভালোবাসা দাও, একটু হাসিমুখে পাশে থাকো— সেটাই হবে তার সব ক্লান্তির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
বাবা কেবল একজন রোজগার করা মানুষ নয়, তিনি একটি পরিবারের নীরব আশ্রয়, যিনি তার ভালোবাসা লুকিয়ে রাখেন ত্যাগের আড়ালে।

সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জের, তাই রানির সঙ্গে অন্যায় করেছিলেন আমির.............................................................
20/05/2025

সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জের, তাই রানির সঙ্গে
অন্যায় করেছিলেন আমির...........................................................................................................................................

বিনোদন প্রতিবেদক : রিনার বলিপাড়ায় রানি মুখোপাধ্যায় এবং আমির খান জুটি বক্স অফিসে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়েছেন। কিন্তু এত সাফল্যের পরেও নায়িকার সঙ্গে অভিনয় করতে চাননি নায়ক?২১ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল সইফ আলি খান এবং রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ছবি ‘হম তুম’। এত বছর পরেও সেই ছবি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন দর্শক। বিদেশি প্রেক্ষাপট, রোম্যান্টিক গান আর নায়ক-নায়িকার খুনসুটি— সব মিলিয়ে বক্স অফিসে খুবই সাড়া ফেলে এই ছবি। প্রথম ছবিতেই রানি, সইফ সফল জুটির তকমা পায়। তার পর একের পর এক ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন সইফ এবং রানি। কিন্তু জানেন কি রানির বিপরীতে প্রথমে সইফের কাজ করার কথা ছিল না। প্রথমে হৃত্বিক রোশনকে ভাবা হয়েছিল নায়কের চরিত্রে। কিন্তু তিনি রাজি হননি কাজ করতে। তার পর কর্ণের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ফোন যায় আমির খানের কাছে।
বলিউডে রানি, আমির জুটি বরাবরই হিট। তাঁদের ঝুলিতে রয়েছে একগুচ্ছ হিট ছবি সেই সঙ্গে হিট গান। তাই আবারও রানি, আমির জুটিকে ফেরানোর পরিকল্পনা করেছিল প্রযোজক সংস্থা। কিন্তু কেন রানির বিপরীতে কাজ করতে রাজি হলেন না আমির? না, সিনেমার কাস্ট বা প্রযোজনা সংস্থা নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না অভিনেতার। সে সময় ভয়ঙ্কর সময় পার করছিলেন অভিনেতা। তাই ‘হম তুম’ ছবিতে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নেন আমির।
ব্যক্তিগত জীবন ঠিক না থাকলে পেশাগত জীবনে তার প্রভাব পড়ে। অনেকেই নিজেদের জীবন দু’ভাগে ভাগ করতে পারেন না। তখনই হয় সমস্যা। সে সময় রিনা দত্তের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেতা। সবাই জানে, সেই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। তার পরেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সে সময় রিনার সঙ্গে একটি ভয়ঙ্কর খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন আমির। তাই ‘হম তুম’-এর চিত্রনাট্য শোনার আগেই ‘না’ করে দিয়েছিলেন আমির। তার পরেই কর্ণ চরিত্রের জন্য সইফকে বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক।

বাংলা চলচ্চিত্রের গোল্ডেন গার্লঅভিনেত্রি রেশমা---------------------------------------------------মেসবা খান : মনে আছে প্র...
20/05/2025

বাংলা চলচ্চিত্রের গোল্ডেন গার্ল
অভিনেত্রি রেশমা
---------------------------------------------------

মেসবা খান : মনে আছে প্রিয় পাঠক, ষাট ও সত্তর দশকের রূপালি পর্দার সেই রেশমার কথা?
তাঁর পুরো নাম আজমেরী জামান রেশমা। তিনি ছিলেন একসময়ের ঢাকার উর্দু ও বাংলা চলচ্চিত্রের ডাকসাইটে নায়িকা। পিতা ছিলেন মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী আমির হোসেন।
তাঁর স্বামী জামান আলী খান ছিলেন তৎকালীন পিটিভি ঢাকা কেন্দ্রের মহাপরিচালক। ১৯৭১ সালে তিনি করাচি পিটিভি তে ছিলেন। সেসময় সবাই বাংলাদেশে চলে এলেও একজন বাঙালি হওয়া স্বত্বেও তিনি পাকিস্তানেই থেকে গেলেন।
জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩১ মার্চ ঢাকায়। আদি পিতৃভুমি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বিখ্যাত ধামারন কাজী বাড়ি। রেশমা শুরুর দিকে জড়িত ছিলেন উপস্থাপক ও সংবাদ পাঠিকা হিসাবে ভয়েস অব আমেরিকার।
তাঁর প্রথম অভিনীত উর্দু ছবি 'জিনা ভি মুশকিল'। অন্যান্য ছবিগুলো হলোঃ দিল এক শীশা, ঘর পেয়ারা ঘর, ইন্ধন, ফির মিলেঙ্গে হাম দুনো, দরশন, কার বউ, চকোরী, আরমান, সূর্য উঠার আগে, নয়নতারা, শেষউত্তর, মেঘের পরে মেঘ প্রভৃতি।
লাহোরে তৈরি উর্দু ছবি 'ঘর পেয়ারা ঘর' এ তাঁর নায়ক ছিলেন অভিনেতা কামাল।
রেশমা বেতার, টিভি ও মঞ্চের সুপরিচিত অভিনেত্রি এবং গায়িকা ছিলেন। বিটিভি'র 'মুখরা রমণী বশীকরণ' নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে বিখ্যাত হন। 'রক্ত করবী'র কেতকী চরিত্রে অভিনয় করে অর্জন করেন ভূয়সী প্রশংসা।
আহসানুর রহমান ভূঁইয়া (কনা) রচিত বিটিভিতে তাঁর অভিনীত আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাটক হলো 'বিষুব রেখা'। এছাড়াও তিনি অভিনয় করেছেন ইডিয়ট, এমন একটা মা দেনা, শেষের কবিতা, বৃত্ত থেকে বৃত্তে, সাঁকো পেরিয়ে, দিনবদলের পালা প্রভৃতি নাটকে।
রেশমা লেখিকা ও ফ্যাসন চর্চাবিদ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে প্রয়াত বিশিষ্ট অভিনেত্রি ইশরাত নিশাত তাঁর বোনঝি ও অভিনেত্রি নাজমা আনোয়ার তাঁর সহদোরা।
২০ মে ২০২০ সালে বাংলা চলচ্চিত্রের গোল্ডেন গার্ল রেশমা প্রয়াত হন। শ্রদ্ধাঞ্জলি।

Address


Telephone

+8801308655211

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Green Channel24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Green Channel24:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share