13/09/2025
“দৃষ্টির হিফাযত কেবল নাজায়েজ কিছু থেকে নয়, বরং জায়েজ বস্তু থেকেও করতে হয়”…
চমকে উঠলাম। জায়েয জিনিস থেকেও নজরের হিফাযত?? …
মাগরিবের পর মসজিদে বসা ছিলাম। মিম্বারের পাশে একজন বয়ষ্ক তাবলিগের মুরুব্বী বয়ান করছেন। কিছুটা দুরে থেকে তার বক্তব্যের এই অংশটা কানে আসতেই কান খাড়া হয়ে গেলো। তিনি ব্যাক্ষা দেয়ার জন্য একটু সময় নিয়ে বলতে শুরু করলেন,
দুনিয়াবী বিষয়গুলো নিয়ে যার ভেতর আকর্ষন এবং হীনমন্যতা বেশী কাজ করে, তার জন্য জরুরী এরকম ক্ষেত্রেও দৃষ্টির হিফাযত করা। যার লেটেস্ট মডেলের গাড়ীর প্রতি ফ্যাসিনেশন আছে, এরকম গাড়ি চোখে পড়লেই তার জন্য চোখ সরিয়ে নেয়া জরুরী। সুন্দর বাড়ী বা এপার্টমেন্ট, লেটেস্ট মডেলের মোবাইল ফোন বা আকর্ষণীয় কোন ড্রেস - যেগুলো দেখলে তার নিজের ভেতর আফসোস এবং আকর্ষণ তৈরি হয়, সে যেন এসব কিছু থেকেও দৃষ্টির হিফাযত করে।
আর এটা আমার কথা না। বরং স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তার রাসুলকে এরকম আদেশ দিয়েছেন।
আবার অবাক হওয়ার পালা। এতক্ষন ভাবছিলাম, সাময়িক চিকিৎসা হিসেবে তিনি হয়তো নিজ থেকে এটা বললেন। কিন্তু এটা সরাসরি আল্লাহর আদেশ!! সত্যি!!
মুরুব্বী তিলাওয়াত শুরু করলেন,
وَلَا تَمُدَّنَّ عَیۡنَیۡکَ اِلٰی مَا مَتَّعۡنَا بِہٖۤ اَزۡوَاجًا مِّنۡہُمۡ زَہۡرَۃَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۬ۙ لِنَفۡتِنَہُمۡ فِیۡہِ ؕ وَرِزۡقُ رَبِّکَ خَیۡرٌ وَّاَبۡقٰی
হে নবী! তুমি পার্থিব জীবনের ওই চাকচিক্যের দিকে তাকিও না, যা আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে সাময়িক উপভোগের জন্য দিয়ে রেখেছি, তা দ্বারা তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। বস্তুত তোমার রব্বের রিযক সর্বাপেক্ষা উত্তম ও সর্বাধিক স্থায়ী। - সুরা ত্বহা, আয়াত ১৩১।
দ্বীনি মজলিসের ফায়দা এটাই। কুরআনের এই আয়াত তিলাওয়াত হয়েছে বহুবার। কিন্তু নিজের সাথে এভাবে ফিট করার সুযোগ…. আগে হয়নি কখনো!