13/06/2025
জুম্মাবার সূরা কাহাফ, বেশি বেশি দোয়া, দুরুদ আর ইস্তেগফার ইনশাআল্লাহ।
“সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”
জুমুআর দিনের বিশেষ কয়েকটি আমল ও ফজিলত :–
◾১. দরুদ শরীফ – জুমুআর দিন বেশী বেশী দুরূদ শরীফ পাঠ করা ও বেশী বেশী যিকির করা মোস্তাহাব।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন- “তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমু’আহর দিন। কাজেই এদিন তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।
[আবু দাউদ -১০৪৭]
“যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে।”
[সুনানে নাসায়ী ১/১৪৫; মুসনাদে আহমদ ৩/১০২]
◾২. সূরা কাহাফ – রাসূল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমু'আহর দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার ঈমানের নূর এক জুমু'আহ থেকে অন্য জুমু'আহ পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।
[সহিহ আত-তারগীব, হাদিস ৭৩৬]
◾৩. দোয়া – জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
“জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।” [আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮]
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, “শুক্রবারে আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ যাদুল মাআ’দ-এ বর্ণিত আছে, জুমার দিন আছরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়।” (যাদুল মাআ’দ : ২/৩৯৪)
ইমাম আহমদ (রহ.)-ও আসরের পর বিশেষভাবে দোয়া কবুল হওয়ার কথা বলেছেন। বিখ্যাত হাদিসের গ্রন্থ তিরমিজি শরিফের ২য় খণ্ডের ৩৬০ নং পৃষ্ঠায় তাঁর সবিশেষ কথাটি উল্লেখ আছে।
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে–
“জুমাবারে এমন একটি সময় আছে, যেটাতে বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন।” [মুসান্নাফ, হাদিস : ৫৫৮৮]
◾৪. ইস্তিগফার: – রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন- “যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে ইস্তেগফার করবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যে কোন অভাব ও সংকটের সময় তার জন্য রাস্তা খুলে দিবেন, যেকোন দুঃখ ও দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন এবং তার জন্য এমন রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা করে দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।”
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং: ১৫১৮]
এছাড়াও –
৫. অন্য দিনের তুলনায় ফজরের সময় ঘুম থেকে আগে উঠা।
৬. গোসল করা (মেসওয়াকও করবে।)
৭. উত্তম ও পরিস্কার কাপড় পরিধান করা।
৮. আতর বা খুশবূ লাগানো।
৯. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
১০. ইমাম সাহেবের কাছাকাছি বসা।
১১. মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা।
১২. খুতবার সময় কোনরূপ কাজ না করা বা কথা না বলা।
১৩. দুই খুতবার মাঝখানে হাত উঠানো ব্যতীত দিলে দিলে দু'আ করা।
১৪. জুমুআর দিন জুমুআর নামাযের জন্য যত শীঘ্র মসজিদে যাবে তত বেশী ছওয়াব হবে। সর্বপ্রথম যে যাবে একটা উট কুরবানীর ছওয়াব পাবে। তারপরের জন একটা গাভী কুরবানীর, তারপরের জন দুম্বা কুরবানীর, তারপরের জন একটা মুরগি দানের এবং তারপরের জন একটা ডিম দানের ছওয়াব পাবে।
১৫. যে ব্যক্তি জুমুআর দিন ফজর নামাযের পূর্বে তিনবার নিম্নোক্ত এস্তেগফারটি পাঠ করবে তার সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে-
استغفر الله الذي لا إله إلا هو الحي القيوم واتوب اليه ـ (كتاب الاذكار)