𝐒 𝐁 𝐓𝐔𝐇𝐈𝐍 𝐂𝐇𝐎𝐖𝐃𝐇𝐔𝐑𝐘

06/19/2025

🌹🌹🌹🌹শুভ সকাল 🌹🌹🌹🌹
দুঃখের ছায়ায় জর্জরিত প্রাণ,
খোঁজে আশ্রয়, খোঁজে পরিত্রাণ।
উঁচু-নীচু, জাত-পাতের বৃত্তে,
বন্দী ছিল মন, বন্ধন যত ক্ষীণে।
তখন এলো এক মহাজ্যোতি,
বোধিবৃক্ষতলে জাগলো প্রভাতরথ।
গৌতম বুদ্ধ, করুণা যার দীপ্তি,
বাহন করলেন শান্তির পথ।
নাহি তাঁর হাতে কোনো তরবারি,
নাহি হিংসার শপথ বা শত্রুতা।
কণ্ঠে শুধু সাম্যের মধুর বাণী —
“সকলেই ভাই, নেই পৃথকতা।”
“ব্রাহ্মণের ঘরে জন্মেই নয়,
ব্রাহ্মণ হ'তে হয় সদ্‌গুণে, সদ্‌কর্মে।
চণ্ডাল নয় জন্মে, হয় অসৎ পথে,
মানব চেনা যায় হৃদয়ের রত্নে।”
“হিংসা নয়, দান হোক বাঁচার ধারা,
শান্তি হোক অস্ত্র, প্রজ্ঞা হোক তলোয়ার।
সমতার আলো জ্বালাও সকল ঘরে,
মৈত্রীর সুরে ভরে উঠুক এই সংসার।”
জগতের প্রাণী সুখী হোক সকল,
তৃপ্ত থাকুক তারা হিংসা-শূন্যে।
এই তো বুদ্ধের হৃদয়ের আরতি,
এই তো মানবের সত্য দিশা-পথ।
চলো তবে ভাই, হাতে রাখি হাত,
ভেদাভেদ ভুলে গাই মুক্তির গান।
একই মাটির সন্তান আমরা সকলে,
ধর্ম হোক প্রেম— আর কর্ম হোক জ্ঞান।

06/19/2025

মানুষের জীবনের প্রতিটি আচরণ, চিন্তা ও কর্ম এক গভীর অন্তরশক্তির প্রকাশ। এই অন্তরশক্তি হলো চিত্ত বা মন। আর চিত্তের সহচর হয়ে কাজ করে ইন্দ্রিয়সমূহ—যেগুলো বাইরের জগতের সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটায়। যখন এই দুই—চিত্ত ও ইন্দ্রিয়—সংযত ও অনুশাসিত থাকে, তখন মানুষ সৎপথে অগ্রসর হয়। পক্ষান্তরে, যখন এরা অবাধ্য হয়ে পড়ে, তখন মানুষ নিজেকে অজান্তেই পাপকর্মের পথে ঠেলে দেয়।
চিত্ত হচ্ছে সেই অন্তর্নিহিত শক্তি, যা সমস্ত চিন্তা, অনুভূতি ও অভিপ্রায়কে ধারণ করে। চিত্ত যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়, তবে তা কামনা, ক্রোধ, হিংসা, ঈর্ষা ও অহংকারে ভরে ওঠে। এ চিত্ত এক মুহূর্তে স্বর্গের কল্পনা করে, পরমুহূর্তেই নরকের বীজ বপন করে।
“চিত্তং অনভিসংখারং, ভিপ্পানং হি পাপকো ধম্মো।”
— অর্থাৎ, অনুশাসনহীন চিত্ত পাপকর্মে প্রবণ হয়।
অবাধ্য চিত্ত নিজেরও শত্রু, সমাজেরও শত্রু। কারণ এটি তখন নিজের ক্ষতি যেমন করে, অন্যেরও অকল্যাণ ডেকে আনে।
চোখ, কান, নাক, জিহ্বা, ত্বক—এই পাঁচটি ইন্দ্রিয় মানব জীবনে পরম প্রয়োজনীয় হলেও, এদের উপর যদি লাগাম না থাকে, তবে তারা হয়ে ওঠে অশান্তির কারণ।

যেমন:
চোখ যদি সংযমহীন হয়, তবে তা কামনাবদ্ধ দৃশ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
কান যদি অনুশাসনহীন হয়, তবে তা পরনিন্দা ও কটু বাক্যে তৃপ্তি খোঁজে।
জিহ্বা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তবে তা মিথ্যাচার ও কটুবাক্যে জড়িয়ে পড়ে।
এই ইন্দ্রিয়সমূহ যদি চিত্তের নেতৃত্বে না চলে, বরং চিত্তকে নিজেদের দাস বানিয়ে নেয়, তাহলে মানুষ কেবল বস্তুর পেছনে ছুটতে ছুটতে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়।

পাপকর্ম কখনো হঠাৎ করে ঘটে না। তা ঘটে ধীরে ধীরে—চিত্তের অবাধ্যতা থেকে, ইন্দ্রিয়ের অসংযম থেকে। কেউ যদি মন থেকে কাম, রাগ, লোভ, মোহ দূর করতে না পারে, আর ইন্দ্রিয়কে যদি সদা আকর্ষণের পেছনে টেনে নেয়া থেকে নিবৃত করতে না পারে, তবে সে ব্যক্তি নৈতিকতায় পরাজিত হয়।

চিত্ত অবাধ্য + ইন্দ্রিয় অবাধ্য = পাপকর্ম অবশ্যম্ভাবী
সত্ জীবনযাত্রার মূল মন্ত্র হলো আত্মনিয়ন্ত্রণ। এই আত্মনিয়ন্ত্রণ আসে চিত্ত ও ইন্দ্রিয়ের সংযম থেকে। যারা এই দুটি শক্তিকে বশে আনতে পেরেছে, তারা জগতের সমস্ত পাপ থেকে আপনাকে রক্ষা করতে সক্ষম।
"যিনি নিজের চিত্তকে জয় করেছেন, তিনিই সর্বজয়ী"
এই চিত্ত যখন প্রশিক্ষিত হয়—ধ্যান, মনোনিবেশ ও বুদ্ধিপূর্ণ দর্শনে—তখন তা হয়ে ওঠে শুদ্ধ, উজ্জ্বল ও সদ্গুণে পূর্ণ। তখন ইন্দ্রিয়সমূহ চিত্তের আদেশে চলে, এবং জীবনে আসে পরিতৃপ্তি ও শান্তি।

শুধু উপদেশ যথেষ্ট নয়, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক।একজন মহাজ্ঞানী গুরু যদি বলে দেন—“সৎকর্ম করো, কুশল কর্মে প্রবৃত্ত হও”—তবু যদি তোমার চিত্ত অবাধ্য থাকে, যদি ইন্দ্রিয় নিজের পথে চলে, তবে সেই উপদেশ ফলপ্রসূ হবে না। কারণ বাহ্য উপদেশ তখন কার্যকর হয়, যখন অন্তর নিয়ন্ত্রিত ও প্রস্তুত থাকে।

তোমাদের প্রথম কর্তব্য হলো—নিজের চিত্ত ও ইন্দ্রিয়কে বাধ্য করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া।
এটাই আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপ, এবং পাপকর্ম থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।

চিত্ত ও ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণেই মুক্তি।জীবনে সত্যিকারের কল্যাণ ও নৈতিক শান্তি পেতে হলে চিত্ত ও ইন্দ্রিয়কে সংযত করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। যাদের মন প্রশিক্ষিত, যারা ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণে সফল—তাদের দ্বারাই কুশল কর্ম হয়, ধর্মচর্চা হয়, পরোপকার হয়।তাদের দ্বারা পাপকর্ম আর সম্পাদিত হয় না। তারা পাপকর্ম থেকে নিজেকে দূরে রাখে, এবং আত্মশুদ্ধির পথে এগিয়ে চলে নিশ্চিন্ত চিত্তে।

05/16/2025

The Mahabodhi Temple of Bodh Gaya A Sacred Cry for Justice from the Heart of the Buddhist World
– S. B. Tuhin Chowdhury.
Bodh Gaya—the sacred land where Prince Siddhartha attained enlightenment under the Bodhi tree and became the Buddha—is the holiest pilgrimage site for millions of Buddhists around the world. The Mahabodhi Mahavihara is not just a monument; it is the very heartbeat of global Buddhism.
Yet, tragically, this holiest of sites is not under the control of Buddhists. It remains in the hands of non-Buddhists, specifically a group of Brahmin priests, in a manner that is both historically unjust and morally indefensible.
A People Denied Their Sacred rights
Muslims control Mecca. Christians oversee the Vatican. Hindus manage their sacred temples.
So why is the holiest site of Buddhists in the hands of those who do not follow the Buddha’s path?
Worse still, the Buddha statue at the Mahabodhi temple is often misrepresented as being part of Hindu mythology, even falsely identified as the "five Pandavas." Rituals alien to the Buddha's teachings are being conducted in his sacred space, distorting his philosophy and disrespecting his legacy.
Every year, millions of dollars in donations from foreign Buddhist countries flow into Bodh Gaya. Yet that money is reportedly misappropriated and used not for the welfare of Buddhists, but for non-Buddhist interests. This is exploitation, not reverence.
A History of Usurpation.
The Mahabodhi Mahavihara was once restored and protected by Emperor Ashoka, whose symbol now ironically represents the Republic of India. However, in the 19th century, the site was gradually taken over and turned into a Hindu temple, complete with deities and non-Buddhist rituals.
Today, even during Buddha Purnima, the most sacred day in the Buddhist calendar, Hindu idols are being worshipped in front of the Buddha’s statue—an act that is not only culturally inappropriate but deeply offensive to Buddhists worldwide.
A Movement Ignored by the Media.
Since February 12, 2025, under the leadership of the All India Buddhist Forum (AIBF), Buddhist monks have been protesting peacefully through hunger strikes and sit-ins at Bodh Gaya. Their demand is simple and just:
Repeal the Bodh Gaya Temple Act of 1949 and return full control of the Mahabodhi Mahavihara to Buddhists.
Many monks have already been arrested. And yet, the national and mainstream media remain silent—controlled by the same Hindutva-influenced powers that resist Buddhist voices.
Where is the Global Buddhist Community?
Perhaps the most painful aspect of this struggle is the silence of the global Buddhist community. From Sri Lanka, Thailand, Japan, Myanmar, Bhutan, China, and beyond—where are the voices of solidarity?
While followers of Dr. B.R. Ambedkar have bravely taken to the streets, fasting and fighting for justice, traditional Buddhist communities remain largely passive. Why?
This Is Not Just About a Temple—It’s About Survival
This is not a communal conflict. It is a fight for religious dignity and historical justice. Bodh Gaya is not merely a site—it is the spiritual home of every Buddhist. If we remain silent today, we risk losing not only our sacred places but our cultural heritage itself.
We demand:
Return the Mahabodhi Temple to its rightful custodians—the Buddhists.
End the centuries of appropriation and silence.
Unite, raise your voice, and stand against injustice.
Now is not the time for silence.
Now is the time to speak.
Now is the time to act.

04/29/2025